কে বললে বিধ্বস্ত হয়েছি ? দাঁত-নখ নেই বলে ? ওগুলো কি খুবই
জরুরি ? আবাঁট চাকুর মেধা তলপেট লক্ষ করে বিদ্ধ করে দিয়েছি সেসব
এরই মধ্যে ভুলে গেলেন কেন! পাঁঠার মুখের কাছে
পাতাসুদ্ধ কচি এলাচের গোছা, সেই যে সেইসব কাণ্ড ? ঘৃণাশিল্প ক্রোধশিল্প
যুদ্ধশিল্প ! পিছমোড়া মুখবাঁধা যুবতী সানথাল; গোলাপি ফুসফুস ছিঁড়ে
কুখরির ধারালো আনচান — সেইসব ?
হৃৎমাংসে রক্তমেখে উঠে আসা চাকুর গরিমা ? আমার তো গান বা
সঙ্গীত নেই; কেবল চিৎকার, যতটা হাঁ করতে পারি
নির্বাক জঙ্গলের ভেষজ সুগন্ধ; ঘুঁজি-পরিসর কিংবা হারাম-সন্ন্যাস
বলিনি, “জিভ দিন জিভ গোঙানি ফেরত নাও
দাঁতে দাঁত দিয়ে সহ্য করার ক্ষমতা।” নির্ভীক বারুদ বলবে:
“মূর্খতাই একমাত্র শিক্ষণীয়।” উদারহস্ত নুলো
দাঁতে ছুরি নিয়ে আমি লাফিয়েছি জুয়ার টেবিলে, তোমরা ঘিরে ফ্যালো
ছেঁকে ধরো রাবার বাগিচা কফি চায়ের বাগান থেকে
গামবুটে স্বচ্ছন্দ চাকুরিসুদ্ধ এসো কে কোথায় আছো
জরাসন্ধের পুং যেভাবে বিভক্ত হয় হীরকের দ্যুতি ছলকে ওঠে
হাত-পা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর জ্ঞানগম্যি বলে কিছু নেই
বাঁশির মতন ধরে সিঁধকাঠি বাজিয়ে দেখেছি আমি অসুখে অভাবে
আপেল ত্বকের মোমরেণু-মাখা ভঙ্গুর স্নেহ
সঙ্গমের আগে মাদি পিপীলিকা ডানা খুলে রেখে দেবে পাশে
আমিও উরুত চাপড়ে বিকল্প চিৎকার দিচ্ছি: পৃথিবীকে খালি করো
বেরোও বের হও সর্বশক্তিমান
বান্দরের চুলকানিপ্রবণ চার হাতে শঙ্খ
চক্র পদ্ম গদা নিয়ে নিজের ঘামের নুনে লবণ বিদ্রোহ হোক
বারুদ সুতলি ধরে বিস্ফোরণের দিকে তুমাকার স্ফূলিঙ্গ ছুটুক
সারা গায়ে অন্ধকার লেপড়ে এসো বাকফসলের কারবারি
কুকুর-যুবার মনোমালিন্যে ভরা মাঝরাতে
কীটনাশকের ঝাঁঝে মজে থাকা ফড়িঙের রুগ্ন দুপুরে
ভূজ্ঞান সম্পন্ন কেঁচো উঠে আয়
চাকুর লাবণ্য আমি আরেকবার এ-তল্লাটে দেখাতে এসেছি।
১৯ ফাল্গুন ১৩৯১