প্রতিপক্ষ

প্রতিপক্ষ

আজ সাব ডিভিশনের ফাইনাল ম্যাচ। চড়কডাঙা ক্লাব ভার্সেস প্রগতি সঙ্ঘ। সজল প্রগতির স্ট্রাইকার। গত বছর ওর করা একটা গোলে চাম্পিয়ন হয়েছিল ক্লাব। এবারও দল সজলের ওপর নির্ভর করে আছে। আর কেউ না বুঝুক, সজল জানে সে এবার হতাশ করবে ক্লাবকে। গত বছরের সজল আর এবারের সজলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। শক্তি বা ক্ষমতা অর্ধেক হয়ে গেছে তার। নামমাত্র প্র্যাকটিসের বন্দোবস্ত আছে তাদের ক্লাবে। সকালের দিকে হয়। সজল যেতে পারে না ইদানীং। বাজারে সবজি নিয়ে বসে। ভোর চারটেয় উঠে শেওড়াফুলির পাইকারি বাজার থেকে মাল আনতে হয়। টুকটাক প্র্যাকটিস যা করে বিকেলে, বাচ্চাদের সঙ্গে। এত কম অনুশীলন করেও এই সিজিনে আটখানা গোল করেছে সজল। যে সব ক্লাবের এগেনস্টে করেছে, খুবই সাধারণ মানের দল। সজলের ঘাটতিটা বোঝা যায়নি। অন্য গ্রুপ থেকে উঠে আসা চড়কডাঙা কিন্তু সেরকম টিম নয়। ফার্স্ট ডিভিশনের কাঞ্চন ওদের রাইট-উইং-এ খেলে। ওকে আটকে গোল করা বিরাট ব্যাপার। গতবারে সম্ভব হয়েছিল। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে চারজনকে কাটিয়ে দৌড়ে হারিয়ে গোল করেছিল সজল। এ বছর তার সেই শক্তি নেই। খেলার পুরো সময়টা মাঠে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়েই সংশয় হচ্ছে এখন।… বাথরুমে চান করতে করতে এসবই ভাবছে। সময় নিয়ে ফেলেছে অনেক। মা বাইরে থেকে হাঁক দিল, কী রে, তোর হল? দেরি হয়ে যাবে যে।

তাড়াতাড়ি গা মুছে বেরিয়ে এল সজল। আজ ফাইনাল খেলা বাড়ির সবাই জানে। অন্যান্যবার সকাল থেকেই ছটফট করে সজল। সামনের ছোট্ট উঠোনটায় একা একা প্র্যাকটিস করে। ডজ, ড্রিবলিং, বল কন্ট্রোল। আজ এসব কিছুই করেনি। ভোর রাত থাকতে শেওড়াফুলি বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিছানা থেকে চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে আসে মা। বলেছিল, আজও বেরোবি, খেলা আছে না তোর।

সজল কোনও জবাব দেয়নি। কারণ, উত্তরটা মায়ের জানা। একটা দিন বাজারে না বসা মানে সংসারের অনেক ক্ষতি। মাস চারেক হল দিদি মেয়ে সমেত শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। এই গরিব পাড়ার শ্রেষ্ঠ সুন্দরী ছিল দিদি। বিয়েটা সুখের হল না। প্রেম করেই বিয়ে করেছিল। জামাইবাবু শিবেনদা পাঁড় মাতাল। মদ খাওয়ার অভ্যেসটা দিদি জানত, বাড়িতে লুকিয়ে গিয়েছিল। বিয়ের পর মাতলামি বাড়ল, রোজগারপাতি কমল। শ্রীরামপুরে কাপড়জামার গুমটি দোকান আছে শিবেনদার। যতটা সম্ভব খরচ করে দিদির বিয়ে দিয়েছিল বাবা। মাস দুয়েক পর থেকে মাঝেমধ্যেই দিদি বাপের বাড়ি এসে থাকতে লাগল। দেখতে দেখতে মেয়ে হল। একটু বড় হতে ভরতি হল দামি নার্সারি স্কুলে। দিদি

ভেবেছিল মেয়ের দায়-দায়িত্ব অনুভব করে শিবেনদা বুঝি শুধরে যাবে। শোধরায়নি। মদ খেয়ে দিদিকে মারধরও শুরু করল। শুকনো রজনীগন্ধার ডাঁটির মতো দেখতে হয়ে গেল দিদিকে। শ্বশুরবাড়ি থেকে শেষবার যখন এল, ওর গায়ে পুরনো কিছু কালশিটে দেখেছিল সজল। সে দিকে বেশিক্ষণ না তাকিয়ে বলেছিল, তুই আর ও বাড়ি যাস না। এখানেই থেকে যা।

তা হয় নাকি! বাবার একার রোজগারে তোদেরই চলে না। আরও দুটো পেট। তার ওপর তোর ভাগনির লেখাপড়ার খরচ। কে টানবে এতসব? গভীর হতাশায় বলেছিল দিদি। সজল বলে, আমি টানব। তুই চিন্তা করিস না।

টেনেটুনেই হলেও সজলই টানছে। বাজারে বসার ব্যাপারটা অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরছিল। আলু বিক্রি করে মদনদা ফুটবল প্রেমী, সজলকে ভালবাসে ভীষণ। বাড়ির অবস্থা মদনদাকে বলতে, বসার একটা ব্যবস্থা করে দিল। টাকা দিতে হবে মাসে মাসে। মদনদা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, দোকানদারি চালিয়ে পারবি খেলতে?

পারব মদনদা। বলার সময় সজল জানত সে পারবে না। ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাবে। বাবা তার এই সিদ্ধান্তে কোনও মতামত দেয়নি। হয়তো ধরে নিয়েছে ছেলের ফুটবল কেরিয়ার শেষ। যখন হিন্দমোটরে চাকরি করত, ডিউটি অফ করে ছেলের খেলা দেখতে যেত৷ এখন আর সময় পায় না। মোটর গ্যারেজে কাজ করে। অল্প বেতন। নো ওয়ার্ক নো পে। হিন্দমোটর থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর যে ক’টা টাকা পেয়েছিল, সব দিদির বিয়েতে খরচ হয়েছে। তারপর থেকে সজলদের দিন আনি দিন খাই।

সজল জানে বাবা একসময় আশা করত ছেলে একদিন বড় প্লেয়ার হবে। সুপার ডিভিশনে খেলবে নিশ্চয়ই। মুখ ফুটে সে কথা অবশ্য কাউকে কোনওদিন বলেনি। বাবার উজ্জ্বল দৃষ্টিতে সেটা বুঝে নিত সজল। একটা ব্যাপার বাবা কোনওদিন আশা করেনি, অ্যাকটিভ পার্টি করা সত্ত্বেও প্রথম স্পেলেই ছাঁটাই হতে হবে তাকে। পার্টি এবং পুত্রের উপর ভরসা হারিয়ে গেছে বাবার। তবু মুখে কোনও অনুযোগ নেই। আগের থেকে আরও চুপ করে গেছে।

এ বাড়িতে একমাত্র প্রাণ খুলে কথা বলে তিন্নি, দিদির মেয়ে। আজ রবিবার। তিন্নির স্কুল ছুটি। বাবারও ডিউটি অফ। সবাই একসঙ্গে খেতে বসা হয়েছে। তিন্নি বায়না ধরেছে, মামার খেলা দেখতে যাবে। বারবার দাদুকে বলছে, নিয়ে চলো না আমায়।

বাবা মাথা নাড়ছে। বলছে আমার শরীর ভাল নেই। সজল বুঝতে পারছে খেলা দেখার

ব্যাপারটা এড়িয়ে যাচ্ছে বাবা। হয়তো আন্দাজ করছে সজলদের টিম আজ হারতে পারে। তিন্নিকে বাবা বেশ পছন্দই করে। রোজ স্কুলবাসে তুলে দেয়। পার্কে নিয়ে যায় কখনও সখনও। ওর সঙ্গেই যা একটু কথাবার্তা বলে। ছেলের হার বিষয়ে এত শিয়োর নাতনির থেকেও পালাতে চাইছে। তিন্নি এবার বলে, চলো মামা, আমি তোমার সঙ্গে যাব। আমি যখন

মাঠে খেলব, তোকে কে দেখবে?

তিন্নি চিন্তায় পড়ে যায়। মা এবার বাবার উদ্দেশে বলে, যাও না মেয়েটাকে নিয়ে। মামার খেলা কোনওদিন দেখেনি।

খাওয়া শেষ হয়েছে বাবার। থালা ছেড়ে উঠে যেতে যেতে বলে, যখন জেতার মতো খেলত, তখন নিয়ে যাওয়ার একটা মানে ছিল। এখন মিছিমিছি…

কথা অসম্পূর্ণ রেখে উঠে গেল বাবা। মানেটা তিন্নি বাদে সবার কাছে পরিষ্কার। মা বলে ওঠে, সজলরা আজ জিতবেই। সজলের গোলেই জিতবে।

বাবা ঘুরে তাকায় মায়ের দিকে। দৃষ্টিতে অবাক ভাব। মা ফের বলে, গরলগাছার শীতলাবাড়ি থেকে মাদুলি নিয়ে এসেছি, গলায় বেঁধে দেব সজলের।

সজল প্রমাদ গোনে, এই বুঝি বাবা রাগারাগি শুরু করবে। করল না। মায়ের দিকে আগুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চলে গেল পাশের ঘরে।

বাবারও তেজ ক্রমশ কমে আসছে। শীতলাবাড়ির মাদুলি মা প্রথম বেঁধেছিল দিদির গলায়। যখন শিবেনদার সঙ্গে মিল হচ্ছিল না দিদির। বাবা গলা থেকে ছিঁড়ে নিয়েছিল মাদুলি। বলেছিল, যত্ত সব বাজে সংস্কার। সম্পর্ক ভাল হওয়ার হলে এমনিই হবে।

বাবা কমিউনিস্ট পার্টি করে। ঠাকুর দেবতা মানে না। ছাঁটাই হওয়ার পর বাবা পার্টি বদলায়নি। ঠাকুর দেবতা মানেনি। মাদুলি ছেঁড়ার ক’দিন পর ফের বাপের বাড়ি ফিরল দিদি। চোখের তলায় কালি, শরীর অর্ধেক। এবার আর মা, বাবার কথা শুনল না, মাদুলি পরিয়ে ছাড়ল দিদিকে। মাদুলিটার দাম যথেষ্ট বেশি। ছ’শো টাকা। নিজের কানের পাতলা দুল বিক্রি করে টাকাটা জোগাড় করেছিল মা। বাড়িতে ঠাকুর দেবতার ছবি, পুজো-আচ্চা বাড়তে লাগল। বাবা ফিরে তাকাত না। বেশ কিছুদিন আগে মা কোমরের ব্যথায় ভুগছিল। বোধহয় বাত। দিদিকে টাকা দিয়ে পাঠাল মাদুলি আনতে। সেবার টাকাটা কোথা থেকে জোগাড় হয়েছিল জানে না সজল। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার ক’দিনের মধ্যেই ভাল হয়ে গেল মা। তারপর থেকে মা, দিদি, তিন্নির গলায় ঝুলছে গরলগাছার শীতলাবাড়ির মাদুলি।

আগে বড় খেলা থাকলে বাবা মাকে প্রণাম করে বেরোত সজল। এখন বাবার সামনে যেতে সংকোচ হয়। জার্সি, বুট ব্যাগে নিয়ে মাকে প্রণাম করল সজল। তখনই মাদুলিটা পরিয়ে দিল মা। গলা জড়িয়ে আদর করল। বলল, ভাল করে খেলিস বাবা। মা শীতলার আশীর্বাদ তোর সঙ্গে রইল।

খেলব মা। বলতে গিয়ে কথা আটকে গেল সজলের। ঘরের চৌকাঠে এসে দাঁড়িয়েছে বাবা। চোখে রাগ নেই, হতাশাও না। কী যেন একটা আছে। মাদুলির গুরুত্ব কমাতে বাবাকে শুনিয়ে সজল মাকে বলে, এটা কি সেই একই রেট নিল? কিছু তো কনসেসন দেওয়া উচিত। শুনলাম পাড়ার লোককেও নাকি তুমি এনে দিচ্ছ।

ছিঃ ঠাকুরের জিনিস নিয়ে ইয়ারকি ঠাট্টা করা ভাল নয়। বলল মা। তারপর দুর্গা, দুর্গা বলে কপালে হাত ঠেকাল। দিদি বলল, তিন্নিকে নিয়ে আমি যাব খেলা দেখতে।

সজল বেরিয়ে এল বাড়ি থেকে। পিঠে লেগে রইল বাবার সেই দৃষ্টি। যার মানে করতে পারেনি সজল।

প্রগতি সঙ্ঘই জিতল। গত বছরের মতো একই স্কোর। ওয়ান নিল। গোলটা সজলেরই করা। এবার একটাই উপরি পাওনা, ম্যান অফ দ্য ম্যাচ সজল। ক্যাশ দু’হাজার, সঙ্গে মেডেল। সজলের দিদি বীণা খেলা দেখতে গিয়েছিল মেয়েকে নিয়ে। অবাক হয়ে গেছে ভাইয়ের সারা মাঠ জুড়ে দাপট দেখে। সেই সব বর্ণনা দিচ্ছে মাকে এসে। গলা থেকে ঝরে পড়ছে মুগ্ধতা। বাবা দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সব শুনছে। মুখটা মোটামুটি প্রসন্ন। সারা বিকেল শুয়ে ছিল বাড়িতে। খেয়েদেয়ে একবারই বেরিয়েছিল। বোধহয় বিড়িটিড়ি আনতে।

সজল এখনও বাড়ি ফেরেনি। মেয়ের মুখে সজলের খেলার বিবরণী শুনে গীতা বারবার কপালে হাত ঠেকাচ্ছিলেন। সবই শীতলা মায়ের কৃপা। ভুল করে একবার হিসেব করে ফেললেন, ছ’শো টাকার মাদুলির বিনিময়ে দু’হাজার টাকা প্রাইজ! ভালই লাভ হয়েছে। পরক্ষণেই কানে হাত দেন, ঠাকুর দেবতার সঙ্গে লাভলোকসানের হিসাব করতে নেই। কর্তাকে বলেন, যাও না, ক’টা মিষ্টি টিষ্টি নিয়ে এসো। ছেলেটা ফিরলে দেব।

লুঙ্গির ওপর পাঞ্জাবি গলিয়ে বেরিয়ে গেলেন সজলের বাবা।

কোনও এক ক্লাব কর্তা অথবা সাপোর্টারের বাইক চেপে সজল ফিরল আরও একঘণ্টা পরে। হাত ভরতি ফুল, মিষ্টি। লাল ফিতে বাঁধা মেডেল ঝুলছে গলায়। মুখে অনাবিল হাসি। মা দিদির মুখে উপচে পড়ছে খুশি, তিন্নি লাফাচ্ছে। উপহারগুলো সজলের হাত থেকে নিল দিদি। বাবা দূরে দাঁড়িয়ে দেখছেন সজলকে। অনেকদিন পর উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে চোখ।

গলা থেকে মেডেল খুলে মায়ের হাতে দেয় সজল। তখনই ছেলের গলায় চোখ আটকায় গীতার। বলেন, মাদুলিটা কোথায় ফেললি?

সজল মুচকি হাসে। বলে, ফেলিনি।

ফেলিনি মানে! গেল কোথায় সেটা? আসল জিনিসটা হারিয়ে ফেললি! কত বড় বড় প্লেয়ার তাবিজ মাদুলি ছাড়া মাঠে নামে না… বলতে বলতে গীতা লক্ষ করলেন, বাপ ছেলে চোখ চাওয়াচায়ি করে হাসছে। কর্তা চলে গেলেন ঘরে, একটু পরেই বেরিয়ে এলেন। হাতে ঝুলছে শীতলা মায়ের মাদুলি। বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে গেছেন গীতা। বলেন, তুমি ওটা কোথায় পেলে?

বাবা কোনও উত্তর দিচ্ছে না। মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে। সজলও বুঝে উঠতে পারছে না আসল ঘটনাটা বলা ঠিক হবে কিনা। দুপুরে যখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সজল, খানিক পরেই দেখে বাবা সাইকেল চেপে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। হাত পেতে প্রথমেই বলল মাদুলিটা দে। ভগবানের হেল্প নিয়ে ম্যাচ জিতবি কেন? প্রতিপক্ষকে বড় করে দেখ। তুই শুধু এগারো জনের বিরুদ্ধে খেলছিস না। খেলছিস আমার কারখানার বিক্রি হয়ে যাওয়া নেতা এবং ম্যানেজমেন্টের এগেনস্টে। খেলছিস ঠগ জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। খেলছিস সেইসব কর্মকর্তার মুখের ওপর জবাব দিতে, যারা এখন তোকে বড় ক্লাবে ডাকেনি। তুই যে জাতের প্লেয়ার খেলেই একটা সংসার অনায়াসে চালিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখিস।

সজল মাদুলিটা খুলে বাবার হাতে দিয়েছিল। মা এতক্ষণে আন্দাজ করছে, বাবা

দুই

কোনওভাবে সজলকে মাদুলিটা পরতে দেয়নি। তাই বলতে শুরু করল, ছেলেকে ভালবেসে আমি একটা জিনিস পরিয়ে দিলুম, তুমি খুলে নিতে পারলে।

এর থেকে বেশি কিছু মায়ের বলার নেই। বিনা মাদুলিতে ছেলে জয়ী হয়েছে। অভিমানে ফোঁপাচ্ছে মা। বাবা এসে মাদুলিটা মায়ের হাতে দেয়। বলে, সজল যখন তোমাকে প্রণাম করে খেলতে বেরোল, তুমি গলা জড়িয়ে ওকে আদর করলে, তোমাকে তখন বিশাল একটা মাদুলিই মনে হচ্ছিল। যে ছেলের গলায় এত বড় একটা মাদুলি আছে, তার এসব ছোটখাটো মাদুলির কী দরকার বলো?

সজল দেখল, মা রাগ করবে না লজ্জা পাবে, ঠিক করে উঠতে পারছে না।

শারদীয় কিক্-অফ ২০০৬

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *