1 of 3

বারসেলোনা

বারসেলোনা

বারসেলোনার গল্প বলেছি? শহরটা আমার খুব প্রিয়। আমার স্প্যানিশ পাবলিশার এডিশান বিবারসেলোনারই। প্রথমবার যখন গিয়েছিলাম আমার বই উদ্বোধনে,মাদ্রিদ থেকে উড়ে এসেছিলেন এক মন্ত্রী। জাস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মূলত হয়তো ফটো তোলার জন্য আমার সঙ্গে। পরের দিনের নিউজপেপার ছেয়ে গিয়েছিল দুজনের ছবিতে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করার চেয়ে আমার ভালো লেগেছে পিকাসো মিউজিয়াম, দালি মিউজিয়াম, গাউদির গির্জায় ঘুরে বেড়াতে, মিরোর কাজ দেখতে। ভূমধ্যসাগরের পাড়ে বসে থাকতে। বারসেলোনার মেয়র বাড়িতে ডিনার খেতে ডেকেছিলেন। শহরের চাবি টাবিও হয়তো দিয়েছিলেন। ক্যাটালান লেখকরাও ডেকেছিলেন। ওঁরা বারসেলোনাকে ক্যাটালুনিয়া বলেন। ক্যাটালান কালচার নিয়ে। ভীষণ গর্বিত।

শেষবার বারসেলোনায় গিয়েছি বারসেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারকালচারাল কমিউনিকেশনএর ওপর একটি বক্তৃতা দিতে। সেবার কী আশ্চর্য, ছাত্রছাত্রীরা আমাকে নিয়ে উৎসব করেছিল। ওদের ক্যাটালান কালচারে পোরোঁ নামে ওয়াইন রাখার জন্য একধরনের পাত্র আছে, যেটি দেখতে বোতল আর বদনির মতো। সেই পোরোঁর নল দিয়ে ওয়াইন ঢালতে হবে মুখে। হাতটা যত দূরে সম্ভব রেখে। এভাবে ওয়াইন খাওয়া ওদের ট্র্যাডিশান। কিন্তু এ তো আমার ট্র্যাডিশান নয়। বাইরের মানুষ হিসেবে আমি যেভাবে পোরোঁ থেকে খেতে পেরেছি, একটুও না ফেলে, দেখে ছাত্রছাত্রীরা রীতিমত মুগ্ধ। আমাকে একটা সার্টিফিকেট দিয়েছিল, পোরোঁ থেকে ওয়াইন খাওয়ায় ব্যাপারে থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিসে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করার জন্য। আস্ত একটা পোরোঁও দিয়েছিল উপহার। সেন্স অব হিউমার যে কী প্রচণ্ড ওদের। দুটো ছবি আছে। বলে ওরা দেখতে কেমন তা জানি, কিন্তু ওদের কারওর নাম এখন মনে নেই।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *