পূর্বকথা – নিশিপদ্ম

।।পূর্বকথা – নিশিপদ্ম।।

“রেস্তোরাঁয় খেলে টিপস কত দিতে হয় জানিস?” অনীশ ফাইভ ফিফটি ফাইভ সিগারেটে একটা লম্বা টান মেরে রজতকে জিজ্ঞেস করল।

রজত চুপচাপ বসে ছিল ক্যান্টিনে। অনীশই কিছুক্ষণ আগে এসে তার পাশে বসেছে। জয়িতা যেই রজতের পাশে এসে বসেছে, সঙ্গে সঙ্গে অনীশ প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিয়েছে রজতকে।

রজত বলল “জানি না”।

অনীশ বলল “তুই কত দিস?”

রজত বলল “দশ টাকা। কখনও কখনও দিই না। কখনও কখনও খাই না”।

অনীশ জয়িতার দিকে তাকিয়েই রজতের দিকে চোখ ফেরাল, “জয়িতাকে নিয়েও যাস না?”

রজত একটু কুন্ঠিত হয়ে বলল “জয়িতাকে নিয়ে খুব বেশি যাতায়াত হয় না তো। কোথাও গেলে আমরা দুজনেই শেয়ার করে নি”।

অনীশ বিদ্রুপাত্মক হাসি হেসে বলল “ওহ। তাই ভাবি। তুইই বা কোত্থেকে এত টাকা পাবি”।

মুখে চুক চুক শব্দ করল অনীশ।

রজত বলল “আমি কোথায় পাব না পাব তার থেকেও বেশি ইম্পরট্যান্ট আমি কোথায় খাব সেটা ঠিক করবে কে? তুই?”

অনীশ ভয় পাওয়ার মুখ করে বলল “ওহ, সরি সরি সরি। অনুভূতিতে লেগে গেছে। কিছু মনে করিস না ভাই। জয়িতা, তুইও কিছু মনে করিস না। রজত ছেলেটা কিন্তু ভাল। তবে পকেটে তেমন জিনিস নেই। এসব ছেলের সঙ্গে প্রেম করে কী লাভ বল?”

জয়িতা বলল “তুই জেনে কী করবি সেটা? তুই প্রেম করবি?”

অনীশ সিগারেটটা অ্যাসট্রেতে গুঁজে বলল “আমি তো রাজি। তুই রাজি হলেই হল”।

জয়িতা রজতের দিকে তাকিয়ে রাগী গলায় বলল “তুই এখানে এসব ভাট শোনার জন্য বসে আছিস কেন?”

রজত বলল “আমি এখানেই বসে ছিলাম। অনীশই পরে এল। নইলে আমাকেই বা কোন পাগলা কুকুরে কামড়েছে যে ওর মুখোমুখি হব?”

অনীশ হাসতে হাসতে বলল “ভাই, রেগে যাচ্ছিস কেন? আমাদের মধ্যে কি এই রিলেশন ছিল? আমি দেখেছি, আমার অনার্স কেটে যাবার পর থেকেই তুই আমাকে অ্যাভয়েড করছিস। কিন্তু মাইরি বলছি, বুকে হাত রেখে বল তো ভাই, এই বাজারে অনার্স করেই বা কী ছিড়বি তুই? আমার তো বাপের ব্যবসা আছে, এখনই লোকের চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। তুই চাইলে তোকেও রেখে দেব আমাদের অফিসের চা ওয়ালার চাকরিতে”।

বিশ্রী ভঙ্গিতে হাসতে লাগল অনীশ।

রজত উঠে পড়ল। জয়িতার দিকে তাকিয়ে বলল “আমি গেলাম। কাজ আছে। বিকেলে দেখা হচ্ছে”।

লম্বা লম্বা পা ফেলে রজত ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে গেল।

জয়িতা উঠতে যাচ্ছিল অনীশ বলল “এই শোন না। জাস্ট একটা কোয়ারি ছিল”।

জয়িতা রাগী গলায় বলল “আমি যাই। এখানে বেশিক্ষণ থাকব না”।

অনীশ বলল “কেন? রজত রেগে যাবে? চিন্তা নেই, আমাদের মধ্যে এরকম লেগ পুলিং চলে”।

জয়িতা থমথমে গলায় বলল “আমি তো এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত নই। তাই আমার ভাল লাগে না। কী জানবি বলছিলি, বল”।

অনীশ বলল “তুই ইংলিশ মিডিয়াম তো? এইচ এস অবধি?”

জয়িতা বলল “হ্যাঁ। কেন?”

অনীশ বলল “এমনি, তেমন কিছু না। বাবার কলসেন্টারে ভ্যাকান্সি আছে। চাইলে একটা ইন্টারভিউর ব্যবস্থা করতে পারি। মাসে কুড়ি বাইশ হয়ে যেত”।

জয়িতা কয়েক সেকেন্ড অনীশের দিকে তাকিয়ে বলল “তুই আমাকে প্র্যাঙ্ক করছিস তাই তো?”

অনীশ বলল “প্র্যাঙ্ক কেন হবে? তুই আমাকে রিজিউমটা পাঠা, তারপর নিজেই দেখে নে কী হতে পারে”।

জয়িতা বলল “বাহ। এত দয়া কেন? এর বদলে আমাকে কী করতে হবে?”

অনীশ বলল “তুই রাজি হ, তারপর না হয় জানবি”।

জয়িতা বলল “আমি সিভি পাঠাতে পারি আজই”।

অনীশ জয়িতার দিকে তাকিয়ে হাসি হাসি মুখ করে বলল “আই কার্ড ক্যারি করিস?”

জয়িতা বলল “ভোটার কার্ড আছে”।

অনীশ বলল “হোটেলে চেক ইনে লাগতে পারে”।

জয়িতা কয়েক সেকেন্ড রাগী চোখে অনীশের দিকে তাকিয়ে বলল “আমি রজতকে এখনই বলছি”।

অনীশ বলল “সে বল, কিন্তু ওই মালটার সাথে ঝুললে এ জীবনে কিছু হবে না বলে দিলাম। কিপটের গাছ মালটা। গরীব না কিন্তু, কিপটে। ঘোর কদিন, বুঝে যাবি। আমার কী আছে, তোর ভালর জন্যই বলেছিলাম”।

অনীশ আরেকটা সিগারেট ধরাল।

জয়িতা কঠিন চোখে অনীশের দিকে তাকিয়ে রইল।

.

।।যেখানে দেখিবে ছাই।।

চা নিয়ে চলে এসেছিলেন তমালিকা।

উপমন্যু চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললেন “জয়িতা চা খেত?”

তমালিকা বললেন “হ্যাঁ। তবে নীলম যেমন দু বেলা খায় সেরকম না। ও সকালে খেত শুধু”।

উপমন্যু বললেন “আপনাদের বাড়িতে রান্না করেন যিনি তিনি কখন আসবেন?”

তমালিকা ঘড়ি দেখে বললেন “আরেকটু পরই”।

উপমন্যু বললেন “কত নেন?”

বিশ্বজিৎ বললেন “তিন হাজারটাকা”।

উপমন্যু বললেন “এদিকে তাও ঠিক আছে। আমাদের ওদিকে আরও বেশি নেয়। রায়, তোমাদের ওদিকে কত নেয় রান্না করলে?”

রায় বললেন “তিনই। কম বেশি এরকমই রেট বটে”।

উপমন্যু চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন “সুন্দর চা হয়েছে। নীলম কোথায় গেল? সুশান্তবাবু আসতে পারবেন? এলে ভাল হয়।”

তমালিকা নীলমকে ডাকলেন। নীলম পাশের ঘর থেকে এসে বসল। বিশ্বজিৎ সুশান্তবাবুকে নিয়ে এলেন। সবাই বসলে উপমন্যু বললেন “আমি একটু ব্রিফ করে দি। এই বাড়িতে পিজি হিসেবে থাকত জয়িতা। খুন হয়েছে। ধাপার মাঠে তার লাশ পাওয়া গেছে। জয়িতার বয়স একুশ। উচ্চতা পাঁচ ফুট আড়াই ইঞ্চি। জয়িতা সুন্দরী ছিল। তার গুণগ্রাহীর অভাব ছিল না। খুনটি অত্যন্ত প্রফেশনালি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনও অবধি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া যায় নি। জয়িতার ফোনটিও রিসেট করা হয়েছে, সেখানেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট অত্যন্ত যত্ন করে মুছে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য রিসেট করে বিশেষ লাভ করতে পারে নি। ফোনের ডাটা রিকভার করা হবে। সে সূত্র ধরে আমরা খানিকটা এগোতে পারি নাকি দেখব। আমি আপনাদের সবার কাছে একটা প্রশ্নই জিজ্ঞেস করব। আপনারা কাউকে সন্দেহ করেন? সুশান্তবাবু, আপনি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, আপনাকে দিয়ে শুরু করা যাক”।

সুশান্তবাবু ক্লান্ত ভাবে মাথা নেড়ে বললেন “আমি কাকে সন্দেহ করি বলুন তো। আমি এখনও সেভাবে কিছু বুঝে উঠতে পারলাম না”।

উপমন্যু বললেন “ফাইন। বিশ্বজিৎবাবু”?

বিশ্বজিৎবাবু বললেন “নাহ। আমিও বাবার দলেই। অফিস করে এসে তারপরে আর কীই বা দেখব বলুন”।

উপমন্যু তমালিকার দিকে তাকিয়ে বললেন “আপনার সঙ্গে তো জয়িতার সখ্যতা ছিল শুনেছি, আপনি কাউকে?”

তমালিকা বললেন “ভেবে বলি?”

উপমন্যু পকেট থেকে তার কার্ড বের করে টেবিলে রাখলেন “যার যা মনে পড়বেন আমাকে ফোন করবেন। নীলম তুমি? তোমার কাউকে সন্দেহ?”

নীলম ফ্যাকাশে হাসল “আমি কী বলি আর…”

উপমন্যু বললেন “হু। আমি দু তিন দিন পরে এসে এই প্রশ্নটাই আবার সবাইকে করব। চলুন, আমি জয়িতার ঘর দেখতে যাব। বিশ্বজিৎবাবু আপনি আমাকে গাইড করুন প্লিজ। নীলম তুমিও চল”।

তমালিকা বললেন “আমি আসব?”

উপমন্যু বললেন “দরকার নেই। তবে আপনি চাইলে আসতে পারেন”।

তমালিকা উঠলেন “চলুন আমিও যাই”।

উপমন্যু বললেন “একটা হাতুড়ি দিতে পারবেন? তালা ভাংতে হবে তো”।

তমালিকা বললেন “নিচ্ছি”।

উপমন্যু ইন্সপেক্টর রায়কে নিয়ে দোতলায় উঠলেন। নীলম এবং বিশব্জিৎবাবুও তাদের সঙ্গে উঠলেন। দোতলায় মাঝে একটা বড় কড়িডর। তার বা দিক ডানদিকে দুটো করে ঘর। উপমন্যু বললেন “চারটে ঘর তো। নীলম আর জয়িতার ঘর কোন দুটি?”

বিশ্বজিৎ আঙুল তুলে দেখালেন, “বাদিকেরটা নীলমের, ডানদিকেরটা জয়িতার… ছিল”।

উপমন্যু বললেন “বাকি দুটো ঘর? দাদার?”

বিশ্বজিৎ বললেন “ছিল। খালিই আছে”।

উপমন্যু বললেন “আচ্ছা। নীলম তুমি ঘরে যাও”।

নীলম ব্যাগ থেকে চাবি বের করে তার ঘর খুলল। খানিকক্ষণ পরেই তমালিকা হাতুড়ি নিয়ে এলেন।

উপমন্যু হেসে রায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন “দয়া, দরওয়াজা তোড় দো”।

রায়ও প্রত্যুত্তরে হাসলেন। কমদামী তালা। ভাংতে বেশি বেগ পেতে হল না।

ঘর খুলে আলো জ্বেলে দেখা গেল মশারি করা। ঘরে যত্র তত্র জিনিস পড়ে আছে। বেশ অপরিচ্ছন্ন ঘর।

উপমন্যু মুখে শব্দ করে বললেন “এ যুগের ছেলেমেয়েগুলো না”!

তমালিকা বললেন “আমি প্রায়ই ওকে বলতাম চাবি দিয়ে যেতে, কিছুতেই যেত না। বলত অনেক সিক্রেট আছে নাকি”।

উপমন্যু বললেন “তাই নাকি? আচ্ছা, আপনারা এবার যেতে পারেন। আমরা একটু দেখি ঘরটা”।

বিশ্বজিৎ তমালিকা দুজনেই বেরিয়ে গেলেন।

উপমন্যু মশারি খুলে খাটের এক পাশে গুটিয়ে রাখলেন।

খাটের ওপরে একটা বই খোলা। “একজাম প্রিপারেশন”।

উপমন্যু চিন্তিত মুখে বইটার কয়েকটা পাতা উলটে টেবিলের ওপরে রাখলেন। ইন্সপেক্টর রায়কে বললেন “একটা ডাউট হচ্ছে রায়”।

ইন্সপেক্টর রায় বললেন “কী বলুন তো?”

উপমন্যু বললেন “ঘরের চাবি সত্যি এবাড়ির আর কারো কাছে নেই?”

.

।।যেখানে দেখিবে ছাই।।

এস আর জি ইনফোটেকের অফিসটা ছোট। তবে নিজস্ব বিল্ডিং।

গেটে গাড়ি দাঁড় করাল নিরাপত্তারক্ষীরা।

ইন্সপেক্টর রায় গাড়ি থেকে নেমে আই ডি কার্ড দেখালেন। বললেন “তদন্তের জন্য এসেছি। ভেতরে খবর দিন”।

গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হল তাদের।

মিনিট খানেকের মধ্যেই একজন স্যুট পরিহিত ভদ্রলোক বেরিয়ে এসে তাদের দেখে শশব্যস্ত হয়ে বললেন “আসুন আসুন স্যার”।

উপমন্যু চারদিক দেখছিলেন। ভদ্রলোককে দেখে বললেন “আপনি?”

ভদ্রলোক বললেন “আমি প্রফুল্ল বসাক। এই শিফটে আমিই ইন চার্জ অফিসের”।

উপমন্যু বললেন “ওহ। আচ্ছা। চলুন আপনার অফিসে গিয়ে কথা বলা যাক”।

প্রফুল্লবাবু উপমন্যু এবং রায়কে নিয়ে অফিসে প্রবেশ করলেন।

জমজমাট ব্যস্ত অফিস। তাদের আসায় নীরব চোখ চাওয়া চাউয়ি হল। প্রফুল্লবাবু বললেন “আসুন আপনারা আমার চেম্বারে আসুন”।

প্রফুল্লবাবুর চেম্বারে গিয়ে বসলেন দুজনে।

উপমন্যু বললেন “ক’দিনের কোম্পানি এটা প্রফুল্লবাবু?”

প্রফুল্লবাবু বললেন “তিন বছর হল স্যার”।

উপমন্যু বললেন “বেশ। জয়িতা এখানে কাজ করত?”

প্রফুল্ল বললেন “হ্যাঁ। বেশিরভাগ দিন আমিই শিফট ইনচার্জ থাকতাম”।

উপমন্যু বললেন “বেশ। ওর টানা বি শিফট থাকত?”

প্রফুল্ল মাথা নাড়লেন “হ্যাঁ স্যার। অ্যাকচুয়ালি জয়িতা স্টুডেন্ট ছিল বলে ওর জন্য স্পেশাল কনসিডারেশন ছিল। আরেকটা ভাল ব্যাপার হল জয়িতা ছোট হলেও ওর পারফরম্যান্স খুব ভাল ছিল। আমাদের কোম্পানিতে খুব তাড়াতাড়ি ইন্ডাকশান হয়ে গেছিল ওর”।

উপমন্যু প্রফুল্লর চেম্বারটা মন দিয়ে দেখছিলেন।

বেশ আধুনিক ফার্নিচার দিয়ে সাজানো। দেওয়ালে সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশাপাশি নেতাজী, মহাত্মা গান্ধীর ফটো। অপর দেওয়ালে বড় করে এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির ছবি।

উপমন্যু অস্ফূটে বলে উঠলেন “শংকর মুখোপাধ্যায়। দ্য গ্রেট বাঙালি উদ্যোগপতি”।

পরমুহূর্তেই প্রফুল্লর দিকে তাকিয়ে বললেন “শংকরবাবু দেশে আছেন এখন?”

প্রফুল্ল বললেন “হ্যাঁ। স্যার বেঙ্গালুরু গেছেন”।

উপমন্যু মাথা নাড়লেন, “বেশ বেশ। অফিসে জয়িতার কাছের লোকজন কারা ছিল?”

প্রফুল্ল বললেন “সেরকম কেউ ছিল না। কল সেন্টার তো, বুঝতেই পারছেন। গল্প করার সময় তো তেমন ছিল না”।

উপমন্যু প্রফুল্লর দিকে তাকিয়ে ঠান্ডা গলায় বললেন “দেখুন প্রফুল্লবাবু, বাঙালি কল সেন্টারেই কাজ করুক কিংবা নেভিতে, মিনিট দুয়েক সময় পেলেও আড্ডা ঠিক মেরে নেবে। আর আপনি যদি মনে করেন এসবে অফিসের কাজ হ্যাম্পার হবে বা আপনি কাউকে বাঁচাতে চান, সেক্ষেত্রে সবার আগে আপনি কেস খাবেন। আমাদের জানতে কোন কিছুই বেশিক্ষণ লাগবে না সেটা আশা করি জানেন”।

প্রফুল্ল একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন “সেভাবে দেখতে গেলে আসিফ, রুহি এরা ছিল। এদের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল সেটা অবশ্য আমি বলতে পারব না”।

উপমন্যু বললেন “এরা দুজনেই এসেছে?”

প্রফুল্ল বললেন “আসিফের আজ নাইট শিফট। রুহি আছে”।

উপমন্যু বললেন “ডাকুন”।

প্রফুল্ল ইন্টারকমে রুহিকে ডেকে পাঠালেন।

মিনিট খানেকের মধ্যে রুহি নক করল। প্রফুল্ল বললেন “কাম ইন”।

রুহি ঘরে ঢুকে একবার তাদের আরেকবার প্রফুল্লকে দেখে বললেন “ইয়েস স্যার”।

প্রফুল্ল বললেন “রুহি, ওঁরা একটু জয়িতার ব্যাপারে তোমার সঙ্গে কথা বলবেন”।

রুহি বলল “ওকে স্যার”।

উপমন্যু প্রফুল্লর দিকে তাকালেন “এই ঘরে ইন্টারোগেশন হলে আপনার আপত্তি আছে? না অন্য কোন ঘর আছে যেখানে বসা যেতে পারে”।

প্রফুল্ল রুহির দিকে তাকিয়ে বললেন “ওদের সেমিনার রুমে নিয়ে যাও”।

রুহি তাদের দিকে তাকিয়ে বলল “আসুন স্যার”।

উপমন্যু এবং রায় দুজনেই উঠলেন।

রুহির সঙ্গে প্রফুল্লর চেম্বার থেকে বেরোলেই আবার সবার কৌতূহলী চোখ পড়ল তাদের ওপর।

উপমন্যু রুহিকে বললেন “জয়িতার ডেস্ক কোথায় ছিল?”

রুহি আঙুল তুলে দেখাল।

উপমন্যু বললেন “আচ্ছা, আগে সেমিনার রুমে চলুন। পরে আসছি”।

সেমিনার রুম অন্ধকার ছিল। রুহি আলো জ্বালিয়ে দিল।

উপমন্যু এবং রায় বসলেন। রুহিও বসল।

উপমন্যু বললেন “মোবাইল রেকর্ডার অন করলে তোমার কোন আপত্তি নেই?”

রুহি বলল “না স্যার”।

উপমন্যু পকেট থেকে মোবাইল বের করে রেকর্ডার অন করে টেবিলের ওপর রাখলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *