2 of 2

বিদিশার প্রেমিক – সুস্মেলী দত্ত

বিদিশার প্রেমিক – সুস্মেলী দত্ত

এক—আধটা সরলরেখায় বুটি বুটি বিন্দু… ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর তারপর আরও ক্ষুদ্র… এর ভেতরে ছোট্ট একটা গহ্বর, তার ভেতরে আর একটা… আর একটা… বিদিশা এখানেই যেন তলিয়ে যেতে থাকে… তলিয়ে যায়… তলিয়ে যায় ক্রমশ… তারপর ছোট্ট পরমাণু কণার মতো ওর দ্রবীভূত এই শরীরটা আছাড়িপিছাড়ি করতে করতে কখন যে শান্ত স্থির, নিস্পন্দ— আধবোজা চোখ দুটো ঘুমে জড়িয়ে আসে ওর।

আচ্ছা, মরণঘুম নয় কেন? ও নিজে নয় যেন, ওর ভেতর থেকে আর একটা বিদিশা নামের প্রচ্ছায়া ক্রমাগত এই প্রশ্নই তুলে জ্বালাতন করে যাচ্ছে দিনরাত্তির…

দু—চার সপ্তাহ হল বিদিশার এই চরম অস্থিরতা, ছটফটানি লক্ষণীয়। ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডা. নন্দী দিন দুয়েক আগেই ওই ব্যাপারে বারবার সাবধান করেছিলেন বিদিশার স্বামী সৌগতকে। ঘুমের ভান করে বিদিশা শুয়েছিল ওর বেডরুমে আর ভালোমানুষের মতো সব শুনছিল… স—ব। ডাক্তার নন্দীর সঙ্গে সৌগতর কথোপকথনের ইতিবৃত্ত তো সেদিন রেকর্ড হয়ে গেছে ওর মস্তিষ্কের কোষে কোষে।

হিস্টিরিয়া নামক একটা মানসিক অসুস্থতা ছিল বিদিশার মায়ের, ওর দিদিমারও নাকি… এই হিসেবে রোগটা ওর জন্মগত। ইদানীং আবার সিজোফ্রেনিয়ারও কীসব ভয়ানক লক্ষণ ওর মধ্যে ফুটে উঠতে দেখা যাচ্ছে। যেমন ইতিমধ্যেই বিদিশার কথামতো, ও নাকি ওর মৃত বাবা—মাকে স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে প্রায়শই, এমনকী সময়ও কাটাচ্ছে, কথাবার্তাও বলছে বিস্তর। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে হ্যালুসিনেশন।

সৌগত তো এসব শুনে ভীষণ রকম টেনসড… কিন্তু বিদিশা মনে মনে হেসেছে আর বলেছে, হুঁ হুঁ বাবা, তোমরা আমাকে যতই পাগল বলো আর যাই বলো, আমি কিন্তু যা,তাই থাকব সারা জীবন! হতে পারি আমি অন্যদের থেকে সামান্য আলাদা… কিন্তু সকলকেই যে পৃথিবীতে একরকম হতে হবে, কে এমন মাথার দিব্যি দিয়েছে? এই তো সেদিন ‘তিনি’ মানে বিদিশার নতুন প্রেমিকটির সঙ্গে এসব নিয়েই আলোচনা চলছিল।

খুব বেশিদিনের আলাপ নয়, তাই বিদিশা এখনও ‘আপনি থেকে তুমি’—তে নামতে পারেনি। চিলেকোঠার ওই ঘরটার মধ্যে বেশ অনেকটা সময় কীভাবে যেন কেটে যায় ওদের… গল্পসল্প, আলাপ—আলোচনা, আড্ডা, আদর আহ্লাদ সব কিছুই, তবুও যেন সম্পর্কটা এখনও অবধি ‘আপনি’—তেই আটকে আছে। মনে মনে আজকাল একটা গর্বও অনুভব করে বিদিশা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে নয়, ওর প্রেম রীতিমতো মানুষের ঊর্ধ্বে ওঠা প্রেতাত্মার সঙ্গে… এটাই বা কম কথা কী।

বিদিশার মনে পড়ে, ও যখন বেশ ছোট্টটি, বোধহয় বছর সাতেক কী আটেকের, সে সময়ই হঠাৎ ওর মা—কে নাকি ব্রহ্মদত্যি ধরল। এর আগে দু—তিনবার ব্রহ্মদত্যি নামক বস্তুটার কথা ভূতের গল্পের বইয়ে পড়েছে বটে কিন্তু লোকটা যে আসলে কে, তা জানতে পারল মা—কে ভূতে ধরার পরেই। রাঙা পিসির মুখে শুনেছে, যেসব ব্রাহ্মণ পইতে হবার পর অকালে মারা যায়, তারা নাকি ব্রহ্মদত্যি হয়ে যায়। যেহেতু এদের জাগতিক আশা—আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না, এরা নাকি তক্কে তক্কে থাকে কোনো সুন্দরী বিবাহিতা নারীর সঙ্গে সহবাস করার সুযোগের অপেক্ষায়। স্বামী—স্ত্রীর মতো বেশ কিছুদিন সহবাস করতে পারলেই নাকি কেল্লা ফতে। ওদের আত্মার চির মুক্তিলাভ ঘটবে। তবে ‘কয়েক দিন’—টা কয়েক বছরও হতে পারে, আবার কয়েক যুগ হলেও আশ্চর্য হবার কিছু নেই। বিদিশার মা নাকি ব্রাহ্মণ ভূতের কবলে ছিল প্রায় চোদ্দো বছর। এই চোদ্দো বছর বিদিশা মায়ের কাছে ঘেঁষতে পর্যন্ত পারেনি। প্রথম প্রথম ভীষণ অভিমান হত মায়ের ওপর কিন্তু তারপর সবই গা—সওয়া হয়ে গেছে। বোধহয় যৌথ পরিবারে ঠাকুরমা, পিসি, কাকি, ফুলজেঠি…এরকম অনেকের সঙ্গে ওকে মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। এইভাবে আট বছরের সেই ছোট্ট খুকিটি যে কখন বাইশ বছরের যুবতীতে পরিণত হল, তা কেউ—ই জানে না। এমনকী বিদিশা নিজেও এখনও ভেবে উঠতে পারে না ওর শৈশব, কৈশোর আর ভরা যৌবনের সন্ধিক্ষণটা কীভাবে কেটেছিল। তারপর হঠাৎ মায়ের আত্মহত্যা, বাবার অ্যাকসিডেন্ট… এরকম ঘটনাই পরপর ঘটেছে ওর জীবনে।

সবে তখন ও পাস গ্র্যাজুয়েশনের গন্ডি পার হয়েছে, সামনে অনার্স—এর প্রস্তুতি। পরপর দুটো ঘটনায় পড়াশোনা দূরে থাক, মন রীতিমতো বিধ্বস্ত। সেই সময়ই বাড়ির শুভানুধ্যায়ীদের অস্বাভাবিক তৎপরতায় বিনা নোটিসে মাত্র দিন দশেকের কথায় ওকে গছিয়ে দেওয়া হল সৌগত নামক এক সহজ সরল সাধারণ ছেলের কাস্টডিতে। ছেলে শান্ত স্বভাবের, ব্যাঙ্কে ভালো চাকরি করে এইমাত্র। এর বেশি বিদিশা বিশেষ কিছু ওর সম্বন্ধে জানতে পারেনি। এমনকী ছবি ছাড়া চোখের দেখারও অনুমতি মেলেনি ঠাকুরমার আদেশে। বিদিশা তখন অসহায়, অনাথ। বাড়ির লোকের পছন্দের হাড়িকাঠে মাথা গলিয়ে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল ওদের দাম্পত্যকে। সৌগত মানুষটা খারাপ নয়, কিন্তু বিদিশার বিশেষ অপছন্দের জায়গা ছিল ওদের বাড়ির পরিবেশ। আধা মফস্সলি এলাকায় দোকানপাট থেকে রাস্তাঘাট সব কিছুই অনুন্নত। এমনকী বাড়ির আশেপাশের লোকজনেরাও যেন কীরকম গ্রাম্য স্বভাবের। সৌগতর বাবা নেই, অনেকদিন আগেই গত হয়েছেন। মা আর ছেলের ছোট্ট সংসার। তবে বাড়িতে এসি নেই, রেফ্রিজারেটর নেই, হোম থিয়েটার নেই… এরকম অনেক অভাব। ওদের বাড়ির সদস্যেরা ভেবেছিলেন যে এমন বাপ—মায়ের মেয়ে যতই ডানাকাটা সুন্দরী হোক না কেন, বিয়ে দেবার পরে দায়মুক্ত হতেই ওরা বিদিশাকে ঠেলে দেয় এই অতল গহ্বরে। এই অতল গহ্বরের স্বপ্ন ও বিয়ের পর থেকে প্রায়শই দেখত। প্রথম প্রথম স্বামীর সঙ্গে ওর অনুভূতিগুলো ও শেয়ার করতে চাইত কিন্তু সারাদিন খাটুনির পর ট্রেন জার্নি করে বাড়ি এসে সৌগত—র এসব ভালো লাগত না শুনতে। ওর প্রধান আকর্ষণ ছিল বিদিশার শরীর, সেটাই নাড়াচাড়া করতে করতে তলিয়ে যেত ঘুমের অতলে। আর বিদিশা জানলার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে কত রাত যে কাটাত অনিদ্রায়, তার হিসেবনিকেশ নেই। সকাল হতে—না—হতেই যত রাগ পড়ত ওই বুড়ি শাশুড়ির ওপর। মনে হত, ওই মানুষটাই বুঝি বিদিশার জন্মশত্রু… বুড়িটা মারা যাবার আগের দিন পর্যন্ত ওঁকে কী মুখই না করেছে বিদিশা। অথচ শান্তশিষ্ট মানুষটি সেদিন পর্যন্ত টুঁ শব্দটি করেনি, চুপচাপ সয়ে গেছেন দেমাকী বড়োলোক বউমার অত্যাচার। পাখি আর সোমের নয়নের মণি ছিলেন উনি। দুই নাতি—নাতনিকে যে কীভাবে আগলে রেখেছিলেন এতদিন! ওরাও তো ঠাকুমা আর বাবা বলতে অজ্ঞান। মা তো ছোটোবেলা থেকেই দূরের মানুষ। এটাও বিদিশার রাগের কারণ। ওর মনে হয়, এসবই যেন বিরাট এক ষড়যন্ত্র। একটা চক্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ও, যার থেকে বেরোবার উপায় নেই।

সত্যিই বিদিশার মধ্যে এতটাই খামতি? মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, বউমা হিসেবে ও কি অসফল? একেক সময় একলা থাকলেই এসব ভাবনাগুলো ভিড় করে আসে মনের মধ্যে কিন্তু পরক্ষণেই নিজের মন থেকে এসব ঝেড়ে ফেলে নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা তাকে নিয়ে। হোক না পরকীয়া, এ তো বিদিশার এখন বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ বটে। ছেলেমেয়েদের ঠাকুমা মারা যাবার পর একরকম জোর করেই সৌগত কলকাতা থেকে ও অনেক দূরে কোথাও একটা বোর্ডিং—এ পড়াশুনোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে ছেলেমেয়েকে আর নিজেও তো আদ্দেকদিন বাড়ি ফেরে না রাতে। কিন্তু বিদিশা কী নিয়ে থাকবে সারাদিন? সৌগতকে প্রশ্ন করলে বলে, আজ এই আছে, কাল ওই আছে। বাইশ বছরের পুরনো বউকে কতবার মিথ্যে অজুহাত দিয়ে কোথায় কোথায় যেন ঘুরতে চলে যায়। আর বিদিশা? সেই বিয়ের পরদিন থেকেই রাতে জানলার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে আকাশ দেখার প্রবণতা তার আজও তো তেমনি আছে, কিছুই বদলায়নি। না, না, ভুল ভাবছে সে। একটু—আধটু অদলবদল হয়েছে বই কী, যেমন সন্ধে ছ—টা বাজলেই ওর চিলেকোঠার ওই ছোট্ট ঘরটায় চলে যাওয়া। তারপর সারারাত সেখানে কাটিয়ে সকালবেলা নীচে আসা… সাতটা নাগাদ।

বিয়ের পর থেকেই। এই চিলেকোঠার ছোট্ট ঘরটি বিদিশাকে বড়ো টানত। কারণে অকারণে ওখানে বসে থাকত প্রায়শই। ঘরে না আছে পাখা না আছে আলো… রাতের বেলায় তো ঘুটঘুট্টি অন্ধকার। একটা মাত্র চৌকি তাইতে একটা আধময়লা চাদর, আর পাখির ছেলেবেলার ছোট্ট তুলোর বালিশ। বিদিশা নিজে হাতেই এখন রোজ ঘরটা পরিষ্কার করে আর ‘উনি’ আসার আগে টানটান করে পেতে দেয় ফুলকাটা চাদর। একপাশে মেঝেতে রাখা শাশুড়ির বিয়েতে পাওয়া পুরনো টিনের ট্রাঙ্কটার ওপরে বিদিশার নতুন সংসারের টুকিটাকি। যেমন, পাউডার, চিরুনি, হাত আয়না, কসমেটিক, তোয়ালে আর নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী। বিদিশার উনি নাকি ভীষণ সাজগোজ করা পছন্দ করেন, তাই বিদিশা সব সময়েই আজকাল সেজেগুজে থাকে। সৌগত তো প্রায়দিনই বাড়ির বাইরে থাকে, ঠিক কাজের লোক সকালে কাজ করে যাবার পর দুপুর থেকে রাত্তির অবধি বিদিশার নিশ্ছিদ্র অবসর।

আজ নাকি ওঁর ইচ্ছে, ওদের ফুলশয্যা হবে। ওঁর কথামতো বিদিশাও সেজেছে কনে বউ—এর মতো। আজ থেকে বাইশ বছর আগে সৌগত—র সঙ্গে ওর দাম্পত্যের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল? ভাবতে চেষ্টা করে বিদিশা। না, অনেক করেও মনে করতে পারল না। আর সত্যি বলতে কী, ও আর কিছুই আজ মনে করতে রাজি নয়। ও শুধু আজ নিজেদের কথা ভাবতে চায়… নিজেদের ভবিষ্যতের কথা, ভালোবাসার কথা।

ঢং ঢং করে ঘড়িতে ছ—টা বাজল। যথারীতি সৌগত ওষুধটা খাওয়ার কথা ফোন করে মনে করিয়ে দিয়েছে। খুব কেয়ারিং বটে… মনে মনে হাসল বিদিশা। ‘উনি’ বলেছেন ওষুধ একদম না খেতে … বিদিশা আজ একটা নয়, পুরো শিশিটাই জানলা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল আবর্জনায়। মনে মনে আজ বেশ গর্ব অনুভব করছে বিদিশা। হ্যাঁ আজই তো সে শরীর মন সবটুকু সমর্পণ করবে ‘তাঁর’ কাছে। ব্রহ্মদত্যি বলে কথা, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহবাস তো কোন ছার। বিদিশার বাবা মা—ও কাল রাতে ওদের এই ভাবনার স্বীকৃতি দিয়েছে। মুহূর্তে বিদিশার বুকের ভিতরটা যেন কীরকম গুড়গুড় করে উঠল। কিন্তু ওর বাবা—মা বা প্রেমিক সকলেই তো ক্ষণিকের অতিথি। ভোরের আলো ফুটতে—না—ফুটতেই তো যে যার মতো। এই ফুলশয্যার পরিণামই বা কী? কেই—ই বা হিড়হিড় করে টানতে টানতে ওকে সর্বসমক্ষে সমাজের সামনে নিয়ে যাবে আর চেঁচিয়ে বলবে যে, আমি বিদিশাকে ভালোবাসি, ওর সঙ্গে আমার ফুলশয্যা হয়েছে?

রাগে সর্বাঙ্গ জ্বলে ওঠে ওর। বাস্তবে যদি এটাই সম্ভব হত, তাই—ই হত। ওই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, যারা সৌগত—র স্ত্রী—ভাগ্য নিয়ে হা—হুতাশ করে আর মিথ্যে সমবেদনা দেখায়, আড়ালে বিদিশাকে ছুঁতে পাওয়া নিয়ে হাসাহাসি করে বা কটূক্তি করে, তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে পারত ও।

এসব নিয়েই আজ কথা বলতে হবে ‘ওঁর’ সঙ্গে। চিলেকোঠায় টিনের ট্রাঙ্কের ওপর রাখা হাত—আয়নায় নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখার চেষ্টা করছিল বিদিশা। কে বলবে, সে এখন চল্লিশোর্ধ্ব দিব্যি সুন্দরী… শুধু উলটোপালটা কিছু ওষুধ খাবার জন্য চোখটা গর্তে ঢুকে গেছে। আর তার চারপাশ ঘিরে কালো ছায়া। চেহারাটাও বেশ জম্পেশ তবে পেটটা যেন অস্বাভাবিক বড়ো হয়ে গেছে।

এইমাত্র ‘উনি’ আসবেন, ভাবতে ভাবতে চোখদুটো ভিজে উঠল, জিভটা শুকিয়ে এল… এ সবই তো সহবাসের পূর্বলক্ষণ। তবে কি আজই? …

আকাশ চিরে বিদ্যুৎ চমকাল, সঙ্গে বাজের শব্দ… থতমত কনে বউ—এর হাত থেকে আয়নাটা মাটিতে পড়ে চুরমার। দমকা হাওয়ায় এক অদ্ভুত শিহরন। কী যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি বিদিশাকে ঘরে টিকতে দিল না, ও বেরিয়ে এল চিলেকোঠার ঘর থেকে ছাদে… ওপরে আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে যেন নববধূকে আশীর্বাদ করতে লাগল।

কোথায় আপনি? কোথায় তুমি? এসো … আমাকে গ্রহণ করো…। তুমুল বর্ষণে সেই ডাক প্রতিধ্বনিত হল আকাশে বাতাসে… বহুদূর.. দূরান্ত পর্যন্ত।

মহাকালের অমোঘ নিয়মে, সেই মেয়েরাই ভিজতে পারে যারা সম্পূর্ণ হয়, যারা সম্পূর্ণ হতে চলেছে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *