আমি যেন রাজা, যার সারা দেশ বৃষ্টিতে মলিন,
ধনবান, নষ্টশক্তি,যুবা, তবু অতীব প্রবীণ,
শিক্ষকের নমস্কার প্রত্যেহ যে দূরে ঠেলে রেখে
শিকারি কুকুর নিয়ে ক্লান্ত করে নিজেই নিজেকেই
কিছুই দেয় না সুখ-না মৃগয়া, না শ্যেনচালন,
না তার অলিন্দতলে মৃতপায় তারই প্রজাগন!
মনঃপূত বিদূষক প্রহসনে যত গান গাঁথে
আনত ললাট থেকে রোগচ্ছায়া পারে নাসরাতে;
ফুলচিহ্ন আঁকা তার শয্যা, তাও নেয় রুপান্তর
কবরে, এবং যার সাধনায় রাজারা সুন্দর,
জানে না সে-মেয়েরাও, লজ্জাহীন কোন প্রসাধনে
আমোদ ফোটানো যায় এ-তরুণ কঙ্কালের মনে।
করেন কাঞ্চনসৃষ্টি, সে-মুনিরও মেলেনি সন্ধান
কোন বিষময় দ্রব্যে অহোরাত্রি নষ্ট তার প্রাণ।
এমন কী রক্তস্নান, লিপ্ত যাতে সব ইতিহাস,
পুরাতনী রোমকের, অর্বাচীন দস্যুর বিলাস,
তাও এই মূঢ় শবে তাপলেপ পারে না জোগাতে,
লিথির সবুজ স্রোত-রক্ত নয়-বহে যেশিরাতে।