ফাতেহা-ই-দোয়াজ্-দহম্
[আবির্ভাব]
১ নাই তা জ তাই লা জ? ওরে মুসলিম, খর্জুর-শিষে তোরা সাজ! করে তসলিম হর কুর্নিশে শোর আওয়াজ শোন কোন মুজ্দা সে উচ্চারে হেরা আজ ধরা-মাঝ! উরজ-য়্যামেন নজ্দ হেজাজ তাহামা ইরাক শাম মেশের ওমান তিহারান স্মরি কাহার বিরাট নাম। পড়ে ‘সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাল্লাম। চলে আঞ্জাম দোলে তাঞ্জাম খোলে হুর-পরি মরি ফিরদৌসের হাম্মাম ! টলে কাঁখের কলসে কওসর ভর , হাতে আব-জমজম জাম । শোন দামাম কামান তামাম সামান নির্ঘোষি কার নাম পড়ে ‘সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাল্লানম।’ ২ মস্ তান ! ব্যস থাম্! দেখ মশ্গুল আজি শিস্তান-বোস্তান , তেগ গর্দানে ধরি দারোয়ান রোস্তাম । বাজে কাহারবা বাজা, গুলজার গুলশানগুলশান : পুষ্প-বাটিকা। গুলফাম ! দক্ষিণে দোলে আরবি দরিয়া খুশিতে সে বাগে-বাগ , পশ্চিমে নীলা‘লোহিতে’র খুন-জোশিতে রে লাগে আগ, মরু সাহারা গোবিতে সব্জার জাগে দাগ! নূরে কুর্শির পুরে ‘তূর’ -শির, দূরে ঘূর্ণির তালে সুর বুনে হুরি ফুর্তির, ঝুরে সুর্খির ঘন লালি উষ্ণীষে ইরানিদূরানি তুর্কির! আজ বেদুইন তার ছেড়ে দিয়ে ঘোড়া ছুড়ে ফেলে বল্লম পড়ে ‘সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাললাম।’ ৩ ‘সাবে ঈন’ তাবে ঈন হয়ে চিল্লায় জোর ‘ওই ওই নাবে দীন ! ভয়ে ভূমি চুমে ‘লাত্ মানাত’ -এর ওয়ারেশিন । রোয়ে ওয্যা-হোবলইবলিসখারেজিন , – কাঁপে জীন্ ! জেদ্দার পূবে মক্কা মদিনা চৌদিকে পর্বত, তারই মাঝে ‘কাবা’ আল্লার ঘর দুলে আজ হর ওক্ত্ , ঘন উথলে অদূরে ‘জম-জম’ শরবৎ! পানি কওসর, মণি জওহর আনি ‘জিবরাইল’ আজ হরদম দানে গওহর , টানি মালিক-উল-মৌতজিঞ্জির – বাঁধে মৃত্যুর দ্বার লৌহর। হানি বরষা সহসা ‘মিকাইল’ করে ঊষর আরবে ভিঙা , বাজে নব সৃষ্টির উল্লাসে ঘন ‘ইসরাফিল’ -এর শিঙা! ৪ জন্ জাল কঙ্ কাল ভেদি, ঘন জাল মেকি গণ্ডির পঞ্জার ছেদি, মরুভূতে একী শক্তির সঞ্চার! বেদি পঞ্জরে রণে সত্যের ডঙ্কার ওংকার! শঙ্কারে করি লঙ্কার পার কার ধনু-টংকার হুংকারে ওরে সাচ্চা-সরোদে শাশ্বত ঝংকার? ভূমা- নন্দে রে সব টুটেছে অহংকার! মর- মর্মরে নর- ধর্ম রে বড়ো কর্মরে দিল ইমানের জোর বর্ম রে, ভর্ দিল্ জান্ – পেয়ে শান্তি নিখিল ফিরদৌসের হর্ম্য রে! রণে তাই তো বিশ্ব-বয়তুল্লাতে মন্ত্র ও জয়নাদ – ‘ওয়ে মার্হাবা ওয়ে মার্হাবা এয়্ সর্ওয়ারে কায়েনাত !’ ৫ শর- ওয়ান দর্- ওয়ান আজি বান্দা যে ফেরউন শাদ্দাদ নমরুদ মারোয়ান ; তাজি বোর্রাক্ হাঁকে আশমানে পর্ওয়ান, – ও যে বিশ্বের চির সাচ্চারই বোর্হান – ‘কোর-আন’! ‘কোন্ জাদুমণি এলি ওরে’ – বলি রোয়ে মাতা আমিনায় খোদার হবিবে বুকে চাপি, আহা, বেঁচে আজ স্বামী নাই! দূরে আব্দুল্লার রুহ্ কাঁদে, “ওরে আমিনারে গমি নাই – দেখো সতী তব কোলে কোন্ চাঁদ, সব ভর-পুর ‘কমি’ নাই।’ ‘এয়্ ফর্ জন্দ’ – হায় হর্দম্ ধায় দাদা মোত্লেব কাঁদি, – গায়ে ধুলা কর্দম! ‘ভাই। কোথা তুই?’ বলি বাচ্চারে কোলে কাঁদিছে হাম্জা দুর্দম! ওই দিক্হারা দিক্পার হতে জোর-শোর আসে, ভাসে ‘কালাম’ – ‘এয় ‘শাম্সোজ্জোহা বদরোদ্দোজা কামারোজ্জমাঁ’ সালাম!’