ভিখারি 

ভিখারি 

মুখের চামড়া টান , লোকে বলে – ‘গম্ভীর মানুষ, একলা ঘরের কোণে থাকে’-
কিসের গাম্ভীর্য? আহা, দুতিনটে কবিতা লিখি বলে?
তুমি জানো, আমি শালা ভিখারির চেয়েও ভিখারি
সিঁড়ির তলায় জুতো ছেড়ে
তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি – মাঝখানে তুমি
চায়ের বাজার নিয়ে কথা বলো, কথা বলো এ-বছর কোথায় বা বেশী বৃষ্টিপাত
কোনো কোনো দিন হেসে চোখটা ওপরে তুলে, ‘আরে তুমি? এসো এসো
সেই কবে এসেছো সাতাশে’-
আমি দেখি চেয়ে , বোর্নভিটা তোমাকে যত পুষ্টতা দিয়েছে
মুখরা করেছে তারও বেশী –

সকাল নটায় তবু টেলিফোন দেখলেই বুকের ভেতরে হাঁস ছটফট করে
কচি ছাগলের মত রোদ নাচে ছাদের কার্নিশে –
সব কি মাটিতে যাবে?
একবার এই জন্ম – ছুটে যাই, তুমি জানো ছুটবোই আমি
যেখানে তোমার ছায়া বসবোই হাঁটু ভাঁজ করে
আমি ইঁট, আমি কাঠ – চুন বালি অথবা খড়কে কাঠি আমি
তুমি জানো, আমি শালা ভিখারির চেয়েও ভিখারি
বোকার মতন আজও হেসে
তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি, লোকে বলে – ‘গম্ভীর মানুষ
একলা ঘরের কোণে থাকে’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *