বাগবাজারের নন্দলাল বসু ও পশুপতিনাথ বসু
এই দুই সম্ভ্রান্ত জমিদার দশরথ বসুর ২৪তম অধস্তন পুরুষ। এঁরা কলকাতার শ্যামাবাজার এলাকার কাঁটা পুকুর পল্লীর বিশিষ্ট বসু পরিবারের কর্তা জগৎচন্দ্র বসুর পৌত্র এবং মাধবচন্দ্র বসুর পুত্র। মাধবচন্দ্র বসুর বিবাহ হয় ২৪ পরগণা জেলার বারাসতের জমিদার মিত্র পরিবারের রায় রামসুন্দর মিত্রের পৌত্রী এবং রায় নীলমণি মিত্রের কন্যার সঙ্গে। মাধবচন্দ্র অত্যন্ত ধার্মিক, সৎ ও সরল ছিলেন। তিন পুত্র মহেন্দ্ৰনাথ বসু, নন্দলাল বসু এবং পশুপতিনাথ বসুকে রেখে ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে মাধবচন্দ্র মারা যান। মহেন্দ্রনাথের দুর্জয় চেষ্টার ফলে বসু পরিবারের এই শাখাঁটি গয়া জেলার এক বিস্তীর্ণ জমিদারীর আয়ের অধিকারী হন। এই এস্টেটটি তাঁদের মাসীমার (?); তাঁর মৃত্যুতে তাঁর উত্তরাধিকারীরূপে এই সম্পত্তিটি পাবার কথা এই ভাইয়ের; বহু ঝঞ্ঝাট ও মামলার পর মহেন্দ্রনাথ এটি উদ্ধার করেন।
মহেন্দ্রনাথ বহু সদগুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি দয়ালু, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। সর্বপ্রকারে প্রতিবেশীদের উপকার করে তিনি আনন্দ পেতেন; টাকা-পয়সা দিয়ে, সৎ পরামর্শ দিয়ে বন্ধুদের তিনি সাহায্য করতেন; বন্ধুদের কেউ অসুখে পড়লে তিনি কখনও তার শয্যাপার্শ্ব ত্যাগ করতেন না। বহুমূত্র রোগের ফলে ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। এই বংশের বর্তমান কর্তা নন্দলাল ও পশুপতিনাথ বহুজনের কাছেই বুদ্ধিমান, দয়ালু ও ভদ্র ব্যক্তিরূপে পরিচিত।
নন্দলালবাবুর চারপুত্র; বিনোদবিহারী, বিপিনবিহারী, বঙ্কবিহারী ও বনবিহারী।