ফুল-কুঁড়ি
আর পারিনে সাধতে লো সই এক ফোঁটা এই ছুঁড়িকে। ফুটবে না যে ফোটাবে কে বলল সে ফুল-কুঁড়িকে। ঘোমটা-চাঁপা পারুল-কলি, বৃথাই তারে সাধল অলি পাশ দিয়ে হায় শ্বাস ফেলে যায় হুতাশ বাতাস ঢলি। আ মলো ছিঃ! ওর হল কী? সুতোর গুঁতো শ্রান্ত-শিথিল টানতে ও মন-ঘুড়িকে। আর শুনেছিস সই? ও লো হিমের চুমু হার মেনেছে এইটুকু আইবুড়িকে!! সন্ধে সকাল ছুঁয়ে কপাল রবির যাওয়া-আসাই সার, ব্যর্থ হল পথিক-কবির গভীর ভালোবাসার হার। জল ঢেলে যায় জংলা বধু, মৌমাছি দেয় কমলা মধু, শরম-চাদর খুলবে না সে আদর শুধু শুধু। কে জানে বোন পথভোলা কোন্ তরুণ-চোখের করুণ-চাওয়ায় চোখ ঠেরেছে ছুঁড়িকে – বসে আছে লো এইলজ্জাবতীর বধির বুকের সিংহ-আসন জুড়ি কে?