৩৯
দরজা ঠেলে চৌকাঠে পা রেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম।
সেই জানালাটিতে ঠেস দিয়ে সে দাঁড়িয়ে আছে। শরীরের প্রতিটি রেখা সেই সকালের মতো ঋজু যেদিন সে বিদায় নিয়ে চলে গেল। লাউগাছের দিকে তার মুখ। আমার দিকে তার পিঠ।
আরো দু’পা এগিয়ে গেলাম।
আশ্চর্য, ঘাড়ের কাছে দু’একটি চুলে পাক ধরেছে। পিছনের দিকে পাঞ্জাবির গলা খানিকটা ছেঁড়া।
—কে?
—আমি। তিশনা!
কামিল একবার ফিরে দেখল না। একটি কথাও বললো না।
আমিই বললাম : একবার জিগ্যেস করলে না কেমন আছি?
কোনো জবাব নেই।
—একবার বলবে না কেমন আছ?
তবু সে নিরুত্তর।
—একবার, শুধু একবার, মুখ ফিরাও।
–ফেরাব। কিন্তু তখন যেন দেখি তুমি চলে গেছ—ওখানে নেই।
আমি তবু দাঁড়িয়ে থাকি।
কামিল আর একবার বললো : রাখবে না আমার অনুরোধ?
—আচ্ছা!