মোগলমারির আবিষ্কৃত বৌদ্ধমহাবিহার : প্রত্নকথা
উৎখননের ইতিবৃত্ত ও সংবাদ শিরোনামে মোগলমারি
ইতিহাস ও পর্যটন
বৌদ্ধ প্রভাব

প্রাচীন তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধপ্রভাব

প্রাচীন তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধপ্রভাব – ড. প্রদ্যোতকুমার মাইতি

অবিভক্ত বাংলা তথা মেদিনীপুরে বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঠিক কবে হয়েছিল, তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও অনুমান করা চলে যে, মহামতি সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩- ২৩২ অব্দে) এই ধর্ম অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনপদ (ছোটরাজ্য) তাম্রলিপ্তে বিস্তার লাভ করেছিল। অশোকের অক্লান্ত প্রয়াসের ফলে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের যে প্লাবন দেখা যায়, তার দ্বারা তাম্রলিপ্ত প্লাবিত হয়নি এটা অনুমান করা ঠিক হবে না। কারণ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্যতম ভুক্তি ছিল বঙ্গ (Vanga) এবং এর রাজধানী ছিল তামলিত্তি (তাম্রলিপ্তি)। এ খবর আমরা বৃহৎ কল্পসূত্রভাষ্য নামক জৈন পুস্তক থেকে পাই। তাছাড়া চৈনিক পরিব্রাজক সুয়ান-জাং-এর বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, তিনি অন্যান্য অনেক জনপদের মতো তাম্রলিপ্তিতেও মৌর্যসম্রাট অশোকের তৈরি বৌদ্ধস্তূপ ও বিহার দেখেছিলেন এবং লোকমুখে তাদের বিবরণ শুনেছিলেন। পালি ভাষায় লেখা সিংহলের প্রাচীন ইতিবৃত্ত মহাবংস-এ উল্লিখিত একটি কাহিনি থেকেও অনুমান করা চলে যে, তাম্রলিপ্ত অশোকের সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল এবং ওই সময়ে বৌদ্ধধর্মের বিস্তারও সেখানে ঘটে। কাহিনিটি হল : খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সিংহলের অধিপতি পান্ডুকাভয়-এর পৌত্র দেবানজপ্রিয় (দেবানং প্রিয়) তিসসের রাজত্বকালে অশোক তাম্রলিপ্তের প্রাচীন পথ দিয়েই মহেন্দ্র ও সংঘমিত্রাকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য সিংহলে পাঠান। তাঁদের সঙ্গে ছিল পবিত্র বোধিদ্রুমের চারা। সম্রাট স্বয়ং এই ধর্মীয় প্রচারযাত্রার সময় তাম্রলিপ্তে উপস্থিত হয়েছিলেন। উপরোক্ত তথ্যাদির আলোকে বলা চলে যে, সম্ভবত অশোকের রাজত্বকালে অবিভক্ত মেদিনীপুরের তদানীন্তন ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে তাম্রলিপ্তে প্রথম বৌদ্ধধর্মের প্রসার শুরু হয় এবং সপ্তম শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত এখানে বৌদ্ধধর্মের প্রাধান্যের কথা প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাহিত্যিক উপাদান থেকে জানা যায়।

প্রায় তিন-চার দশকের মধ্যে তমলুক শহর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে পোড়ামাটির অনেক বৌদ্ধধর্ম চিহ্নিত প্রত্নবস্তু ও বৌদ্ধ দেব-দেবীর মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এ অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের প্রাধান্যের ইঙ্গিত দেয়। তমলুক শহর থেকে পাওয়া খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় ও প্রথম শতকের কয়েকটি মৃৎফলক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন জাতকের কাহিনি এই সকল মৃৎফলকে পাওয়া যায়। এসকল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রেক্ষাপটে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারি যে, অশোকের রাজত্বকালে তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্ম যে প্রসার লাভ করেছিল, তা পরবর্তীকালেও অব্যাহত ছিল।

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় বৌদ্ধধর্মের পীঠস্থান তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার ও প্রভাবের কথা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ছাড়াও গুপ্তযুগ থেকে নির্ভরযোগ্য সাহিত্যিক প্রমাণের দ্বারা জানা যায়। মহাযান সাহিত্যের মতে, বৌদ্ধদের প্রাচীন ষোড়শ মহাস্থবিরের মধ্যে অন্তত একজন বাঙালি ছিলেন। অনুমান করা হয়েছে তিনি প্রাক-গুপ্তযুগের লোক এবং তাম্রলিপ্তের অধিবাসী স্থবির কালিক। ষোড়শ মহাস্থবিরের অন্যতম তাম্রলিপ্তের অধিবাসী কালিক-এর উল্লেখ থেকে একথা মনে হয় যে, তাম্রলিপ্তে প্রাক-গুপ্তযুগে মহাযান বৌদ্ধধর্মের প্রাধান্য ছিল।

গুপ্তযুগে পঞ্চম শতাব্দীর প্রথমদিকে চৈনিক বৌদ্ধ শ্রমণ ফাসিয়ান চম্পা থেকে দক্ষিণমুখে পঞ্চাশ যোজন পথ অতিক্রম করে, গঙ্গা নদীর মোহানায় অবস্থিত তাম্রলিপ্ত বন্দর-শহরে আসেন। ফাসিয়ানের সময় তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের যথেষ্ট সমৃদ্ধি ছিল। তাঁর বিবরণ থেকে জানা যায়, তাঁর সময়ে তাম্রলিপ্তে অসংখ্য ভিক্ষু অধ্যুষিত বাইশটি বৌদ্ধবিহার ছিল। এমনকী তিনি লিখেছেন—সমগ্র দেশটি ছিল বৌদ্ধপ্রধান। তাম্রলিপ্তে অবস্থানকালে তিনি বৌদ্ধ প্রতিমাচিত্র নকল করেন। বৌদ্ধ প্রতিমাচিত্র নকলের কাহিনি থেকে একথা প্রমাণিত হয় যে, ওই সময়ে তাম্রলিপ্তে প্রচারিত বৌদ্ধধর্মের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে মূর্তিপূজার প্রচলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। বৌদ্ধধর্মে মূর্তিপূজা প্রচলনের ক্ষেত্রে তান্ত্রিক প্রভাবও অনুমিত হয়।১০

আনুমানিক ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৈনিক পর্যটক সুয়ান জাং বাংলাদেশে আসেন। তাঁর বিবরণ থেকে জানা যায়, তিনি পুণ্ড্রবর্ধন, কর্ণসুবর্ণ, তাম্রলিপ্ত ও সমতটে গিয়েছিলেন। ওই জনপদগুলিতে প্রচলিত ধর্মমত সম্পর্কে তিনি লিখে গিয়েছেন। তাঁর লেখা থেকে জানা যায়, পুণ্ড্রবর্ধনে হীনযান ও মহাযান উভয়পন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষু, কর্ণসুবর্ণে সম্মতীয় শাখাবলম্বী বৌদ্ধ ভিক্ষু, তাম্রলিপ্তে সর্বাস্তিবাদে বিশ্বাসী ভিক্ষু এবং সমতটে হীনযানপন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষু বাস করতেন।১১ আরও জানা যায়, ওই সময়ে তাম্রলিপ্তে মাত্র ১০টি বিহার ছিল এবং ওই বিহারগুলিতে মোট প্রায় এক হাজার ভিক্ষু (শ্রমণ) বাস করতেন।১২ এছাড়া তাম্রলিপ্ত রাজ্যে সম্রাট অশোক নির্মিত একটি বৌদ্ধস্তূপের কাছে চারটি বুদ্ধমূর্তি স্থাপিত ছিল। তাও তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন।১৩ পরবর্তী চৈনিক পরিব্রাজক ইৎ-সিং ৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে তাম্রলিপ্তে আসেন এবং ওই সময় মাত্র পাঁচ-ছ-টি বৌদ্ধবিহার দেখেন।১৪

ফাসিয়ান-এর কাল থেকে ইৎ-সিং-এর কালের (সময়সীমার) ব্যবধান দু-শো ষাট বছরের অধিককাল বলে জানা যায়। ওই সময়ের মধ্যে উভয়ের বিবরণে বৌদ্ধবিহারের সংখ্যা থেকে একথা প্রমাণিত হয় যে, এর মধ্যে তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের অবক্ষয় শুরু হয়ে গিয়েছিল। সুয়ান জাং-এর বিবরণ থেকে আমরা জানতে পারি, তাঁর সময় পঞ্চাশটি হিন্দুমন্দির তাম্রলিপ্তে ছিল।১৫ অন্যদিকে ফাসিয়ানের বিবরণে হিন্দুমন্দিরের সংখ্যার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না পরন্তু, আমরা পূর্বেই তাঁর বিবরণ থেকে জানতে পেরেছি, সমগ্র তাম্রলিপ্ত দেশটি ছিল বৌদ্ধপ্রধান। এর থেকে একথা অনুমান করলে ভুল হবে না যে, ফাসিয়ানের সময় তাম্রলিপ্তে হিন্দুধর্মের থেকে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছিল বেশি। কিন্তু সুয়ান জাং-এর সময় তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব-প্রতিপত্তি যেমন অনেকটা হ্রাস পায়, তেমনি অন্যদিকে ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রসার ঘটে। তাম্রলিপ্তে পঞ্চাশটি দেবালয়ের উল্লেখ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সায় দেয়। ফাসিয়ান তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের যে সমৃদ্ধিশালী অবস্থা দেখে গিয়েছিলেন, সুয়ান-জাং ও ইৎ-সিং তা আর দেখতে পাননি। তা ছাড়া তিব্বতি লামা তারানাথ তাঁর বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে একথা লিখেছেন যে, পালবংশের প্রতিষ্ঠার পূর্বে (৭৫০ খ্রিস্টাব্দে) বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মের বিশেষ অবনতি ঘটে এবং অনেক বৌদ্ধবিহার ধ্বংস হয়ে যায়। এমনকী যেগুলি তখনও ছিল, সেগুলিও দ্রুত ধ্বংসের পথে এগিয়ে গিয়েছিল।১৬ চৈনিক পর্যটকদের বিবরণ থেকে যেমন তাম্রলিপ্তের বৌদ্ধবিহারগুলির ক্রমশ সংখ্যা হ্রাসের কথা জানা যায়, তেমনি তারানাথের বিবরণেও তার সমর্থন পাওয়া যায়। বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধবিহারগুলির অবনতির পশ্চাতে যে ব্রাহ্মণ্যধর্মের আক্রমণাত্মক নীতি কাজ করেছিল তাও অনুমান করা চলে।

সাধারণভাবে তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব হ্রাস পেলেও ইৎ-সিং-এর সময় তাম্রলিপ্তে অবস্থিত পো-লো-হো বা বরাহ বিহারটি বিশেষভাবে যে সমৃদ্ধ ছিল, তা তাঁর বিবরণ থেকে জানা যায়। তিনি এই বিহারটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।১৭ তাঁর সময় এই বরাহ বিহারে রাহুল মিত্র নামে এক ত্রিশ বছর বয়স্ক ভিক্ষু বাস করতেন। তাঁর প্রগাঢ় জ্ঞান ও অনিন্দনীয় চরিত্র ইৎ-সিং-কে মুগ্ধ করেছিল। এই ইঙ্গিতও ইৎ-সিং দিতে ভোলেননি।১৮ সেইসঙ্গে বরাহ বিহারে বসবাসকারী ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের জীবনযাপনের পদ্ধতিও তিনি লিপিবদ্ধ করে গেছেন।

ইৎ-সিং-র লেখা থেকে জানা যায় :

 কঠোর নিয়ম-সংযমে তাঁহাদের (ভিক্ষুদের) জীবন নিয়ন্ত্রিত ছিল; সংসারজীবন তাঁহারা পরিহার করিয়া চলিতেন এবং জীবহত্যার পাপ হইতে তাঁহারা মুক্ত ছিলেন। ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীর দেখা হইলে তাঁহারা উভয়েই অত্যন্ত সংযত ও বিনয়সম্মত আচরণ করিতেন। ভিক্ষুণীরা যখন বাহিরে যাইতেন, দুইজন একসঙ্গে যাইতেন। একবার একজন শ্রমণ একটি বালকের হাত দিয়া এক গৃহস্থ উপাসকের স্ত্রীকে কিছু চাল পাঠাইয়াছিলেন। এই ব্যাপারটি যখন সংঘের গোচরীভূত হইল তখন শ্রমণটি এত লাঞ্ছিত হইলেন যে, চিরতরে সেই বিহার পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। এই বিহারের এক ভিক্ষু রাহুল মিত্র মুখোমুখি কখনো স্ত্রীলোকের সঙ্গে কথা বলিতেন না, মাতা ও ভগিনী ছাড়া। তাঁহারাও যখন দেখা করিতে আসিতেন সাক্ষাৎকারটা হইত ঘরের বাহিরে।১৯

সপ্তম শতকের শেষভাগে বরাহ বৌদ্ধবিহারের এরূপ নিয়ম-শৃঙ্খলা আমাদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করে কারণ, ওই সময় পূর্বভারতের প্রায় সর্বত্রই তান্ত্রিক আচার-অনুষ্ঠানের ফলে নৈতিক অনাচার ব্যাপক আকারে আত্মপ্রকাশ করে।২০ মনে হয়, এইজন্যই ইৎ-সিং এই বিহারের প্রতি এতখানি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

ইৎ-সিং-এর সময় তাম্রলিপ্তে সর্বাস্তিবাদের প্রবল প্রতাপ ছিল। তার বিষয়ও তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন।২১ অবশ্য সুয়ান জাং-ও তাম্রলিপ্তে সর্বাস্তিবাদের প্রাধান্যের কথা উল্লেখ করেছেন। ফাসিয়ানের সময় বৌদ্ধধর্মের কোন শাখার প্রাধান্য তাম্রলিপ্তে ছিল তার পরিচয় তিনি দেননি। তবে বৌদ্ধধর্মের অবক্ষয়ের কালে সর্বাস্তিবাদের প্রাধান্য যে তাম্রলিপ্তে ছিল তার পরিচয় সুয়ান জাং ও ইৎ-সিং রেখে গিয়েছেন।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, প্রাচীনকালে তাম্রলিপ্ত জনপদে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছিল অপরিসীম। অনুমান, মৌর্যসম্রাট অশোকের সময় থেকে শুরু করে সপ্তম শতকের শেষ পর্যন্ত তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব মোটামুটি অব্যাহত ছিল। এই সময়সীমার মধ্যে বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্ররূপে তাম্রলিপ্ত ভারতের বাইরে বিশেষ সুবিদিত ছিল। ভারতবর্ষের বৌদ্ধ কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন ও বৌদ্ধ শিক্ষালাভের জন্য বহু চৈনিক পরিব্রাজক এবং ভ্রমণ ও জ্ঞানপিপাসু এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা তাম্রলিপ্তে এসেছিলেন তাঁরা হলেন ফাসিয়ান, সুয়ান জাং (হিউয়েন সাঙ), ইৎ-সিং, তা-চে-টেং, তাত্তালিন, য়ুয়ান-টা হুইলিন প্রমুখ। এঁদের অনেকেই তাম্রলিপ্তে অবস্থিত বৌদ্ধবিহারগুলিতে বসবাস করে বৌদ্ধ শাস্ত্রাদি শিক্ষালাভ করেন। তখন তাম্রলিপ্ত ছিল বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান।

পাল যুগে (৭৫০-১০৫৬ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটলেও তাম্রলিপ্তে তার পুনরুজ্জীবনের কথা কোনো সূত্র থেকে জানা যায় না। আমাদের অনুমান, অষ্টম শতকের প্রথম থেকে বন্দর তাম্রলিপ্তের পতনের সঙ্গে সঙ্গে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণে তাম্রলিপ্তের অবনতি শুরু হয়। সম্ভবত এ অঞ্চলে ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রসার ও প্রতিপত্তি বৌদ্ধবিহারগুলির তথা বৌদ্ধধর্মের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তথ্যসূত্র :

 ১. Moti Chandra, Trade and trade Routes in Ancient India, New Delhi, 1977, p 76

২. নীহাররঞ্জন রায়, বাঙালীর ইতিহাস (স্বাক্ষরতা সং), পৃ ৪৬৩ (১ম খন্ড), পৃ ৬২৭ (২য় খন্ড)

 ৩. Indian Folklore, Calcutta, Jan-March, 1958, p 177

৪. Maity and Thakur (Ed.), Indological Studies (Prof. D C Sircar Commemoration Volume), New Delhi, pp 135-139; রক্ষিত, তমোলুক ইতিহাস, পৃ ৬৬; রঘুনাথবাড়ী বিদ্যালয় স্মারকনিধি, সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যা, পৃ ২

 ৫. প্রশান্তকুমার মন্ডল, প্রস্তর ভাস্কর্য ও তমলুকের মৃন্ময়শিল্প, সমকালীন কলিকাতা, ফাল্গুন, ১৩৮৪, পৃ ৪১৬

 ৬. নীহাররঞ্জন রায়, প্রাগুক্ত গ্রন্থ, ২য় খন্ড, পৃ ৬২৮

 ৭. J.A. Lagge, A Record of Buddhist Kingdom by Fa-Hien, p 100;Liyung-hsi (Tr.); A Record of the Buddhist Countries by Fa-Hien, p 77

৮. প্রাগুক্ত গ্রন্থ, পৃ ১০৮; Liyung-hsi, p 77

৯. গৌরাঙ্গগোপাল সেনগুপ্ত, চীন-ভারত ও ভারত-চীন পরিব্রাজক, পৃ ২৯

 ১০. P. K. Maity, Historical Studies in the Cult of the Goddess Manasa—A Socio Cultural study, reprint, 2001, p 49

 ১১. R.C. Majumdar (Ed.), History of Bengal, Vol. – 1, p 415

১২. S. Beal, Buddhist Records of the Western World, Vol.-2, p 200

১৩. সেনগুপ্ত, প্রাগুক্ত গ্রন্থ, পৃ ৩৮

 ১৪. রায়, বাঙালীর ইতিহাস, ২য় খন্ড, ৬২

 ১৫. Beal, Op. cit, Vol.-2, p 200

 ১৬. রায়, বাঙালীর ইতিহাস ২য় খন্ড, পৃ ৬৪৬

 ১৭. N.K. Sahu, Buddhism in Orissa, pp 83-84

 ১৮. J.A. Takakusu, Record of the Buddhist Religion as practised in India and the Malay Amchopelago by I – Taing, Chapter – X, p 64

 ১৯. রায়, বাঙালীর ইতিহাস, ২য় খন্ড, পৃ. ৬৪০; তুলনীয় Human Events, Vol.-3, Sept-Oct. No. 9 + 10, Calcutta, 1969. pp 6-7

 ২০. R.C. Mitra, Decline of Buddhism in India, p 687

২১. রায়, বাঙালীর ইতিহাস, ২য় খন্ড, পৃ ৬৩৯

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *