কার সঙ্গে কাটাও তোমার সকাল দুপুর, তোমার বিকেল সন্ধে?
কার সঙ্গে রাত?
কে তোমাকে কী দেয় গো?
কার মালঞ্চের তুমি মালাকার?
বলো শ্বাস ফেলার সময় নেই,
শ্বাস কি তবে আজকাল তুমি ফেলছো না?
দুশ তিনশ দায়িত্ব তোমার ঘাড়ে, সে খুব চমৎকার একদিন বুঝিয়েছো।
আমিও মাথা নেড়ে নেড়ে বুঝেছি সারাদিনের সুতোয়
তোমার প্রিয় প্রিয় ব্যস্ততাগুলো কীরকম গেঁথে গেঁথে তোলো।
তোমার সুতোয় কিন্তু আমি নেই, কোথায় তবে তুলেছো আমাকে?
বলছো, হৃদয়ে,
বলছো, ভালোবাসো।
আমাকেই নাকি শুধু।
আকাশ, তোমাকে মিথ্যুক বলতে বাধে আমার।
কিন্তু যত যাই বলি না কেন, যদি বুঝি যে কারও দিন-রাত্তির জুড়ে আমি
নেই,
যদি বুঝি যে সুতো ছিঁড়তে তার হাত সরছে না,
যদি বুঝি ট্রাফিক জ্যাম বড় হয়ে উঠছে,
বড় হয়ে উঠছে তার শুয়ে থাকা,
তার গান শোনা,
তার পিয়ানো,
তার ছেলে পড়ানো,
তার বাণিজ্য,
তার সিটি সেন্টার,
যদি বুঝি সুতো আর সুতো থাকছে না, শক্ত শক্ত দড়ি হয়ে উঠছে,
যদি বুঝি এসবে সে ভালো থাকে, শিস দিয়ে হাঁটে,
সাদা ফিনফিনে জামা পরে ঘুরে আসে মাসির বাড়ি,
তবে নির্ঘাত সে মিথ্যাচারী,
সে অন্য কারও,
অন্য কোনও মালঞ্চের মালাকার সে।
সে আকাশ, অন্য কারও।
আকাশ তোমাকে আকাশ বলতে বাধে আমার,
তোমার চোখের চাওয়া পান করতে বাধে
তোমাকে ছুঁতে, চুমু খেতে বাধে।
তোমায় ভালোবাসতেও যদি বাধতো!