বড়দিনের বাড়ন্ত দিন

বড়দিনের বাড়ন্ত দিন

চঞ্চল রায় আমার বন্ধু। ওর চঞ্চলতা একদা আমাকে ভিত করে দিয়েছিলো। সে ভাবটা অনেক স্তিমিত হয়ে এসেছে। ভীত হবার কথা এখন ওরই। পরপৈণী জিনিসকে যারা আত্মনেপদী করে নেয়—তাদের আত্মায় বিপদের আশঙ্কা থেকেই যায়। পরকীয়া রস পরখ করার রোখ, ভালো কি মন্দ জানিনে (বৈষ্ণবসাহিত্যে ওর গুণব্যাখ্যা দেখে ওটা অহিংস প্রেমের সগোত্র বলেই জ্ঞান হয়),—তবু এটা ঠিক যে, ওর আসল কথাটা হচ্ছে পরের সঙ্গে জড়ানো–এই কারণে, যেমন পরের প্রতি করতে য় তেমনি আবার পরেও নাকি করে থাকে। তরোয়ালটার দুধারেই বেশ ধার।

চঞ্চলের অসুখের খবর পেলাম–ইনফ্লুয়েঞ্জা না হুপিং কাশিতে বড্‌ডো ভুগছে নাকি। যাই হোক, মোটের উপর এখন সে বেশ কাহিল, এই খবর পেয়ে আমার মতো বন্ধুবৎস লোকের পক্ষে অচঞ্চল থাকা কঠিন। অতএব বড়োদিনের ছুটির সুযোগ পৌঁছতেই ছু দিলাম। বিকেলের ঢের আগেই রওনা হওয়া গেল। যদিও কাছেই থাকে, কাশীপুরে ওদের নিজেদের বাগান বাড়িতেই, তবু একজনের অসুখের সময়ে যাচ্ছি, কিছু সময়, হাতে নিয়ে যাওয়া ভালো। ভগবান না করুন, যদি কাশীপুর থেকে কাশী মিত্রে যেতে হয়! মিত্রতার বোঝা তো, এই ফাথে করেই বইতে হবেবাধ্য হয়েই।

শোকের অসুখবিসুখ সারাবার আমার নাকি আশ্চর্য ক্ষমতা আছে। আমার পদার্পণেই অনেক রোগ সেরে যায়, হস্তক্ষেপ করলে তো কথাই নেই। এমনিই জনরব। চঞ্চলের বেলাও তার অন্যথা হবে না, আমার আশা ছিল। এবং এ সম্বন্ধে (অর্থাৎ আমার আরোগ্যকারিতা সম্বন্ধে) লোকের ধারণা যে নিতান্ত ভুল নয় তার পুনঃ প্রমাণ পেলাম রাতারাতি ওর সেই ইনয়েঞ্জানা হুপিং কাশি—কেবল ওকে নয়, ওদের কাশীপুরের তল্লাট হেড়ে চম্পট দিল। কী করে এই মিরাকল ঘটল, অথবা আমি ঘটালাম শুনতে আপনারা অবাক হবেন।

ওদের গেটে পা দিতেই শ্রীমতী রায়কে দেখতে পেলাম, বাগানে ঘুরছেন। শ্ৰীমতী রায় আর আমি এককালে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম—অবশ্যি অনেকদিন আগে, তাঁর বিয়ে আগেই। কৌমার্যদশায় তখন উনি ছিলেন নিছক মায়া সেন। তখনো কোনো যাবজ্জীবনের রায় পাননি। আমাকে মায়াযুক্ত আর ওকে ইনসেন করার জন্য একমাত্র চঞ্চল ছাড় আর কাউকে আমি দায়ী করতে পারিনে। চঞ্চলই সেই মায়াবী।

অবশ্যি শ্রীমতী রায় এবং আমার মধ্যে এখন আর সেই সোহ যে নেই তা নয়। এখনো আমরা বন্ধুই বটে, তবু ঠিক ততটা অঙ্গ হয়তো বলা যায় না। সত্যি বলতে বিয়ের পরে মাত্র একবার আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। চঞ্চল এমনই হিংসুটে প্রকৃতির যে–কিন্তু না, সে কথা থাক।

শ্রীমতী রায়ের পুনরায় দেখা পেয়ে সত্যিই আমি পুলকিত হলাম। চিরকালই উনি মৎকার। বিয়ের পরে সেই চমৎকারিত্ব আরও যেন বেড়েছে। আমার তো মনে হলো আমাকে দেখে উনিও তদ্রুপ চমৎকৃত হয়েছেন। মেয়েদের চোখে আইবুড়োদের জন্যে একটুখানি মেহদৃষ্টি থাকেই। বেচারীরা নিজের বা যারই ক্ষতি করুক, মেয়েদের কোনো ক্ষতিকর তো নয়। মেয়েদের তো সাধারণতই দুঃখের জীবন, বু অন্ততঃ একটি মেয়েকে ইহলোকে তারা সুখী করতে পারে, যাকে তারা বিয়ে করে না। নিজের জীবনের অকূলে জলাঞ্জলি না দিয়ে যাকে বাঁচায়। যাকে না ভাসিয়েই চলে যায় তারা। পুণ্যকর্মের একটা প্রতিফল রয়েছেই, এই জন্যেই নিখিল নারীর একটু দরদ ওদের লভ্য।

একি, শ্ৰীমতী রায়, আমিও এলাম তুমিও বেরিয়ে যাচ্ছো? ওকে সুসজ্জিত দেখে আমি না বলে পারলাম না—না, এ কখনো হতে পারে না।

সত্যি যেন যাচ্ছি! সত্যিই যেন আমি যেতে পারি। হেসে উঠলেন মায়া রায়, হাসলে টোল খায় ওর গালে—এখনো সেই রকম—এমনি এই বাগানেই বেড়াচ্ছিলাম। এখানে বেড়াতেই আমার ভালো লাগে। সারাদিন এমনি সেজেগুজেই থাকি আমি। উনিও সেটা ভালোবাসেন।

হ্যাঁ, কেমন আছে চঞ্চল? —মায়ার সঙ্গে বেড়াতে বেড়াতে আমি খোঁজ নিলাম। কিন্তু খবর নেবার আগেই—বাঃ, কী চমৎকার গোলাপ ফুটেছে, বাঃ! ভারী সুন্দর তোমাদের এই বাগানটি তো!

—আমার উচ্ছ্বাসে আমার কথাটা চাপা পড়ে গেল আপনিই। তুমি বুঝি ফুলের ভারী ভক্ত হয়েছে আজকাল? আমি জিজ্ঞেস করি ওকে।

হ্যাঁ,—তা কিছুটা, শ্রীমতী রায় প্রকাশ করেন, বাগানে শখটা ওঁরই বেশি। আমার তেমন মন্দ লাগে না।

ও বাবা! এধারে যে বাঁধাকপিও দেখছি আবার। চমকে উঠতে হলো আমায়।

ফসল আরো ফলাও করার জন্যই। গ্রো মোর ফুড আন্দোলনের উনিও এক পাণ্ডা কিনা। ধানগাছও লাগানো হয়েছিলো ওধারটায়। কোথা থেকে তুলে এনে লাগিয়েছিলেন উনিই জানেন। ওঁর ধারণা এই ভাবে সাধ্যমত উনি দেশের সেবা করছেন! অবশ্যি ধানগাছগুলোয় ধান মোটেই ফললো না, কেন জানিনে। আর কপিগুলোও কেমন যেন দর্‌কচা মেরে গেছে, কদ্দুর ওতরাবে কে জানে।

বেড়াতে বেড়াতে বাগানের একধারের বেঞ্চে আমরা বসলাম।

বাঃ, বেশ সুখেই আহে চঞ্চল। আমার দীর্ঘনিঃশাস পড়লো; একাধারে দেশলক্ষ্মী আর এমন গহলীর সেবা করার সুযোগ যে পেয়েছে তার মতন সুখী কে? এমন লক্ষ্মীর দশা কজনার হয়?

মায়ার হাতখানা বেঞ্চির উপরে পড়েছিল। অকস্মাৎ, কিছু ইচ্ছে করে নয়, একান্তই দৈবাৎ আমার হাতখানা তার ঘরে গায় গিয়ে ঠেকল।

তারপর নেমে এল আশ্চর্য এক নীরবতা—ভাবালু এবং বাঙ্‌ময়—যার রহস্য নিয়ে কবিরা কবিতা লিখেছেন, গাক্সিকেরা গল্প জমিয়েছে, মনস্তাত্ত্বিকেরা পাগলামি করার কসু করেনি। ভাবগর্ভ সেই নীরব মুহূর্তগুলি লঘুপায়ে আনাগোনা করতে লাগলো।

এক এক সময়ে আমি ভাবি, বললেন ভূতপূর্ব মায়া সেন, কেন যে তুমি আর বিয়ে করলে না।

আমি বিষণ্ণ ভাবে ঘাড় নাড়লাম মানুষ জীবনে একবারই ভালোবাসে। বিয়ে অবশ্যি সে হাজার বার করতে পারে যখনতখন যাকে খুশি; কিন্তু ভালোবাসা সেইএকবারটিই হয়। আর আমার কথা যদি বলো, আমি লোকটা হচ্ছি একনিষ্ঠ। এক সময়ে—অর্থাৎ কিনা এক জীবনেদুজনের অনিষ্ট আমার দ্বারা হবার নয়। স্বভাবতই আমি অদ্বৈতবাদী, এক বই দুই জানিনে।

ঘাড় ফিরিয়ে আড়চোখে একটু তাকিয়ে নিলাম। না, আশপাশ চারধার ফঁকা। পাড়ার লোকেরা এখন চাল, চিনি, কেরোসিনের দরবারে সার বেঁধে দাঁড়াতে গেছে হয়তো। উকিঝুঁকি মারবার কেউ কোথাও নেই। সারা বাগানে খালি আমরা দুজন।

মায়ার হাতখানা আমার নাগালেই পড়েছিল, তেমনি অবস্থায়—তখনো। ঠিক একখানি আমন্ত্রণ-লিপির মতই।

আমন্ত্রণ আমি গ্রহণ করলাম। ললিত আঙুলগুলিকে ঈষৎ দলিত করে বললামঃ এই একনিষ্ঠ ধাতেব জন্যেই আমার মনে হয় এ জীবনে আমি কাউকে বিয়ে কবতে পারব না। এক যদি কবি, কোন বিধবাকে করব। কিন্তু ভেবে দেখলে সেও এখন আকাশ-কুসুমের স্বপ্ন…চঞ্চল অনেকটা সেরে উঠেছে তুমি বললে না?

অনেকটা ভালো এখন। যদিও জ্বর সম্পূর্ণ ছাডেনি, তবু কাশিটা অনেক কম। জানালো মায়া : চলো না, তোমাকে দেখলে উনি খুশি হবেন খুব।

হবেন বইকি, আমি সায় দিয়ে বলি : হবার কথাই। চঞ্চল আর আমি ছেলেবেলার বন্ধু। অবশ্যি, ওর বিয়ের পর থেকে আর তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই। সাধারণতঃ কারো বিয়েব পর তা বড়ো থাকেও না আর। হয়, তার বৌ তোমাকে পছন্দ করে না, নয়তো তুমি তার বৌকে বেশি পছন্দ করো।

এই অবকাশে আমার চোখে মুখে একটা আলুথালু ভাব জেগে উঠল (আমি নিজে ঠিক দেখতে না পেলেও) আর আমার গলায় যেন আশাবরী সুর বাজতে লাগল (স্বকণেই শুনলাম) : মায়া, সেই আগের দিনগুলি তোমার মনে পড়ে? কী সুখের মুহূর্ত সব গেছে! সেই বিকেল বেলায় দুজনের গঙ্গার ধারে বেড়ানো?

এই কথা জিজ্ঞেস করবার জন্যে হাত ধরে থাকার কোনো দরকার করে না। হাত না ছাড়িয়েই বলল সেঃ তা ছাড়া এ হাত তোমার ধ্যই নয় আর। যা, আমার মনে পড়ে। কিন্তু আজকাল আমি আর গঙ্গার ধারে যাই না। উনি সেটা পছন্দ করেন না।

কেবল উনি আর উনি। এর মধ্যেই প্রায় উনিশ বার শুনতে হলো আমায়। প্রায় পড়-পড় দীর্ঘনিঃশাসকে কোনোরকমে আমি সামলে নিলাম। বাস্তবিক, অদ্ভুত এইমেয়েরা! বিনা অস্ত্রে কি নিপুণ লড়াই না এরা করে, এমন অকাতরে এত লোককে হতাহত করে যায়, ভাবলে তাক লাগে। যাক, ও যখন নিজেকে কাটিয়েছে, তখন আমারই বা আর মায়া বাড়িয়ে মরীচিকা লাভ করা কেন? আমিও কেটে পড়ি। অবশ্যি, আমি নেহাত একনিষ্ঠ লোক তা সত্যি। কিন্তু তাই বলে আমিও এই মায়া কাটাতে পারবো? আমার একনিষ্ঠার জের কি এতটাই অকাট্য? এতদূর জেরবার হবার পরেও…অ্যাঁ?

সত্যিই কি তুমি কোনদিন বিয়ে করবে না আর? সে বলে বসল হঠাৎ।

বিয়ে? বললাম তো, বিয়ে যদি কখনোকরি তো কোনো বিধবাকেইকরব।দীর্ঘনিঃশ্বাস মোন করে জানাই।–বুঝেছ মায়া?

তুমি মায়া বলে আর ডেকো না আমায়। ও তো আমার নাম নয়—ডাক নাম। হেলেবেলার নাম আমার। সেও যেন ফেঁস করে উঠল আমার কথায়।

কেন মায়া? মায়া নামটি তো মিষ্টি খুব। আমি আওড়াই। মায়ার ডাকে বুঝি বা নতুন করে ভোলাতে চাই তাকে।

আমার ভালো নাম কি নেই নাকি? আমার নাম তো নীলিমা। সে-নামটাই বা কী এমন খাবাপ?

না, খারাপ নয়। তবে আমার…আমার তবু সেই তোমার আগের নামটিই মনে জাগে কেবল। যে নামে আমি ডাকতুম তোমায় সেকালে। যখন তোমার সঙ্গে আমার ভাব ছিল…

এটা পোষমাস না? বড়দিন না আজ? অন্য প্রশ্নে মোড় ঘুরিয়ে প্রসঙ্গান্তরে আমার ভাবালুতাকে এড়িয়ে যেতে চায় সে।

আমার জীবনে আর বড়দিন এলো কোথায়? আমার সব দিনই তো বাড়ন্ত। আমার সব মাসই উপোসের মাস। পোমাস কি কোনদিন আর আসবে আমার এই জীবনে!

আবার আমার দীর্ঘশ্বাস : তবে এক পোষেই কিছু বড়দিন ফুরোয় না। আমার জীবনেও বড়দিন নিয়ে পোষ মাস হয়তো আসতে পারে একদিন।

আমার কথাটায় ও কেমন গম্ভীর হয়ে যায়। কিছু বলে না।

নীলিমা আমার কাছে আজ শূন্যতাই। সেই ফঁকা আকাশের অন্ধকারের দিকে তাকালে কোনো সুদূর নক্ষত্রের ক্ষীণ দীপ্তিটুকুই বুঝি চোখে পড়ে…যা নাকি কালের পারাবারে কবেই অস্তমিত হয়েছে।

তবু যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। আমি আর এক আশ্বাসে দুলে উঠি : চঞ্চল তো এখন অসুখ-শয্যায় শায়িত। জ্বরের ঘোরে অকাতরেই ঘুমুচ্ছে? এই ফাঁকে, এখানে এই কাশীপুরেও তো গঙ্গা কাছে,—আমরা একটু বেড়িয়ে আসতে পারতুম। সেই হারানো দিনগুলির পুরোনো স্বপ্ন ফিরে আসত আবার। বলতে বলতে আমার নজর পড়ল অদূরবর্তী দোতলার এক অলিন্দে। সেখানে ফুলের টবগুলোর আড়ালে কোনো অলি নয়, তার চেয়ে বলিষ্ঠতর হৃষ্টপুষ্ট বাহু আর কটমটে চোখ দেখা গেল যেন। কার যেন চাঞ্চল্য দেখলাম মনে হলো।

আচ্ছা আজ থাক। বলে উঠলাম আমি: অসুস্থ রুগীকে একলা ফেলে কোথাও যাওয়া হয়তো ঠিক হবে না। বেচারা জেগে উঠে তোমাকে দেখতে না পেয়ে যদি আরো চঞ্চল হয়ে ওঠে সেটা খুব খারাপ হবে। বন্ধুর অসুখ আর বাড়াতে চাইনে, ওর নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটাতেও আমি নারাজ। আমি চলি আজ। চল সেরে উঠলে একটা পোস্টকার্ডে আমাকে জানিও। নইলে খুব ভাবিত থাকব। বুঝেছো? এই বলে আমি উঠলাম। বেঞ্চির মায়া কাটিয়ে, নীলিমা ওরফে আমার মায়াকে সেইখানে রেখে, চঞ্চললগ্ন অলিন্দের ধার ঘেঁষে আসবার সময় আড়চোখে উপর পানে তাকালাম—একটা ফুলের টব হাতে করে ও তা করছে ওর নজর ভারী নীচু বলতে আমি বাধ্য।

এই শীতের রাত্রে এই বাগানে এসে অপেক্ষা করা–কিন্তু উপায় কী? কষ্ট না করলে কি কেষ্ট মেলে? রাধাও মেলে না। আপনা হতেই আমার মুখ থেকে ফসকে গেল যেন স্বগতোক্তির মতই।

সঙ্গে সঙ্গে ওর হাত থেকেও ফসকেছে। একটুর জন্যেই আমার মাথাটা ফসকে গেছে। আমিও একামী ছুঁড়েছি, ও-ও টবটা হেড়েচে। সামান্যর জন্য আমার কাশীপুরপ্রাপ্তি ঘটলো না। কাশীমিত্রতা-ও কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল নেহাত।

 

কদিন বাদে মায়ার একটা পোস্টকার্ড পেলাম।

 

আশ্চর্য, তুমি চলে যাবার পরই উনি চাঙ্গা হয়ে উঠলেন। শুনে অবাক হবে, এই পৌষের ঠাণ্ডায় সারারাত উনি বাগানের হাওয়া খেয়ে কাটালেন হাতে লোহার মুগুর নিয়ে তার ওপরে। বললেন, অক্সিজেন নেয়ার সাথে সাথে ব্যায়াম করলে শরীর ভাল হয়। সারারাত আমার ঘুম হলো না—কেবল তোমার পৌষ মাস আর নিজের সর্বনাশের। কথা ভাবলাম। যা হোক ফঁড়াটা কেটেছে। সকালে দেখা গেল উনি দিব্যি আরাম। সর্দি। কাশি জ্বরটর কিছু নেই, চেহারাও চকচকে। নেচার-কিওর জিনিসটা দেখছি মিথ্যে নয় একেবারে, তুমি কী বলে? বলতে কি, এইটেই আমায় সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে। আরো।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *