বিচিত্র ছলনাজাল
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে বলতে শুনেছি, স্বকর্ণে একাধিকবার, তাঁর মৃত্যুদিন যেন পালন না করা হয়। করতে হয় তো করি যেন তার জন্মদিন।
স্বভাবতই আমাদের সকলের মনে প্রশ্ন জাগবে, কেন?
রবীন্দ্রনাথ তো চার্বাকপন্থি ছিলেন না। চার্বাক বলতেন, দেহ ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার পর পুনরাগমন কোথায়? এ স্থলে পুনরাগমন সমাসটি পুনর্জন্ম বা শেষ বিচারের দিন, যেকোনো অর্থে নেওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ তো এতখানি জড়বাদী ছিলেন না।
বরঞ্চ তিনি বারবার কতবার যে বলেছেন, মৃত্যতে একদিকে আছে পরিসমাপ্তি অন্যদিকে আছে নব-অভ্যুদয়। তার অতিশয় অন্তরঙ্গ সখা ও শিষ্য, কবি সত্যেন্দ্রনাথের তিরোধানে তিনি যেন, যে অমর্ত্যলোকে তার প্রিয় কবি নতুন আনন্দ গান ধরেছেন তার সুর শুনতে পাচ্ছেন :
— সে গানের সুর
লাগিছে আমার কানে অশ্রুসাথে
মিলিত মধুর
প্রভাত আলোকে আজি;
আছে তাহে সমাপ্তের ব্যথা,
আছে তাহে নবতম আরম্ভের
মঙ্গল-বারতা;
আছে তাহে ভৈরবীতে
বিদায়ের বিষণ্ণ মূর্ছনা,
আছে ভৈরবের সুরে
মিলনের আসন্ন অর্চনা।
শুধু কি তাই? যারা এ জীবনে কৃপণ ভাগ্য বশে বিড়ম্বিত হয়েছে, কবি তাদের মৃত্যুতে তাদের জন্য বিরাট একটা অপ্রত্যাশিত বৈভব গৌরব দেখতে পাচ্ছেন। আল্লাহতালা রবীন্দ্রনাথকে তার অফুরন্ত ভাণ্ডার থেকে বহু বিচিত্র অমূল্য সম্পদ দিয়েছিলেন কিন্তু একটি অতি সাধারণ ব্যাপারে তাঁর প্রতি বিমুখ। তাঁর পত্নী, দুই কন্যা, এক পুত্র (অন্য পুত্র রথীন্দ্রনাথ নিঃসন্তান, এক কন্যা মীরা দেবী)- এই চারজন পরপর মারা যান। এঁদের বয়স যথাক্রমে, স্ত্রী উনত্রিশ, কন্যা-তেরো (নিঃসন্তান), পুত্র- এগারো, কন্যা-বত্রিশ (নিঃসন্তান)। এরপরও রবীন্দ্রনাথ রেহাই পাননি। পুত্র রথীন্দ্রনাথ তো নিঃসন্তান–রবীন্দ্রনাথ জানতেন তার পুত্রবধূর কোনও সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্য পুত্র এগারো বৎসর বয়সে গত হয়েছে কলেরায়। পুত্রের দিক দিয়ে তার কোনও সন্তান-সন্ততি নেই। আছে কেবল কন্যা মীরার একটি পুত্র ও কন্যা। রবীন্দ্রনাথের আশা ছিল এই মেয়ের দিক দিয়ে তার বংশ রক্ষা হবে। আমাদের হজরতের বেলা যা হয়েছে। ছেলেটির নাম নীতীন্দ্রনাথ, ডাক নাম নীতু। মীরা দেবী দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে পারেননি বলে পুত্রকন্যা নিয়ে পিতার কাছে চলে আসেন ১৯১৯/২০-তে। বলা বাহুল্য ২৭ বছর বয়সে কোনও কন্যা যদি চিরতরে পিত্রালয়ে চলে আসে তবে পিতার মনের অবস্থা কী হয়; মীরা দেবীর বিবাহিত জীবনের কঠোর দ্বন্দ্বের অনেকখানি সন্ধান পাঠক পাবেন যোগাযোগ উপন্যাসে। কিন্তু সেখানে কুমুদিনীর পিতার মৃত্যু তার বিবাহের পূর্বেই হয়ে গিয়েছিল বলে, রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ে কন্যা মীরার প্রত্যাবর্তন কী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল, সেটা উপন্যাস থেকে জানবার উপায় নেই। পাছে কেউ ভুল বোঝেন, তাই বলে রাখা ভালো, কুমুদিনীর পিতা এবং মীরা দেবীর পিতা রবীন্দ্রনাথের চরিত্রে বিন্দু-বিসর্গের মিল নেই।
এতদিন এসব বিষয়ে আমি সবিস্তর আলোচনা করাটা যতখানি পারি এড়িয়ে গিয়েছি কারণ মীরাদির স্নেহ আমি বাল্যবয়সে পেয়েছি। তাঁর মেয়ে নন্দিতা, ডাকনাম বুড়ি-কে আমি তার পাঁচ বৎসর বয়স থেকে চিনি। আমার বয়স তখন ষোলো (নীতুর বয়স নয়); পাঁচ বৎসর ধরে নানা মান-অভিমানের ভিতর দিয়ে আমাদের প্রতি সম্পর্ক নিবিড়তর হয়। এর প্রায় ত্রিশ বৎসর পর দিল্লিতে আমরা যখন প্রতিবেশী তখন তো আর কথাই নেই। এর দশ বৎসর পূর্বে রবীন্দ্রনাথ গত হয়েছেন। বুড়ির সঙ্গে শেষ দেখা হয় বছর-চারেক পূর্বে। বুড়ি নিঃসন্তান বলে কথাবার্তার সময় আমি কাচ্চাবাচ্চাদের প্রসঙ্গ কখনও তুলতুম না। এখন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ, তার স্ত্রী প্রতিমা দেবী, মীরা দেবী, তাঁর সন্তানদ্বয় কেউ আর এ-লোকে নেই; আমার অক্ষম লেখা কারও পীড়ার কারণ হবে না।
এক যে ছিল চাঁদের কোণায়
চরকা-কাটা বুড়ি,
পুরাণে তার বয়স লেখে
সাতশ হাজার কুড়ি।
রবীন্দ্রনাথ ১৯২১-এ যখন এ-কবিতাটি লেখার পরদিন আমাদের পড়ে শোনান, তখন বুড়ি সেখানে উপস্থিত ছিল। পাঁচবছর বয়সের বুড়ি কবিতাটির আর কতখানি বুঝবে। তবে তার দাদা নীতুর বয়স নয়। সে নিশ্চয়ই অনেকখানি বুঝেছিল। মাঝেমধ্যে বুড়িকে বুড়ি বুড়ি বলে ক্ষ্যাপাত বলে ওই কবিতার শেষের দিকে আছে :
বয়সখানার খ্যাতি তবু
রইল জগৎ জুড়ি
পাড়ার লোকে যে দেখে সেই
ডাকে, বুড়ি বুড়ি।
নীতুর মতো সুন্দর প্রিয়দর্শন ছেলে আমি জীবনে কমই দেখেছি। তার বিশেষ বন্ধু ছিল, আমার রুমমেট চাটগাঁয়ের (বোধহয় পাহাড়তলী অঞ্চলের) জিতেন হোড়। নীতু প্রায়ই আমাদের রুমে এসে গালগল্প জমাত। সে ছিল স্বল্পভাষী, আর জিতেন কথা কম বললেও ছিল বাক-চতুর। রবীন্দ্রনাথ তার আপন পুত্র-কন্যাকে কতখানি ভালোবেসেছিলেন সে আমার জানার কথা নয়, কিন্তু নীতুকে তিনি তার সমস্ত হৃদয় উজাড় করে যে কতখানি ভালোবেসেছিলেন তার সাক্ষ্য দেবে সে যুগের দু পাঁচজন যারা এখনও এপারে আছেন।
পাঠকের মনে থাকতে পারে কবির ঠাকুরদা গল্পে নয়নজোড়ের বাবুদের কাহিনী। সে বাবুদের শেষ বংশধর পাড়ার ঠাকুরদা অর্থাভাবে ভৃত্যাভাবে অনেক সময় ঘরের দ্বার বন্ধ করিয়া তিনি নিজের হস্তে অতি পরিপাটি করিয়া ধুতি কেঁচাইতেন এবং চাদর ও জামার অস্তিন বহু যত্নে ও পরিশ্রমে গিলে করিয়া রাখিতেন–।
রবীন্দ্রনাথের ভত্যাভাব ছিল না এবং তার উড়িয়া সেবক বনমালী যে পাঞ্জাবির আস্তিন ও ধুতির কোচা খুব একটা সাধারণভাবে গিলে করত তা নয়, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নিপুণ হাতের সুচিকুণ গিলে করার পদ্ধতির সঙ্গে সে পাল্লা দিতে পারবে কেন? একদিন নীতু এসেছে আমাদের রুমে। পরনে গিলে করা অতি পরিপাটি সিল্কের ধুতি পাঞ্জাবি, কাঁধে সিঙ্কের উড়ুনি। আমাদের জানাল সে দিনটা তার জন্মদিন। শেষটায় ধরা পড়ল, স্বয়ং দাদামশাই স্বহস্তে কাপড়-জামা গিলে করে তাকে সাজিয়ে দিয়েছেন।
১৯৩১-৩২-এ নীতু জর্মনিতে গেল পড়াশুনো করতে। কয়েক মাসের ভিতরই হল ক্ষয়-রোগ। রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীর সখা সি এফ এনড্রজ বিলেত থেকে জর্মনি গেলেন তার দেখভাল করতে। অবস্থা খারাপের দিকে খবর পেয়ে মীরা দেবীও গেলেন জর্মনি। ওই সময় বরানগরে রবীন্দ্রনাথ কিছুদিন কাটাতে এসেছেন প্রশান্ত-রাণী মহলানবিশের সঙ্গে। ৭ অগস্ট (আমি প্রচলিত বইপত্রে সঠিক তারিখ বের করতে পারিনি। নীতু মারা গেল।
রাণী মহলানবিশ লিখছেন, পরদিন রয়টারের টেলিগ্রামে দেখলাম জার্মানিতে নীতুর মৃত্যু হয়েছে। এ খবরটা রবীন্দ্রনাথের কাছে ভাঙা যায় কী প্রকারে?
শেষে স্থির হল খড়দায় কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবীকে ফোন করে আনিয়ে আমরা চারজন একসঙ্গে কবির কাছে গেলে কথাটা বলা হবে। প্রতিমাদিরা এলে সবাই মিলে কবির ঘরে গিয়ে বসা হল। রথীন্দ্রনাথকে কবি প্রশ্ন করলেন, “নীতুর খবর পেয়েছিস? সে এখন ভালো আছে, না?” (এর কারণ কবি তার আগের দিন, এনড্রজের কাছ থেকে চিঠি পান– তখনও আর মেল চালু হয়নি– যে, নীতু তখন একটু ভালোর দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে– লেখক) রথীবাবু বললেন, “না, খবর ভালো না।” কবি প্রথমটা ঠিক বুঝতে পারলেন না। (ওই সময় থেকেই কবি কানে একটু খাটো হয়ে গিয়েছিলেন– লেখক)। বললেন, “ভালো? কাল এনড্রজও আমাকে লিখেছেন যে নীতু অনেকটা ভালো আছে। হয়তো কিছুদিন পরেই ওকে দেশে নিয়ে আসতে পারা যাবে।” রথীবাবু এবার চেষ্টা করে গলা চড়িয়ে বললেন, “না, খবর ভালো নয়। আজকের কাগজে বেরিয়েছে।” কবি শুনেই একেবারে স্তব্ধ হয়ে রথীবাবুর মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। চোখ দিয়ে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। একটু পরেই শান্তভাবে সহজ গলায় বললেন, “বউমা আজই শান্তিনিকেতনে চলে যান, সেখানে বুড়ি একা রয়েছে।”
এটা যে কত বড় শোক তার জন্যে কোনও মন্তব্য বা টীকার প্রয়োজন হয় না। ওই সময় রবীন্দ্রনাথ তাঁর মেয়ে মীরার জন্য যে দুটি কবিতা লেখেন, তিনি বা মীরাদি তখন কোনও পত্রিকায় সে দুটি প্রকাশ করেননি। প্রকাশিত হয় তিন বৎসর পরে বীথিকা কাব্যগ্রন্থে; তাই অনেকেরই দৃষ্টি এ কবিতা দুটির প্রতি আকৃষ্ট হয়নি।… সকলেই জানেন, ঈশ্বরে রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস ছিল অতিশয় গভীর। দুর্ভাগিনী কবিতায় স্তম্ভিত হয়ে দেখি, সে বিশ্বাসে চিড় লেগেছে।
–চিরচেনা ছিল চোখে চোখে
অকস্মাৎ মিলালো অপরিচিত লোকে।
তখন দুর্ভাগিনী মাতা যখন সান্ত্বনার জন্য ইষ্টদেবতার সম্মুখীন হল তখন কী পেল সে।
–দেবতা যেখানে ছিল সেথা জ্বালাইতে গেলে ধূপ, সেখানে বিদ্রূপ।
ঈশ্বর-বিশ্বাসীজন এর চেয়ে নির্মম নিষ্ঠুর কী বলতে পারে! ঈশ্বর স্ক্রিপ করেন।
এখানেই কি শেষ? প্রায় তাই। কিন্তু দীর্ঘ পরমায়ু লাভ করলে তার মূল্যও দিতে হয়। একে একে অনেক বন্ধু চলে গেলেন ওপারে। এদিকে তার শরীরও ভেঙে পড়েছে। মৃত্যুর ষোলো মাস পূর্বে খবর এল কলকাতায় এনড্রজ গত হয়েছেন। বন্ধুত্ব তো ছিলই কবে, সেই নোবেল প্রাইজ পাওয়ার আগের থেকে, তদুপরি বিশ্বভারতীর বছরের পর বছর ব্যাপী অর্থকষ্ট কঠিন সঙ্কটে পৌঁছলেই কবিকে না বলে, এনড্রজ তার মিত্র মহাত্মা গান্ধীর মাধ্যমে অহমদবাদের কোটিপতিদের কাছ থেকে বিপদতারণ অর্থ সংগ্রহ করতেন। এনড্রজের স্বাস্থ্য ছিল কবির চেয়ে অনেক ভালো। কবির মানসপুত্র, বিশ্বভারতীর খুল্লতাত চলে গেলেন জনকের আগে। আমি অতি ক্ষুদ্র প্রাণী, কিন্তু পাঁচটি বৎসর তিনি আমাদের সেই গ্রিক-লাতিন থেকে আরম্ভ করে বর্তমান ইংরেজি সাহিত্য পড়িয়েছেন। আরও কত কী! সে তো ভোলা যায় না।
রবীন্দ্রনাথ তার যে-ভাইপোকে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন, তার চেয়ে মাত্র এগারো বছরের ছোট সুরেন্দ্রনাথ গত হলেন ঠিক তার এক মাস পরে, কবির জন্মদিনের মাত্র চারদিন পূর্বে :
আজি জন্মবাসরের বক্ষ ভেদ করি
প্রিয়-মৃত্যুবিচ্ছেদের এসেছে সংবাদ
সর্বশেষে লিখছেন, শেষ জীবনে সুরেন্দ্রনাথের ভাগ্য বিপর্যয়ের স্মরণে, যেটি পূর্বেই উল্লেখ করেছি,
তাঁর মৃত্যুর জ্বলন্ত শিখার
আলোকে তাহার দেখা দিল
অখণ্ড জীবন, যাহে জন্ম মৃত্যু এক
হয়ে আছে;
সে মহিমা উদবারিল যাহার উজ্জ্বল
অমরতা
কৃপণ ভাগ্যের দৈন্যে দিনে দিনে রেখেছিল ঢেকে।
শোকের পর শোক, প্রতি শোকে কবি উদ্ভ্রান্ত হয়ে বারবার অনুসন্ধান করছেন– এ কি সব অর্থহীন? এর চরম মূল্য কি কোনওখানেই নেই?
অথচ তিনি অতি উত্তমরূপেই জানতেন, এ সংসারে এমন কোনও মহা সুপারম্যান অবতীর্ণ হননি যার তিরোধানবশত তাবল্লেক গভীর শোকসাগরে নিমজ্জিত হবে, কিম্বা আপন আপন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনন্দের দ্বার খুলে তার থেকে নিষ্কৃতির পথ খুঁজে নেবে না। তাই তার শেষ জন্মদিনের প্রাক্কালে বলছেন :
জানি জন্মদিন
এক অবিচিত্র দিনে ঠেকিবে এখনি,
মিলে যাবে অচিহ্নিত কালের পর্যায়ে
পুষ্পবীথিকার ছায়া এ বিষাদে করে না করুণ,
বাজে না স্মৃতির কথা অরণ্যের মর্মরে গুঞ্জনে
নির্মম আনন্দ এই উৎসবের বাজাইবে বাঁশি
বিচ্ছেদের বেদনারে পথপার্শ্বে ঠেলিয়া ফেলিয়া।
অতি সত্য কথা। কিন্তু যে লোকটা আমাদের এত কিছু দিয়ে গেল, অনাগত যুগের তরেও তুলনাহীন বৈভব রেখে গেল, তাঁকে স্মরণ করব না এই দিনে? এই দ্বন্দর কি কোনও সমাধান নেই? যে এত দিল তাকে স্মরণে না-আনা সে তো ছলনা।
কবিগুরুর সর্বশেষ কবিতা স্মরণে আনিঃ
তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনা জালে,
হে ছলনাময়ী!
একদিকে বিচ্ছেদ বেদনা, অন্যদিকে নির্মম আনন্দ এ তো ছলনা। তাই
অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে
সে পায় তোমার হাতে
শান্তির অক্ষয় অধিকার ॥
‘পূর্বদেশ’ ৫.৮.১৯৭৩