প্রসন্ন পাষাণ – ১০

দশ

পহেলা রমজান। প্রতি বছরই ফুপুজান সারাটা মাস রোজা রাখেন। আমি প্রথম ছ’সাতদিন লাগারে রাখি, তারপর একদিন দু’দিন বাদে। ছোট চাচা একটিও না। এবারেও তাই হবে। কেবল ছোট ফুপু নিশ্চয়ই পুরা রোজাই আদায় করবেন। আর হয়তো কামিলও আমার মতোই প্রথম ছ’সাতটি, তারপর একদিন দু’দিন অন্তর।

এবারে রোজা এলো শীতকালে—রোজদারদের অপেক্ষাকৃত সুবিধা। পানির পিয়াস, এই কষ্টটাই সবচাইতে বেশি,—এ বছর আর গলাটিকে গ্রীষ্মকালের কূপের মতো কাঠ করে দিতে পারবে না। দিনও ছোট, সূর্যাস্তও হবে অনেক আগে।

ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে। হ্যাঁগো ছেলেবেলার কথা। মেঘে মেঘে বেলা গেছে জানতেও পারি নি। আমরা ভাইবোনেরা—যতসব চাচা মামা খালা ফুপার ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে রোজা রাখতাম। এই আলীমও ছিল তাদের মধ্যে। কে ক’টা রোজা রাখতে পারে তারই পাল্লা। পুণ্যের পথে চৌঘুড়ি হাঁকিয়ে কে আগে বেহেশতে পৌঁছে যাব, মগজে এই হিসেবটা সে বয়সে তত প্রবলভাবে ছিল না। কেবলই একটা পাল্লা। পাল্লার জন্যই পাল্লা।

রমজান মাসের দিনগুলো ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে যতটা সহজে ঝরে ঝরে পড়ত, আমরা যারা রোজা রাখতাম তাদের জীবন থেকে অতটা সহজে নয়। মাগরেবের আজানের জন্য কান পেতে থাকা, এই ছিল সারাদিনের কাজ। বেলা চারটে থেকেই মসজিদের সামনে ভিড়। পাড়ার মসজিদে বিভিন্ন বাড়ি থেকে ইফতার আসতে আরম্ভ করত; কাটা শাশা, পাপিতা, কাটা আনজির, কাগজি লেবু, আদা,—তাছাড়া পিঁয়াজু, বেগুনি, বুট, জিলিপি, ইসুবগুলের সরবত এসব তো ছিলই। কখনো-বা হাতে-বেলা রুটি আর সুজির হালুয়া। মসজিদে যারা নামাজ পড়তে আসতেন তাদেরই জন্য এই ইফতার। আর নামাজ পড়তেনও লোকে। অগণন।

আমাদের বাড়ির ছেলেদেরকেও দেখেছি মসজিদের ইফতারের হিস্যার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে। বাড়িতে ইফতারের ব্যবস্থা খুব ঘটা করেই করা হয়—তবু ঐ একটা ইচ্ছা; খাদ্যের প্রতি লোভ নয়। এদের মধ্যে আলীমকেও দেখা যেত। জুম্মার নামাজের পর এই মসজিদে জিলিপি কখনো-বা আমরিতি বা বালুশাহী শিন্নির মতো বিলি করা হতো, জুম্মার নামাজে ও আলীম শরিক হতো।

মসজিদের সামনে বৃদ্ধ রোজাদার, নিষ্ঠ নামাজী, অর্বাচীন বালক, প্রবীণ পড়শি সকলেই উপস্থিত থাকতেন। সবাই হাত-মুখ ধুয়ে অজু সেরে এসেছেন। অনেকে এই মসজিদেই নামাজ আর ইফতার সেরে নেবেন, আবার কেউ আজান হলেই বাড়ি ফিরে আসবেন। আতর লাগিয়ে দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে কত রকম আলাপই না হতো। এমনিতে সবাই ব্যস্ত, কেউ কারো খবর নিতে পারেন না; তাই মসজিদে নামাজের আগে সকলেই কুশল বিনিময় করেন। তাছাড়া রাজনীতি আলোচনা, কায়েদে আযম কলকাতা আসছেন সে কথা। নজরুল ইসলাম পাশের বাড়িতে গান গেয়ে গেছেন তা নিয়েও রীতিমতো হুলুস্থুল। তাছাড়া ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ; কন্যার বিবাহ, পুত্রের পরীক্ষা, স্ত্রীর আসন্ন প্রসব প্রসঙ্গ সবই চলত। এই সামাজিকতার দৃশ্যটি আমার চোখে বড়ই ভালো লাগত। তাই আমাদের জীবনে রমজান মাসের একটা বড় রকম ভূমিকা ছিল।

সকালে উঠেই আমরা ছেলেমেয়েরা পরস্পরকে প্রশ্ন করতাম : রোজদার না ভোজদার? এই ছিল আমাদের ধরন। তারপর সকাল থেকে প্রতিটি মিনিট গোনা; কার ক’টা রোজা হলো দেয়ালে দাগ কেটে তার হিসাব রাখা; সবরকম খাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, রোজা রাখার মতো তৃপ্তিকর আর আনন্দদায়ক অনুশীলন আর কিছুই হতে পারে না প্রতিটি আচরণের দ্বারা এই কথাটি বুঝিয়ে দেওয়া;—তারপর দিন যতই বাড়তে থাকত মুখ যতই ছোট হতে থাকত খাদ্যের প্রতি অরুচি আর বিতৃষ্ণার প্রকাশটাও ততই পরিদৃশ্যমান হতে থাকত এবং এইসব কিছুরই ফাঁকে ফাঁকে অবিশ্রান্ত থুথু ফেলা। এবং বেলা দুটোর পর কাহিল হয়ে মড়ার মতো বিছানায় এলিয়ে পড়া। এই ছিল আমাদের ছেলেবেলার রোজা। এতে সুখ যে একেবারেই ছিল না তা নয়। একটি কঠিন কর্তব্য হাস্যমুখে সমাধা করবার তৃপ্তি সেই বাল্যহৃদয়ও লাভ করত; এবং তার মূল্য বড় কম ছিল না।

এই প্রসঙ্গে আমার একটি করুণ অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ছে। বহু দিন আগেকার কথা। রোজা দু’তিন দিন হলো শুরু হয়েছে। বাড়িতে অনেক ছেলেমেয়ে; সেদিন অনেকেই রোজা রাখে নি—আমি রেখেছি।

রাস্তায় আমাদের বাড়ির কাছেই ‘হ্যাপি বয়’ আইসক্রিমঅলা সওদা নিয়ে হাজির। সকালবেলা; তাকে কেন্দ্র করে পাড়ার ছেলেমেয়েদের ভিড় আর হল্লা। বাড়িতে কে রোজা আছে আর কে নেই ছোট চাচা কোনোদিনই সে খবর রাখতেন না। তিনি সব ছেলেমেয়েকেই একটা করে আইসক্রিম কিনে দিলেন। আমি রোজা ছিলাম, কিন্তু হাত বাড়িয়ে আমিও একটা আইসক্রিম নিলাম। ভিড়ের মধ্যে কেউ লক্ষ্য করে নি; অথবা হয়তো সকলেই আইসক্রিম লেহনের উল্লাসে মত্ত, কে কোথায় কি কারণে হাত বাড়ালো এইসব নিষ্প্রয়োজন নটখটে কারই উৎসাহ ছিল না। তা না হলে আমার নাজেহালের সীমা থাকত না। সকালেই বুক ফুলিয়ে উঁচু গলায় ঘোষণা করেছি : আমি রোজাদার। এ কথা বলবার সময় আমার মুখ গর্বে যে পরিমাণ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল, একদল ভোজদারের মুখ সেই পরিমাণ অন্ধকার। আইসক্রিমের সামনে দাঁড়িয়ে এখন অবশ্য অবস্থাটা উল্টে গেছে। কিন্তু সেই সময় আমার ভূমিকাটা পাল্টাতে দেখলে আইসক্রিম অর্জনের আনন্দ টিটকারির দংশনে পণ্ড হয়ে যাবে। কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন, সেরকম কিছুই ঘটল না।

আইসক্রিমের কাঠিটি হাতে ফুলের বৃন্তের মতো ধরে রাখলাম; শীর্ষের হিমসর আমার দুটি চোখে লোলুপতার এক প্রকার আলোক এনে দিচ্ছিল, এবং জিহ্বায় এক অসহ্য সুড়সুড়ি। খাব? কেই-বা জানবে। ঐটুকুন বরফ খেলে কি আর রোজা ভাঙে—খোদা কি সত্যই অসন্তুষ্ট হতে পারেন। আমার মনটি সেই কুখ্যাত সর্পটির মতোই আমাকে যতসব দুষ্টবুদ্ধি দিতে লাগল। এই একটুখানি, মাত্র একবার একটুখানি-

কিন্তু যাই বলো, আমারও বাহাদুরি আছে। শেষ পর্যন্ত সমস্তটা খেলাম না। ঠিক করলাম রোজা খুলেই খাওয়া যাবে।

আমাদের শোবার ঘরে বইয়ের আলমারির মাথার কাছে একটি পেরেকে মাটির একটি পাখি লটকানো ছিল। মাটির পাখিটির ভিতরটা ছিল ফাঁপা; সেখানে চড়ই পাখি বাসা বেঁধেছিল। আমাদের দৌরাত্ম্যে তারা নষ্টনীড় ত্যাগ করে আমার পরদাদার জমানার একটা পুরাতন বুট জুতার মধ্যে আশ্রয় নিল। যখন থেকে জ্ঞান হয়েছে এই বুট জুতাটিকে কবুতরের পিঁজরাপোলের পিছনে একটি কোণে পড়ে থাকতে দেখেছি। কেউ বুট জুতাটির মৌরসিপাট্যায় হস্তক্ষেপ করে নি।

যাই হোক, মাটির পাখির অন্তঃসারশূন্যতায় আমার বড়ই উপকার হতো। ছেলেবেলায় সেখানে যে কতবার কত গুপ্তধন লুকিয়ে রেখেছি তার হিসাব নেই। খড়ি, ভাঙা চিরুনি, একটা ছোট্ট আয়না, অচল দু’আনি, সোডার বোতলের কেপচি—অমনি কত কি! সেদিনকার দুর্লভতম ধন আইসক্রিমটিকেও সেখানেই রাখলাম লুকিয়ে। খাটের মাথার কাছের উঁচু টুলটির ওপর দাঁড়ালেই আমি পাখিটির নাগাল পেতাম।

সেইদিনটি আর ফুরাতে চায় না। পৃথিবীতে কেউ কোনোদিন মসজিদের আজানের জন্য সেভাবে তৃষিত হয়ে থাকে নি, সেদিন একটি ছোট্ট মেয়ে যেভাবে ছিল। বারবার ঘর-বাহির করি, ঘড়ির কাঁটা দেখি, পাখিটির ওপর চোখ রাখি—এবং বারান্দার রেলিং-এ বিকেলের ছায়া কতদূর লতিয়ে উঠল লক্ষ্য করতে থাকি।

দুঃসময়েরও শেষ আছে; এক সময় মহত্তম সঙ্গীতের মতো মোয়াজ্জিমের কণ্ঠে আজান ধ্বনিত হলো। দস্তরখানে সকলের জন্য ইফতার সাজানো হয়েছে; যারা রোজা রাখে নি তাদের জন্যও। মুখে একটি ছোলা আর একখণ্ড আদা পুরে আমি ছুটলাম।

রমজান এলে ঈদই কি আর দূরে থাকতে পারে!

হা অদৃষ্ট! শুধু কাঠিটাই পড়ে আছে একটি কঙ্কালের মতো; আইসক্রিম সবটুকুই গলে ঝরে পড়ে গেছে। আইসক্রিম এতটা উদ্‌বায়ী সকালে তা খেয়াল থাকলে—কিন্তু যাক সে কথা। সেই বালিকার মনের অবস্থা সহজেই কল্পনা করতে পার।

সেই মাহে-রমজান আবার এসেছে। রাত্রিবেলা সেহরির জন্য উঠতে হবে, বোধ করি ঘুমের মধ্যেও সে চেতনা ছিল। আমার যখন ঘুম ভাঙল তখন আড়াইটা কি তিনটা হবে। খাটের ওপর পড়েই থাকলাম, উঠতে একেবারেই ইচ্ছা করছিল না। শীতের রাত্রে যে সময়টা ঘুম আসে সবচাইতে জাঁকিয়ে তক্ষুণি সেহরির জন্য উঠতে হয়। এই কষ্টটাই কি কম। এক সময় তবু উঠে বসলাম। বেশ ঠাণ্ডা পড়েছিল; গায়ে লাল আলোয়ানটা জড়িয়ে নিলাম। কনিজ যে উঠে পড়েছে বোঝা যাচ্ছিল; পিরিচ-পেয়ালা ধোবার শব্দ কানে আসছিল। হাঁড়িতেও কিছু চড়েছে, গরম তেলে মশলা পড়ার চড়চড় শব্দ শুনতে পাই। নাকে একটা গন্ধও ভেসে আসে। জানি না কেন, এইখানে গায়ে চাদর জড়িয়ে খাটের ওপর বসে হঠাৎ কনিজকে এক অন্তরঙ্গ পরমাত্মীয় মনে হতে লাগল—বাড়ির ঝি নয়। আশেপাশের বাড়িতেও একটি একটি করে জোনাকির মতো আলো জ্বলছে, কখনো-বা শুনতে পাই খড়মের এক টুকরা আওয়াজ—এবং সদ্য ঘুম ভাঙা লোকের একখণ্ড গলা খাঁকারি। দু-একটি বাড়ির জানালার ভিতর দিয়ে চুলোর ধোঁয়া ও বেরিয়ে আসতে থাকে। আমার মনে হতে লাগল, আমরা সবাই যেন একই জাহাজের যাত্রী, মধ্যরাত্রে মাঝ সমুদ্রে হঠাৎ জেগে উঠেছি। অভিজ্ঞতাটি বেশ ভালোই লাগছিল।

রাস্তায় তখন হেঁকে চলেছে :

গাফিলে বান্দে সোঁচ জরা
এ দুনিয়া ঘড়ি ভর কি ঠিকানা হয়।
অথবা :
মাহে রমজানকা দেখো নাজারা।
এবং আরো একটি দল
পাঁচ পয়সা এক লুঙ্গী
দাতা লঙ্গর শাহকা সওয়াল হ্যায়।

রাত একটা থেকেই এই নক্তচারীরা পথে বের হয়। এক এক পাড়ায় এক এক দল। গলা পর্যন্ত মোটা চাদর জড়ানো থাকে, হাতে বাঁশের লম্বা লাঠি। সমস্ত পাড়ার গাফিল বান্দাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, এই নাটমন্দিরের লীলাখেলা সবই ফক্কিকার ‘ঘড়ি ভর কি ঠিকানা হয়।’ তারপর সেহরির সময় উত্তীর্ণ হলে যে যার বাড়ি ফিরে যায়। এদের ডাক সেই নিস্তব্ধ নিশীথে আমার কানে কিন্তু বড়ই মধুর ঠেকত। কতদিন শেষ রাত্রে পথিপার্শ্বের অলিন্দে কনুইয়ের ওপর ভর দিয়ে থাকতাম দাঁড়িয়ে। আকাশে নক্ষত্র মিটমিট করত; চোখেমুখে ঠাণ্ডা হাওয়া লাগত।

আমি আর ফুপুজান সেহরি সেরে উঠছি। এমন সময় দেখি সিঁড়িতে ছোট ফুপু, হাতে তাঁর খাঞ্চা। খাঞ্চার তশতরিতে সাজানো পরোটা কোরমা, হালুয়া এইসব।

—ও মা। তোমাদের খাওয়া হয়ে গেল!

ছোট ফুপুর কণ্ঠে বিস্ময় আর হতাশা!

ফুপুজান প্রশ্ন করলেন : এত কি সব নিয়ে এলে। দেখি হালুয়াটা কেমন হয়েছে।

—বুবু, আজ প্রথম সেহরির রাত, তাই এই সামান্য আয়োজন। মা তিশনা, তুমিও হালুয়াটা চেখে দেখ।

একবার ছোট চাচার বন্ধ দুয়ারের দিকে ইশারা করে ছোট ফুপু আমাকে প্রশ্ন করলেন : ওঁর কি খবর? দরজা বন্ধ যে। সেহরি করবেন না!

 জবাব দিলেন ফুপুজান : ও আবার রোজা রাখল কবে।

ছোট ফুপু এক মুহূর্ত অপেক্ষা করলেন। দাঁত দিয়ে অধরের একটি কোণ কামড়ে ধরা তাঁর একটা বিশেষ ভঙ্গি ছিল। তারপর সঙ্কল্প স্থির করে নিয়ে অকম্পিত পদে সেই বন্ধ দুয়ারের দিকে খাঞ্চা হাতে এগিয়ে গেলেন।

—এসতো মা, আমাকে একটু সাহায্য কর।

আমি যন্ত্রচালিতের মতো ছোট ফুপুকে অনুসরণ করলাম। পাশে দাঁড়িয়ে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।

—দরজায় ধাক্কা দাও।

একটু ধাক্কাধাক্কি করতেই দরজা খুলে গেল। নিদ্রাজড়িত চোখ, কণ্ঠে বিরক্তি : কি চাও? কিন্তু ছোট ফুপুকে দেখতে পেয়ে তিনি চুপ হয়ে গেলেন।

ছোট ফুপু পাশ কাটিয়ে খাঞ্চা হাতে সোজা ছোট চাচার ঘরের ভিতর চলে এলেন; তাঁর পিছনে পিছনে আমি। ছোট ফুপুর এই কর্মে আমার পূর্ণ সমর্থন ছিল।

ফুপুজানের চোখে বিস্ময়; ছোট চাচার ললাটে প্রশ্ন।

আমি কিন্তু একটুও অবাক হই নি; এইটেই যেন সবচাইতে স্বাভাবিক।

টেবিলের ওপর খাঞ্চা সাজিয়ে ছোট ফুপু এক পাশে সরে দাঁড়ালেন। অল্প একটু হেসে ছোট চাচাকে প্রশ্ন করলেন : নিয়তটা মনে আছে, না তাও ভুলে গেছেন!

আশ্চর্য, ছোট চাচা সব ক’টা রোজা রাখলেন।

বছর গড়িয়ে যেতে লাগল। কামিল তার স্বপ্নলোক কলেজে প্রবেশ করল। পাস করল সেকেণ্ড ডিভিশনে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *