প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়
যায় মহাকাল মূর্ছা যায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় যায় অতীত কৃষ্ণ-কায় যায় অতীত রক্ত-পায়— যায় মহাকাল মূর্ছা যায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! যায় প্রবীণ চৈতি-বায় আয় নবীন- শক্তি আয়! যায় অতীত যায় পতিত, ‘আয় অতিথ, আয় রে আয় –’ বৈশাখী-ঝড় সুর হাঁকায় – প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! ওই রে দিক্- চক্রে কার বক্রপথ ঘুর-চাকার! ছুটছে রথ, চক্র-ঘায় দিগ্বিদিক মূর্ছা যায়! কোটি রবি শশী ঘুর-পাকায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! ঘোরে গ্রহ তারা পথ-বিভোল, – ‘কাল’-কোলে ‘আজ’খায় রে দোল! আজ প্রভাত আনছে কায়, দূর পাহাড়- চূড় তাকায়। জয়-কেতন উড়ছে কার কিংশুকের ফুল-শাখায়। ঘুরছে রথ, রথ-চাকায় রক্ত-লাল পথ আঁকায়। জয়-তোরণ রচছে কার ওই উষার লাল আভায়, প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়। গর্জে ঘোর ঝড় তুফান আয় কঠোর বর্তমান। আয় তরুণ আয় অরুণ আয় দারুণ, দৈন্যতায়! দৈন্যতায়! ওই মা অভয়-হাত দেখায় রামধনুর লাল শাঁখায়! প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! বর্ষ-সতী-স্কন্ধে ওই নাচছে কাল থই তা থই কই সে কই চক্রধর, ওই মায়ায় খণ্ড কর। শব-মায়ায় শিব যে যায় ছিন্ন কর ওই মায়ায় — প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়!
কৃষ্ণনগর,
৩০ চৈত্র, ১৩৩২