মরহুম শেখ মুহম্মদ মুস্তাফা অল-মরাগি
অজহর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আচার্য ওস্তাদ আল-মরাগি দেহত্যাগ করিয়াছেন। চীন, মালয়, ভারতবর্ষ, তুর্কিস্থান হইতে আরম্ভ করিয়া মধ্যপ্রাচ্য লইয়া একদিকে জিব্রাল্টার পর্যন্ত, অন্যদিকে তুর্কি হইতে আরম্ভ করিয়া গ্রিস, আলবেনিয়া, যুগোশ্লাভিয়া ইত্যাদি বল্কানদেশ ও রুশ, আফ্রিকার নানা প্রদেশ এমনকি আরব সাগরের মালদ্বীপ, লাক্ষা দ্বীপ হইতে বহু মুসলমান ছাত্র অজহর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িতে যায়। তাহাদের জন্য ছাত্রাবাস আছে; ভারতবাসীদের জন্য বিশেষ বাসস্থান ও অন্যান্য বন্দোবস্ত আছে।
অজহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিঞ্চিৎ বর্ণনা এখানে সম্পূর্ণ অবান্তর হইবে না। পৃথিবীর যেকোনো বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা ইহার বয়স অন্তত তিনশত চারিশত বৎসর বেশি। ইয়োরোপে যখন বর্বর, অন্ধকার মধ্যযুগ তখন অজহরের বিদ্যায়তন গ্রিক দর্শনের আরবি তর্জমা বাঁচাইয়া রাখিয়া তাহাকে বিলুপ্তির হাত হইতে রক্ষা করিয়াছিল। ভারতবর্ষ ও চীন বাদ দিলে সে যুগে অজহরই ছিল মধ্য ও পশ্চিম ভূ-ভাগের শিক্ষাকেন্দ্র। দমকস ও বাগদাদে পণ্ডিতরা যে জ্ঞান-চৰ্চা করিয়াছিলেন, তাহা কেন্দ্রীভূত হয় কাইরোর অজহর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পরবর্তী যুগে সেই অজহরের প্রচলিত ইবনে রুশদের (লাতিন ও বর্তমান ইয়োরোপীয় ভাষায় আভেরস নামে খ্যাত) দর্শন লাতিন তর্জমাযোগে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। ইয়োরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞানের তৃষ্ণার সৃষ্টি করেন ইবনে রুশদ ও ইবনে সিনা (আভিচেন্না বা আভিসেনা)। ইহাদের দৌত্যে ইয়োরোপ আপনার গ্রিক-দর্শন আবার ফিরিয়া পায়। তখনই প্রথম লাতিনে গ্রিক দর্শন, আয়ুর্বেদের অনুবাদ হইল। অক্সফোর্ড ও কেম্ব্রিজে ছেলেরা যে গাউন পরে, তাহা অজহরের নকলে। মধ্যযুগে নিঃস্ব বিদ্যার্থীরা এই বিরাট গাউন বা আবার দ্বারা ছিন্নবস্ত্র ঢাকিয়া বিদ্যায়তনে উপস্থিত হইত।
এক হাজার বৎসর ধরিয়া ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ফি-সবিলিল্লা (অর্থাৎ আল্লার পথে, দান-খয়রাতের ধর্মপথে) হিসাবে অজহরকে জমিজমা অর্থদান করিয়া গিয়াছেন। সে সম্পত্তির আয় এখন প্রচুর, কিন্তু অধ্যাপক ও ছাত্রসংখ্যা তদপেক্ষা প্রচুর। তবু অজহর কোনও ছাত্রের নিকট হইতে অর্থ (ফিজ) গ্রহণ করে না, প্রত্যেক ছাত্রের জন্য বাসস্থান দেয় ও প্রত্যেক ছাত্রকে মাসিক তিন হইতে পাঁচ টাকা দক্ষিণা দেয়। তাহারই জোরে নিতান্ত কপর্দকহীন ছাত্র দুই-তিনজনে মিলিয়া ক্ষুদ্র মেস করিয়া ও গ্রাম হইতে কিঞ্চিৎ আটা-আলু আলাইয়া দিন গুজরান করিতে পারে।
বিংশ শতাব্দীর সভ্যজগতে যখন বিদ্যা ক্রয়-বিক্রয়ের পণ্যদ্রব্য বলিয়া স্বীকৃত হইয়া গিয়াছে, যখন ধন না থাকিলে তোমার বিদ্যায় অধিকার নাই, যখন ধন থাকিলে তুমি হেলাফেলায় বিদ্যায়তনের আবহাওয়া মর্জিমাফিক বিষাক্ত করিতে পার, তখনও অজহর বিশ্বাস করে যে, বিদ্যায় সকলের সমান অধিকার! যেকোনো ছাত্র, যে কোনও দেশ হইতেই হউক অজহরে উপস্থিত হইয়া তাহার অতি অল্প আরবি জ্ঞান দেখাইতে পারিলেই বিদ্যায়তনে ভর্তি হইতে পারে ও বরাদ্দ দক্ষিণা পায়। পূর্বে অ-মুসলমান ছেলেদেরও লওয়া হইত, কিন্তু শুনিয়াছি, কয়েকটি ক্রিশ্চান পাদ্রি ছাত্র ধর্মশিক্ষার ভান করিয়া নানা অপ্রিয় বাক্য বলিয়া এমন কাণ্ড করিলেন যে ভবিষ্যতের ভয়ে ভীত অজহর তাহাদিগকে দেশে ফিরিয়া যাইতে বলিল, কে জানে, কোনদিন তাঁহাদের প্রটেকশনের প্রয়োজন হইবে। এই আফ্রিকার আরেক অংশেই তো সেদিন এক নিগ্রোকে বলিতে শুনিলাম, ইয়োরোপীয়রা যখন প্রথম আমাদের দেশে আসিল, তখন তাহাদের হাতে ছিল বাইবেল, আমাদের ছিল জমি। এখন অজহরের তুলনা করা ভুল হইবে।
অজহরের ছাত্ররা ধর্মশাস্ত্র পড়ে। সম্প্রতি ইংরেজি ফরাসি ইতিহাস, ভূগোল ও অন্যান্য বিষয়ও পড়িতে আরম্ভ করিয়াছে। কিন্তু তাহাদের সর্বাপেক্ষা অভ্রভেদী নেশা খবরের কাগজ পড়ার। সকালে যে কোনও ক্লাসে প্রবেশ করুন না কেন, দেখিবেন শতকরা ত্রিশটি ছেলে আপন আপন খবরের কাগজ নিবিষ্ট মনে পড়িতেছে। এদিকে পড়িতেছে তেরোশত বৎসরের পুরনো শাস্ত্র ওদিকে দুনিয়ার হালচালের প্রতি চড়া নজর। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে তাহাদের জ্ঞান দেখিয়া আমি স্তম্ভিত হইয়াছি। আমাদের টোল বা মাদ্রাসার নিরীহ শান্ত ছাত্রদের সঙ্গে অজহরের তুলনা করা ভুল হইবে।
কাইরোতে আরও দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে; একটি মিশর সরকার চালান (অজহর নিজের সম্পত্তিতে চলে) ও অন্যটি মার্কিনরা। এই দুইটি আমাদের কলিকাতা-ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো হরেকরকস্থা করে।
কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনে অজহর পয়লা নম্বর।
সাইবেরিয়া হইতে জিব্রাল্টার পর্যন্ত শেখ অল-মরাগির শিষ্যেরা শোকাতুর হইবেন। অনুমান করি, অন্তত ছয় মাস ধরিয়া তার-চিঠি, সংবাদপত্রের বিশেষ সংখ্যা, শেখের জীবনী ইত্যাদি পৃথিবীর নানা দেশ-বিদেশে হইতে নানা ভাষায় কাইরোর দিকে প্রবাহিত হইবে ও শেখের পূতজীবন ও অপূর্ব প্রতিভা বিশ্ব-মুসলিমকে কী প্রচুর পরিমাণে অনুপ্রাণিত করিয়াছিল, তাহা সপ্রমাণ করিবে।
অজহরের নিয়ম যে, যিনি প্রধান শেখ বা রেক্টর হইবেন, তাঁহার শুধু পণ্ডিত হইলেই চলিবে না, তাহার চরিত্র যেন অকলঙ্ক হয়। অগাধ পাণ্ডিত্য ও অনাড়ম্বর ধর্মপরায়ণতার সম্মেলন শেখ অল-মরাগিতে ছিল বলিয়াই তাহার হাজার হাজার শিষ্যের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা তিনি অর্জন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন।
শেখের পাণ্ডিত্যের বিচার আজ করিব না। ধর্মভীরু বলিয়া তাঁহাকে অনিচ্ছায় রাজনীতিক্ষেত্রে নামিতে হইয়াছিল। শেখ বিশ্বাস করিতেন যে, দেশে যখন অত্যাচার অবিচার চলে, তখন তাহারই একপার্শ্বে সঙ্গোপনে ধর্মচর্চা করিয়া অনাচারকে নীরবে স্বীকার করিয়া লওয়া অধর্ম, পাপ। তাই যখন বিদেশি শক্তির চাপে পড়িয়া মিশরের রাজা ফুয়াদ ওয়াদ দলকে তাড়াইয়া প্রচলিত শাসনবিধি উপেক্ষা করিয়া স্বিদকি পাশাকে চোটা মুসোলিনি কায়দায় (তখনও হিটলার আসর জমাইতে পারেন নাই) ডিক্টেটর বানাইলেন ও স্বিদকি সদম্ভে প্রচার করিলেন যে তিনি বর্জ-বাহু দ্বারা মিশর শাসন করিবেন, তখন শেখ অল-রাগি নির্ভীক বলদৃপ্ত কণ্ঠে প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। স্বিদকির প্ররোচনায় রাজা শেখকে হুকুম দিলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য আশিজন ওয়াফদহিতৈষী অধ্যাপককে যেন বরখাস্ত করা হয়। শেখ উত্তর দিলেন যে, অধ্যাপকেরা ওয়াফদের পৃষ্ঠপোষকতা করিয়া ধর্মাচরণ করিয়াছেন মাত্র। ইহাদিগকে শাস্তি দেবার কোনও কথাই উঠিতে পারে না। স্বিদকির প্ররোচনার রাজা অটল; বিদেশি শক্তিও অজহরের মেরুদণ্ড ভাঙিতে পণ করিয়াছে।
শেখ পদত্যাগ করিলেন। তামাম মধ্যপ্রাচ্যে হুলস্থুল পড়িয়া গেল। সকলের মুখে এক প্রশ্ন, রাজা শেখের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করিলেন কী করিয়া।
স্বিদকি তাহারই এক ক্রীড়নককে অজহরের শেখ নিযুক্ত করিলেন– কোনও ধর্মভীরু পণ্ডিতই তখন স্বিদকির পদলেহন করিতে সম্মত হন নাই। নতুন শেখ আশিজন দেশমান্য অধ্যাপককে পদচ্যুত করিলেন। অজহরের হাজার বৎসরের ইতিহাসে ওই একমাত্র মর্কট সিংহাসনে বসিয়াছিল।
তার পর অজহরের ছাত্রেরা যে কাণ্ড করিল, তাহা স্বিদকি সম্প্রদায়ের চিরকাল মনে থাকিবে। ট্রাম জ্বালাইয়া, বাস পোড়াইয়া, বোমা ফাটাইয়া স্বিদকির স্বাধিকার প্রমত্ততাকে বেত্রাঘাতে জর্জরিত করিল। বাঙালি পাঠকবর্গের অবগতির জন্য এস্থলে উল্লেখ প্রয়োজন যে, সাদ জগলুল পাশার আমলে হইতে আজ পর্যন্ত মিশরে যত রাজনৈতিক আন্দোলন হইয়াছে, তাহাতে নেতা ও কর্মীর অধিকাংশ অজহরি। তাহাদের জাল মিশরের সর্বত্র ছড়ানো। তুলনাস্থলে ১৯২০-এর খেলাফত আন্দোলনের একাগ্রতা পাঠককে স্মরণ করাইয়া দেই।
স্বিদকির মেরুদণ্ড ভাঙিল। আন্দোলনের শেষদিকে তাহার দক্ষিণহস্তে সেই দম্ভকর বজ্ৰবাহুতে পক্ষাঘাত হইল। মিশরি পরম সন্তোষের সঙ্গে বলিল- “আল্লা-হু-আকবর। বিদেশি শক্তি মিয়মাণ। রাজার চেতনা হইল। ওয়াদকে আবার ডাকা হইল।
অজহরের ছাত্রেরা পরমানন্দে শেখ অল-রাগিকে অজহরে ফিরাইয়া আনিতে গেল। শেখ প্রত্যাখ্যান করিয়া বলিলেন, যে দেশের রাজা বিদেশির ক্রীড়নক হইয়া গণ্যমান্য দেশপ্রিয় অধ্যাপকদের লাঞ্ছনা করে, তাহার অধীনে কর্ম করার মতো বিড়ম্বনা আর কিছু নাই। ছাত্রেরা অনেক অনুনয় বিনয় করিল; কিন্তু শেখ অটল। তখন তাহারা শেখের অন্ধ বৃদ্ধ গুরুর দ্বারস্থ হইল। তিনি বলিলেন, শেখকে গিয়া বল আমি বৃদ্ধ, মৃত্যুর সম্মুখীন, কিন্তু এমন কোনও পুণ্য করিতে পারি নাই যে, জিন্নতের (স্বর্গের) আশা করিতে পারি। আমার একমাত্র ভরসা যে, মরাগির মতো শিষ্য আমার কাছে অধ্যয়ন করিয়াছেন। কিন্তু তিনিও যদি কর্তব্যপথ হইতে বিচ্যুত হন, তবে জিন্নতে যাইবার আমার শেষ আশা বিলীন হইবে।
শেখ অল-রাগি তৎক্ষণাৎ গুরুবাক্য শিরোধার্য করিয়াছিলেন।
শেখের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ সমস্যা ছিল ইয়োরোপীয় সভ্যতার কতটুকু গ্রহণ করা যায়। বিংশ শতাব্দীর ইয়োরোপীয় জগৎকে উপেক্ষা করিয়া স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষণ অসম্ভব অথচ ইয়োরোপের জড়বাদের তাণ্ডবলীলা তাহার শিক্ষাদীক্ষার সঙ্গে দেশে প্রবর্তন করার অর্থ দীন-দুনিয়ার সর্বনাশ।
মনে পড়িতেছে, প্রশ্ন উঠিয়াছিল রেডিয়োতে কুরানপাঠ শাস্ত্রসম্মত কি না। উগ্রপন্থিরা বলিলেন, রেডিয়োর প্রচুর চলতি শুড়িখানা ও বেশ্যালয়ে। সেই উচ্ছল উন্মত্ততার আবহাওয়ায় কুরানপাঠ কুরানের অবমাননা! শেষ ফতোয়া দিয়াছিলেন, শেখ অল-মরাগি। তিনি বলিলেন, ধার্মিকের গৃহে কুরানপাঠ অহরহ হইতেছে। কিন্তু আমি চাই কুরান যেন সর্বত্র পৌঁছে। আকণ্ঠ নিমজ্জিত পাপী তো কুরান শুনিতে ধার্মিকের দ্বারস্থ হয় না। সুরাসক্ত যদি অনিচ্ছায়ও একদিন রেডিয়োতে কুরান পাঠ শুনিয়া বিচলিত হয়, ধর্মপথে চলিবার তাহার বাসনা হয়, তবে বেতার ধন্য হইবে।
এই হিমালয়ের ন্যায় বিরাট পণ্ডিতের কথা যখন ভাবি, তখন মনে পড়ে তাহার ব্যবহারের জন্য শেখ সেই গাড়ি চড়িয়া দূর আবদিন প্রাসাদে যাইতেন রাজার সঙ্গে দেখা করিতে। সেই সময়ে মোটর ভ্রমণেচ্ছুক ছেলেরা, বিশেষত গ্রাম্যরা শেখের অফিসের সামনে ঝামেলা লাগাইত। শেখ গাড়িতে উঠিয়া ছেলেদের ডাকিয়া যেন নৌকাতে কাঁঠাল বোঝাই করিতেন। কাহাকেও বাদ দিবার ইচ্ছা শেখের নাই অথচ গাড়ি যত বিরাটই হউক, সে তো গাড়ি। দামি রোলস বটে (এক ধর্মপ্রাণ শেখের ব্যবহারার্থ অজহরকে ভেট দিয়েছিলেন। কিন্তু শেখের আপসোসের অন্ত নাই যে, যথেষ্ট পরিমাণে প্রশস্ত নহে।
আবদিন প্রাসাদের সম্মুখে ছেলেরা নামিয়া যাইত। শেখ পই পই করিয়া আদেশ করিতেন, কেউ যেন ছিটকাইয়া না পড়ে; তিনি যাইবেন আর আসিবেন। তার পর দশবার করিয়া শুনিতেন কয়টি ছেলে আসিয়াছে ও দশবার করিয়া সে আদমশুমারি ভুলিয়া যাইতেন।
রাজাকে সৎপথে চলিবার উপদেশান্তে শেখ বাহির হইয়া সেই একপাল ব্যাঙকে এক ঝুড়িতে পুরিবার চেষ্টা করিতেন। কেউ এ কাফেতে ঢুকিয়াছে, কেউ ওই দোকানে গুম হইয়া গিয়াছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিবার পথে শেখের দুর্ভাবনার অন্ত নাই। কেউ বাদ পড়িয়া যায় নাই তো, ড্রাইভারের আশ্বাসবাক্য কিছুতেই বিশ্বাস করিতেন না। বারে বারে বলিতেন, গাড়ি যেন ফাঁকা ফাঁকা মনে হইতেছে।
সেই শেখ জিন্নতবাসী হইলেন। আল্লাতালা তাহার আত্মাকে নিজের কাছে ফিরাইয়া লইয়াছেন। নিশ্চয়ই আমরা তাঁহার নিকট হইতে আসিয়াছি ও অবশ্যই আমরা তাহারই নিকটে ফিরিয়া যাইব।
[আনন্দবাজার পত্রিকা ২.৯.১৯৪৫]