প্রতিশ্রুতি – মৃনাল চক্রবর্তী

প্রতিশ্রুতি – মৃণাল চক্রবর্তী

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক অলৌকিক ঘটনাই ঘটে থাকে

আর সেই ঘটনার কোনো ব্যখ্যা আমাদের কাছে থাকেনা,

কাউকে সেটা বলতে গেলে এই আধুনিক সমাজে নিছকই হাসির পাত্র হতে হয় আমাদের।

আমার জীবনেও সেইরকম এক ঘটনা যার ব্যখ্যা আমি আজও খুঁজে পাইনি।

দিনটা ছিল ১৩ই অক্টোবর ২০১১ তিথি মতে সেদিন ‘ভূত চতুর্দশী’,

মানে কালী পুজোর আগের দিন অর্থাৎ কৃষ্ণ পক্ষের পরে ১৪তম রাত, দাদু ঠাকুমার মুখে হয়তো আমরা সবাই শুনে থাকি সেইদিন বাইরে নিস্তব্ধ ফাঁকা জায়গায় যেতে নেই কারণ ভূতেরা নাকি সেদিন খুব শক্তিশালী হয় এবং এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াই,

এরকম কথা ছোটোতে আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।

যাইহোক এখন বড় হয়ে গেছি বয়স প্রায় ২৪ হল তাই এসব আর মানিনা, তাই চারজন বন্ধু মিলে প্ল্যান করলাম এবারে কালী পুজোটা আমরা বাইরে কোথাও ঘুরতে যাব এবং সেখানেই কাটাবো, তাই কথা মত কালী পুজোর দুদিন আগে সব গুছিয়ে নিলাম একটা ব্যাগের মধ্যে কারণ কালী পুজোর আগের দিনই আমরা ময়ূরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।

বলে রাখা ভালো আমার বাড়ির এখান থেকে আমি, অভি আর অনুরাগ এই তিনজন যাচ্ছি আর আমাদের যাওয়ার পথে নারায়ণ পুরে ঋষিকেশ উঠবে কারণ ওর ওখানে বাড়ি, ও আমাদের ফেসবুকের কমন ফ্রেন্ড তাই ভালোই পরিচয় ছিল আমাদের ফেসবুকের মাধ্যমে আর আমাদের ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান শুনে সে এক কথায় রাজি এবং প্রতিশ্রুতিও দেই যে সে আমাদের সাথে যাবেই।

আমরা অবশেষে ১৩ তারিখ বিকাল ৫ টাই রওনা দিলাম,

মনের মধ্যে তখন এক অন্যরকমই আনন্দ কাজ করছে আমাদের মধ্যে, বেশ মজা করে গান শুনতে শুনতে গল্প করতে করতে যাচ্ছি আমরা তখন সন্ধ্যে ৭টা বাজছে ঋষিকেশকে একটা কল করলাম কারণ নারায়ণ পুর ঢুকতে আর কম করে প্রায় ১০ মিনিট লাগবে,

কিন্তু ঋষি ফোন তুলছে না আবার চেষ্টা করলাম কিন্তু পরিষেবা সীমার বাইরে বলছে।

আমরা ভাবলাম হয়তো নেটওয়ার্ক নেই তাই ফোন লাগছে না,

আর তো চলেই এসেছি ও হয়তো দাঁড়িয়ে থাকবে ওখানে।

প্রায় মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই আমরা নারায়ণ পুর ঢুকলাম দেখলাম একজন একটা ল্যাম পোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে আছে, আমরা ভাবলাম ঋষিকেশই হবে, হ্যাঁ ঠিকই ধরেছি ওটা ঋষিই।

যাইহোক ও আমাদের গাড়িতে উঠে এলো ওর সাথে এই প্রথম দেখা আমাদের এর আগে যেটুকু আলাপ সেটা শুধু ফেসবুকের মাধ্যমেই, গোটা রাস্তা ফাঁকা আমরা গল্প করতে করতে চলছি ময়ূরগঞ্জের দিকে, পুরো রাস্তা জুড়ে একটা গা ছমছমে পরিবেশ আর এমনিতেও আজ ভূত চতুর্দশীর রাত একটু ভয় লাগছে কিন্তু তাও মনে বেশ আনন্দ এই ভেবে যে বন্ধুরা মিলে একসাথে ঘুরতে যাচ্ছি।

গাড়িতে যেতে যেতে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে আমরা সবাই

গল্প করছি মজা বলছি কিন্তু ঋষি কেমন যেনো চুপচাপ রয়েছে,

ওকে জিজ্ঞেস করলাম ;

-কি রে ঋষি তোর ভালো লাগছে না..?

-ও বললো হ্যাঁ কেনো ভালো লাগবে না

-তাহলে তুই কথাই বলছিস না, চুপ বসে আছিস কেন?

-আরে আমি সত্যিই খুব বেশি কথা বলিনা সেই ছোটো থেকেই।

-ওঃ আচ্ছা….

– ড্রাইভার দা অর্থাৎ আমাদের রাজু দা কে বললাম রাস্তায় একটা চায়ের দোকান দেখে গাড়িটা দাঁড় করিও,

প্রায় ২ কিমি যাওয়ার পর গাড়িটা থামে একটা চায়ের দোকানে,

দোকানটার তিন দিকে দেওয়াল ওপরে খড়ের ছাউনি আর সামনেটাই একটা বসার জন্য বাঁশের বেঞ্চ, তো আমরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে ৫ জন সেখানে বসলাম আর দোকানের কাকা কে বললাম চা দিতে, ঠিক ২ মিনিট পর কাকা চার কাপ চা নিয়ে আমাদের দিলো।

-আমি বললাম আমরা ৫ জন আছি তো আর এক কাপ কই..?

-কাকা একটু মৃদু হেসে বললো ওঃ আর একজন গাড়ির ভিতরে আছে বুঝি…! দিয়ে সে আর এক কাপ চা আনতে গেলো দোকানের ভিতর।

-আমরাও ব্যাপারটা তখন গুরুত্ব দিনি, সবাই চা খেয়ে আবার গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম।

রাত তখন প্রায় ১০টা ৩৫ মিনিট আমরা ময়ূরগঞ্জের একটা কটেজে গিয়ে উঠলাম, একটা রুমে দুটো বেড চারজন থাকতে পারবে।

বেড গুলো বেশ বড়ই তাই ওখানের ম্যানেজারের সাথে কথা বলে একটা রুমে ৫ জন থাকতে দেওয়ার জন্য বললাম কারণ ড্রাইভার দা কে তাহলে আলাদা করে থাকতে হতো একা।

অনুরোধের পর ম্যানেজার সম্মতি দেই আমাদের ৫ জনকে একসাথে থাকার, কিন্তু ম্যানেজার আমাদের দিকে কেমন ভাবে যেনো তাকিয়ে ছিল আর গেটের দিকে তাকাচ্ছিল।

অবশেষে আমরা সবাই রুমে ঢুকলাম খুব ক্লান্তি শরীরের

মধ্যে, একটু পরেই কটেজের একজন এসে রাতের খাবার দিয়ে গেলো আমাদের, আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম আর কিছুক্ষণ পরেই একজন এলো আমাদের রুম থেকে খাবারের প্লেট গুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু লোকটি একটু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে একটা প্লেট গুলোর দিকে সেটা একমাত্র আমি লক্ষ্য করলাম এবং কিছুক্ষন পর সেই প্লেটটা বাকি প্লেট গুলোর ওপরে চাপিয়ে লোকটা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। আমি আর এটা নিয়ে কাউকে কিছু বললাম না রাত অনেক হয়েছিলো তাই দেরি না করে সবাই শুয়ে পড়লাম এবং ওদের সাথে কাল কোথায় ঘুরবো এই প্ল্যান করতে করতে কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখটা জড়িয়ে এলো আর কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা বুঝতেই পারিনি।

সকালে প্রায় ৭ টার দিকে বাড়ি থেকে মায়ের ফোন আসায় ঘুমটা ভেঙে গেলো তাই মায়ের সাথে ফোনে কথা বলে বাকিদের ঘুম থেকে তুলে দিলাম কিন্তু ঋষিকে রুমে দেখতে পেলাম না,

দিয়ে কটেজের সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এদিকে ওদিকে তাকিয়ে দেখেছি ঋষি রয়েছে কিনা, ঠিক কিছুক্ষণ পরেই দেখি সামনে দিয়ে হেঁটে হাসছে ও

-আমি জিজ্ঞেস করলাম এত সকালে কোথায় গেছিলি?

-ও বললো আমার সকালে হাঁটার অভ্যেস আছে তাই আমি হাঁটতে গেছিলাম।

– আমি বললাম ; ও বেশ কিন্তু আমাদের আজ ডাকতে পারতিস আমরাও যেতাম তোর সাথে।

-আরে তোরা ঘুমাচ্ছিল তাই আর ডাকিনি তোদের আর এমনিতেও কাল দেরিতে ঘুমিয়ে ছিলি,

-বেশ ঠিক আছে রুমে চল।

তারপর আমরা রুমে গিয়ে একটু বসে আড্ডা দি এবং কিছুক্ষণ পরে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম আশেপাশের জায়গা গুলো ঘুরে দেখার জন্য, মোটামোটি ভাবে জায়গা গুলো ঘুরে দেখলাম অনেক ছবি তুললাম আমাদের বেশ মজা করেই কাটলো সারাদিন,

খুব খিদে পেয়েছিলো তাই একটা দোকান দেখে রাজু দা কে গাড়িটা দাঁড় করাতে বললাম এবং রাস্তার ধারে দেখলাম চা, পুরি ঘুগনির দোকান তাই গাড়ি থেকে নেমে দোকানে গিয়ে পাঁচ প্লেট পুরি ঘুগনি দিতে বললাম, একটা টেবিলে চারটে চেয়ার তাই আর একটা চেয়ার অ্যাড করলাম আমাদের সাথে যাতে পাঁচজন একসাথে বসতে পারি, বসে গল্প করছি আমরা তখনই দোকানের কাকু চার প্লেট পুরি ঘুগনি আমার হাতে অভির হাতে অনুরাগের হাতে ও রাজুদার হাতে দিলো এবং আর এক প্লেট ঘুগনি টেবিলের ওপর নামিয়ে দিলো আমি ব্যাপারটা দেখে বেশ অবাকই হলাম তাও ব্যাপার আর গুরুত্ব না দিয়ে বললাম ঋষি তুলে নে প্লেটটা আর যদি পুরি লাগে তাহলে বলবি,

যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে দিলাম গাড়িতে উঠতে যাবো তখনই কানে এলো দোকান থেকে কাকুটা ওদের এক কর্মচারীকে বলছে

-এখুনি খেয়ে গেলো ওদের টেবিলে দেখ একটা প্লেট ফুল আছে হয়তো ওরা খাইনি এঁঠুও করেনি তাই ওটা তুলে রেখে দে।

গাড়িতে যেতে যেতে অভি আমাকে বললো দোকানদার কি বলছিল শুনলি তুই দীপ..?

-আমি বললাম হ্যাঁ ওই ফুল প্লেট তুলে রেখে দেওয়ার কথাটা তো?

-অভি বললো হ্যাঁ রে, কিন্তু আমরা তো সবাই খেয়েছি প্লেটে তো কিছু থাকার কথা না,

-আমি বললাম হ্যাঁ রে আমিও সেটাই ভাবছি।

কিছুক্ষন পর কটেজে এসে পৌঁছলাম এবং স্নান করলাম একটু পরেই খাবার দিয়ে গেলো খেলাম কিন্তু সেদিনের মতো আজও সেই লোকটা প্লেট গুলো নিয়ে যাওয়ার সময়ে ঋষির বেডের পাশে টেবিলে থাকা প্লেট টার দিকে তাকিয়ে আছে মনে হলো সে হয়তো ভাবছে প্লেট টা নেবো কি নেবোনা এবং শেষমেশ আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে প্লেট টা তুলে নিয়ে চলে গেলো।

এভাবেই সেখানে দুদিন কাটিয়ে আজ অর্থাৎ ১৫ তারিখ বিকালে বাড়ি ফিরবো বলে ঠিক করলাম এবং বিকাল ৫ টার দিকে রেডি হয়ে গাড়িতে উঠলাম সবাই ঠিক তখনই ঋষি বললো আমি রুমে আমার হাত ঘড়িটা ফেলে এসেছি তোরা বোস আমি নিয়ে আসি।

আমরা গাড়িতে বসে আছি অনেকক্ষণ হয়ে গেলো কিন্তু ঋষি তখনও এলো না তাই এক প্রকার বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে রুমে গেলাম গিয়ে দেখি রুম লক করা অবাক হয়ে গেলাম এবং ম্যানেজারকে ডেকে বললাম

আমাদের এক ফ্রেন্ডের ঘড়িটা রুমে ফেলে গেছে তাই সে রুমে এসেছিল ঘড়িটা আনতে আপনারা কেউ দেখেন নি?

-ম্যানেজার বললো না তো আপনারা যাওয়ার পরই রুম লক করে দিয়েছি এর পড়তো আর কেউ আসেনি এলে তো জানতে পারতাত আমরা। কিন্তু একটা কথা জিজ্ঞাস করার ছিল আপনাদের,

-আমি বললাম হ্যাঁ বলুন

-আপনাদের সাথে কজন ছিল?

-আমি বললাম ৫ জন ছিল, কিন্তু কেনো?

-ম্যানেজার বললো কিছু মনে করবেন না কিন্তু আমি আমাদের সাথে টোটাল চারজনকেই দেখেছিলাম,

পাশে থেকে কটেজের একজন বললো হ্যাঁ বাবু আমিও আপনাদের সাথে একজনকেই দেখেছিলাম।

-আমি তো শুনে অবাক বিশ্বাসই হচ্ছেনা কোনো ভাবে এবং মাথায় কিছুই ঢুকছে না। গাড়ির ওখানে ফিরে গিয়ে বাকিদের পুরো ব্যাপারটা খুলে বললাম তারাও শুনে অবাক, তৎক্ষণাৎ অভি ঋষির ফোন ফোন করলো কিন্তু পরিষেবা সীমার বাইরে বলছিল কোনো ভাবেই ফোন লাগছিল না। তাই আর অপেক্ষা না করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম যেতে যেতে মাথার মধ্যে শুধু এই গুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে, রাজু দা কে বললাম

-রাজু দা গাড়িতে নারায়ণ পুরের ভেতরে ঢুকিয়ো ঋষির বাড়িতে বলা উচিত কারণ ও আমাদের সাথে গেছিলো, ওর বাড়িতে জানানো এটা আমাদের কর্তব্য।

রাত প্রায় ৯ টার দিকে নারায়ণ পুর ঢুকলাম কিন্তু ঋষিকেশের বাড়ি আমরা কেউই চিনিনা তাই কিছুটা গিয়ে একজনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম

-আচ্ছা দাদা এখানে ঋষিকেশ ব্যানার্জির বাড়ি কোনটা?

-সে সামনে রাস্তা দেখিয়ে বললো সোজা গিয়ে ডান দিকে একটু গেলেই ওর বাড়ি।

-আমরা সেই মতো গেলাম এবং দেখলাম একটা বাড়ির সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ নামানো রয়েছে আর কিছু লোক দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। গাড়ি থেকে নেমে জিজ্ঞেস করলাম

– এইযে কাকু শুনছেন?

-হ্যাঁ বাবা বলো! কিছু বলছিলে?

-আচ্ছা এটা কি ঋষিকেশ ব্যানার্জির বাড়ি?

-বললো হ্যাঁ বলো, আমি ঋষির ছোটো কাকা।

-আমি বললাম ও আচ্ছা

দিয়ে আমি ঋষির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে যাবো ঠিক তখনই

কাকু কেঁদে উঠে বললো কি থেকে কি হয়ে গেলো গো গ্রামের দুটো ছেলের সাথে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফিরে এলো না গত পরশু দিন সকালে নদীর পাড়ে তার মৃতদেহ পাওয়া গেলো।

-আমরা তো শুনে অবাক, কিছুই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে, এইসব ভাবতে ভাবতে আর দেরি না করে তখনই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলাম ওখান থেকে।

গাড়িতে যেতে যেতে সব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে

সব ঘটনা গুলো আসতে আসতে পরিস্কার হয়ে আসছে আমাদের,

আমরা চারজন ছাড়া আর কেউ ঋষি কে দেখতে পেতো না,

-তাই যাওয়ার দিনে চায়ের দোকানের কাকু চার কাপ চা দিয়েছিলো আমাদের।

-সেই জন্যই কটেজের লোকটা খাবারের প্লেটের দিকে তাকিয়ে থাকতো ওই ভাবে কারণ সেই একটা প্লেট সব সময়ে ফুল হয়েই থাকতো কিন্তু আমরা দেখতে পেতাম না সেটা।

-আর সেদিন রাস্তায় টিফিন খাওয়ার জন্য যখন গেছিলাম তখন ওই জন্যই দোকানের কাকু বলেছিলো একটা প্লেট ফুল আছে ওটা তুলে রাখতে।

-হঠাৎ অভি বললো আমরা তো একসাথে অনেক ছবি তুলেছি সেগুলো দেখতো,

-আমি আমার ফোনটা বের করে ছবি গুলো দেখেই হতভম্ব হয়ে গেলাম, দেখি একটা ছবিতেও ঋষি নেই কিন্তু তখন দেখেছিলাম ও ছিল।

এবার সব পরিস্কার হয়ে গেলো এতক্ষণে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।

নিজেদের কোনো রকমে তখন সামলে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম,

বাড়িতে এসে কাউকে কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়লাম এবং রাত্রে স্বপ্নে দেখি ঋষি আমাকে বলছে

-ভয় পাসনা তোদের সাথে ঘুরতে যাবো তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তাই আর না গিয়ে পারলাম না বন্ধু ভালো থাকিস তোরা আমি আসি।

পরের দিন সকালে বাকিদের ফোন করতেই তারাও ঠিক একই স্বপ্ন দেখে আর আমাকে বলে।

এর পর আর কোনোদিন ঋষি আমাদের স্বপ্নে আসেনি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *