গন্ধর্বরাজ বিশ্বাবসু ও অপ্সরা মেনকার কন্যা। সদ্যোজাত কন্যাকে মহর্ষি স্থুলকেশের আশ্রমে রেখে দিয়ে মেনকা অদৃশ্য হন। মহর্ষি প্রমদ্বরাকে নিজের মেয়ের মত করে বড় করেন। প্রমতি (চ্যবন ও সুকন্যার পুত্র) ও অপ্সরা ঘৃতাচির পুত্র রুরু রূপসী প্রমদ্বরাকে দেখে মোহিত হওয়ায় প্রমতি ও স্থুলকেশ ওঁদের বিবাহ দেওয়া স্থির করলেন। দুর্দৈবক্রমে বিবাহের পূর্বেই একদিন সর্প-দংশনে প্রমদ্বরা বিবর্ণ ও হতচেতন হয়ে পড়ে গেলেন। শোকার্ত রুরুর করুণ বিলাপ শুনে কৃপা পরবশ হয়ে দেবতারা এক দেবদূতকে পাঠালেন। তিনি এসে বললেন যে, রুরু যদি ওঁর নিজের আয়ুর অর্ধেক প্রমদ্বরাকে দান করতে রাজি থাকেন,তাহলে প্রমদ্বরা আবার জীবিত হতে পারেন। রুরু সঙ্গে সঙ্গে তাতে রাজি হলেন। তখন প্রমদ্বরার পিতা গন্ধর্বরাজ বিশ্বাবসু আর সেই দেবদূত যমের কাছে গিয়ে বললেন – ধর্মরাজ, আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে মৃতা প্রমদ্বরা রুরুর অর্ধ আয়ু নিয়ে বেঁচে উঠুক। যম রাজি হলেন ও প্রমদ্বরাও বেঁচে উঠলেন।