বাগবাজারের গুহ বা সরকার পরিবার
(পূর্বনিবাস হুগলী জেলার সিংটি)
পরমেশ্বর গুহর পুত্র রামকান্ত ছিলেন হুগলী জেলার সিংটির সুপরিচিত জমিদার। এই পরিবারটি ইতিহাস হিসেবে দাবী করেন যে, রামকান্ত কোন মুসলমান শাসকের অধীনে চাকরি করতেন; চাকরি সূত্রে তিনি সরকার পদবী লাভ করেন, তখন থেকে এই কায়স্থ পরিবারটির পদবী সরকার।
রামকান্ত ব্রাহ্মণদের ব্রহ্মোত্তর ভূমিদান, জনহিতার্থে পুষ্করিণী খনন এবং সিংটিতে সিংহবাহিনী দেবীর মন্দির ও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর পাঁচ পুত্র, এঁদের জ্যেষ্ঠ গঙ্গানারায়ণ কলকাতায় চলে এসে বাগবাজারে বাস করতে থাকেন। তাঁর একমাত্র পুত্র শম্ভুচন্দ্র ছিলেন বাগবাজারের গোকুলচন্দ্র মিত্রের এস্টেটের ম্যানেজার। শম্ভুচন্দ্রের পুত্রদ্বয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ শ্যামাচরণ ছিলেন সরকারের সাবঅ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন। চাকুরিসূত্রে তাঁকে গয়া, কুচবিহার, পুরী, কটক প্রভৃতি স্থানে বদলী হতে হয়।
বহু সদ্গুণের অধিকারী ডাঃ শ্যামাচরণকে সরকার দ্বিতীয়বারের জন্য কুচবিহারে বদলী করেন; এই সময় কুচবিহারের মহারাজা তাঁকে অহলকার (অর্থাৎ ম্যাজিস্ট্রেট এবং িেজস্ট্রার অব ডীডস) নিয়োগ করেন। ২২ বছর সরকারি চাকরি করার পর কুচবিহারে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্র লোকনাথকে রেখে যান। শ্যামাচরণের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ভগবতীচরণের দুই পুত্রের মধ্যে কনিষ্ঠ যাদবকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করে এখন ভাল চিকিৎসা করছেন।