ভবনে আসিল অতিথি সুদূর


টোড়ির পর যে সব সারং গীত হয় তার মধ্যে শুদ্ধ সারং ও গৌড় সারং ছাড়া অন্য রাগে তীব্র মধ্যম নেই। গৌড় সারংকে দিনের বেহাগও বলা হয়। দুপুর বেলায় এই রাগ গাওয়া হয়। এরও দুই ‘মা’। এর দুই ‘মা’-র উপরে সমান টান। এর চলন অত্যন্ত বাঁকা। এর খেয়াল গান গাওয়া হচ্ছে, শুনলেই এর বাঁকা স্বভাবের পরিচয় পাবেন।

গৌড় সারং – তেতালা

ভবনে আসিল অতিথি সুদূর।
সহসা উঠিল বাজি রুমুরুমু ঝুমু
নীরব অঙ্গনে চঞ্চল নূপুর॥
     মুহু মুহু বন-কুহু বোলে
     দোয়েল শ্যামল ডালে দোলে,
     মেঘের ধ্যান ভুলি চমকি আঁখি খোলে
               ‘কে গো কে’ বলে বন-ময়ূর॥
‘দগ্ধ হিয়ার জ্বালা ভুলায়ে
সজল মেঘের শীতল চন্দন কে দিল কে দিল বুলায়ে ।
               বকুল-কেয়া-বীথি হতে
               ছুটে এল সমীরণ চঞ্চল স্রোতে,
               চাঁদিনি নিশীথের আবেশ আনে
               মিলন-তন্দ্রাতুর অলস দুপুর॥
Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *