।। বিবিধবিধিকুন্ড নির্ণয়।।
।। বিবিধ বিধিকুন্ড নির্ণয়।।
এই অধ্যায়ে কর্মবিশেষের প্রধানতার জন্য অনেক প্রকার বিধি কুন্ড নির্ণয় নিরূপণ করা হয়েছে।
অতঃ পরং প্রবক্ষ্যামি কুন্ডানামথ নির্ণয়ম্। তস্যোদ্ধারং চ সংস্কারং শৃণুধ্বং দ্বিজসত্তমাঃ।।১।। চতুরস্ত্রং চ বৃত্তং চ পাদার্থং চাধচ্চন্দ্ৰকম্। যোন্যাকারং চন্দ্রকং চ অষ্টাধমথ পঞ্চমম্।।২।। সপ্তাধং চ নবাধং চ কুন্ডং দশকমীরিতম্। ভূমিং সংশোধ্য বিধিবত্তুষকেশাদিবাজিতম্।।৩।। ভ্রাময়েচ্চোধ্বতস্তস্যা ভস্মাগবরানি যত্নতঃ। অংকুরাপনকং কুযাৎ সপ্তাহাদেব বুদ্ধিমান্।।৪।। স্থানং বিমদিতং কুমাদখনিত্বা সেচয়েজ্জলৈঃ। পুষ্টিহস্তোচ্ছ্বায়মিতং কুযাদ পরিসূত্রয়েৎ।।৫।।
শ্রীসূতজী বললেন, অতঃপর আমি কুন্ড নির্ণয় বিষয়ে বলব। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ, কুন্ডের উদ্ধার ও সংস্কার তুমি শ্রবণ কর।।১।।
চতুষ্কোণ, বৃত্তাকার, পাদার্থ, অর্ধচন্দ্রক, যোনিকাকার, চন্দ্রক, অষ্টার্ধ, পঞ্চম, সপ্তার্ধ এবং নবার্ধ–এই দশপ্রকার কুন্ডের কথা বলা হয়েছে। বিধি অনুসারে ভূমি সংশোধন করতে হবে, যাতে সেখানে তুষ বা কেশাদি পদার্থ না থাকে।।২-৩।।
তার উপরে যত্নসহকারে ভষ্মাঙ্গারের দ্বারা ভ্রামণ করতেহবে। বুদ্ধিমান ব্যক্তি এক সপ্তাহের মধ্যে অংকুর রোপন করবেন।।৪।।
কুন্ডস্থানে বিশেষরূপে মর্দিত করে এবং খনন করে জল সেচন করা উচিৎ। কুন্ডস্থান পুষ্টি হস্ত পরিমাণ উচ্চতা এবং তাকে পরিসূত্রিত করতে হবে।।৫।।
াকাং গুলমিতং সূত্রং চতুরস্ত্রং প্রকল্পয়েৎ। অষ্টাজশংগকে ক্ষেত্রে ন্যসেদকং বহিস্ততঃ।।৬।। মাপয়েত্তেন মানেন ত্রিবৃত্তং কুন্ডমুজ্জলম্। পূর্ববদ্ভিভজয়েৎক্ষেত্রং ভাগৈকং পুরতো ন্যসেৎ।।৭।। বৃত্তানি কালিকাদীনি বহিস্ত্রীনি বিবজয়েৎ। পদ্মকুন্ডমিদং প্রোক্তং বিলোচনমনোহরম্।।৮।। দশধা ভেদয়েৎক্ষেত্র উধ্বাধোধ্বাংগুলদ্বয়ম্। সম্পারিপাতয়েৎ সূত্রং পাঠয়েত্তৎপ্রমানতঃ।।৯।। পঞ্চধা ভেদিতে ক্ষেত্রে কামং বা বিভজেৎসুধা। ন্যসেৎপুরস্তাদেবাংগং কোনাধ প্ৰমাণতঃ।।১০।। যোনিস্থানং প্রতিষ্ঠাপ্য অশ্বহুাস্য দলাকৃতি। সূত্রদ্বয়ং ততো দদ্যাৎ কুন্ডং পরিমিতং ভবেৎ।।১১।। চতুরস্ত্রং সমুদধৃত্য সূত্রং সংকল্পযোগতঃ। দিশং প্রতি যথান্যায়ং পাতয়েচ্চ দ্বিজোত্তমা।।১২।।
দ্বাদশ অঙ্গুলি পরিমাণ সূত্র চতুরস্ত প্রকল্পিত করে অষ্টাদশ অঙ্গমুক্ত ক্ষেত্রে এক একটি বিভক্ত করে বাইরে তার মাপ করবে। ত্রিংশত উজ্জ্বল কুন্ড হয়। এই প্রকারে পূর্বের ন্যায় ক্ষেত্রে বিভাজন করে একভাগ আগে রাখবে।।৬-৭।।
কুন্ডের বাইরে অঙ্গুলি পরিমাণ সূত্র
কালিকাদি তিনবৃত্ত বাইরে বিবর্জিত করতে হবে। এই কুন্ড পদ্মকুণ্ড নামে পরিচিত। এই কুন্ড ভগবান বিলোচনের পরম প্রিয়।।৮।।
কুন্ডক্ষেত্রে দশপ্রকারে ভেদন করতে হয়। যথা–উর্দ্ধভাগ, অধোভাগ, দুই-অঙ্গুলি পরিমাণ এবং সূত্র সংপরিপাতিত করে সেই পরিমাণ মৃত্তিকা উৎপাটন করতে হয়।।৯।।
শৃংগাটকং যুগ্মপুটং পড়স্র কুন্ডক্রয়ং বুধাঃ। জলাশয়ারামকূপে নিত্যে গৃহময়ে যথা।।১৩।। চতুস্রং ভবেৎকুন্ডং দ্বিজসংস্কারকর্মনি। দেবপ্রতিষ্টা যাগে চ গৃহবাস্তৌ চতুর্থকম্।।১৪।। বসুন্ধরাযোগভেদে প্রপঞ্চে বর্তমাদিশেৎ। সোমেহষ্টো পংকজং প্রোক্তং নরমেধাশ্বমেধায়োঃ।।১৫ অংকুরাপর্নযাগে চ বৈষ্ণবে যাগকর্মনি। শিবদেব্যোশ্চ জন্মাদাবষ্টম্যাং চার্ধচন্দ্ৰকম।।১৬।। মাজার পৌষ্টিকে বৈরং রম্যে চ শান্তিকে তথা। শান্তি প্রতিষ্ঠা যাগে তু শাক্তানাং কাম্যকর্মনি।।১৭।। পুরশ্চরনকাম্যে জ্বরাদীনাং বিমোক্ষনে। এবং বিধেযু কার্যষু যোনিকুন্ডং প্রশস্যতে।। ১৮।। দেবতাতীথযাত্রাদৌ মহাযুদ্ধ প্ৰবেশনে। সৌরে শান্তে পৌষ্টিকে চ যটপুরং কুন্ডত্তমম্।।১৯।।
পাঁচ প্রকারে ভেদিত ক্ষেত্রে অথবা বিদ্বানগণের মতানুসারে কোণার্ধ প্রমাণ করবে ও অঙ্গন্যাস করবে, যোনিস্থান প্রতিস্থাপিত করে পীপল পাতা আকৃতি তৈরী করবে, যাতে দুটি সূত্র কুন্ড পরিমিত হবে। চতুরস্র সূত্র নিয়ে সংকল্প ক যোগে দিকসমূহ ন্যায়ানুসারে পাতন করবে।।১০-১২।।
হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ শৃঙ্গাটক, যুগ্মপুট ও ষড়স্র এই তিন প্রকার কুন্ড হয়। দ্বিজসংস্কারকুন্ড চতুরস্র হয়। দেব প্রতিষ্ঠা যাগে গৃহ ও বাস্তুযাগে চতুৰ্থক হয়।।১৩-১৪।।
বসুন্ধরাযোগ ভেদে প্রপঞ্চে বর্তের আদেশ দেবে। সোমের আট, নরভেদ তথা অশ্বমেধে পঙ্কজ দেবে। অংকুরাপণ যাগে বৈযক্ত যাগে, শিব ও দেবী জন্ম দিতে, অষ্টমীতে অর্ধ চন্দ্রককুন্ড নির্মাণ করবে।।১৫-১৬।।
মার্জার, পৌষ্টিক, শাক্ত কাম্যকার্যে, কাম্য পুরশরণ কর্মে তথা জ্বরাদি বিমোক্ষণ কর্মে এই প্রকার কর্মে যোনিকুন্ড প্রশস্ত দেবমাত্রাদিতে, মহাযুদ্ধে,
মারনোচ্চাটনে চৈব তথা রোগপশান্তয়ে। বৈষ্ণবানাং কোটিহোমে নৃপানামতিশোচনে।। ২০।। অষ্টাস্রমজুকুন্ডং চ সপ্তাস্রং নিধিসাধনে। রাজ্ঞা সাধ্যে চ পঞ্চস্রং কন্যাপ্রাপ্তৌত্রিরস্রকম্।।২১।। যাবন্নিম্নং ভবেদেব বিস্তারস্তাদেব তু। কুন্ডানুরুপতঃ কার্যা মেখলা সৰ্বতো বুধৈঃ।।২২।। অযুতাদিযু হোমেষু মেখলাং যোজয়েৎ সুধীঃ। নিন্মপ্রমানে চাত্রাপি মূলে সাধাংগুলং ত্যজেৎ।।২৩।। কোনবেদর সৈমানং যথাযোষ্যমনুক্রমাৎ। মুষ্টিইস্তে সমুৎ সেধো সাধাংগুলপরিস্কৃতঃ।।২৪।। অরত্নিমাত্রে কুন্ডে ত্রিকাং গুলত এমাৎ। এক হস্তমিতে কুন্ডে বেদাগ্নিনয়নাং গুলাঃ।।২৫।। সপ্তমেখলকং মুক্তং লক্ষহোমেন শস্যতে। পঞ্চমে খলকং লথকোঠ্যাংচ যোজয়েৎ।।২৬।। একাংগুলাদিমানেন নেমি সংবধয়েৎ সুধী। চতুহস্তমিতে কুন্ডে তাবদেব গুনাং গুলাঃ।।২৭।।
সৌর, শান্ত এবং পৌষ্টিক কর্মে ষড়পুর কুন্ড উত্তম, মারণ, উচাটন রোগপশান্তি ইত্যাদিতে অষ্টাগ্র কুন্ড প্রশস্ত, নিধি সাধনে সপ্তাস্র কুন্ড শ্রেষ্ঠ। রাজসাধ্যে পঞ্চাস্র কুন্ড, কন্যা প্রাপ্তির জন্য ত্রিরস্রক কুন্ড প্রশস্ত হয়।।১৭-২১।।
কুন্ডের গভীরতা ও প্রশস্ততা একই মাপের হতে হয়। বুধগণ কুন্ডের অনুরূপ মেখলা তৈরী করেন। সুধী পুরুষ অযুতাদি হোম মেখলা যোজিত করেন। কোণ বোধ রস থেকে যোগ্য অনুক্রমে মান নির্ণয় করবে। অরত্নিমাত্র কুন্ড তিন ও এক অঙ্গুলি ক্রমে রাখবে। একহস্ত পরিমিত কুন্ডে বেদ, অগ্নি ও শয়ন অঙ্গুল (৪,৩,২) মেখলা রাখা উচিৎ।।২২-২৫।।
বসুহস্তে ভনুপংক্তিযুগ্মহীনেঽপি তাঃ ক্রমাৎ। সর্বাঃ সমা গ্রহমখে মেখলাশ্চ সহস্ৰকে।।২৮।। পার্শ্বতো যোজয়েত্তত্র মেখলাস্তা যথাক্রমম্। সাধাংগুলাদিমানেন নেমি সংবধয়েৎ সুধীঃ।।২৯।। একমেখলযাগেন যোজয়েচ্ছক্তিভাবতঃ। হোমাধিক্যে বদুফলমন্যূনং নাধিকং ভবেৎ।।৩০।। কুন্ডস্য রূপং জানীয়াৎপরমং প্রকৃতেবপুঃ। ততো হোমে শতগুনং স্থন্ডিলে স্বল্পকং ফলম্।।৩১।। ষট চতুধা গুনায়ামবিস্তারোন্নতি শালিনী। একাংগুলং তু যোন্যগ্রং কুর্যাদীযদধোমুখম্।।৩২।। একৈ কাং গুলতো যোনিং কুন্ডশুন্যেষু বধয়েৎ। সমমধ্যে মেখলায়াঃ সপযা যা সুলক্ষণা।।৩৩।। স্থাপয়েৎ কুন্ডকোনেষু যোনিং তাং দ্বিজসত্তমাঃ। কুন্ডানাং কল্পয়েন্নাভিং সফুটম ম্বুজসন্নিভাম্।।৩৪।। তত্ত্ব কুন্ডানুরূপং বা সুব্যক্তং সুমনোহরম্। যোনিকুন্ড যোনিমজ্বং কুন্ডে নাভিং চ বজয়েৎ।।৩৫।।
লক্ষ কোটিতে পাঁচ মেখলাযুক্ত কুন্দ যোজনা করতে হয়। সুধীপুরুষ একাঙ্গুলি মান দ্বারা সংবর্ধিত করে না চার হস্তপরিমিত কুন্ডে চারহাত মেখলা প্রয়োজন। ৮হাত পংক্তিতে ও অযুগ্মে বেদী ক্রমান্বয়ে হয়।।২৬-২৯।।
সেখানে মেখলা যথাক্রমে পার্শ্বে যোজিত করতে হয়। এক মেখলা যুক্ত ভাগ থেকে শক্তি ভাব অনুসারে যোজিত করা উচিৎ। হোমের অধিকর্তাতে বহু ফল হয়। অন্যুন অধিক হয়না। কুন্ডের রূপ জানা প্রয়োজন। তাহলে প্রকৃতি পরম বপু। তাতে ােন করলে শত গুণাধিক ফল লাভ হয়। ষট্ ও চার প্রকার গুণায়াস বিস্তার এবং উন্নত যোনিকুন্ডের অগ্রভাগ এক অঙ্গুলি পরিমাণ নীচে মুখ করা উচিৎ। এক অঙ্গুলি করে যোনিকুন্ড বাড়াতে হয়। মেখলার সম মধ্যে যে পূজা তা শুভ লক্ষণযুক্ত হয়। হে দ্বিজশেষ্ঠ সেই যোনি কুন্ড কোণে স্থাপিত করতে হ্য়। কুন্ডের নাভি বিকশিত কমলের ন্যায় হয়। যোনিকুন্ডে যোনিও কুন্ডে অজ ও নাভি বর্জিত করতে হয়।।৩০-৩৫।।
যাবদবয় প্রমানেণ অধাংগুলক্রমাদবহিঃ। নাভিং প্রবধয়েদকং কুন্ডানাং রূপতো যথা।।৩৬।। তত্র তত্র ভবেৎ কুন্ডং বিম্বশূন্যং ন হোময়েৎ। শিবশক্তি সমাযোগাৎ কাম উৎপদ্যতে যতঃ।।৩৭।। অবটোপি উমাদেবী বিম্ব খ্যাত সদাশিবঃ। ন কুর্মাদেয়া হীনং মরনং চ সমুদ্দিশেৎ।।৩৮।। এয়োদশাংগুলং হিত্বা বহ্নি হস্তযথাপি বা। মহাতীর্থে সিদ্ধক্ষেত্রে যত্র শম্ভু গৃহে কুলে।।৩৯।। তস্য দক্ষিণাদিগভাগে অগ্রতো মন্ডলং লিখেৎ। তত্র পুজা প্রকর্তব্যা পূর্বমানেন চাশ্রয়েৎ।।৪০।। অর্কহস্তান্তরে কুযাচ্ছতোধ্বান্তে শতেন বা।।৪১।।
যাবদ্ দ্বয় প্রমাণের বাইরে অর্ধ অঙ্গুলি পরিমাণ ক্রমে সমাযোগে কাম উৎপন্ন হয়। গর্ত ও উমাদেবী বিশ্বরাগে সমাখ্যাত। এক থেকে হীন কদাপি যেন না হয়। ত্রয়োদশ অঙ্গুলি ত্যাগ করে অথবা বহ্নিহস্ত ত্যাগ করে সিদ্ধ ক্ষেত্রে বা মহাতীর্থে শিবগৃহে, কুল দেশের দক্ষিণ দিকে মঙ্গল এঁকে পরিপূর্ণরূপে পূজা করবে। অর্ক হস্তে শত বা তার উর্দ্ধে করবে।।৩৬-৪১।।