ভারতের একমাত্র সুলতানা
যেখানে থাকে বজ্র-আগুন সেখানেই ফোটে চন্দ্রের চন্দন-ধারা। তাই তো আকাশ এমন বিচিত্র, এত সুন্দর!
পৃথিবীতেও মাঝে মাঝে এক-একজন মানুষ দেখা যায় যার মনের ভিতরে থাকে ফুলের কোমলতা আর বজ্রের কাঠিন্য। ভগবান তাদের জীবনের রাজপথে পাঠিয়ে দেন অসাধারণ হবার জন্যেই।
ইতিহাসে এমনই অসাধারণ কয়েকজন পুরুষের নাম পড়ি। না, কেবল পুরুষ নয়, এমন অসাধারণ কয়েকজন নারীও পৃথিবীর ইতিহাসে বিখ্যাত ও অমর হয়ে আছেন।
আজ এমনই এক বিচিত্র নারীর কথাই বলব। বাংলাদেশে তাঁকে ‘রিজিয়া’ বলে ডাকে, কিন্তু আসলে তাঁকে আমরা ডাকতে পারি ‘রাজিয়া’ নামে। বাংলাভাষায় ‘রিজিয়া’ বলে একখানি নাটক আছে, তার আগাগোড়াই কাল্পনিক প্রলাপে পরিপূর্ণ। সত্যিকার রাজিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই বললেও চলে।
যেসব দাস-রাজা দিল্লির সিংহাসন অধিকার করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্য বলে বিখ্যাত হয়েছে সুলতান ইলতুতমিস। অধিকাংশ পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকরা ভুল করে তাঁকে ডেকেছেন ‘আলতুমাস’নামে।
রাজিয়া ছিলেন ইলতুতমিসেরই কন্যা। পৃথিবীর সব দেশেই রাজকন্যা বললে মনে জাগে এক সুন্দরীর ছবি। সুতরাং আশা করা যায়—রাজিয়াও ছিলেন সুন্দরী; এবং শিক্ষায়-দীক্ষায় ও চরিত্রের নানা গুণে তিনি যে যথেষ্ট উন্নত ছিলেন, এরও অনেক প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর পরবর্তী জীবনে; এবং কুসুমকোমলা নারীরূপে জন্মালেও রাজিয়ার চরিত্রে ছিল যে পুরুষোচিত দৃঢ়তা, এর প্রমাণ পাই আমরা তাঁর পিতার মুখেই।
১২৩৬ খ্রিস্টাব্দ। সুলতান ইলতুতমিস শুয়েছেন মৃত্যু-শয্যায়।
সুলতানের নানা মহিষীর কয়েকটি সন্তান ছিল। তাঁদের মধ্যে সিংহাসনে বসবার যোগ্যপাত্র ছিলেন কেবল জ্যেষ্ঠ রাজপুত্র—বঙ্গদেশের শাসনকর্তা মামুদ। কিন্তু তিনি অকালেই মারা পড়েছেন। তাই মন্ত্রী ও সভাসদদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই।
তাঁরা বললেন, ‘সুলতান, আপনার অবর্তমানে সিংহাসনে বসবে কে?’
ইলতুতমিস বললেন, ‘আমার মেয়ে রাজিয়া।’
বিপুল বিস্ময়ে সকলে স্তম্ভিত! কোনও মুসলমান রাজ্যে কে কবে শুনেছে রাজ-সিংহাসনে বসেছে পুত্রের বদলে কন্যা?
মন্ত্রীরা বললেন, ‘সুলতান, রাজিয়া যে পুরুষ নন!’
ইলতুতমিস বললেন, ‘তোমরা লক্ষ করলেই বুঝবে, আমার সব ছেলের চেয়ে রাজিয়ার মধ্যেই আছে বেশি পুরুষত্ব।’ এই বলেই তনি অন্যদিকে পাশ ফিরে শুলেন। তাঁর মৃত্যু হল।
যা কখনও হয়নি, তা হয় কেমন করে? মন্ত্রীদের সেই পুরাতন যুক্তি?
ইলতুতমিসের শেষ-ইচ্ছা পূর্ণ হল না। আমির-ওমরাওরা সুলতানের এক ছেলেকেই দিল্লি-সাম্রাজ্যের অধিকারী বলে স্থির করলেন। তাঁর নাম ফিরুজ। তিনি রাজিয়ার সৎমা, শা তুর্কানের পুত্র।
শা তুর্কান প্রথমে ছিলেন রাজবাড়ির দাসী, তারপর সুলতানের সুনজরে পড়ে হন রানি। অন্য অন্য রানিরা ছিলেন বড়ঘরের মেয়ে, তাঁরা কোনওদিনই শা তুর্কানকে রানির মর্যাদা দিতে পারেননি। শা তুর্কান এতকাল ধরে সেই অপমান পুষে রেখেছিলেন মনে মনে।
ফিরুজের রাজা হবার কোনও যোগ্যতাই ছিল না। মুকুট পরে তিনি দিন-রাত মেতে রইলেন বাজে আমোদ-প্রমোদে। রাজকার্যের ভার গ্রহণ করলেন তাঁর মা। হাতে ক্ষমতা পেয়ে তাঁর প্রথম কাজ হল, অন্যান্য সতীনদের বধ করা। যাঁরা বেঁচে রইলেন, তাঁদের উপরেও অত্যাচার অপমানের সীমা রইল না। সুলতানের অন্য এক রানির এক শিশুপুত্রেরও দুই চক্ষু উপড়ে নেওয়া হল।
ব্যাপার দেখে সকলেই বিরক্ত। রাজ্যে দিকে দিকে মাথা তুলে দাঁড়াল বিদ্রোহীরা। নানা প্রদেশের শাসনকর্তা প্রকাশ্যে স্বাধীনতা ঘোষণা করে পরস্পরের সঙ্গে মিত্রতা-সূত্রে আবদ্ধ হলেন। সৈন্য-সামন্ত নিয়ে ফিরুজ গেলেন তাঁদের দমন করতে, কিন্তু পারলেন না।
এদিকে শা তুর্কানের বিষদৃষ্টি পড়েছে তখন রাজিয়ার উপরে। সুলতানের এই বুদ্ধিমতী ও গুণবতী মেয়েটিকে রাজ্যসুদ্ধ সবাই ভালোবাসে, এতটা শা তুর্কানের সইল না। তিনি রাজিয়াকে পৃথিবী থেকে সরাবার ষড়যন্ত্রে প্রবৃত্ত।
শুনেই দিল্লির প্রজারা খেপে উঠল। বিদ্রোহীদের দলে অনেক আমির-ওমরাও পর্যন্ত যোগ দিলেন। দুষ্টা শা তুর্কান হলেন বন্দিনী; এবং ফিরুজ পালালেন রাজধানী ছেড়ে, কিন্তু আত্মরক্ষা করতে পারলেন না। বিদ্রোহীদের তরবারিতে তাঁর মুণ্ড গেল উড়ে। ফিরুজের ছয় মাস আর সাত দিনের রাজত্ব ভোগ শেষ হল। সে যেন আবু হোসেনের বাদশাগিরি!
প্রজারা একবাক্যে বললে, ‘আমাদের রানি হবেন রাজিয়া!’
মন্ত্রী ও আমির-ওমরাওরা প্রজাদের কথা ঠেলতে পারলেন না। সেই প্রথম ও শেষবারের জন্য দিল্লির রাজতন্ত্রের একমাত্র অধিকারিণী হলেন একজন নারী। এ এক কল্পনাতীত ব্যাপার! সুলতানা রাজিয়া! (১২৩৬ খ্রিস্টাব্দ)।
কিন্তু সাম্রাজ্যের চতুর্দিকে বিপদের মেঘ তখনও পুঞ্জীভূত হয়ে রয়েছে।
মিত্রপক্ষ—অর্থাৎ মুলতান, হান্সি, লাহোর ও বুদায়ুনের বিদ্রোহী শাসনকর্তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ফিরুজের মন্ত্রী জুনাইদি তখন দিল্লি আক্রমণ করতে আসছেন—তাঁরা সবাই চান সুলতানা রাজিয়ার মুকুট কেড়ে নিতে। বিদ্রোহীরা দিল্লি অবরোধ করলে।
রাজিয়া বুঝলেন তিনি দুর্বল ও বিদ্রোহীরা প্রবল। সম্মুখ-যুদ্ধে নামলে তাঁর পরাজয় নিশ্চিত। তখন কৌশলে কার্যসিদ্ধি করবার জন্যে তিনি দিল্লি থেকে বেরিয়ে পড়ে ছাউনি ফেললেন যমুনার তীরে।
আমরা বলি—’নারী-বুদ্ধি প্রলয়ঙ্করী’। সুলতানা রাজিয়া দেখালেন তারই এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত। তবে প্রলয়টা হল এখানে কেবল বিদ্রোহীদেরই পক্ষে!
তিনি গোপনে মুলতানের দুইজন প্রবল বিদ্রোহী নেতাকে আহ্বান করে মিষ্ট কথায় ও নানা লোভ দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে আনলেন। তারপর তারা যখন তাঁর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে বিদ্রোহীদের দলে গিয়ে হাজির হল, সুচতুরা সুলতানা রাজিয়া তখন সেই চক্রান্তের কাহিনি অন্যান্য বিদ্রোহী নেতাদের কাছে প্রকাশ করে দিলেন।
বিদ্রোহীদের দলে পড়ে গেল মহা হইচই! সবাই ভীত, সবাই তটস্থ! কেউ কারুকে বিশ্বাস করতে পারে না—প্রত্যেকেই প্রত্যেককে ভাবে শত্রু বলে। তাদের দল গেল ভেঙে। এক-একজন নেতা আপন আপন দল নিয়ে সরে পড়বার চেষ্টা করেন-আর রাজিয়ার সৈন্যরা প্রধান দল ছাড়া সেইসব নেতাকে করে আক্রমণ ও বন্দি। এইভাবে বিদ্রোহীদের অনেকে মারা পড়ল। বাকি সবাই পালিয়ে গেল। জয় হল রাজিয়ার তীক্ষ্ণবুদ্ধির! সমগ্র হিন্দুস্থান হল তাঁর অধিকারভুক্ত। এমনকী, সুদূর বঙ্গদেশ ও সিন্ধুদেশও তাঁর বশীভূত না হয়ে পারলে না বিনাযুদ্ধেই কেল্লা ফতে!
সাম্রাজ্য নিষ্কণ্টক! সুলতানা রাজিয়া তখন আমাদের পৌরাণিক চিত্রাঙ্গদার মতন নবমূর্তি ধারণ করলেন!
অর্থাৎ তিনি ছুড়ে ফেলে দিলেন নারীর পোশাক, ত্যাগ করলেন নারীর ভাবভঙ্গি, ভুলে গেলেন মুসলমানি পরদা-প্রথা। সিংহাসনে বসেন পুরুষের সাজে, রণক্ষেত্রে যান সশস্ত্র যোদ্ধার বেশে। এই তেজীয়ান নারীর চিত্তের মধ্যে যথার্থ পুরুষত্বের আশ্চর্য বিকাশ দেখে, গোঁড়া মুসলমানরাও নীরব হয়ে রইলেন,—কোনওরকম আপত্তি প্রকাশ করলেন না।
কিন্তু গোলমাল শুরু হল আর-এক কারণে।
বুদ্ধিমতী রাজিয়া মানুষ চিনতেন। যোগ্যতা দেখে তিনি আফ্রিকা থেকে আগত জালালুদ্দিন ইয়াকুত নামক এক ব্যক্তিকে নিজের গার্হস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপদ প্রদান করলেন।
রাজসভায় তখন তুর্কি আমির-ওমরাওদের বিশেষ প্রভাব,—আফ্রিকার লোকদের তাঁরা সুনজরে দেখতেন না, ঘৃণা করতেন। ইয়াকুতকে সুলতানার অনুগ্রহভাজন হতে দেখে তাঁরা হাড়ে হাড়ে জ্বলে উঠলেন; এবং নারীর প্রভুত্ব যাঁদের পক্ষে একেবারেই অসহনীয়, দেশে তখনও এমন সব লোকেরও অভাব ছিল না। তাঁরাও রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি চক্রান্তকারীদের সঙ্গে যোগদান করলেন।
আয়াজ ছিলেন একজন প্রধান চক্রী—রাজিয়ারই অনুগ্রহে তিনি হয়েছিলেন পাঞ্জাবের শাসনকর্তা। রাজিয়া প্রথমেই সসৈন্যে তাঁকে আক্রমণ ও পরাজিত করলেন। আয়াজ প্রাণ বাঁচালেন পালিয়ে!
কিন্তু অন্যান্য চক্রীদের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে উঠতে লাগল। ইকতিরুয়াদ্দিন আলতুনিয়া ভাতিন্দার শাসনকর্তা, ক্ষমতাশালী ও যোদ্ধা বলে তাঁর অল্প প্রতিপত্তি ছিল না। চক্রীদের প্ররোচনায় ভুলে তিনিও বিদ্রোহী হলেন।
রাজিয়া আলতুনিয়াকে দমন করবার জন্যে আবার যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হলেন। তাঁর ফৌজের মধ্যে কেবল বিশ্বাসী ইয়াকুতই ছিলেন না, তুর্কি চক্রান্তকারীদের দলও ছিল রীতিমতো ভারী।
বীর নারী রাজিয়া ভাতিন্দায় পৌঁছে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হচ্ছেন, এমন সময়ে হঠাৎ তুর্কি চক্রীরা মুখোশ খুলে ফেললেন।
শত্রুর সৃষ্টি হয় যখন ঘরে-বাইরে তখন তাদের আর ঠেকানো যায় না। বিশ্বাসঘাতক তুর্কি-আমির-ওমরাওরা প্রথমেই ইয়াকুতকে হত্যা করলেন, তারপর বন্দি করলেন সুলতানা রাজিয়াকে। তারপর আলতুনিয়াকে ডেকে বন্দিনি সুলতানাকে তাঁরই হাতে সঁপে দিলেন।
রাজিয়ার এক বৈমাত্রেয় ভাই ছিলেন, তাঁর নাম মুইজুদ্দিন বারাম। চক্রীদের অনুগ্রহে দিল্লির সিংহাসন লাভ করলেন তিনিই (১২৪০ খ্রিস্টাব্দ)।
চক্রীদের মনের বাসনা পূর্ণ। দিল্লির সিংহাসন থেকে নারীর প্রভুত্ব বিলুপ্ত। রাজিয়া শত্রুর হস্তে বন্দিনি।
কিন্তু কারাগারের অন্ধকারে বসে রাজিয়া এখন কী করছেন? নিশ্চয়ই চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছেন না! তিনি সিংহাসনে বসে সাম্রাজ্যচালনা ও অশ্বপৃষ্ঠে বসে অস্ত্রচালনা করেছেন, তাঁর চোখে অশ্রু সাজে না।
সিংহাসন বসেই একদিন তিনি বিনা যুদ্ধেই প্রবল শত্রুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন। আজ আবার তিনি কৌশলে শত্রুজয় করে নিজের গত গৌরবকে ফিরিয়ে আনতে চাইলেন।
রাজিয়া আহ্বান করলেন আলতুনিয়াকে।
বিস্মিত আলতুনিয়া কারাগারে এসে দাঁড়ালেন।
রাজিয়া সহাস্যে তাঁকে অভ্যর্থনা করে বললেন, ‘বীরবর, আরও কতদিন আমি তোমার কারাগারে আতিথ্য স্বীকার করব? আমাকে বন্দিনী করে রেখে তোমার কী লাভ?’
আলতুনিয়া তিক্ত স্বরে বললেন, ‘লাভ? কোনওই লাভ নেই। বোকার মতন আমি হয়েছি চক্রীদের হাতের খেলার পুতুল। তারা সবাই নিজের নিজের কাজ গুছিয়েছে—কেউ করেছে তোমার বোনকে বিয়ে, কেউ হয়েছে মন্ত্রী। আর আমাকে করে রেখেছে কেবল তোমার ভারবাহী গর্দভ!’
রাজিয়া বললেন, ‘এ ভার ত্যাগ করতে পারবে?’
—’তাতেই বা আমার কী লাভ?’
—’লাভ?…জানো বীর, একদিন যে দিল্লির সিংহাসনে বসেছে, আবার সে সেই সিংহাসনে আরোহণ করতে পারে!’
—’কেমন করে?’
—’তুমি যোদ্ধা, তোমার নিজের সৈন্য আছে। ইচ্ছা করলে তুমি আরও অনেক নতুন সৈন্য সংগ্রহ করতে পারো। তারপর তোমার সঙ্গে যুদ্ধযাত্রা করে আবার আমি দিল্লি অধিকার করব।’
আলতুনিয়া খানিকক্ষণ ভেবে বললেন, ‘সুলতানা, ধরো, যুদ্ধে আমরাই জয়ী হলুম। কিন্তু সিংহাসনে আবার বসে তুমি কি আর আমার কথা মনে রাখবে?’
—’বীর, তোমার কি সন্দেহ হচ্ছে?’
—’হচ্ছে। রাজনীতি বড়োই কুটিল।’
—’কী করলে তোমার সন্দেহ দূর হবে?’
—’সুলতানা, তুমি যদি আমাকে বিবাহ করো, তবেই আমি নিশ্চিন্ত হতে পারি।’
রাজিয়া নতনেত্রে বললেন, ‘বেশ, আমি রাজি।’
শত্রু হলেন স্বামী!
সুলতানা রাজিয়া আবার শত্রুজয় করলেন।
কিন্তু তারপর আর বেশি কিছু বলবার নেই। এবার ভাগ্যদেবী দাঁড়ালেন তাঁর বিপক্ষে।
স্বামীর সঙ্গে সৈন্য নিয়ে আবার তিনি দিল্লির পথ ধরলেন, পথিমধ্যে দেখা হল তাঁর ভাই বারামের সঙ্গে—দিল্লির যিনি নতুন সুলতান।
যুদ্ধ হল। ভাই দিলেন বোনকে হারিয়ে।
তার পরদিনই স্ব-পক্ষীর ঘাতকের হস্তে সুলতানা রাজিয়া ও তাঁর স্বামী আলতুনিয়া ইহলোক ত্যাগ করলেন।
দিল্লি এবং পৃথিবীর আর কোনও মুসলমান সাম্রাজ্যে আর কোনও নারী মাথায় সম্রাজ্ঞীর মুকুট পরবার সৌভাগ্য অর্জন করেননি।