বনমানুষ

বনমানুষ

আদা বাঁড়ুয্যের কন্যা নেড়ীকে লইয়া কাঁচকলা গাঙ্গুলীর পুত্র বদাই অন্তর্হিত হইবার পর শহরে যে ঢি ঢি পড়িয়া গিয়াছিল, তাহা অনেকটা ঠাণ্ডা হইয়া আসিয়াছে। ইতিমধ্যে বাঁড়ুয্যে শনিবার রাত্রির ট্রেনে বর্ধমান গিয়া চুপি চুপি মেয়ে-জামাইকে দেখিয়া আসিয়াছেন। পনেরো শত টাকাও বদাইয়ের হস্তগত হইয়াছে।

বদাই যে নেড়ীকে বিবাহ করিয়াছে, একথাটাও কেমন করিয়া শহরে জানাজানি হইয়া গিয়াছে। বাঁড়ুয্যেকে এ বিষয়ে কেহ প্রশ্ন করিলে তিনি সক্রোধে হাত-মুখ নাড়িয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে নেই, মরে গেছে।’ মনে মনে বলেন— ‘ষাট্‌! ষাট্‌!’

গাঙ্গুলীকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন, ‘বদাইকে আমি ত্যাজ্যপুত্র করেছি। হোক একমাত্র ছেলে, তবু ওর মুখ দেখব না।’

ডাক-গাড়ির ডাকাতির অবশ্য কিনারা হয় নাই।

গভীর রাত্রে বাঁড়ুয্যের সদর দরজা ভেজানো ছিল, গাঙ্গুলী নিঃশব্দে প্রবেশ করিলেন।

বাঁড়ুয্যে তক্তপোশে বসিয়া হুঁকা টানিতেছিলেন, হুঁকাটি বেহাইয়ের হাতে দিলেন। গাঙ্গুলী সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘তারপর বেহাই, কেমন দেখলে?’

বাঁড়ুয্যের ভগ্নদন্ত মুখে বিগলিত হাসি ফুটিয়া উঠিল, তিনি মুখ চোখাইয়া বলিলেন, ‘দিব্যি মানিয়েছে ছোঁড়া-ছুঁড়িকে— ঠিক যেন হর-পার্বতী।’

গাঙ্গুলী বলিলেন, ‘আমারও দেখবার জন্যে মনটা হাঁচোড়-পাঁচোড় করছে— ’

বাঁড়ুয্যে বলিলেন, ‘এখন নয়। এখন তুমি দোকান বন্ধ করলে লোকের সন্দেহ হতে পারে। আর দু’দিন যাক।’

‘হুঁ’— গাঙ্গুলী হুঁকায় অধর সংযোগ করিয়া টান দিলেন— ‘আর কিছু খবর আছে নাকি?’

‘খবর আর কি! তবে দেড় হাজার টাকায় কুলাবে না। জাঁকিয়ে দোকান করতে হলে আরও হাজার দুই টাকা চাই। তা ছাড়া সংসার খরচও আছে, বলতে নেই ওরা এখন সংসারী হল।— ’

গাঙ্গুলী বলিলেন, ‘তা তো বুঝেছি; কিন্তু দু’হাজার টাকা পাই কোথায়? তুমি একটা মতলব বার করো না দাদা’ বলিয়া হুঁকাটি আবার বাঁড়ুয্যের হাতে ধরাইয়া দিলেন।

কিছুক্ষণ বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিয়া বাঁড়ুয্যে মুখ তুলিলেন, ‘শহরে একটা সার্কাস এসেছে না?’

গাঙ্গুলী বলিলেন, ‘হ্যাঁ, শহরের ছোঁড়ারা মেতে উঠেছে। দুটো বাঘ, তিনটে সাইকেল-চড়া মেয়ে, একটা বনমানুষ— ’

‘বনমানুষ?’

‘হ্যাঁ, প্রকাণ্ড বনমানুষ। দেখলে ভয় করে।’

বাঁড়ুয্যে আবার বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিতে লাগিলেন।

সার্কাসের দল ছেলেদের ফুটবল খেলার মাঠের একপাশে তাঁবু ফেলিয়াছে। তাঁবুর পিছনে জন্তু-জানোয়ারের আস্তানা। একটা ক্যাঙারু, কয়েকটি বানর, দুটি লোম-ওঠা বাঘ এবং একটি বনমানুষ। বনমানুষটিই আসল দ্রষ্টব্য জীব। ভয়ঙ্কর চেহারা, মানুষের সহিত সাদৃশ্যই যেন তাহার চেহারাটাকে আরও ভয়াবহ করিয়া তুলিয়াছে।

জন্তু-জানোয়ার দেখিবার জন্য ছেলেদের ভিড় তো অষ্টপ্রহর লাগিয়াই থাকে, বুড়োরাও বাদ যান না। আদা বাঁড়ুয্যে সকালে আপিস যাওয়ার মুখে একবার উঁকি মারিয়া যান। বনমানুষের খাঁচার মধ্যে দুই-চারিটা ছোলাভাজা ফেলিয়া দেন। ছোকরাদের লক্ষ্য করিয়া বলেন, ‘নাম যদিও বনমানুষ, তবু শহরেই থাকে এরা। মানুষের পূর্বপুরুষ— হুঃ! পূর্বপুরুষ হতে যাবে কোন্‌ দুঃখে? মাসতুতো ভাই। চেহারার আদল দেখে চিনতে পারছ না?’

ছেলেরা শ্লেষ উপভোগ করে। বনমানুষ ছোলাভাজা খুঁটিয়া খাইতে খাইতে গভীর ভ্রূকুটি করিয়া তাকায়।

অপরাহ্ণে আসেন কাঁচকলা গাঙ্গুলী। ক্যাঙারুর সম্মুখে দাঁড়াইয়া ছেলেদের ডাকেন, ‘ওহে দ্যাখো দ্যাখো, ভাবছ এটা ক্যাঙারু, অস্ট্রেলিয়ার জন্তু? মোটেই তা নয়। আমার পাশের বাড়িতে থাকত, সার্কাসওয়ালারা ধরে এনে রেখেছে।’

সার্কাস বেশ চলিতেছে, ছেলেবুড়ো সকলেই খুশি। তারপর হঠাৎ একদা রাত্রিকালে এক ব্যাপার ঘটিল। বনমানুষ খাঁচার তালা ভাঙিয়া অদৃশ্য হইয়া গেল।

পরদিন সকালবেলা গাঙ্গুলীর দোকানের সামনে আড্ডা জমিয়াছিল। বনমানুষ পালানোর গল্পই হইতেছিল; বনমানুষটা একেবারে নিখোঁজ হইয়া গিয়াছে, কোথাও তাহাকে পাওয়া যাইতেছে না।

বনমানুষ নিশ্চয়ই বনে গিয়াছে, আলোচনা এই পর্যন্ত পৌঁছিয়াছে, এমন সময় পল্টু ছুটিতে ছুটিতে আসিয়া আড্ডাধারীদের মাঝখানে বসিয়া পড়িল।

সবাই প্রশ্ন করিল, ‘কি রে! কি রে পল্টু, কি হয়েছে?’

পল্টু হাঁপাইতে হাঁপাইতে বলিল, ‘বনমানুষ!’

‘কোথায়! কোথায়! তুই দেখেছিস?’

পল্টুর বয়স পনেরো-ষোলো, একটু ন্যালা-ক্যাবলা গোছের। সে বলিল, ‘আমার ময়নার জন্যে ফড়িং ধরতে বনের ধারে গিয়েছিলুম। ওরে বাবা, হঠাৎ আওয়াজ হল— গাঁক! ওরে বাবা, ছুট্টে পালিয়ে আসছিলুম, একটা কুলগাছের ঝোপের আড়াল থেকে বনমানুষটা আমাকে খিম্‌ছে নিলে। এই দ্যাখো।’

সকলে দেখিল পল্টুর নিতম্বের কাপড় ছিঁড়িয়া গিয়াছে এবং ভিতরে চামড়ার উপর কয়েকটি রক্তমুখী আঁচড়ের দাগ রহিয়াছে। আঁচড়গুলি বনমানুষের নখের আঁচড় হইতে পারে, আবার কুলকাঁটার আঁচড় হওয়াও অসম্ভব নয়।

কিন্তু সূক্ষ্ম বিচার করিবার মতো মনের অবস্থা কাহারও ছিল না, দেখিতে দেখিতে গাঙ্গুলীর দোকান শূন্য হইয়া গেল। গাঙ্গুলীও অসময়ে দোকান বন্ধ করিয়া গৃহাভিমুখে যাত্রা করিলেন।

অল্পকাল মধ্যে শহরময় রাষ্ট্র হইয়া গেল, বনমানুষ পল্টুকে আঁচড়াইয়া কামড়াইয়া এমন অবস্থা করিয়াছে যে, পল্টুর প্রাণের আশা নাই। দিনে-দুপুরে শহর থম্‌থমে হইয়া গেল; রাস্তায় লোক চলাচল নাই, দোকানপাট বন্ধ। যাহাদের নিতান্তই কাজের দায়ে পথে বাহির হইতে হইয়াছে, তাহারা লাঠি-সোঁটা লইয়া ভয়চকিত নেত্রে এদিক-ওদিক চাহিতে চাহিতে চলিয়াছে। যাহাদের ঘরে বন্দুক আছে, তাহারা দ্বার বন্ধ করিয়া বন্দুকে তেল মাখাইতে লাগিল।

সার্কাস ম্যানেজারের থানায় তলব হইয়াছে, দারোগা তাঁহাকে ধমকাইতেছেন, ‘আপনার দোষ, বনমানুষ পালায় কেন? মনে রাখবেন, যদি কারুর অনিষ্ট হয়, আপনার হাতে হাতকড়া পড়বে।’

সার্কাস ম্যানেজার মিনতি করিয়া বলিলেন, ‘হুজুর, আমার রামকানাই নিরীহ ভালমানুষ, মুখ তুলে কারুর পানে তাকায় না— ’

‘রামকানাই কে?’

‘আজ্ঞে আমার বনমানুষের নাম রামকানাই।’

‘বটে! খাসা রামকানাই আপনার। খবর পেলাম, পল্টু বলে একটি স্কুলের ছেলেকে কামড়ে দিয়েছে।’

‘আজ্ঞে হতেই পারে না। রামকানাই বেহদ্দ ভীতু। স্কুলের ছেলে দেখলেই কেঁদে ফ্যালে। ওরা ওকে ভারি বিরক্ত করে কিনা।’

‘তা সে যাই হোক, চারিদিকে তল্লাশ করুন। হয়তো বনের মধ্যে ঢুকেছে। আজই ধরা চাই।’

সার্কাস ম্যানেজার নিজের দলবল লইয়া জঙ্গল তোলপাড় করিয়া ফেলিলেন, কিন্তু রামকানাইকে পাওয়া গেল না। সন্ধ্যার সময় ম্যানেজার ঢেঁট্‌রা পিটাইয়া পুরস্কার ঘোষণা করিলেন— যে কেহ রামকানাইয়ের খবর আনিতে পারিবে সে পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার পাইবে।

সকলে বদ্ধ দ্বারের আড়াল হইতে ঢেঁট্‌রা শুনিল, কিন্তু এই ভর সন্ধ্যাবেলা পঞ্চাশ টাকার লোভেও কেহ ঘর হইতে বাহির হইল না।

রামকানাই তখন আদা বাঁড়ুয্যের বাড়ির পিছনদিকে একটা এঁদোপড়া ঘরের মধ্যে বসিয়া পরম তৃপ্তির সহিত চিনাবাদাম ভাজা খাইতেছিল।

মিহিলাল নামক এক হিন্দুস্থানী স্যাকরা বাজারে দোকান করিত। সামান্য দোকান, রূপার কাজই বেশি। কিন্তু নিশুতি রাত্রে তাহার কাছে লোক আসিত, সোনার গহনা নামমাত্র দামে বিক্রিয় করিয়া যাইত; মিহিলাল তৎক্ষণাৎ গহনা গলাইয়া সোনা করিয়া ফেলিত।

সে-রাত্রে মিহিলাল দ্বার বন্ধ করিয়া ঘুমাইতেছিল। খিড়কির দরজায় খুট্‌খুট্‌ শব্দ শুনিয়া ঘুম-চোখে উঠিয়া দরজা খুলিল। তারপর ‘বাপ রে!’ বলিয়া একটি চিৎকার ছাড়িয়া সদর দরজা খুলিয়া ঊর্ধ্বশ্বাসে পলায়ন করিল। খিড়কির দরজার সামনে দাঁড়াইয়া ছিল বিপুলকায় রামকানাই। রামকানাইয়ের পিছনে কেহ ছিল কি না তাহা মিহিলাল দেখিবার অবসর পাইল না।

সকাল হইলে মিহিলাল কঁপিতে কাঁপিতে ফিরিয়া আসিল। দেখিল বনমানুষ তাহার দোকান তচ্‌নচ্ করিয়া গিয়াছে; বিশেষত যে-ঘরে তাহার রান্নার হাঁড়িকুড়ি থাকিত সে ঘরের অবস্থা শোচনীয়। একটিও হাঁড়ি আস্ত নাই, চাল ডাল তেল ঘি আনাজ চারিদিকে ছড়ানো। তাহার মাঝে মাঝে বনমানুষের পায়ের দাগ।

একটি হাঁড়িতে মসুর ডালের নীচে ষাট ভরি সোনা লুকানো ছিল, সোনা নাই।—

মিহিলাল পুলিসে খবর দিল না! চোরের মায়ের কান্না কেহ শুনিতে পায় না। ব্যথিত চিত্তে ঘর-দুয়ার পরিষ্কার করিতে করিতে সে ভাবিতে লাগিল— এ কি তাজ্জব ব্যাপার! বনমানুষও সোনা চেনে!

আশেপাশের দোকানদারেরা অবশ্য জানিতে পারিল, কাল রাত্রে মিহিলালের দোকানে বনমানুষ আসিয়াছিল; কিন্তু সোনার কথা কেহ জানিল না। মিহিলাল কিল খাইয়া বেবাক কিল চুরি করিল।

সার্কাস ম্যানেজার পুরস্কারের মাত্রা বাড়াইয়া দিলেন। যে-ব্যক্তি রামকানাইয়ের সন্ধান দিতে পারিবে সে একশত টাকা পুরস্কার পাইবে। কিন্তু তবু রামকানাইকে খুঁজিয়া বাহির করিবার ব্যগ্রতা কাহারও দেখা গেল না। মিহিলালের দোকানের খবরটা পল্লবিত হইয়া শহরে রাষ্ট্র হইয়াছিল। মিহিলাল আর বাঁচিয়া নাই, বনমানুষ তাহাকে ঘাড় মট্‌কাইয়াছে।

বিকেলবেলা সার্কাস ম্যানেজার থানায় বসিয়া দারোগার ধমক খাইতেছিলেন এবং কাঁদো কাঁদো মুখে রামকানাইয়ের ধর্মনিষ্ঠ চরিত্রের গুণগান করিতেছিলেন এমন সময় কাঁচকলা গাঙ্গুলী হন্তদন্ত হইয়া আসিয়া উপস্থিত হইলেন— ‘দারোগাবাবু, বনমানুষের খবর পেয়েছি।’

ম্যানেজার লাফাইয়া উঠিলেন— ‘কৈ— কোথায়?’

গাঙ্গুলী একবার ম্যানেজারের দিকে চোখ ফিরাইয়া দারোগাকে বলিলেন, ‘একশ’টাকা পুরস্কার দেবার কথা, পাবো তো?’

ম্যানেজার একশত টাকার নোট পকেট হইতে বাহির করিয়া দারোগার সম্মুখে রাখিলেন— ‘হুজুর, এই টাকা আপনার কাছে জমা রইল, যদি রামকানাইকে পাওয়া যায় আপনিই এঁকে পুরস্কার দেবেন।’

দারোগা বলিলেন, ‘বেশ। গাঙ্গুলীমশায়, বনমানুষ কোথায় দেখলেন?’

গাঙ্গুলী বলিলেন, ‘আজ্ঞে বনের মধ্যে। আমার বাড়ির ছাদের ওপর থেকে দূরবীন লাগিয়ে দেখলাম একটা গাছের তলায় কম্বলের মতো পড়ে আছে। ভাল করে দেখি- বনমানুষ।’

ম্যানেজার বলিলেন, ‘চলুন চলুন। আহা, আমার রামকানাই দু’দিন না খেয়ে নির্জীব হয়ে পড়েছে— ’

দলবল সহ ম্যানেজার জঙ্গলে প্রবেশ করিলেন। নির্দিষ্ট গাছের উদগত শিকড়ে মাথা রাখিয়া রামকানাই নিদ্রাগত। তাহার নাক ডাকিতেছে।

আফিমের মাত্রা বোধ হয় একটু বেশি হইয়া গিয়াছিল। অনেক ঠেলাঠেলির পর রামকানাইয়ের ঘুম ভাঙিল। সে উঠিয়া হাই তুলিল, আঙুল মট্‌কাইল, তারপর ম্যানেজারের গলা জড়াইয়া মুখ চুম্বন করিল।

নৈশ বৈবাহিক-সম্মেলনে কাঁচকলা গাঙ্গুলী বলিলেন, ‘কেমন হল বেহাই?’

আদা বাঁড়ুয্যে বলিলেন, ‘খাসা হল। শাককে শাক তলায় মুলো। পুরস্কারের টাকাটা উপরি।’

গাঙ্গুলী বলিলেন, ‘এবার তাহলে বেরিয়ে পড়ি। বদাই আর নেড়ীকে দেখবার জন্যে মনটা ছট্‌ফট্‌ করছে। এখন গেলে কেউ সন্দেহ করবে না, ভাববে পুরস্কারের টাকায় কলকাতায় ফুর্তি করতে যাচ্ছি।’

‘হ্যাঁ। এবার দুর্গা বলে বেরিয়ে পড়। সোনা সঙ্গে নিয়ে যেও।’

‘নিশ্চয়। আচ্ছা বেহাই, মিহিলালের দোকানে যে সোনার তাল আছে এটা বুঝলে কি করে?’

বাঁড়ুয্যে বলিলেন, ‘শিকারী বেড়াল গোঁফ দেখলে চেনা যায়। মিহিলালের ওপর অনেকদিন থেকে নজর ছিল। ওর ঘরে বৌ আছে কিন্তু রাত্রে দোকানে শোয়। ব্যাটা ডুবে ডুবে জল খায়, বাইরে ছোট্ট দোকান করে রেখেছে, ভেতরে ভেতরে চোরাই মালের কারবার চালায়। ব্যাটা হর্তেল ঘুঘু।’

গাঙ্গুলী হাসিলেন, ‘তা ভালই হল, চুরির ধন বাটপাড়িতে গেল।’

আদা বাঁড়ুয্যেও কাঁচকলা গাঙ্গুলীর চোখে চোখ তুলিয়া মৃদুমন্দ হাসিলেন।

৯ কার্তিক ১৩৬০

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *