প্রায়োপবেশন
যথাযথ বললে, প্রায়োপবেশনই বলতে হয়, সবদিক বিবেচনা করে।
সুতারকিন স্ট্রিটের কাজটা সেরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভির কফি-হাউসের মোড়টায় এসে খাড়া হয়েছি, থ্রি-বি বাস ধরে নিউ আলিপুর পাড়ায় আমার বোন পুতুলের বাড়ি যাব বলে—কিন্তু বাস ধরাই তো দায়। একটার পর একটা থ্রি-বি আসতে লাগল ঠাসবোঝাই হয়ে—আর পাশ কাটিয়ে চলে যেতে লাগল ফ্রিলি-পা বাড়াবার সাহসই হলো না। আধঘণ্টা ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে-টু-বি আবার নট টু-বি—এই দোনামোনার মধ্যেই। শেষটায় মরিয়া হয়ে ঠিক করলাম এরপর যে থ্রি-বি-ই আসুক, যতই না ভিড় থাক—উঠে পড়ব লাফ দিয়ে যে করেই হোক, না হয় প্রাণ হাতে করে ঝুলতে ঝুলতেই যাব নেহাত।
এলো একটা থ্রি-বি, তেমনিতরই ভর্তি, তবুও কোনগতিকে হ্যাণ্ডেল ধরে উঠে পড়লাম।
একতলা থ্রি-বি-গুলোর দুমুখো দরজা। মাথার দিকের মেয়েলি তরফের হাতলটা ধরে উঠতে যাচ্ছি, ল্যাজার দিকের দরজার মুখে যে মুষ্টিমেয় ব্যক্তি ঝুলছিলেন তাদের একজনা কাতর স্বরে চেঁচিয়ে উঠলেন—উঠবেন না, মশাই! উঠবেন না দোহাই।
ল্যাজার দিকে লোকটার কথায় ব্যাজার হতে হলো আমায় কেন মশাই, আমি তো এদিক দিয়ে উঠছি, আপনার তাতে কী হলো?
বলে ঠেলেঠুলে কোনোরকমে তো সেঁধিয়ে গেলাম ভেতরে। ঢুকতে না ঢুকতেই আওয়াজ পেলাম, ধপাস্! মুখ বাড়িয়ে দেখি অন্য দিকের দরজার সেই ঝুলন্ত লোকটি রাস্তার উপরে চিৎপাত হয়ে পড়েছেন। আমার দিকে কড়ানজরে তাকিয়ে ধরাশায়ী ভদ্রলোকটি বললেন—বারণ করলাম শুনলেন না, দেখলেন তো এখন কী হল!
সেই ঠাসবোঝাই বাসের এধার থেকে আমার ঠেলাতেই যে ওধার থেকে উনি বসে পড়েছেন সেটা বুঝতে আমি বেগ পাই না, কিন্তু তখন উদ্বেগ বোধ করার অবসর কই? ওঁর দিকে দেখব কি, এদিকে বাসের ভেতরেই আরেক দুর্ঘটনা! আমার এই অনুপ্রবেশের জন্যেই কিনা কে জানে, মেয়েদের গা ঘেঁষে যে ভদ্রলোক টায় টায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ঠায়, তিনিও ধপাস্ করে ভদ্রমহিলার কোলের ওপরে বসে পড়েছেন।
সঙ্গে সঙ্গেই জিভ কেটে তার উঠে পড়ার অবশ্যি দেরি হয়নি, কিন্তু ক্ষমা চাইবার আগেই মেয়েটি তাকে আশ্বস্ত করে বসবার অনুরোধ জানিয়েছে। না, তার কোলে নয়, পাশেই-এবং নিজেও একটুখানি ধার ঘেঁষে সরে বসেছেন তিনি।
ভেবেছিলাম উনিও রোষকষায়িত নেত্রে আমার প্রতি তাকিয়ে অভিযোগের কটাক্ষ হানবেন, কিন্তু না, বরং তিনি কৃতার্থের মতই একটু জড়সড় হয়ে বসলেন দেখলাম। এবং মনে হলো একটু সকৃতজ্ঞের মতই যেন চাইলেন আমার পানে।
কিন্তু খাপ্পা হয়ে উঠলেন আরেক ভদ্রলোক।
ইতর, অভদ্র, ছোটলোক কোথাকার! গর্জে উঠলেন তিনি।
আজ্ঞে, মাপ করবেন, আমার ঘাট হয়েছে। আমি বলতে যাই—কিছুটা কৈফিয়তের সুরেই বোধহয়।
না, আপনাকে না, বলছি ঐ লোকটাকেই। কেমনধারা মানুষ দেখুন তো! বলা নেই কওয়া নেই, ঝুপ করে একটা মেয়ের কোলে বসে পড়লো হঠাৎ! কী ঘঘারতর লোক…অপদার্থ।
ওঁর আর দোষ কী? টাল সামলাতে না পেরে… ভদ্রলোকের পক্ষ-সমর্থনে এগোই আমি–যার ভেতরে আমার নিজের সাফাইটাও উহ্য রয়েছিল।
টাল সামলাবার কী আছেটা মশাই? বাসের মধ্যে আবার টাল-বেটাল কী। মাথার ওপর রড ছিল না ওর? দু-হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে থাকতে কী হয়েছিল? তিনি বলতে থাকেন—অমনি বসে পড়লেই হলো এক ভদ্রমহিলার কোলে?
সবার কব্জির জোর কি সমান? এবার আমার হাত সাফাই। ত পিছলে মাথার রড ফসকেও তো যায় এক এক সময়।
রাখুন আপনি। নামি না আমি একবার। নামুক না লোকটা বাস থেকে, তারপর দেখিয়ে দেব লোকটাকে। মেয়েদের কোলে বসার মজাটা টের পাইয়ে দেব হাতে হাতে। কব্জির জোর কাকে বলে জানিয়ে দেব এক ঘুষিতে।
যার উদ্দেশে এত বাক্যবাণ, এমন তম্বি, তিনি কিন্তু স্থানুর ন্যায় নিথর নীরব। নিরাসক্ত। আমিও আর মাঝে পডে কথা না-বানিয়ে চুপ করে যাই।
ইস্টুপিট–রাস্কেল–রটন… আরো উগ্র হয়ে ওঠেন উনি তখন।
হটেনটট্…হনলুলু…হিপাপটেমাস! উগরে যান তার গরল একধার থেকে।
ওঁর আগেই তুমি এখানে বসলে কেন? বললেন এবার ভদ্রমহিলাটি : তাহলে তো উনি আর… তার বেশি তিনি এখোন না, কথাটা উহ্য রেখে দেন। মানে, তাহলে তো উনি ওঁর কোলে বসার সুযোগ না পেয়ে ঐ ভদ্রলোকের কোলেই বসতেন। এমনধারা কাণ্ড বাধতো না।
বসব কেন আমি? তুমি বললেই আমি বসব? মেয়েদের সীট না? মেয়েদের সীটে বসতে যাব কেন? একটি মেয়ে এলেই তো উঠে পড়তে হবে তক্ষুনি। কিন্তু আমি বসিনি বলেই ওঁর এমন কি এক্তিয়ার…পাজি, নচ্ছার, হতচ্ছাড়া! শূয়োর ভণ্ড! শুশুক কোথাকার!
উপবিষ্ট ব্যক্তিটি চুপ করে থাকেন। শুশুক শুনেও, (গালটা বলা বাহুল্য তেমন সুখকর নয়। তাঁর মুখভাবের কোনো বৈলক্ষণ্য দেখা যায় না। কিন্তু মেয়েটির গলায় প্রতিবাদের সুর অর্ধোচ্চারিত হয়-আহা, কেন মিথ্যে ভদ্রলোককে…
ভদ্রলোক! গর্জে ওঠেন ইনি : ভদ্রলোকের পোশাক গায়ে থাকলেই ভদ্রলোক হয় না। পরীর কোলে বসাটা কী রকমের ভদ্রতা? শুনি তো একবার?
এ-কথার কোনো জবাব না থাকলেও প্রশ্নটা আমাকেও যেন পীড়িত করে। পরস্ত্রীর কোলে বসা ভদ্র-অভদ্র কারো পক্ষেই উচিত নয় নিঃসন্দেহে, কিন্তু সত্যি করে বলতে, ভদ্রলোক বসতে আর পেলেন কোথায়? বসতে না বসতেই তো…খতিয়ে দেখলে তার লাভের দিকটায় zero। কোলে বসে জিরোবারও ফুরসত পাননি একটু। বসতে না বসতেই উঠে পড়তে হয়েছে। এটাকে প্রায়োপবেশনই বলা যায় ববং।
মেয়েদের সীটের গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়ানোর মানেটা কি কেউ বোঝে না নাকি? তাক খোঁজা হচ্ছিল, কখন টালটা আসে। ফাঁক পেতেই ধূপ করে বসে পড়া হয়েছে অমনি।
উনি নিরুত্তর। ইনি কিন্তু এর আগে যে রেটে এগুচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল, তাঁর স্ল্যাংলাপে শীগগিরই শ’কার বকারে গড়িয়ে আসবেন, কিন্তু কর্ণমর্দনের (নাকি, কর্নওয়ালিসের?) সেই দশশালা বন্দোবস্তে না গিয়ে, বোধহয় ভাষায় কুলিয়ে উঠতে না পেরেই, বাক্যের শালীনতায় ফিরে এসেছেন বাধ্য হয়ে। তবু ভালো যে, ভদ্রলোককে মার্জনা করতে না পারলেও তিনি নিজে অন্ততঃ ভদ্রভাষায় মার্জিত হয়েছেন।
মেয়েছেলের কোলে বসতে খুব আরাম লাগে, তাই না? আবার তার কামান-গর্জন হলেও, তার কথার শোনায় এবার যেন একটু সোহাগা মেশানো মনে হয়।
কথাটা শুনে আমার কেমন খটকা লাগে। বটু করে একটা কথা মনে পড়ে যায়… বসার কোল ঘেঁষাই কথাটা।
মেয়েদের কোলে বসাটা কেমন আরামের জানিনে, তবে মেয়েদের কোলে বসানোর আরামটা আমার জানা আছে বটে। হাড়ে হাড়েই জানা।
মারাত্মক আরাম। প্রায় কুরুক্ষেত্র কাণ্ডই বলা যায়। দ্বৈপায়ন হ্রদের ধারেই ঠিক যে-রকমটি ঘটেছিলনাকি একবার।
কুপার স্ট্রিট থেকে ম্যাটিনি শো-এর সিনেমা দেখতে যাব বলে বেরিয়েছি—আমার বোন ইতু, আমি আর পুতুল।
কুপারের থেকে দুপা এগিয়েই আমি কাহিল—না বাপু, এই দুপুর রোদে ঢ্যাং ট্যাং কবে অদূর আমি যেতে পারব না। হাঁটতে আমি পারিনে। হাঁটুর অত জোর নেইকো আমার।
এই কাছেই তো পূর্ণ সিনেমা! কর আর? ইতুচন্দর বলেন : এতে হাঁটুর আর খাটুনি কী! এইটুকুন তুমি হাঁটতে পারো না শিব্রামদা?
তুই হলি পাহাড়ে মেয়ে। তোর সঙ্গে হেঁটে আমি পারি? তোর পায়ের হাড় কতো শক্ত। তোর পায়ের কজি দ্যাখ, আর আমার পায়ের। তোর সঙ্গে পাঞ্জাতেই আমি পারব না, আর, হাঁটনের পাল্লায় পারব। এখান থেকে রস রোড অব্দি হাঁটতে হলেই আমার হয়েছে। না বাপু, তোমরা একটা রিকসা ডাকো বরং।
রিকসা এলো, কিন্তু পুতুল প্রশ্ন তুললো—রিকসায় কি তিন জন ধরবে?
একজন কারো কোলে বসুক নাহয়? বলে দিলাম আমি।
কে বসবে শুনি? পুতুলের পুনরপি প্রশ্ন থাকে।
আমার তো কোলে বসার কথাই ওঠে না। তোদের দুজনের কেউ কারো কোলে বসুক তাহলে।
না দাদা, আমি ইতুর কোলে বসে যাব না, আমি ওর দিদি না?
তাহালে ও-ই তোর কোলে বসে যাক। দেখা গেল, ইতুর তাতে কোন আপত্তি নেই, কিন্তু পুতুলের আপত্তি ঘোরতর—বাবা! ও যা ভারী! ওকে আমি কোলে বসাতে কিছুতেই রাজি নই। ইতুকে কোলে করে অদূর যেতে হলেই আমার ইতি।
তারপর? তারপর সেই পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। পৌরাণিক পালার পুনরভিনয়। সেই কুরুক্ষেত্র কাণ্ড!
আমার কোলে বসারই কথা উঠল তখন। অম্লানবদনে ইতুই বসল আমার কোলে।
কোনো ষোড়শী তরুণীকে নিজের কোলে পেলে নেহাত মন্দ হয় না, মোহের বশে ঘুণাক্ষরে কখনো হয়তো নিজ্ঞানে করে থাকব, কিন্তু সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে যেতে বেশি দেরি হলো না আমারা। ল্যান্সডাউন মার্কেটও পেরুইনি, আমি চিৎকার করে উঠেছি- এই রিকসাওলা! রোকো রোকো। রোকে। …একদম রোকে এই নাম, নামনাম তোরা সব।
নামবার পর রিকসাওলার প্রণামী গুনি–এই লেও তুহারা ভাড়া। যাও, ভাণো। ভাগো হিয়াসে। এই মহল্লাসে ভাগ যাও। আমি হল্লা করে উঠি–আউর কভি ইধর নেহী আনা।
হলো কী তোমার? পুতুল শুধোয় : হলোটা কী?
আর হলোটা কী! পায়ের হাড়গোড় সব গুঁড়ো হয়ে গেল আমার–বাবা! ইতু যে একটা আস্ত পাহাড় তা কে জানত।
তখনই বলেছিলাম না আমি? শুনলে না তো। সে বলে।
আমি কি বসতে চেয়েছিলুম তোমার কোলে? প্রতিবাদ করে ইতু: তুমিই আমার কোলে বসতে পারতে, ইচ্ছে করলে।
বা রে! ও দিদি হয়ে বসল না, আর আমি দাদা হয়ে বসতে যাব? মায়ের পেটের না হলেও, আমি তোদের দাদা না? আমার একটা আত্মসম্মান নেই?
তাহলে আমি আর কী করব?
কী সুখে যে মেয়েদের কোলে নিতে চায় লোকে! আমি বিরক্তি প্রকাশ করি।
আমি তো চাইনি। ও যা ভারী, জানি তো। পুতুল জানায় : ওকে কেন, কোনে। মেয়েকেই আমার কোলে নিতে চাই না আমি কক্ষনো।
তা সত্যি, মেয়েরা কখনো তা চায় না বটে। মেয়ে হয়ে তারা মেয়েদের মর্ম বোঝে না, সেই জন্যেই কিনা–নাকি, মর্মে মর্মে সেটা বোঝে বলেই,—তার মর্মোদ্ঘাটন করা আমার কম্মো না; তবে দেখেছি যে হাল্কা গোছের শিশুদেরই কোলে কাঁখে এমন কী গর্ভে ধারণ করতেও তারা গর্ববোধ করে, কিন্তু ভুলেও কক্ষনো কোনো মেয়েবে নিজের কুক্ষিগত করতে যায় না। চায়ও না। স্বভাবতই তারা বুদ্ধিমান।
কিন্তু হনুমানরা চায়। এমনকি, দারুণ দুরাকাঙক্ষায় তারা হনুমানকেও টেক্কা মাবতে যায়। এই যেমন আমি। স্বয়ং মহাবীর শুধু গন্ধমাদনই ঘাড়ে করেছিলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘাকে কোলে করতে যাননি। কিন্তু হনুমত্তায় (নাকি, হনুমত্ততায়?) তাঁকেও ছাড়িয়ে গিয়েছি আমি।
তুই না চাইতে পারিস। জবাব দিই পুতুলকে। কিন্তু অনেকে চেয়ে থাকে।
কেউ চায় না। বাড়ি বাড়ি মেয়েকে কেউ কোলে নেয় নাকি? না, নিতে চায় আবার?
ছেলেরা চায়। …দুর্যোধন চেয়েছিল।
দুর্যোধন?
চায়নি দুর্যোধন? যার জন্যে অমন কুরুক্ষেত্র কাণ্ডটা বাধলো? দ্রৌপদীকে নিজের কোলে বসাতে চেয়েছিল বলেই না!
পুতুল চুপ করে যায়। পুরাতত্ত্বের গর্ভে হাবুডুবু খেতে চায় না হয়তো বা।
আহা, তখন যদি শ্ৰীমতী যাজ্ঞসেনী তার কোলে চেপে বসতেন গিয়ে! তখনই তো উরুভঙ্গ হয়ে যেত বেচারার। তাহলে আর অত কাণ্ড করে অত কাঠখড় পুড়িয়ে ভগ্নউক কুরুপতি করার জন্য ঐরকম কুরুক্ষেত্র বাধাতে হতো না।
কোলে বসালেই এই! আর, কোলে বসলে যে কী হয় তা তো চোখের সামনেই দেখছি—এই বাসেই। আর, তাও কিছু কম কুরুক্ষেত্র নয়।
..ছোটলোক!…আহাম্মোক!…যৎপোনাস্তি!…তখনো ভদ্রলোক গঞ্জনা দিযে চলেছেন সমানে। আর, উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি তখনো তেমনি নির্বিকার নীরব। বিলকুল স্পীক-টি-নট!
কিন্তু আমি আর প্রতিবাদ না-করে পারি না। বলি—যৎপরোনাস্তি কি একটা গাল নাকি মশাই? আপনি যে যা মুখে আসছে তাই বলে যাচ্ছেন!
যার-পর-নাই হয়ে যাবার পর পার্শ্বোপবিষ্ট ভদ্রলোকের বুঝি আর সহ্য হয় না। তিনি উঠে দাঁড়ান–
আমি নামব এবার। বলে মেয়েটিকে তিনি নমস্কার জানিয়ে ভদ্রলোকের দিকে একখানা কার্ড বাড়িয়ে দেন—
এই নিন আমার নাম-ঠিকানা। যাবেন একদিন আমার বাড়ি। আমার বৌয়ের কোলে বসে আসবেন ঘণ্টাখানেক।
চলে যাবার আগে বলে যান তিনি।