বহ্নিশিখা
মেলি শতদিকে শতলেলিহান রসনা জাগো বহ্নিশিখা স্বাহা দিগ্-বসনা! জাগো রুদ্রের ললাটের রক্ত-অনল, জাগো বজ্র-জ্বালা বিদ্যুৎ-ঝলমল! জাগো মহেন্দ্র-তপোভঙ্গের অভিশাপ, জাগো অনঙ্গ-দাহন নয়নের তাপ। জাগো ভাগীরথী-কূলে-কূলে চুল্লি-শ্মশান, জাগো অস্ত-গোধূলি-বেলা দিবা-অবসান! জাগো উদয়প্রাতের ঊষা রক্তশিখা, জাগো সূর্যের টিপ পরি জয়ন্তিকা! জাগো ক্রোধাগ্নি অবমানিতের বক্ষে, জাগো শোকাগ্নি নিরশ্রু রাঙা চক্ষে! জাগো নিশ্চুপ সয়ে-থাকা ধূমায়িত রোষ, জাগো বাণী-মূক কন্ঠে অশনি-নির্ঘোষ! জাগো খান্ডব-দাহন ভীমা দাহিকা, মরু বিদ্রুপ-হাসি জাগো হে মরীচিকা। জাগো বাড়ব-অনল জ্বলে, বনে দাবানল, জাগো অগ্নি-সিন্ধু-মন্থন হলাহল! জাগো বহ্নিরুপী তরু-শুষ্ক-জ্বালা, জাগো তরলিত অগ্নি গো সুরা-পেয়ালা। জাগো প্রতিশোধরূপে উৎপীড়িত বুকে, নামো স্বর্গে অভিশাপ উল্কা-মুখে! এসো ধূমকেতু-ঝাঁটা হাতে ধূমাবতী, এসো ভস্মের টিপ পরি অশ্রুমতী, জাগো আলো হয়ে রবি-শশী-তারকা-চাঁদে, এসো অনুরাগ-রাঙা হয়ে নয়ন-ফাঁদে। জাগো কন্টকে জ্বালা হয়ে, নাগ-মুখে বিষ, এসো আলেয়ার আলো হয়ে, নিশি-ডাক শিস্। এসো ক্ষুধা হয়ে নিরন্ন রিক্ত ঘরে, লুটো লক্ষ্মীর ভান্ডার হাহাস্বরে জাগো ভীমা-ভয়ংকরী উন্মাদিনী, রাঙা দীপক আগুন সুরে বীণাবাদিনী!