মধুর সন্তুর, মন কাড়া সুর
সঙ্গীত আর কাব্য নিঃসন্দেহে একটি সমাজের নিজস্ব চেহারা তুলে ধরে। ওই সমাজের নিজস্ব ধাঁচের রোমান্টিকতা আর বেদনা উপমা হয় সঙ্গীতে। একবার কাশ্মীরি এক গজল সন্ধ্যায় গজল শুনে মনে মনে গেয়ে উঠেছিলাম, সব গানেরই একই কথা। প্রেম-প্রীতি, দুঃখ-ব্যথা’। কথাগুলো একই হলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন। একটি সমাজের সঙ্গীতই বলে ওই সমাজের মূল কোথায় গ্রোথিত। কাশ্মীরের সঙ্গীত ও শিল্প সাহিত্যের ইতিহাস মূলত বৈদিক যুগের ইতিহাস।
সংস্কৃতিকর্মীদের এ কথা অজানা নয় যে, মঞ্চনাটক আর সঙ্গীত একে অপরের পরিপূরক এক প্রাচীন শিল্প। আর নাট্যশাস্ত্র হচ্ছে এই শিল্পের বাইবেলসম। ভারতমুণী নাট্যশস্ত্রের রচয়িতা। তিনি ছিলেন কাশ্মীরি। তার নাট্যশাস্ত্রের ৩৬টি অধ্যায়। আর কাশ্মীরি শেভিস্ট দর্শনেরও ৩৬টি বিশ্বাস। পৃথিবীতে প্রথম নাটক ও সঙ্গীতের চর্চা কোথায় হয়েছে তা স্পষ্ট বলা কঠিন। তবে ধারণা করা যায়, ভারতীয় সঙ্গীতকে ব্যকরণবদ্ধ বা নিয়মাধীন করেছে প্রথমে কাশ্মীরিরাই। নাট্যশাস্ত্রকে বলা হয় পৃথিবীর মঞ্চাভিনয়ের প্রথম লিখিত গ্রন্থ”। ধারণা করা হয় এর রচনাকাল খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতক। ভারতমুণী তার ওই সংস্কৃত গ্রন্থে বলেছেন, নাট্য সৃষ্টি হয় চারটি বিষয়ের সমন্বয়ে; যথা- পাঠ, গীত, অভিনয় ও রস। এই চারটি বিষয় এসেছে যথাক্রমে বেদ-এর চারটি খণ্ড থেকে। ঋগবেদ থেকে পাঠ, সমবেদ থেকে গীত, আয়ুর্বেদ থেকে অভিনয় আর অথর্ভবেদ থেকে এসেছে রস।
এভাবে চারটি বেদ সমম্বিত করে নাট্যশাস্ত্র নিজেই বেদ-এর পঞ্চম পাঠ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওই গ্রন্থেই ভারতমুণী তার ৩৬টি অধ্যায়ের মধ্যে পাঁচটি অধ্যায় লিখেছিলেন সঙ্গীত সম্পর্কে। সেখানে অন্তত ২২টি শ্রুতির বর্ণনা দিয়েছেন। আরও দিয়েছেন বীণ ও ধ্রুপদ সঙ্গীতের কৌশল। অর্থাৎ, একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, প্রাচীনকালে কাশ্মীরি বিজ্ঞজনেরা সঙ্গীতকেও ব্যকরণবদ্ধ করেছিলেন। ওয়ানয়ুন আর রৌফ হলো কাশ্মীরের প্রাচীনতম কিসিমের গান”। বিশেষ অনুষ্ঠানাদিতে এর চর্চা হয় কাশ্মীরের ঘরে ঘরে। সাধারণত সমলিঙ্গের লোকেরা, বিশেষত নারীরা, এক সঙ্গে হয়ে ওয়ানয়ন চর্চা করে থাকে। ঈদে কিংবা বিয়ে অনুষ্ঠানে; অথবা যেকোনো খুশির দিনে কাশ্মীরের ঘরের ভেতর থেকে ভেসে আসে সমবেত নারী কন্ঠে ওয়ানয়ুনের সুর। এক তালে, এক লয়ে গাওয়া হয় এই ফোক
গান। কিছুটা হালকা টোনের। এর মূল কথা হলো কল্যাণকামনা। নতুন জন্ম নেওয়া শিশুর কল্যাণ কামনায় গাওয়া হয় ওয়ানন। বিয়েতে কন্যার সুখ শান্তি কামনায় বৌকে ঘিরে রেখে বাড়ির নারীরা একসঙ্গে গায় ওয়ানয়ন। বরের আগমনে স্বাগতম জানিয়েও গাওয়া হয় ওয়ানন। বিয়ে বাড়ির প্রস্তুতির সময় ওয়ানয়ুনের জন্য আলাদা থাকে একটি কক্ষ। মাটির কলসির মতো দেখতে এক ধরনের বাদ্য আছে। কাশ্মীরি ভাষায় এর নাম ‘তাষাখ নীয়ের। মাটির তৈরি যন্ত্রটার এক মুখ ভেড়ার চামড়া দিয়ে ঢাকা থাকে। চামড়ায় ঢাকা ওই মুখে হাত দিয়ে টোকা দিলে ধপ-ধপ শব্দ হয়। ওয়ানয়ুনের আবহে ওই বাদ্যটি তবলার মতো তাল তোলে। মধ্যরাতে যখন স্তব্ধ হয়ে যায় প্রকৃতি তখন ওয়ানয়ুনের সুর ভেসে যায় সুদূর গ্রামে। যে কেউ বুঝতে পারে, অনেক হতাশা আর বেদনার মধ্যেও হয়তো পাশেই কোনো ঘরে খানিকটা সুখের বাতাস বইছে। গুলমার্গ থেকে ফেরার পথে একটা মাজারের নাম আস্তান-এ-বাবা ঋষি। সেখানে বেশ উঁচু একটা পাহাড়ের ওপর মাজার, একটি মসজিদ আর আছে একটি বৈঠকখানার মতো ঘর।
সেখানে গিয়ে হঠাৎ কানে এল ওয়ানয়ুনের সুর। সুরের উৎসে গিয়ে দেখা গেল বাবার আস্তানে (বুজুর্গের মাজারে) একটি শিশুকে আনা হয়েছে। সঙ্গে এসেছেন ওই শিশুর মা-খালা-ফুফুরা। ওই শিশুর মাথার চুল কামানো হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে শিশুটির কল্যাণ কামনা করে গাওয়া হচ্ছে ওয়ানয়ুন। বাবা সা’বোস আস্তানোস্ মাঞ, মাক-মাদীনাস পয়গাম ওয়াল’। বাবা সাহেবের আস্তানে মক্কা মদীনা থেকে লোক এসেছে সাফল্যের পয়গাম নিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কাশ্মীরি শিশুদের জন্মের পর মাথার চুল প্রথমবার চাঁছার জন্য তাদের নিকটবর্তী মাজারে নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ আছে। দিল্লিতে থাকাকালে এক কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ পরিবারের বিয়ের দাওয়াত পেয়েছিলাম। সেখানে ছিল বিশাল আয়োজন। আয়োজনের মধ্যে কাশ্মীরি, পাঞ্জাবি আর হালের ফ্যাশনের মিশেল ছিল। তবে, বর পক্ষের আগমনের পর ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে রমণীদের গেয়ে ওঠা ওয়ানয়ুনের সুর শুনে আমি আবিষ্কার করেছিলাম, হিন্দু আর মুসলিমের মধ্যে ওয়ানয়ুনের সুর তফাৎবিহীন।
রৌফ একটু রোমান্টিক। তার গুরুত্ত্বও আলাদা। রৌফ-এ গানের সঙ্গে সঙ্গে আছে মৃদু ছন্দের নাচ। এটিও মূলত নারীরাই করে থাকে। আবহসঙ্গীত হিসেবে গান চলে। অন্তত আটজন নারী দুই সারিতে ভাগ হয়ে পাশাপাশি দাঁড়ায়। একে অপরের কাঁধে হাত দিয়ে অবিচ্ছেদ্যভাবে সারি বাঁধে। এরপর এক সারি সামনে আসে, অন্যটা যায় পেছনে। দুই সারির মেয়েরা একটা ছন্দ মিলিয়ে একে অপর থেকে দূরে আর কাছে আসে-যায়।
প্রতি সারির মেয়েরা তাদের নিজেদের মধ্যে এমন সমমেল সৃষ্টি করে যেন মনে হয় শান্ত জলাশয়ের স্নিগ্ধ ঢেউ। এরই মধ্যে গানের তালে তালে একজন বেরিয়ে সামনে এসে প্রদর্শন করে মৃদু-মন্দ সব মুদ্রা। সে ফিরে গিয়ে কাতারবন্দি হয়। অন্যজন বেরিয়ে আসে নতুন কলির সঙ্গে আপন মুদ্রার নাচ নিয়ে। তেমনি একটি রৌফ গানের দুই লাইন বিস্মৃত হবার নয়। সেখানে শুনেছিলাম ‘রো’শ ওয়ালা মইনে দিলবারু/পোশান বাহার আ.. ইউরওয়ালু’; ‘ওগো প্রাণবন্ধু, গোস্বা হয়েছে তোমার/ফুলেল বসন্ত এসেছে/তুমিও এসো ফিরে’।
মজার ব্যাপার হলো, উর্দু দিলরুবা শব্দটি কাশ্মীরিতে দিলবারু হয়েছে। আর পোশান বাহার’ শব্দ দুটি এসেছে ফার্সি থেকে যার অর্থ ফুলেল বসন্ত। গবেষকরা বলেন, এই গানগুলো শিক্ষাবঞ্চিত নারীদের মুক্তি দিত জীবনের একঘেয়েমি থেকে। আর গানগুলোর মধ্যে তাদের আবেগের প্রস্ফুটন ঘটত। অবদমিত স্বপ্ন-সাধগুলো প্রকাশ পেত রৌফ-এ।” অন্যত্র বলেছি কাশ্মীরি নারীরা পুরুষের
সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে মাঠে-ঘাটে, এমনকি গাছে। কিন্তু, মনে হয়েছে বিনোদনের ক্ষেত্রগুলোতে কাশ্মীরি নারীদের আয়োজন অনেকটাই তাদের নিজস্ব, ঘরোয়া। তবে, এখনকার সময়ে সংস্কৃতি হলো প্রদর্শনের বিষয়। সুতরাং, ঘরোয়া সেই সংস্কৃতির উপাদানগুলো অনুষ্ঠানাদিতে মঞ্চায়িত হয় নানা রং-ঢং মিশিয়ে। কাশ্মীরি সঙ্গীতের জগতে বৈচিত্র্য আর নিজস্বতার শেষ নেই। এখনকার হলিবলি’র যুগেও কাশ্মীরি ফোক সঙ্গীত যথেষ্টই জনপ্রিয় হিসেবে টিকে আছে।
অস্বীকার করবো না, হুমকির মুখে আছে। অসংখ্য প্রতিভার অবদানে সিক্ত সে সঙ্গীত। এখানে স্পষ্ট, কাশ্মীরি সর্বসাধারণ শিবের উপাসনা থেকে যেমন কালক্রমে প্রথমে বৌদ্ধধর্ম এবং পরে হয়েছে মুসলিম, তেমনিভাবে তাদের সঙ্গীতও সংযোজনবিয়োজনের মাধ্যমে পেয়েছে সমৃদ্ধি। সুফি-ঋষিরা তাদের শান্তিবার্তার জন্য সঙ্গীতপ্রেমী কাশ্মীরি পরিবেশকে সহায়ক পেয়েছেন। মুসলিম সুফিরা ১৪ শতকে কাশ্মীরে যখন আসেন, তখন তারা দেখেছিলেন শিবের উপাসনা কাশ্মীরে সবচেয়ে অভিজাত মানুষের উপাসনা। শিবজী শঙ্করাচার্যকে ভক্তি করে কাশ্মীরি মন্দিরগুলো থেকে যে সঙ্গীত তখন গাওয়া হতো তার নাম ‘ভজন’। আশ্চর্যজনক হলেও একথা
সর্বজনবিদিত, শিবের ভক্তি-ভজন’ আর মুসলমানদের খোদা-ভক্তি ‘আওরাদ-এফাতিহার সুরে অমিল খুব একটা ছিল না। আওরাদ-এ-ফাতিহা আরবি উচ্চারণে হতো বটে। তবে, আরবির তারতিল বা শুদ্ধ উচ্চারণ সেখানে ছিল না। এখনও নেই। এখনও ভোরে ভোরে কাশ্মীরের মসজিদগুলো, বিশেষ করে বড় বড় খানকাহগুলো থেকে যে আওরাদের সুর আসে তা খাটি আরবি উচ্চারণ থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। তবে, তার সুরে সুগভীর দরদ আছে, আছে হৃদ্যতা আর আত্মহারা হওয়ার মতো মর্মভেদী আবেদন। ১৬ শতকে হাব্বা খাতুন (শাসক ইউসুফ শাহ চাকের স্ত্রী) নিজেই সৃষ্টি করেছিলেন নানা নতুন ধারার সঙ্গীত।
রাস্তু (Raast) বা কাশ্মীরি রাগ সঙ্গীত তারই অন্যতম। জানা গেছে, শাসক ইউসুফ শাহ চাক শরাব পিয়ে পুঁদ হয়ে গানের আসরে, সুরের লহরে মিশে থাকতেন। আর নিজে গাইতেন, যত পার ভোগ কর যতক্ষণ বেঁচে থাক’। ইরাক ও হেজাজের সঙ্গীতের ধাঁচবাহী আরেক সুরের নাম সুফিয়ানা বা শাফীনা। এই ধাঁচের মূল বিস্তৃতি ঘটে জাইনুল আবেদীন বাদশাহের আমলে (১৪২০ – ৭০ খ্রি.)। আশমোকাম নামে দক্ষিণ কাশ্মীরে একটি আস্তান আছে। সেটি মূলত হজরত জাইন উদ্দীন ওয়ালী (রহ.)-এর মাজার। রুহানীয়াত, তাসাওফ ও ঋষিয়্যাতের ‘আলমবরদা’র এই বুজুর্গের আস্তানায় গিয়ে অবলোকন করেছিলাম শতাধিক শিশু-কিশোর সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে গাইছিল মনোমুগ্ধকর সুফিয়ানা। একজন বুজুর্গ সুফি ছিলেন তাদের মূল গায়ক।
এই শাফীনা-এ-কালামের জন্য এক অবিচ্ছেদ্য বাদ্যযন্ত্র সন্তুর। কাঠের বাক্সের ওপরে বেশ কয়েকটি সারিতে তার সাজানো থাকে। সেই সমান্তরাল তারের ওপরে সরু-কাঠের চামচের মতো দুটি দণ্ড দিয়ে আঘাত করা হয়। তাতেই নানা রকমের সুর ওঠে। সন্তুর তার আপন সুরে বলে দেয় ইরানি/ফার্সি সভ্যতার সঙ্গে কাশ্মীরিদের সখ্য কতখানি। সন্তুর হলো ইরানের জাতীয় বাদ্যযন্ত্র। বাদ্যযন্ত্র হিসেবে তবলার তাল আমার শ্রেষ্ঠ মনে হতো। প্রথমবার সস্তুরের টুনটুন শব্দের তালে আমার ধারণা বদলে গেল। সঙ্গীতপ্রেমী যে কেউই সন্তুরে মুগ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস। খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সন্তুরের প্রচলন ছিল ইরাক ও ব্যাবিলনে। সংস্কৃত ভাষায় সন্তুরের নাম হলো, শততন্ত্রী বীণা’।
সবশেষে গজলের কথাতো না বললেই নয়। আমাদের দেশে গজল সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন গজল মানে ধর্মীয় সঙ্গীত। আসলে গজল হলো সঙ্গীতের একটা মৌলিক ধারা, যার মূল উপজীব্য হলো, মরম’। কাশ্মীরিদের কাছে গজলের জনপ্রিয়তা অনেক। কাশ্মীরি গজল শিল্পী রাশেদ জাহাঙ্গীরের একাধিক লাইভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলাম। তার ওইসব গজলের মর্মকথার সঙ্গে অগণিত বাংলা গানের মিল থাকায় তার প্রতি আমার টান স্বভাবতই বেড়েছে অনেকগুণ। হাজার দর্শকের সামনে রাশেদ জাহাঙ্গীর সেদিন গাইছিলেন
‘দিল পারেশান, ছুম গমুত/ শাহে মাদীনা..স ওয়ান সালাম। দাস্তু ওয়াইল-ওয়াইল/মাওনাইস,মাহজাবীন’স/ওয়ান সালাম। দিল পারেশান..’।
যার অর্থ হলো
ব্যাকুল হৃদয় আমার। যদি পারতাম মদীনার শাহ’র কাছে আমার সালাম পাঠাতে!/হে চন্দ্র, তুমি ওই মেহজাবিনের কাছে সালাম খানি পৌছে দিও।
বাংলায়ও ফকির-বাউলেরা এমন বহু গান বেঁধেছেন, আজও বাঁধেন। যাই হোক, কাশ্মীরের বিখ্যাত কবি মেহজুরের একটি কবিতা দিয়েই শেষ করা যাক। তিনি লিখেছিলেন, শীত শেষ হবে। বরফ গলে যাবে। এবং সত্যি সত্যিই বসন্ত আসবে ফের। রাজনীতির চোরাবালিতে হাবুডুবু খাওয়া কাশ্মীরিরা আজও তাদের কাব্যে, গানে-সঙ্গীতে স্বপ্ন দেখে সেই বসন্তের।
নোট/সূত্র
১. Subhash Kak; The Wander that Was Kashmir; www.ece.Isu.edu/kak/wonder.pdf
২. Muhiud-Din Hajini; An Outline of the Growth of Various Forms in Kashmir Literature, In The Literary History of Kashmir (Chapter 6) by K. L. Kalla (Ed.), Mittal Publication, Delhi.
৩. Muhiud-Din Hajini; An Outline of the Growth of Various Forms in Kashmir Literature, In The Literary History of Kashmir. 41.
৪. Javid Iqbal; Yusuf Shah Chak: Music Loving King of Kashmir; Greater Kashmir; October 3, 2015; P9.