সঞ্জয়ের মাতা ও তেজস্বিনী ক্ষত্রিয়া নারী। পুত্র সিন্ধুরাজের কাছে পরাজিত হয়ে নিরাশ ও অবসাদগ্রস্থ হয়ে শুয়ে ছিলেন বলে বিদুলা তাঁর পুত্রকে ক্লীবতুল্য, উৎসাহহীন, কীর্তিহীন, বিষ্ঠাসম, ইত্যাদি বলে কঠোর ভাবে ভর্ৎসনা করেন। সঞ্জয় যখন সেই শুনে মাতাকে বলেন যে, তাঁর মৃত্যু হলে পৃথিবী পেয়েই বা মাতার কি লাভ হবে। তখন বিদুলা পুত্রকে বলেছিলেন যে, যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া বা শত্রুর বিনাশ করা – এছাড়া ক্ষত্রিয়দের শান্তিলাভ হতে পরে না। তারপর সঞ্জয়কে ওঁর পূর্বের বীরত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওঁকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেন। বিদুলার এই উপাখ্যান মহাযুদ্ধের ঠিক পূর্বে কুন্তি যুধিষ্ঠিরকে বলার জন্য কৃষ্ণকে বলেছিলেন।