বাগবাজারের গোকুলচন্দ্র মিত্রের পরিবারবর্গ
বালী থেকে এসে কায়স্থ জাতীয় সীতারাম মিত্র কলকাতার বাগবাজারে বাস করতে থাকেন। সম্পত্তি বলতে সামান্য কিছু তিনি তাঁর পুত্র গোকুলচন্দ্রকে দিয়ে যেতে পেরেছিলেন। গোকুলচন্দ্র লবণের ব্যবসা করে বেশ সমৃদ্ধ হয়ে ওঠেন। ইনিই বিষ্ণুপুরের রাজা দামোদর সিংহের রাজপরিবারের মদনমোহন বিগ্রহ এক লক্ষ টাকায় বন্ধক রাখেন। জনশ্রুতি, এর ফলেই গোকুলচন্দ্রের অবস্থা ভাল হতে থাকে, আর বিষ্ণুপুরের রাজপরিবারের অবস্থা পড়তে থাকে। বিগ্রহটি পাবার পর গোকুলচন্দ্র বিৎপুরে একটি অতি চমৎকার মন্দির ও রাসমন্ডপ নির্মাণ করেন। বিগ্রহের ব্যয় নির্বাহ ও মন্দিরাদির সংরক্ষণের জন্য তিনি বর্ধমানের একটি জমিদারী উৎসর্গ করেন। বিভিন্ন হিন্দু পর্ব উপলক্ষে যে-সকল দরিদ্র তীর্থযাত্রী গঙ্গাস্নানের জন্য ওখানে আসেন তাঁদের থাকার জন্য মন্দির সংলগ্ন কয়েকটি কক্ষও তিনি নির্মাণ করিয়ে দেন। মদনমোহনের এস্টেটের আয় থেকে এই সকল তীর্থযাত্রীকে আহার্য দেবারও ব্যবস্থা আছে।
গোকুলচন্দ্রের সম্পত্তি বর্তমানে বহুভাগ উপভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এই বংশের বাবু যদুনাথ মিত্র বিশিষ্ট ভদ্রলোক ও সুপরিচিত ব্যক্তি।