বলাই দেবশর্মা-কে
হুগলি,
৩১ শ্রাবণ, ১৩৩২
শ্রীচরণেষু,
বলাইদা! আবার তুমি ‘শক্তি’র১ হাল ধরে ভয়ের সাগরে পাড়ি দিলে দেখে উল্লসিত হয়ে উঠলাম। ‘ধূমকেতু’তে চড়ে আমার আর একবার বাংলার পিলে চমকে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল।২ কিন্তু গোবরমন্ত (সরকার) সাহেব পেছনে ভীষণ লেগেছে। কোনো ক্রমেই একে উঠতে দেবে না। তাই ‘বারো বাড়ি তেরো খামার যে বাড়ি যাই সেই বাড়িই আমার’ নীতির অনুসরণ করে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বাংলার আবহাওয়া বড্ড বেশি ভেপসে উঠেছে এবং তাতে অনেক না-দেখা জীবের উদ্ভব হয়েছে। এখন একজন শক্ত বেটাছেলের দরকার – যে কোদাল হাতে এগুলোকে সাফ করবে। লাভ-লোভকে এড়িয়ে চলার অসম-সাহসিকতা নিয়ে তবে এতে নামতে হবে। যাক, তুমি যখন নেমেছ, তখন কিছু একটা হবে বলে জোর আশা করছি। দেখো দাদা তুমিও শেষে ভেস্তে যেয়ো না। এ ধূমকেতু-ল্যাজাও পেছনে রইল ; নুড়ো জ্বালাবার আগুনের জন্য যখনই দরকার হবে চেয়ে পাঠিয়ো। আর একটি কথা দাদা, মহাত্মা হওয়ার লোভ কোরো না।… ইতি –
তোমার স্নেহধন্য
নজরুল