ব্যাকরণের আড্ডা থেকে

ব্যাকরণের আড্ডা থেকে

কথায় বলে বাঙালি আড্ডাপ্রিয় জাতি। আমরাও বাঙালি, তাই আমাদেরও একটা আড্ডা আছে। তবে সেআড্ডা, যে-সেআড্ডা নয়। সেআড্ডা ব্যাকরণের আড্ডা। এই আড্ডায় ভাষা নিয়ে সবরকম আলোচনা হয়। ইস্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ছাড়াও আরও অনেকে—যেমন সরকারি-বেসরকারি চাকুরে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, গৃহবধূ—যাঁরা ভাষা নিয়ে কিছুমাত্র ভাবেন তাঁদের অনেকেই এই আড্ডার সদস্য। প্রতিবার আড্ডা বসে এক একজন সদস্যের বাড়িতে। তবে প্রধান আড্ডাধারী, অর্থাৎ যিনি আড্ডাকে মাতিয়ে রাখেন, তিনি হলেন ব্যোমকেশবাবু নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি বলেন, আমি ব্যোমকেশ—আমিও সত্যান্বেষী, তবে ভাষার সত্যান্বেষী।

সেদিন কথা হচ্ছিল ছাত্রছাত্রীরা ব্যাকরণ পড়তে ভয় পায় কেন তা-ই নিয়ে। এক একজন এক এক কথা বললেন। সব শুনে ব্যোমকেশবাবু বললেন, ‘‘এ নিয়ে অনেক কথাই বলা চলে। তবে আমার যেটাকে ব্যাকরণভীতির প্রধান কারণ বলে মনে হয় তা হল ব্যাকরণ পড়ানোর পদ্ধতি। ব্যাকরণ পড়াতে গিয়ে আমরা প্রথমে একটা সংজ্ঞা দিই। তারপর তার কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সবটা মুখস্থ করতে বলি। ছেলেমেয়েরা মুখস্থ করে। কিন্তু বিষয়টা তাদের বোধের মধ্যে ঢোকে না। জোর করে চাপানো হয় বলে তারা ব্যাকরণকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। এর বদলে রবীন্দ্রনাথ তাঁর শান্তিনিকেতনের পড়ুয়াদের জন্য ব্যাকরণ পড়াবার যে পদ্ধতি নিয়েছিলেন সেটাই সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি।’’

এই সময়ে এক ছাত্রীর মা বললেন, ‘‘কিন্তু মাস্টারমশাই আমার আরও একটা কারণ বেশ জোরদার বলে মনে হয়। তা হল ব্যাকরণের পরিভাষা। আমি বাড়িতে আমার মেয়েকে পড়াই। ব্যাকরণে কী সব পরিভাষা!—বিপ্রকর্ষ, অভিশ্রুতি, অপিনিহিতি, অনুসর্গ,—মানেই বোঝা যায় না। তারপর সমাসের নামগুলো দেখুন—কর্মধারয়, বহুব্রীহি, অব্যয়ীভাব—শুনলে কিছু কি বোঝা যায়?

ব্যোমকেশবাবু।। এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। ব্যাকরণের পাঠ সহজ করতে হলে পরিভাষা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। আচ্ছা, পদ্ধতির ব্যাপারে আমি যেন কী বলছিলাম?

একজন শ্রোতা সদস্য।। আপনি রবীন্দ্রনাথের কথা বলছিলেন। আচ্ছা, রবীন্দ্রনাথ কি কোনো বাংলা ব্যাকরণ বই লিখেছিলেন? সেটা কোন বই?

আর একজন সদস্য।। ওই যে ‘বাংলাভাষা পরিচয়’—তাই না?

ব্যোমকেশবাবু।। ব্যাকরণের বই বলতে আমরা সাধারণত যে-ধরনের বইয়ের সঙ্গে পরিচিত, ‘বাংলাভাষা পরিচয়’ ঠিক সে-ধরনের বই নয়। তবে বাংলা ভাষার রূপের নানা পরিচয় বইটাতে আছে। শুধু এই বই নয়, বাংলা ভাষা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের আর একটা বই আছে, ‘শব্দতত্ত্ব’। আসলে অল্প বয়স থেকে তিনি যেমন বাংলায় সাহিত্য রচনা করেছেন তেমনি বাংলা ভাষা নিয়েও চিন্তাভাবনা করেছেন। এই বইতে তারই পরিচয় আছে। যাঁরা বাংলা ব্যাকরণ পড়ান এবং বাংলা ভাষা নিয়ে যাঁরা চিন্তাভাবনা করেন এই দুটো বই তাঁদের অবশ্যপাঠ্য।

একজন শিক্ষিকা-সদস্য।। মাস্টারমশাই। আপনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের ব্যাকরণ পড়াবার পদ্ধতির কথা বলছিলেন। সেসম্পর্কে আরও কিছু বলুন। তিনি ওখানকার জন্য কি কোনো বই লিখেছিলেন?

ব্যোমকেশবাবু।। নিজে লেখেননি, লিখিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে সহ- শিক্ষক নিত্যানন্দবিনোদ গোস্বামীকে দিয়ে, যিনি গোঁসাইজি নামে পরিচিত ছিলেন। লেখাবার পর তিনি বইটির আগাগোড়া পরিমার্জন করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বইটির পান্ডুলিপিটি প্রকাশের আগেই হারিয়ে যায়। তবে গোঁসাইজির কাছ থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথের পদ্ধতি ছিল আরোহী পদ্ধতি—অর্থাৎ প্রথমে সাহিত্যপাঠ, তারপর তার ভাষাবিচার, যেখান থেকে ব্যাকরণের এলাকায় ধীরে ধীরে আরোহণ। এটাই সব চেয়ে ভালো পদ্ধতি, অথচ এই পদ্ধতি আমরা অনুসরণ করি না। ব্যাকরণের সহজ পাঠের জন্য আগামী দিনে আমাদের এই পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে।

কয়েকজন সদস্য।। আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। মাস্টারমশাই, কিছু উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ভালো করে বুঝিয়ে দিন।

ব্যোমকেশবাবু।। বলুন, কোন উদাহরণটি নেব?

একজন নতুন শিক্ষক।। স্যার, ব্যাকরণের একটা বহুপ্রচলিত পরিভাষা হচ্ছে ‘বিভক্তি’। একটু বুঝিয়ে দিন বিভক্তির বিষয়টা ছাত্রদের কাছে কীভাবে নিয়ে যাব?

ব্যোমকেশবাবু।। ভেরি গুড। তবে বিষয়টা আমি সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করব না, ‘বিভক্তি’ শব্দটাও আসবে আলোচনার একেবারে শেষে। কিন্তু এর জন্য আমাকে একটু সময় দিতে হবে। কারণ আলোচনার প্রয়োজনে আমাকে এই বোর্ডটায় কিছু লেখাজোখা করতে হবে।

এর পর ব্যোমকেশবাবু ঘরে দাঁড় করানো একটা ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে ছক কেটে নীচের বাক্যগুলি লিখলেন:

ব্যোমকেশবাবু।। (লেখা শেষ হবার পর) এবার দেখুন। ছকের ১নং ও ২নং দুটো ভাগ আছে। বাঁদিকের ১নং ছকে আছে কয়েকটি বাক্য, যাদের মূল শব্দ ‘জল’, আর ডানদিকের ২নং ছকেও আছে কয়েকটি বাক্য, যাদের ক্রিয়াপদের মূল ধাতু হচ্ছে ‘খা’ ধাতু। দু-দিকের ছকেই মূল শব্দ ও মূল ধাতুর সঙ্গে কতকগুলি চিহ্ন যুক্ত হয়ে পদ তৈরি হয়েছে। তবে পদগুলির সঙ্গে যেসব চিহ্ন বসেছে তাতে প্রতিক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে চিহ্ন বদলালে পদের অবস্থান বা অর্থও বদলে যাচ্ছে। যেমন, জল পড়ে—এখানে আপাতদৃষ্টিতে মূল শব্দের কোনো চিহ্ন যুক্ত নেই (তাই শূন্য), তাহলেও বোঝা যাচ্ছে ‘জল’ হচ্ছে বাক্যের নিয়ামক বা কর্তা। কিন্তু যেই জল-এর সঙ্গে ‘এ’ চিহ্ন বসানো হল অমনি ‘জল’ শব্দের অবস্থান বদলে গেল। গরম জলে স্নান করো—এখানে ‘এ’ চিহ্ন থেকে বোঝা যাচ্ছে এই বাক্যে ‘জল’ হচ্ছে স্নানের উপকরণ, আবার জলে মাছ থাকে—এই বাক্যে ‘এ’ চিহ্ন থেকে বোঝা যাচ্ছে এই বাক্যে ‘জল’ হচ্ছে মাছের আশ্রয় বা আধার। এইভাবে ‘জলের’ (জল + এর) পদে ‘এর’ চিহ্ন থেকে জলের সঙ্গে মাছের সম্বন্ধ বোঝাচ্ছে। ‘জলকে’ (জল + কে) শব্দের ‘কে’ চিহ্ন থেকে ‘জলের প্রয়োজনে’ এই অর্থ বোঝাচ্ছে। আবার ‘জল দিয়ে’ পদে ‘দিয়ে’ চিহ্ন থেকে ‘জল’ যে ভেজানোর উপকরণ তা বোঝা যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিক্ষেত্রেই চিহ্নগুলি বদলে গিয়ে মূল শব্দের অবস্থান বা অর্থ বদলে দিচ্ছে। এর মানে, বাক্যে চিহ্নগুলির কাজ হচ্ছে মূল শব্দকে বিভিন্ন অর্থে বা অবস্থানে বিভক্ত করা।—এবার ডান দিকের ২নং ছকের দিকে তাকানো যাক। এখানেও ওই একই ব্যাপার—প্রতি বাক্যে মূল ধাতুর সঙ্গে কতকগুলি চিহ্ন বসে প্রতিক্ষেত্রে মূল ধাতু থেকে তৈরি হওয়া ক্রিয়াপদের অবস্থান বা অর্থ বদলে দিচ্ছে। যে-বদল ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ার ধরন এবং ক্রিয়ার পুরুষ বা পক্ষ নিয়ে। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও চিহ্নগুলির কাজ হচ্ছে ক্রিয়াপদকে নানা অবস্থান বা অর্থে বিভক্ত করা। তাহলে সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে চিহ্নগুলির কাজ শব্দ বা ধাতুকে বিভিন্ন অবস্থান বা অর্থে বিভক্ত করা। এবার চিহ্নগুলির তো একটা নাম বা পরিভাষা দিতে হয়। পন্ডিতেরা নামটা ঠিক করলেন চিহ্নগুলির কাজের দিকে তাকিয়ে। এই কাজ হচ্ছে পদকে বিভিন্ন অর্থে বা অবস্থানে বিভক্ত করা, তাই চিহ্নগুলিরও নাম হল বিভক্তি।

নতুন শিক্ষক।। এটাই তাহলে ‘বিভক্তি’ পরিভাষার নামরহস্য। তাহলে এবার একটা সংজ্ঞা দেওয়া যাক : যেসব চিহ্ন পদগঠনের সময় শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের বিভিন্ন অর্থ বা অবস্থানে বিভক্ত করে তাদের বলে বিভক্তি।—ঠিক আছে তো সংজ্ঞা?

ব্যোমকেশবাবু ও অন্যরা।। ঠিক, ঠিক, ঠিক।

ব্যোমকেশবাবু।। (একা) ছাত্রছাত্রীদের পড়াবার সময় পরিভাষার রহস্য এভাবেই ভেঙে বুঝিয়ে দিতে হবে। তবেই ব্যাকরণ পাঠ সহজ হবে।

ছাত্রীর মা।। কিন্তু একটা বিষয় তো পরিষ্কার হল না। ব্যাকরণে তো বিভক্তির সঙ্গে ‘অনুসর্গ’ বলেও একটা পরিভাষা দেখা যায়। সেটার আলোচনা তো হল না।

ব্যোমকেশবাবু।। ঠিক বলেছেন। এ পর্যন্ত যা আলোচনা হয়েছে তাতে ‘অনুসর্গ’ ব্যাপারটা ধরা পড়েনি। তবে ধরা না পড়লেও তার আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছে বোর্ডের এই দুটো বাক্য দিয়ে (১) গরম জলে স্নান করো, (২) জল দিয়ে ভেজাও। এখানে প্রথম বাক্যের ‘এ’ ও দ্বিতীয় বাক্যের ‘দিয়ে’ চিহ্ন একই কাজ করছে। তারা বোঝাচ্ছে ‘জল’ হচ্ছে ক্রিয়ার উপকরণ। কিন্তু লক্ষ করুন, তাদের কাজ এক হলেও চেহারা আর ব্যবহার এক নয়। প্রথম বাক্যের ‘এ’ চিহ্ন মূল শব্দের একেবারে গায়ে লেগে আছে বা গায়ের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় বাক্যের ‘দিয়ে’ মূল শব্দ থেকে একটু আলাদাভাবে বসেছে। তা ছাড়া প্রথম বাক্যের ‘এ’ চিহ্নের কোনো নিজস্ব অর্থ নেই। কিন্তু দ্বিতীয় বাক্যের ‘দিয়ে’-র একটা আলাদা অবস্থান বা অর্থ আছে। সাধারণভাবে ‘দিয়ে’ একটি অসমাপিকা ক্রিয়া—এটাই তার নিজস্ব অবস্থান। এই রকম বাংলায় আরও চিহ্ন আছে যারা বাক্যে বসলেও শব্দের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে যায় না এবং যাদের একটা নিজস্ব অবস্থান বা অর্থ আছে। যেমন—জল থেকে ওঠো। জলের ভিতর মাছ আছে। জলের জন্য কাড়াকাড়ি ইত্যাদি। এগুলিও ‘বিভক্তি’র কাজ করছে। কিন্তু চেহারায় ও প্রয়োগে বিভক্তি থেকে আলাদা বলে পন্ডিতেরা এদের জন্য একটা আলাদা নামের দরকার বুঝলেন। আর এ জন্য তাঁরা নানা রকম পরিভাষা ব্যবহার করলেন। শেষ পর্যন্ত ভাষাপন্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘অনুসর্গ’ পরিভাষাটিই চলে গেল। ‘অনুসর্গ’-এর ব্যুৎপত্তি হচ্ছে : অনু (=পরে)—সৃজ (=তৈরি)+ঘঞ। অর্থাৎ অনুসর্গ হচ্ছে তা-ই যা শব্দের অনুতে বা পরে বসে অর্থ সৃষ্টি করে। এই পরিভাষা দীর্ঘ দিন ধরে চলছে, কিন্তু এখন আবার কথা উঠছে, এই পরিভাষা যথেষ্ট স্বচ্ছ বা সহজবোধ্য নয়। এটা পালটাতে পারলে ভালো হয়। আপনারা কী বলেন?

জনৈক ডাক্তার সদস্য।। রোগটা যখন ধরাই পড়েছে, তখন তা সারাবার ব্যবস্থা করাই ভালো।

জনৈক ইঞ্জিনিয়ার সদস্য।। আমারও তাই মত। আমার কারিগরি বুদ্ধিতে যথাসম্ভব কম খরচে বিষয়টা বোঝার একটা সহজ রাস্তা তৈরি করাই ভালো। ‘অনুসর্গ’-তে বোঝার রাস্তাটা আঁকাবাঁকা, বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তির খরচও অনেক বেশি।

সবাই সমস্বরে।। তাই হোক, তাই হোক। ব্যোমকেশবাবুও।। বেশ, তাহলে দেখা যাক, কম ঝুঁকি আর কম খরচে কী করা যায়।—আবার একটু লেখাজোখা করতে হবে। (ব্যোমকেশবাবু আবার বোর্ডে নীচের ছকটা আঁকলেন)

ব্যোমকেশবাবু।। এখানে দেখুন নতুন কোনো পরিভাষা তৈরির ঝুঁকি না নিয়ে প্রয়োগের দিক থেকে শব্দ বিভক্তির দুটো ভাগ করা হয়েছে। বাঁদিকের বিভক্তিগুলি শব্দের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে বলে তাদের নাম হল বদ্ধ বিভক্তি। আর ডানদিকের বিভক্তিগুলি (যারা এ যাবৎ ‘অনুসর্গ’ নামে অভিহিত) শব্দ থেকে একটু আলাদা থাকে বলে তাদের নাম হল মুক্ত বিভক্তি।

নতুন শিক্ষক।। ব্যবস্থাটা ভালোই লাগল। তবে সিলেবাসে নেই বলে তো ক্লাসে এভাবে পড়ানো যাবে না। এটাই সমস্যা।

ব্যোমকেশবাবু।। সমস্যার কিছু নেই। আপনারা বয়সে তরুণ, সিলেবাসের বদল তো আপনারাই করবেন। সংগঠিত ভাবে কাগজে ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করুন। সিলেবাস যাঁরা তৈরি করেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কেউ বা পর্ষদকে এ ব্যাপারে চিঠি দিন। সময় পালটাচ্ছে, সমাজ পালটাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল রেখে সিলেবাসও পালটানো দরকার। তবেই তো শিক্ষার অগ্রগতি হবে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *