বাঙালির পুচ্ছ নৃত্য
আমরা সাতিশয় ধার্মিক জাতি। বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই আছে। ভারতে যত তীর্থক্ষেত্র আর মন্দির আছে, পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ। আমরা ধার্মিক কোনও সন্দেহ নেই। তবে ধর্মের একটা দিকই কেবল নেই, সেটি হল মানব-ধর্ম।
ধর্ম আমাদের প্রেমিক করেছে। মানব প্রেমে নয়। আমরা ক্ষমতা-প্রেমী, অর্থ-প্রেমী। টাকার লোভে আমরা বাপের গলায় চাকু চালাতে পারি। হাত কাঁপবে না। গদিতে বসার জন্য আমরা অকাতরে নরবলি, ক্যাডারবলি দিতে পারি। বিবেক দংশনে ভুগতে হয় না। ধর্ম আমাদের নির্লোভী করেছে। সবচেয়ে বড় যে লোভ, অগ্রগতি, উন্নতি, জাতির বিকাশ, ভবিষ্যতের পাওনা, সেইসব লোভ আমাদের একেবারেই নেই। আজকের দিনটা কাটলেই হল, কাল কী হবে ভাবার প্রয়োজন নেই। বেদান্তে দেশের মানুষকে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে নেই। নব-বেদান্তের বাণী—জিও আর পিও। ধর্ম আমাদের অভিমান-শূন্য করেছে। জাতিপুঞ্জে উন্নত স্বাধীন দেশের সম্মান আমরা চাই না। আমাদের ধর্ম হল—লুট লে, লুট লে। যে যেখানে যেভাবে আছে, সুযোগ পেলেই লুটে-পুটে ফাঁক করে দাও।
এমন ধার্মিক একটি জাতির কাছে যে কোনও পুজোই হল এক ধরনের উৎসব। বিচিত্র এক হল্লা-গুল্লা। সে উৎসবে সাধারণ মানুষের যোগ না থাকলেও, চলছে চলবে স্লোগানের মতো, হচ্ছে, হবে। দেবী দুর্গা নাটের পুতুল। বিশাল প্যান্ডেল, বিচিত্র আলোকসজ্জা, মাইক গ্যালন গ্যালন সংগীতের নির্যাস। বাতাস পলিউশানে যতই দূষিত হোক না কেন, শহর প্রশাসকদের উদাসীনতায় যতই মলিন হোক না কেন, মানুষে মানুষে সম্পর্ক যতই হিংসাত্মক হোক না কেন, দারিদ্র্য পরনের শেষ বস্ত্রটুকু খুলে নিক না কেন, শিক্ষা-ব্যবস্থা, চিকিৎসা-ব্যবস্থা, শাসন-ব্যবস্থা যতই বেহাল হোক না কেন, কিছুই তাতে যায় আসে না। জীবনের পর যেমন মৃত্যু আসে অনিবার্য গতিতে, বছরের খাঁজে-খাঁজে তেমনই আসে উৎসব। আসতেই হয়, কারণ আমাদের সংস্কার এখন চলে গেছে ব্যবসাদারদের হাতে, চলে গেছে সুযোগ সন্ধানীদের হাতে।
এ দেশের ধর্মও এক ধরনের ব্যাবসা। সহজ, সরল বিশ্বাসী মানুষের আজন্মলালিত সংস্কার সেই ব্যবসার মূলধন। আমরা উদ্বোধন চাই না, উন্মোচন চাই না, দেহস্থ আত্মায় আমাদের বিশ্বাস নেই। বড় অসহায় আমরা। আমাদের পুরস্কার ভারত-সংবিধান নিংড়ে এক ফোঁটাও প্রসন্নতা বের করতে পারে না। ভাগ্যই আমাদের শেষ সম্বল। বড় দরিদ্র আমরা। গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, সুস্থ জীবিকা নেই। অর্থ ঢেলে উচ্চশিক্ষার দরজা খোলার সামর্থ নেই, আধুনিক চিকিৎসা আমাদের সাধ্যের বাইরে মানুষের আদালতে ন্যায় বিচারের আশা নেই। হয় মারো, না হয় মরো, জগতে আমাদের ভরসা ঝাড়-ফুঁক, তাগা-তাবিজ, জরিবুটি আর পুরোহিতের ভুল উচ্চারণে সংস্কৃত মন্ত্র।
দীপাবলি এল অন্ধকারের নামাবলি গায়ে। বাইরে দীপ জ্বালানো তেমন কঠিন কাজ নয়, অথচ এই উৎসবের, এই পূজোর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য ছিল অন্তরের দীপ জ্বালানো। সে যে বড় কঠিন কাজ! সাধক চাই, সাধনা চাই। এ দেশে তো সব সাধনার ইতি হয়ে গেছে। বেঁচে আছে শব-সাধনা। জেগে আছে শ্মশান। আশার আলো ছড়াচ্ছে চিতার আগুন। সাধনার ধারা পালটেছে। সাধকদের গোত্র বদলেছে। সমাজ এখন সহজিয়াদের হাতে। গঠনের শক্তিও শক্তি, ভাঙনের শক্তিও শক্তি। চতুর্দিকে চলেছে সোল্লাস চিৎকার—উড়িয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও। কয়েক লাখ টাকা, কয়েক শো মানুষ সহজেই উড়িয়ে দিতে পারে, হা-অন্ন কয়েক লাখ মানুষের উদাস চোখের সামনে।
একালের সব বারোয়ারি পুজোই প্রচ্ছন্ন ব্ল্যাকমেল আর সংখ্যাগরিষ্ঠের ওপর কিছু সংখ্যক স্থানীয় সংখ্যালঘিষ্ঠের নিগ্রহ। যাঁরা ক্ষমতায় বসে আছেন, যাঁরা ব্যাবসার নামে দু-নম্বরি কারবারে কালো টাকা লুটছেন, তাঁরা কর্মচারীদের কাঁচকলা দেখাতে পারেন, আইনের সাপ আর বাঘের মুখে চুমু খেতে পারেন, বিশাল ইমারতের সর্বোচ্চ কোঠায় ঐশ্বর্যের নিজস্ব জগতে পরিবারকে আগলে রাখতে পারেন, পারেন না স্থানীয় উগ্রযুবকদের ঘাড়ের দিকে এগিয়ে আসা হাত ঠেকাতে। ধর্মের সঙ্গে রাজনীতির যোগ হয় এই একটি সময়ে। সেকালে রঘু ডাকাত বিশু ডাকাত, ডাকাত-কালীর পুজো চড়িয়ে গৃহস্থের ভান্ডার সাফ করতে বেরত। একালের রাজনীতির কেষ্টবিষ্টুরা পাল্লা দিয়ে মহামায়ার পুজো করেন। ধনপতি, শিল্পপতি সারা বছরের রক্ষাকবচ খোঁজেন মোটা অঙ্কের চাঁদা গুণে। তাঁরা জানেন, এ পুজো মায়ের নয়, পুরোহিতের। বিশাল অঙ্কের এই সব তামাশার ঘাটতি পূরণের জন্যে আছে মধ্যবিত্ত মূষিকের দল। যারা প্রতি মুহূর্তে লক্ষ রকম ভয়ে বিকারের রুগির মতো কাঁপছে। যারা জানালার ঝিল্লি ফাঁক করে সামনের রাস্তায় মানুষের হাতে মানুষের নৃশংস হত্যাকান্ড দেখে, আর ফিসফিস করে নিজের স্ত্রীকে বলে, খোকা বাড়ি আছে তো? যাদের জীবনধারণের মূল নীতি হল, নিজে ভালো খাব, ভালো পরব। নিজের পরিবারের সমৃদ্ধি সাধন করব। সমাজে বাস করব কিন্তু দূরে সরে থাকব চার দেয়ালের নিরাপত্তায়। ওরা এদের চেনে। জানে, বাকসর্বস্ব এই সব সুবিধাবাদীদের কীভাবে দোহন করতে হয়!
যে সমাজের সব মানুষই একঘরে, যে সমাজে মানুষে মানুষে সম্পর্ক হল দেঁতো হাসির, আর কী রকম আছ, কেমন আছ—সে সমাজে পুজো, পার্বণ, উৎসব কিন্তু প্রাণের যোগ থাকবে না। জীব-বিজ্ঞানীরা কারণ জানেন, কেন ইলিশ এত তৈলাক্ত আর সুস্বাদু। গঙ্গার ভাসমান মৃতদেহ ইলিশের ঝাঁক আটকে থাকে। ভাসতে-ভাসতে, খেতে খেতে, ক্রমশই তৈলাক্ত হতে-হতে একদিন জালে গিয়ে আটকায়। মৃত সমাজের আষ্টেপৃষ্ঠে মেদলোভী মানুষ ইলিশ ক্রমশই তৈলাক্ত, রূপালি হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে এরা খাদক হলেও আর এক জীবের খাদ্য, সেই খাদক প্রাণীটির নাম রাক্ষুসে রাজনীতি।
গ্রামের পর গ্রাম অন্ধকার। ফসলের ক্ষেতে দলীয় কাকতাড়ুয়া। জলাধার ফেটে হয় বন্যা, না হয় জলাধার শুকিয়ে খরা। সামান্য অর্থ-প্রাপ্তির আশায় দালালের নির্দেশে গ্রামের মানুষ শহরে রাজনীতির মিছিলে ভাড়া করা আন্দোলনকারী। পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে রাজনীতির বাস্তুঘুঘু। কাশের বনে হাঁসুলি হাতে ঘাতক। বাতাসের শব্দে মিশছে নিশীথ রাতে মানুষের মৃত্যুচিৎকার। স্ত্রীর পাশে শুয়ে থাকা স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা। সেই গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ ফসলের উৎসব, প্রাচুর্যের উৎসব, দীপমালায় পল্লি সজ্জার উৎসব, অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মীকে বরণ করে নেবার উৎসব নিরানন্দ গ্রাম ছেড়ে শহরে কোণঠাসা। শহরের ধর্মই হল আত্মাকে মেরে ফেলে বহিরঙ্গকে কদর্য করে তোলা। দরিদ্রের ঘরে স্বাধীন সরকার টেমি জ্বালাবার কেরোসিনটুকুও দিতে পারেননি। দু-বেলা ভরপেট আহার জোতদারী বিলাস। আলো আর প্রাচুর্যের উৎসব সরে এসেছে শহরে। স্বল্পবিত্তের শ্যাওলাধরা ছাদের আলসেতে কাঁপা-কাঁপা বাতি। দীপাবলি আর প্রদীপে সাজে না। সেন্টিমিটার মাপের মোমবাতি যন্ত্র-যুগের সহজ আলোকবর্তিকা। যত না জ্বলে, তার চেয়ে বেশি চমকায়। পয়সাওয়ালার কার্নিসে ঝোলে বিদ্যুৎ মালা। চিনে লণ্ঠনের রকমারি বাহার। নীচের ফুটপাতে ছেঁড়া চটের আবরণীর তলায় গ্রামের মেয়ে শহরের ঝি হয়ে শিশুর মুখে গুঁজে দিচ্ছে শীর্ণ স্তন। পাঁচতলার ছাদে শিল্পপতির দামড়া ছেলে বাতির আগুনে কালো টাকা পোড়াচ্ছে। পার্কের চৌতারায় চাঁদার টাকায় লাখ-মারা প্যান্ডেল উঠেছে সারনাথের বুদ্ধ মন্দিরের ধাঁচে। অন্তরালে শ্যামা মা বিদ্যুতের কেরামতিতে দৃশ্য আর অদৃশ্য হচ্ছেন। মায়ের ভক্তরা শাস্ত্রের বিধানে পরের পয়সায় অমৃত পান করে কচি ছাগের মহাপ্রসাদ-লোভে শাস্ত্রসম্মত আর একটি মকার খুঁজছে।
তন্ত্র আমাদের পঞ্চ-ম-কারের পথে শক্তির সন্ধানী হতে বলেছেন। মদ্য, মাংস, মৎস্য, মৈথুন, মুদ্রা। কালী তাই একালের শক্তিসাধকদের এত প্রিয়। মা দুর্গা অসুর নিধন করেন তাই অসুর-সমাজে মা-কালীর মতো ততটা প্রিয় নন। শ্যামা অনেক নির্ঝঞ্ঝাট পরিবারশূন্য দেবী। শ্মশানবাসিনী। তাঁর অনুচরেরা হলেন ডাকিনী, যোগিনী, ভূত, প্রেত। দেশ যত শ্মশানের মতো হয়ে উঠবে, অনুচর অসুররা সংখ্যায় যত বাড়বে, মায়ের পূজো তত অসুর-প্রিয় হবে।
পারিবারিক পুজোয় শ্যামা-মা ভীতির দেবী। পুজোর সামান্য ত্রুটিতে বংশ নির্বংশ হয়ে যেতে পারে। বারোয়ারি পুজোয় মা উল্লাসের দেবী। ঘন ঘন বোমা বিষ্ফোরণ, বিদ্যুৎ সংকটেও আলোক-মালা ভূষিত। হাটে, ঘাটে, মাঠে, ময়দানে, নর্দমার পাশে পার্কের কোণে বড় ছোট মূর্তি। সপ্তমী, নবমী, দশমীর বালাই নেই। ইচ্ছে করলে একমাসও ফেলে রাখা যায়। এই বেকার সমস্যার যুগে কিছুদিনের জন্যে মায়ের কৃপায় সাকার হওয়া যায়। প্যান্ডেলে অনেক চিড়িয়া আসে, দেখেও সুখ। কর্মকর্তাদের বেশ একটা নেতা-নেতা ভাব। যেন বিরাট একটা কিছু করে ফেলেছে। এমন কিছু, যাতে দেশ জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে। উৎপাদন বেড়ে যাবে, দারিদ্র্য ঘুচে যাবে, জীবিকাহীন জীবিকা পাবে, বিদ্যুৎ সংকটের সুরাহা হবে, হাসপাতালে স্বর্গ-রাজ্য নেমে আসবে, ফুটপাথের সব মানুষ অট্টালিকায় গিয়ে উঠবে।
বড়লোক আলোর মালা সাজায়। আকাশে ক্ষণে-ক্ষণে চমকায় তারাবাজি। টাকা ওড়ে। খানা পিনার আসর বসে। হাজার-হাজার নিরন্ন মানুষ হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। বিসর্জনের অছিলায় অসভ্যতা আর বেলেল্লাপনায় দেশ ভেঙে পড়ে। সাধারণ মানুষ অবাক হয়ে দ্যাখে, রাজনীতি, নীতিহীনতা হানাহানির কীট-দষ্ট পচা-গলা দেশে ঢোল-সহরত করে নেচে-নেচে চলেছে অন্ত:সারশূন্য মানুষের খোলস। জলুস চলেছে শ্মশানের ওপর দিয়ে। বিবেকসম্পন্ন মানুষ ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেয়। ভূতের মতো আর কতদিন ভালো লাগে। যে উৎসব সকলকে শামিল করে নিতে পারে না, সে উৎসব এক ধরনের নিপীড়ন।
দু:খ করার কিছু নেই। এই আমাদের চিরকালের দেশ। এ দেশের মানুষ বড় অসৎ। বোধ-বুদ্ধি শূন্য, স্বার্থপর, অহংকারী, আত্মম্ভর। বড়-বড় পুজোর উদগাতা ছিলেন সে-যুগের রাজা-মহারাজা আর কোম্পানির অর্থ-পুষ্ট বেনিয়ানরা। সব আয়োজনই ছিল নিজেদের ঐশ্বর্যের জাহির, বিদেশিদের সন্তুষ্ট করে আখের গোছাবার একটা উপলক্ষ্য! মাথার ওপর ঝাড়-লণ্ঠন। নীচে দামি কার্পেট। নেচে চলেছে হিন্দুস্তানের সেরা দুই বাঈ—নিকি আর আসরুন। কোম্পানির পদস্থ সায়েবরা এসেছেন পুজো নয়, তামাশা দেখতে। শেরি আর শ্যাম্পেনের বোতল ফাটছে, কাটলিশ আর ফ্রাই উড়ছে জোড়া-জোড়া। পঞ্চাশ মন চালের ভাত বিশাল কাঁসার থালায় সাজিয়ে মা দুর্গাকে নিবেদন করতেন জনৈক বিত্তশালী মানুষ।
একালের ‘বারোয়ারি’ সেই পূর্বের ধারাই অনুসরণ করে চলেছে। ধর্ম নয়, ভক্তি নয়, হুল্লোড়, মজা। সেকালেও গলায় গামছা দিয়ে চাঁদা আদায় করা হত। একালে আর একটু বেশি, ছোরা-ছুরি; বোমার খেলা চলে। পথ অবরোধ করে আটকানো হয়। পুলিশ দফতর হুমকি ছাড়ে, চাঁদার জুলুম হলে আমরা আছি। কে যে কোথায় আছে জানা নেই। দেওয়ালির বড় আনন্দ হল আওয়াজ। লাখ লাখ বোমার শব্দে কুকুর কাঁপছে, রোগী আর্তনাদ করছে, পথচারী আহত হয়ে হাসপাতালে ছুটছে। যত দিন যাচ্ছে উৎপাত ততই বেড়ে চলেছে। মানুষের সংযমের ভালভটি অকেজো হয়ে গেছে। বিদেশিরা আমাদের দেখে হাসে। আমরা হাসি আমাদের নিয়ে। কেবল একটি প্রশ্ন বারে-বারে নিজেকেই করি : শাস্ত্র বলছেন, আহার নিদ্রা ভয় মৈথুনঞ্চ। সামান্য মেতৎ পশুভির্নরাণাং।। ধর্ম্মে হি তেষামধিকো বিশেষো। ধর্ম্মেন হীনা: পশুভির্নরানাং আহার, নিদ্রা, ভয়, মৈথুন পশুরও আছে, মানুষেরও আছে, তা হলে মানুষ আর পশুতে কী তফাৎ রইল। তফাৎ হল ধর্মের। বহু যুগ ধরে অনেক ধর্ম তো হল। অসংখ্য মন্দির। তেত্রিশ কোটি দেব-দেবীর আরাধনা, নাম-সংকীর্তন। তবে মানুষের আজ এ হাল কেন? প্রায় পশুর মতো অবস্থা। সারা দেশ জুড়ে ছুঁচোর কীর্তন। বুদ্ধু কা দেশমে ধুর্তুকা রাজ। তার মানে ধর্ম লোপ পেয়েছে। রোশনাই, ব্যান্ড, ব্যাগপাইপ, বোমা, তারাবাজি, আলোর মালা, বক্তৃতা, পরিকল্পনা, এদিকে ধর্মহীন মানুষের তিনটি মাত্র কর্ম : আহার (যদি জোটে), নিদ্রা (যদি আসে), মৈথুন (কেউ ঠেকাতে পারবে না)।