৩
টোড়ির পর যে সব সারং গীত হয় তার মধ্যে শুদ্ধ সারং ও গৌড় সারং ছাড়া অন্য রাগে তীব্র মধ্যম নেই। গৌড় সারংকে দিনের বেহাগও বলা হয়। দুপুর বেলায় এই রাগ গাওয়া হয়। এরও দুই ‘মা’। এর দুই ‘মা’-র উপরে সমান টান। এর চলন অত্যন্ত বাঁকা। এর খেয়াল গান গাওয়া হচ্ছে, শুনলেই এর বাঁকা স্বভাবের পরিচয় পাবেন।
গৌড় সারং – তেতালা
ভবনে আসিল অতিথি সুদূর। সহসা উঠিল বাজি রুমুরুমু ঝুমু নীরব অঙ্গনে চঞ্চল নূপুর॥ মুহু মুহু বন-কুহু বোলে দোয়েল শ্যামল ডালে দোলে, মেঘের ধ্যান ভুলি চমকি আঁখি খোলে ‘কে গো কে’ বলে বন-ময়ূর॥ ‘দগ্ধ হিয়ার জ্বালা ভুলায়ে সজল মেঘের শীতল চন্দন কে দিল কে দিল বুলায়ে । বকুল-কেয়া-বীথি হতে ছুটে এল সমীরণ চঞ্চল স্রোতে, চাঁদিনি নিশীথের আবেশ আনে মিলন-তন্দ্রাতুর অলস দুপুর॥