যার দিয়ে অভ্যেস, হাত পেতে কিছু নিতে গেলে আঙুলগুলো
গুটিয়ে আনে সে,
যার নিয়ে অভ্যেস, আঙুল ছড়ানোই থাকে তার, আঙুলের মাথায়
এক একটা হিরের মুকুট পরবে বলে, মনে মনে প্রার্থণা করে সে পাঁচশ
আঙুল।
তুমি যখন ভালোবাসা দেবে বলছো আমাকে,
মুহূর্তে তোমার মুখখানাকে মনে হলো কোনওদিন দেখিনি এর আগে,
চারদিক কেমন, এমনকী কণ্ঠস্বরও বড় অচেনা ঠেকলো, কোনও অদ্ভুত
গ্রহে আমাকে ছুড়ে দিল, সহস্র আলোকবর্ষ দূরে ছুঁড়ে দিল কেউ।
গাছের পাতাগুলো বাড়িঘরের মতো, বাড়িঘরগুলো শুকনো নদীর মতো,
সাপের মতো মাথার আকাশ, চাঁদ সূর্য কিছু নেই,
রক্ত চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে কো−ত্থকে কেউ জানে না।
আমাকে কিছু দেবে শুনে ভয়ে নিজের ভেতরে −সঁধিয়ে
কুন্ডুলি পাকিয়ে বসে আছি।
সমুদ্র সাঁতার কাটা আমি কুয়ো খুঁজছি লুকোতে
পেয়ে অভ্যেস নেই আমার, আমাকে দিও না কিছু।
তার চেয়ে চাও, কী চাই বলো,
জীবন উপুড় করে দেব।
পাওয়ার কথা ভুলেও তুলোনা। না পাওয়ার জন্যই জন্মায় কেউ কেউ।
পেয়ে সবার অভ্যেস থাকে না। ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করা আমাকেও কী রকম
কেঁচো করে নুন ছিটিয়ে গর্তে পাঠিয়ে দিচ্ছ,
অর্ধেক আকাশ দেবে বলেছো, এ সওয়া যায়, ভালোবাসা দেবে
কখনও বোলো না, ও নিয়ে মিথ্যেচার করে মানুষ মেরো না।
ঝুড়ি ঝুড়ি ভালোবাসা নিচ্ছ নাও,
তোমার কাছে কিছু তো চাইনি,
তুমি তো পুরুষ শত হলেও, ভালোবাসা কী করে দেবে শুনি!
সবার হৃদয়ে তো ও জিনিসের বীজ নেই। মাটি তো উর্বর নয় সবার!