আট
মহেন্দ্ৰ খায়-দায়, ঘুমায়।
আগে সকালে বিকালে একটু বেড়াতে বার হত, এখন তাও ছেড়ে দিলে। নদীতে স্নান পর্যন্ত। সকালে চা খেয়ে বাইরের দিকের বারান্দায় একখানা বেতের চেয়ার টেনে নিয়ে গিয়ে হয় বই পড়ে, নয়তো নিঃশব্দে বসে দূরের মাঠ, ঘাট, গাছপালার সৌন্দর্য দেখে। জলখাবার বেলায় রাখালেরা ধূলো উড়িয়ে গরু নিয়ে বার হয়। গরুগুলির শীর্ণ দেহ দেখে মহেন্দ্রর মনে পড়ে অন্য দেশের গরুর অবস্থা। সেগুলো কত হৃষ্টপুষ্ট, কত দুধ দেয় এবং তার পিছনে লোকেরা কত যত্ন নেয়।
দূরে নদীর ওপারে মেয়েরা কলসী কাঁখে ভিজে কাপড়ে জল নিয়ে যায়। ধূসর বালুর উপর চলমান তাদের ছোট্ট ছোট্ট সারি দেখা যায়। তাদের দিকে চেয়ে কত এলোমেলো কথা মহেন্দ্রের মনের মধ্যে ভিড় করে আসা-যাওয়া করে।
স্কুল পালিয়ে ছোট ছোট ছেলেরা আসে বাগান বাড়ীর বেড়ায় ফড়িং ধরতে। মহেন্দ্রর চোখে চোখ পড়তেই তারা আড়ালে আত্মগোপন করে। মহেন্দ্রর নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে : সেই গোপাল পণ্ডিতের পাঠশালা, ছেঁড়া চাটাই, দীঘির ঘাটে দল বেঁধে শ্লেট মাজার ধূম। কে জানে, সেদিনকার শিশুজগতের সঙ্গে আজকের শিশুজগতের সাদৃশ্য আছে কি না। কে বলবে, যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিশুমনেরও পরিবর্তন হয় কি না। কে জানে তাদের কালে যেমন ছিল, আজও তাই যথাযথ আছে কি না। মহেন্দ্রর জানতে খুব কৌতূহল হয়। ওদের সঙ্গে মেশবার, ওদের কথা জানবার জন্যে মহেন্দ্রর খুব ইচ্ছা হয়। কিন্তু লজ্জায় সংকোচে পারে না।
নরেন গেছে সদরে। সেখান থেকে যাবে কলকাতায়। ফিরতে এখনও কয়েক দিনই দেরী আছে। মহেন্দ্রর এ জায়গাটা আর ভালো লাগছে না। নরেন ফিরে এলে, তার ব্যাঙ্কের উদ্বোধন হয়ে গেলে সে পালিয়ে বাঁচবে। এখানে আর কোনো আনন্দই সে পাচ্ছে না। একঘেয়ে বই পড়ার মধ্যেও আর সে আনন্দ পাচ্ছে না।
এমনি এলোমেলো নানা কথা সে ভাবছিল। হঠাৎ এক সময় নিচে কাদের কণ্ঠস্বরে সে উচ্চকিত হল।
কে যেন নিচে জিজ্ঞাসা করলে, ছোটবাবু আছেন?
ইব্রাহিমের গম্ভীর কণ্ঠ কানে গেল, সাহেব এখন বই পড়ছেন।
—আমি যাব উপরে?
—যান। ওদিকের বারান্দায় আছেন।
বিভূতির কণ্ঠস্বর বলে মনে হল।
এতদিন পরে বিভূতি আসছে!
মহেন্দ্র গভীর মনোযোগের সঙ্গে খোলা বইখানার উপর ঝুঁকে পড়লো।
বিভূতি সন্তর্পণে এসে দোরগোড়ায় দাঁড়ালো। মহেন্দ্র তার আসা যেন টেরই পায়নি এমনি একমনে বইখানা পড়ে যেতে লাগলো।
এমন বিপদে বিভূতি জীবনে কখনও পড়েনি। সে ফিরে যাবে কি না ভাবছিলো। এমন সময় মহেন্দ্ৰ মুখ তুলে চাইলে।
—বিভূতিবাবু যে! কি খবর? বোসো, বোসো।
বিভূতি কুণ্ঠিতভাবে একটা চেয়ার টেনে বসলো। বললে, কাজের ভিড়ে এতদিন সময় পাইনি। নইলে রোজই মনে করি একবার আসবো।
—তা আজকে সময় পেলে কি করে? দাদা নেই বলে?
বিভূতি হেসে ফেললে। বললো কথাটা একেবারে মিথ্যে নয়। তা ছাড়া সবাই এমন ভয় লাগিয়ে দেয়।
—আমার সম্বন্ধে?
—হ্যাঁ।
—সে ভয় এখন ঘুটেছে? সিগারেট খাও।
মহেন্দ্র নিজে একটি সিগারেট ধরিয়ে টিনটা ওর দিকে এগিয়ে দিলে। বিভূতি সিগারেট ধরালে।
মহেন্দ্ৰ বললে, কি ভয় সবাই দেখাচ্ছে? আমি সাহেব হয়ে গেছি। কেউ দেখা করতে এলে তার দিকে কুকুর লেলিয়ে দিই?
—ওই রকম সব নানা কথা।
—নিচে কি কুকুর দেখলে?
—না তো।
মহেন্দ্র বললে, কয়েক বছর বাইরে ঘুরে এলেই বাঙ্গালী সাহেব হয়ে যায় না। আমিও হইনি। এই যে সাহেব সেজে বসে আছি, এ আমার সখ নয়, দাদার সখ। তোমরা আমার বাল্যবন্ধু। একসঙ্গে কত আনন্দ করেছি। আজ তোমরাই যদি আমাকে পর করে দাও, আমার খুব কষ্ট হবে।
এমন আবেগের সঙ্গে কথাগুলো বললে যে, বিভূতি বিচলিত হল।
সে কি একটা বলতে যাচ্ছিল, বাধা দিয়ে মহেন্দ্র বলে চললো :
আজ কত দিন হল এখানে এসেছি, একটি বন্ধুও আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। একলা আমার দিন কাটে না, ভালোও লাগে না। তবু মনকে এই ভেবে সান্ত্বনা দিই যে, পরিবর্তনশীল সংসারে কিছুই থাকে না, বন্ধুত্বও না। সেজন্যে দুঃখ করা বৃথা।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মহেন্দ্র চুপ করলে।
বিভূতি বললে, পরিবর্তন হয়েছে বই কি মহিন। আগে সংসারে ঝামেলা ছিল না, ডালে-ডালে বেড়িয়ে বেড়াতাম আর কবি গাইতাম। এখন তেল-নুন-লকড়ির চিন্তায় ব্যস্ত। সে সংগ্রহ করা যে কি ব্যাপার তুমি বুঝবে না।
মহেন্দ্ৰ বললে, তুমি বুড়োও হয়ে গেছ খানিকটা। শুধু মনে নয়, বাইরেও সে সজীবতা আর নেই।
—থাকবে কোত্থেকে বল। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত নানা ধান্দা। এই যুদ্ধ যে দুর্দিন এনেছে, তেমন দুর্দিন এদেশে কখনও আসেনি। দুর্ভিক্ষ গেছে, কিন্তু তার জের যায়নি। এদিকে কখনও ম্যালেরিয়া ছিল না, এখন গ্রাম উজাড় হবার উপক্রম। রোগ বেড়েছে, কিন্তু ওষুধ নেই। না আছে পেটে ভাত, না আছে পরনে কাপড়। মানুষের চিন্তার কি শেষ আছে?
—তা ঠিক।
দুজনেই নিঃশব্দে বসে রইল।
একটু পরে মহেন্দ্র বললে, তারপরে? কি খবর বলো তো? কুকুরের কামড় উপেক্ষা করে যখন এসেছ, তখন একটা কিছু দরকার আছে মনে হচ্ছে।
—আচ্ছে একটু।
—কি বলো তো?
বিভূতি কুণ্ঠিতভাবে জিজ্ঞাসা করলে, আজ বিকেলে তোমার কি একটু সময় হবে?
—নিশ্চয় হবে। সময়ের টানাটানি আমার মোটেই নেই।
বিভূতি বললে, গায়ত্রীর আজ সপ্তাহখানেক থেকে জ্বর। সাতদিনের মধ্যে তার বিরাম হয়নি। কাকাবাবু বেশ ভয় পেয়ে গেছেন। অথচ ডাক্তার ডাকবার সামর্থ্যও তাঁর নেই। বললে, মহিন তো বড় ডাক্তার। সে কি একবার আসবে?
—নিশ্চয় যাব। চলো। এতদিন পরে তবু যাহোক একটা রোগী পাওয়া গেল, এ কি ছাড়া যায়?
—এখনই যাবে?
—না তো কি দিনক্ষণ দেখতে হবে? বেশ লোক যাহোক!
স্টেথোস্কোপটা নিয়ে তখনই মহেন্দ্র বিভূতির সঙ্গে বার হয়ে গেল।
.
রোগিণীর ঘরে ঢুকে মহেন্দ্ৰ থমকে গেল।
ঘরের ভিতর থেকে একটা ভাপসা গন্ধ বার হচ্ছে। একটা ছেঁড়া কাঁথার উপর আর একটি ছেঁড়া কাঁথা গায়ে দিয়ে গায়ত্রী শুয়ে। কাঁথা-দুখানা যেমন দুর্গন্ধযুক্ত, তেমনি মলিন। ঘর অন্ধকার।
মহেন্দ্র ঘরের ভিতর দাঁড়িয়ে চারিদিকে চাইতে লাগলো।
বললে, জানলা বন্ধ করে রেখেছেন কেন?
বেণীমাধব বললেন, ভয়ানক হাওয়া আসে।
—আসুক। কাকাবাবু, পাঁচশো বছর ধ’রে আপনারা বাইরের হাওয়া বন্ধ করে রেখেছেন। এবার একটু আসতে দিন।
গায়ত্রী দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে ছিল। জ্বরের ঘোরে তার মুখ থমথম করছে। মহেন্দ্র ওর নাড়ী দেখলে, উত্তাপ নিলে, বুক দেখলে, চোখের কোণ উলটে দেখলে।
জিজ্ঞাসা করলে, ক’দিন এই জ্বরটা হয়েছে?
—ছ’সাত দিন হবে।
—এর মধ্যে আমাকে একবার খবর দিতে পারেন নি? ঘরে শিশি আছে? নেই? আচ্ছা আসুন আমার সঙ্গে কেউ আমাদের ওষুধের দোকানে। আমি ওষুধ তৈরি করে দিচ্ছি। মহেন্দ্রর সঙ্গে সদর রাস্তা পর্যন্ত এসে বেণীমাধব জিজ্ঞাসা করলেন, অসুখটা কি খুব বেশি মনে হচ্ছে?
চিন্তিত দৃষ্টিতে মহেন্দ্র বৃদ্ধের কাতর মুখের দিকে চাইলে।
—এদিকে কি টাইফয়েড হচ্ছে কাকাবাবু?
ভীত কণ্ঠে বেণীমাধব বললেন, জানিনে তো বাবা। তোমার কি সেই রকম সন্দেহ হচ্ছে?
–ঠিক বুঝতে পারছি না। গ্রামে তো হাসপাতাল নেই। রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থাও নেই। আন্দাজে চিকিৎসা। দু’চার দিন না গেলে ঠিক বুঝতে পারব না। তবে এটা ঠিক যে ভোগাবে কয়েকদিন। আমার সঙ্গে কে আসছে?
বিভূতি বললে, আমিই যাই চল।
রাস্তায় যেতে যেতে মহেন্দ্র বললে, আজ দুপুরে গাড়ীতে এখান থেকে কেউ সদরে যেতে পারে?
—কেন বলতো?
—গায়ত্রীর রক্তটা পরীক্ষা করবার জন্যে পাঠাতাম।
বিভূতি হেসে ফেললে।
বললে, তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? এ গাঁয়ে কারও অসুখে কখনও রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে শুনেছ? আমাদের করুণা ডাক্তার জলই দিক আর ওষুধই দিক, তাই খেয়েই যে বাঁচলো বাঁচলো, না বাঁচলো আর কি করা যায়? তার উপর হিন্দুর ঘরের বিধবা! কেই বা তার পরমায়ু চায়? বাপ-মাও চায় না, সে নিজেও চায় না।
কথাটা যে মিথ্যা নয় তা মহেন্দ্রও মনে মনে স্বীকার করলে। অথচ যে-সমাজে কানা-খোঁড়া-কুষ্ঠরোগীরও মূল্য আছে সে-সমাজে বিধবার মূল্য কেন নেই, এর সদুত্তর সে নিজের মন থেকে কিছুতেই পেলে না।
.
বিকেলে সে আবার গেল গায়ত্রীকে দেখতে।
সেই বিছানাতে শুয়ে শুয়ে গায়ত্রী ছটফট করছে। মা বাড়ীতে নেই, ঘাটে গেছেন। সংসারে নিতান্ত আবশ্যক কাজগুলো তো করতেই হবে। ছেলেমেয়েদের কতক বাইরের রাস্তায়, কতক ভিতরের উঠানে দাপাদাপি করছে। বৃদ্ধ এবং অন্ধ বেণীমাধব মেয়ের মাথার কাছে বসে কি যে চিন্তা করছেন তিনিই জানেন, কিন্তু রোগীর শুশ্রূষার কিই বা তিনি করতে পারেন?
মহেন্দ্রর পায়ের শব্দে তাঁর চিন্তার জাল ছিঁড়লো।
জিজ্ঞাসা করলেন, কে?
—আমি মহিন। এখন কেমন আছে গায়ত্রী?
—বড্ড ছটফট করছে। গাও যেন পুড়ে যাচ্ছে।
ওদের কথার শব্দে গায়ত্রী একবার চোখ মেলে চাইলে। জবাফুলের মতো লাল সে চোখ। তার সুন্দর মসৃণ ললাটের দুটো নীল শিরা ফুলে উঠেছে।
মহেন্দ্ৰ কাছে গিয়ে বসতেই যে খপ্ করে মহেন্দ্রর একখানা হাত চেপে ধরে বললে, তুমি কেন এমন করে আমার পিছনে লেগেছ? তোমাদের পায়ে আমি এমন কী অপরাধ করেছি যে, আমাকে নিশ্চিন্তে মরতেও দেবে না?
বলেই হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো।
বেণীমাধব তাঁর অন্ধ চক্ষু কাপড়ের খুঁটে মুছলেন। গলাটা ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিয়ে বললেন, কেঁদ না মা। ভয় কি? মহেন্দ্র তো যে-সে ডাক্তার নয়। সে বলছে ভয়ের কিছু নেই।
মহেন্দ্ৰ নিঃশব্দে থার্মোমিটার দিয়ে ওর শরীরের উত্তাপ পরীক্ষা করলে। একশো চার জ্বর। বললে, এক ফালি ন্যাকড়া আর একটা কিছুতে করে একটু জল আনুন। কপালে জলপাটি দিতে হবে।
অসহায়ভাবে বৃদ্ধ বললেন, আমি তো চোখে দেখি না বাবা। কী যে কোথায় আছে!
—আচ্ছা আমিই দেখছি।
খুঁজে খুঁজে ন্যাকড়া এক টুকরো পেলে। একটা গেলাসও বের করলে। তারপর নিজেই গায়ত্রীর কপালে জলপটি দিয়ে বাতাস করতে লাগলো।
নিঃশব্দে বসে থাকতে থাকতে বেণীমাধবের বুকের ভিতর থেকে এমন একটা ভারি নিশ্বাস বেরিয়ে এল যে, মহেন্দ্ৰ চমকে উঠলো।
—আপনার শরীর কি ভালো নেই?
—আমার? না বাবা, আমার কখনও কোনো অসুখ করে না। অথচ এখন যেতে পারলেই বাঁচি।
শেষ কথাগুলো বলতে বলতে বৃদ্ধের গলা বন্ধ হয়ে এল। কাঁপতে কাঁপতে তিনি দাওয়ায় গিয়ে বসলেন।
পাড়ার কয়েকটি প্রবীণা গৃহিণী আসছিলেন, বোধ হয় গায়ত্রীকে দেখতে। ঘরের ভিতর রোগিণীর মাথার শিয়রে বসে মহেন্দ্রকে হাওয়া করতে দেখে তাঁরা জিভ কেটে এক হাত ঘোমটা টেনে দিলেন এবং একটা অত্যন্ত লজ্জাকর ব্যাপার দেখে ফেলার লজ্জা চাপতে না পেরে একরকম দৌড়েই পালিয়ে গেলেন।
মহেন্দ্র বোধ করি তাঁদের আসা টেরই পায়নি। সে যেমন বাতাস করছিল তেমনি করেই চললো।
হঠাৎ এক সময় গায়ত্ৰী চোখ মেলে তার দিকে চাইলে। বললে, মহিন দা!
–কি গায়ত্রী?
—আমার বুকে একটা ব্যথা।
—ওটা সর্দি।
—সর্দি নয়, ঠিক যেন একটা শিলের মতো চেপে বসে রয়েছে।
—ওইটেই সর্দি।
—না, না। ওটা অন্য জিনিস। তুমি ধরতে পারছ না।
গায়ত্রী আবার চোখ বন্ধ করলে।
চোখ বুজে-বুজেই গায়ত্রী অস্ফুটস্বরে আবার বললে, নদীর ধারের সেই করবীঝাড়টিকে মনে পড়ে?
—পড়ে বই কি।
—শ্বশুরবাড়ী থেকে ফিরে এসে দেখি, সেটা শুকিয়ে মরমর। আমিই তাকে জল ঢেলে ঢেলে বাঁচিয়েছি, জানো?
মহেন্দ্র উত্তর দিল না। বুঝলে এসব কথা জ্বরের ঘোরেই বলছে গায়ত্রী।
গায়ত্রী বললে, সেই পাপেই আমার এই অবস্থা হল গো। মরা গাছ বাঁচাতে নেই। আমাকে একটু জল দেবে? বড় তেষ্টা পেয়েছে।
মহেন্দ্র ওর মুখে একটু জল দিতেই গায়ত্রী শান্তভাবে পাশ ফিরে শুলো এবং আর একটা কথাও বললে না। বোধ হয় ঘুমিয়েই পড়লো।