বাগবাজারের দেওয়ান দূর্গাচরণ মুখার্জীর পরিবারবর্গ
পর্যায়ক্রমে রাজশাহীর কালেক্টর মিঃ রৌস, মিন্ট মাস্টার মিঃ হ্যারিস এবং অফিস এজেন্ট মিঃ হ্যারিসনের অধীনে দেওয়ানের চাকরি করায় বাবু দুর্গাচরণকে লোকে দেওয়ান বলত। ধনসম্পদ তিনি অর্জন করেছিলেন প্রচুর কিন্তু তার অধিকাংশই তিনি খরচ করেছিলেন গঙ্গা তীরে একটি ঘাট নির্মাণে; এটি এখনও (১৮৮১) আছে; লোক মুখে এটির নাম ‘দূর্গাচরণ মুখার্জির ঘাট; আর ব্যয় করেছিলেন বাগবাজারে তাঁর নিজের বাড়িতে প্রতিদিন বহু বাঙাল ও অনাথ আতুরকে খাইয়ে– ‘কাঙালী ভোজনের’ নামে যেমন তেমন খাদ্য না দিয়ে, দিতেন ভাল ভাল বাঙালী ভোজ্য। তিনি কলকাতায় কিছু সম্পত্তি ও মেদিনীপুরের বৌরিতে একটি জমিদারী ক্রয় করেন। পরিণত বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি শিবচন্দ্র ও শম্ভুচন্দ্র মুখার্জি নামে দুই পুত্র রেখে যান। শিবচন্দ্র রেখে যান তাঁর একমাত্র কন্যাকে; তাঁর দৌহিত্র বাবু কালীপ্রসন্ন গাঙ্গুলী এখনও জীবিত আছেন। শম্ভুচন্দ্র রেখে যান ছয় পুত্র। তাঁদের মধ্যে জগৎচন্দ্র মুখার্জি ছিলেন সচ্চরিত্র, ধর্মপ্রাণ, সরল ও সাদাসিধা। তাঁর পাঁচ পুত্রের মধ্যে ধীরেন্দ্রনাথ ও বৃন্দাবনচন্দ্র জীবিত আছেন। এঁরা অমায়িক ও সজ্জন।