বৃত্র

প্রজাপতি ত্বষ্টার পুত্র এক অসুর। ইন্দ্র ত্রিশিরাকে বধ করলে ত্বষ্টা ত্রুদ্ধ হয়ে ইন্দ্রকে বিনষ্ট করার জন্য অগ্নিতে আহুতি দিয়ে বৃত্রাসুরকে উৎপন্ন করেন। ত্বষ্টার নির্দেশে বৃত্রাসুর গিয়ে ইন্দ্রকে আতর্কিতে গ্রাস করেন। বৃত্রাসুর মুখ হাঁ করলে ইন্দ্র অবশ্য দেহ সংকুচিত করে বেরিয়ে আসতে পারলেন, কিন্তু বহুকাল যুদ্ধ করেও বিত্রাসুরকে পারাজিত করতে পারলেন না। তখন বিষ্ণুর সাহায্য চাইতে, বিষ্ণু ইন্দ্রকে উপদেশ দিলেন – ঋষি ও দেবতাদের নিয়ে বৃত্রের কাছে গিয়ে সন্ধি স্থাপন করতে। তারপর ইন্দ্রকে অভয় দিয়ে বললেন যে, তিনি অদৃশ্যভাবে ইন্দ্রের সঙ্গে থাকবেন। ঋষিরা বৃত্রকে ইন্দ্রের সঙ্গে সন্ধি করার প্রস্তাব দিলে বৃত্র বললেন যে, তিনি তাতে রাজি আছেন। কিন্তু ঋষিদের কথা দিতে হবে যে, শুষ্ক বা আদ্র্র বস্তু দ্বারা, প্রস্তর কাষ্ঠ বা অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা, দিবসে বা রাত্রিতে ইন্দ্র অথবা অন্যদেবতারা ওঁকে বধ করতে পারবেন না। ঋষিরা তাতে রাজি হলে সন্ধি স্থাপিত হল। একদিন সমুদ্রতীরে ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে দেখে ভাবলেন যে, এখন সন্ধ্যাকাল, অর্থাৎ রাত্রিও নয়, দিবসও নয়। আর এই সমুদ্রফেন শুষ্ক কিংবা আর্দ্র নয় – অস্ত্রতো নয়ই। এই ভেবে ইন্দ্র বজ্রের সাহায্যে বৃত্রের ওপর সেই ফেন নিক্ষেপ করলেন। বিষ্ণু সেই ফেনের মধ্যে প্রবেশ করে বৃত্রকে বধ করলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *