ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

পূর্তকর্ম তথা বৃক্ষ রোপণ

।। পূর্তকর্ম তথা বৃক্ষারোপণ।।

।। পূর্তকর্ম তথা বৃক্ষ রোপণ।।

অন্তবেদি প্রবক্ষামি ব্রহ্মনোক্তং যুগান্তরে। বহিবেদং তথৈবোক্তং শস্তংস্যাদব্যাপরে কলৌ।।১।। জ্ঞানসাধ্যং তু যৎকর্ম অন্তর্বেদীতি কথ্যতে। দেবস্থাপনং পূজা বহিবেদিরুতাহৃতা।।২।। প্রপাপূর্তাদিকং চৈব ব্রাহ্মণানাং চ তোষনম্। গুরুভ্যঃ পরিচর্যা চ বহির্বেদী দ্বিধা মতা।।৩।।

এখন আমি অন্তর্বেদির কথা বলবো যা যুগে যুগে ব্রহ্মা বলেছেন ওই প্রকাবে বহির্বেদিও বলেছেন যা দ্বাপর ও কলিযুগে প্রশংসিত হয়েছে।।১।।

যে কর্ম জ্ঞানদ্বারাসাধ্য তাকে অন্তর্বেদি কর্ম বলা হয়। দেবতার স্থাপন ও দেবতা পূজাকে বহির্বেদি কর্ম হলা হয়।।২।।

প্রপা পূর্ত প্রভৃতি কর্ম্ম ব্রাহ্মণদের সন্তুষ্টিবিধান ও গুরুজনদের পরিচর্য করা হল বহিবে’দি কর্ম যা দু’প্রকারের মনে করা হয়।।৩।।

অকামেন কৃতং কর্ম কর্মচ ব্যসনাদিকম্। অন্তর্বেদী তদেবোক্তং বহির্বেদী বিপর্যয়।।৪।। ধর্মস্য করণং রাজা ধর্মমেতদ ভবেন্নুপঃ। তস্মান্নপং সমাশ্রিত্য বহির্বেদী ততো ভবেৎ।।৫।। সপ্তাশীতিবহিবেদী সার মেষাং তৃতীয়কম্। দেবতাস্থাপনং চৈব প্রাসাদকরণং তথা।।৬।। তড়াগকরণং চৈব তৃতীয়ং চ চতুর্থকম্। পঞ্চমং পিতৃপূজা চ গুরুপূজাপুরঃ সরা।।৭।। অধিবাসঃ প্রতিষ্ঠা চ দেবতানামবিক্রিয়া। প্রতিমাকরণং চৈব বৃক্ষানামথ রোপণম্।।৮।। ত্রিবিধা সা বিনির্দিষ্টা উত্তমা চাথ মধ্যমা। কনিষ্ঠা শেষকল্পশ্চ সর্বকার্যেম্বয়ং বিধিঃ।।৯।। ত্রিধা ভবতি সর্বত্র প্রতিষ্ঠাদিবিধিমতঃ। পূজাহোমাদিভিনৈমানতশ্চ ত্ৰিভাগতঃ।।১০।।

কামনা বিহীন কর্ম এবং ব্যসনদিক কর্ম যা বহির্বেদির বিপর্যয় তাদের অন্তর্বেদি কর্ম বলা হয়।।৪।।

ধর্মের কারণ হল রাজা এবং রাজার দ্বারাই ধর্ম হয়। এজন্য নৃপের সমাশ্রয় করে আবার বহির্বেদি হতে হবে।।৫।।

বহির্বেদি কুল হয় সাতাশি (৮৭) কিন্তু এসবের সার হল তিন, কোন দেবতার স্থাপন করা তথা কোন প্রাসাদ নির্মাণ করা এবং তড়াগ তৈরী করা। এদের অতিরিক্ত চতুর্থ নয় পঞ্চম হল পিতৃগণের পূজা, যা গুরুপূজা পুরঃসর।।৬-৭।।

অধিবাস প্রতিষ্ঠা এবং দেবতাদের অবিক্রিয়া প্রতিমা করা এবং বৃক্ষের রোপণ এই ভাবে তা উত্তম, মধ্যম ও কনিষ্ঠ তিন প্রকারের করা হয়েছে। শেষ কল্পে সমস্ত কার্যের যে বিধি তাকে বলা হয়।।৮-৯।।

সে তিন ভাগযুক্ত হয় এবং সর্বত্র প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি বিধি মানা হয়। পূজা হোম প্রভৃতি দান ও মান এর তিনভাগ করা বয়।।১০।।

শোধয়েৎ প্রথমং ভূতিমিতাং কৃত্বা ততৌ দ্বিজাঃ। দশহস্তেন দন্ডেন পঞ্চহস্তেন বা পুনঃ।। ১১।। বাহয়েৎসদা বৃষভৈস্তড়াগাথেঽপি ভূমিকাম্। দেবাগারস্য যা ভূমিঃ শ্বেতৈশ্চ ব্যভৈরপি।।১২।। যা ভূমিগ্রহয়াগাথে তন্ন বাহৈরপি স্পৃশেৎ। আরামার্থে কৃষ্ণবৃষৈঃ কৃপার্থখননৈরপি।।১৩।। বাহয়েত্রিদিনং বিপ্রাঃ পঞ্চব্রীহীংশ্চ বাপয়েৎ। দেবপক্ষে সপ্তগুন আরামকরনে গুনঃ।।১৪।। মুদমাষ্ঠৌ ধান্যতিলাঃ শ্যামাকশ্চেতি পঞ্চমঃ। মসূরশ্চ কলায়শ্চসপ্তব্রীহীগনঃ স্মৃতঃ।।১৫।। সর্যপশ্চ কলায়শ্চ মুদগো মাষশ্চতুৰ্থকঃ। ব্রীহিত্রয়ং মাযমুদগো শ্যামাকো মহিযোগনঃ।।১৬।।

হে দ্বিজগণ! সর্বপ্রথম ভূমি ভালভাবে শোধন করতে হবে, এরপর তা মিত করতে হবে অর্থাৎ দশহস্ত দন্ড দ্বারা বা পঞ্চহস্ত দন্ড দ্বারা তার মান ঠিক করে নিতে হবে।।১১।।

তড়াগ নির্মাণ করার জন্য ভূমি সর্বদা বালি দ্বারা বাহিত করাতে হবে। যে ভূমি দেবতার গৃহ তৈরীর জন্য নেওয়া হয়ছে তা শ্বেত বৃষভ দ্বারা দলিত করতে হবে।।১২।।

যে ভূমি গৃহবাসের জন্য তা হস্তস্পর্শ করা যাবে না, যা ভূমি আরামের জন্য অথবা কুয়া খননের জন্য আছে তা কৃষ্ণবর্ণের বৃষ দিয়ে দলিত করত হবে।।১৩।।

হে বিপ্রগণ! এইভাবে তিনদিন বাহন করাতে হবে এবং তাতে পঞ্চব্রীহি বপন করাতে হবে। দেবপক্ষে এবং আরামকরণে সাতগুণ অর্থাৎ সাত ধান্য বপন করাতে হবে। মুগ, মাষ, ধান্য, তিল ওবং পঞ্চম শ্যামাক, মসুর এবং কলাই এই হল সপ্তব্রীহিগণ।। ১৪-১৫।।

সুবর্ণমৃত্তিকা গ্রাহ্যা বর্ণানামনুপূর্বশঃ। বিল্ববৃক্ষৈরিয়ং কুষাদ ধূপশূনধ্বজে দিনে।।১৭।। অরত্নিমাত্রং বিজ্ঞেয়ং প্রশস্তং যষ্টিহস্তকম্ ঊর্ণাসূত্রময়ীং মূতিং কৃত্বা কুষাচ্চতুষ্টয়ম্।।১৮।। ক্ষীরদারুগত মুতং দ্বাদশাংগুলমেব চ।। জ্বালয়েত্তিলতৈলেন তথা কেশরজেন বা।।১৯।। পূর্বদিকং প্রণবে সিদ্ধি পশ্চিমাশাগতিঃ শুভা। মরণে দক্ষিণায়াং চ হানিঃ স্যাদুত্তরে স্থিতে।। ২০।। কল্পে বিপৎ বিদ্যাৎ তথা চৈব চ দিগগতে। নারসিংহেন মনুনা চাগ্নিং প্রজ্বাল্য দ্বাপয়েৎ।। ২১।। মাসে ঘটে তথা মাসে কুর্যাদ ভূমি পরিগ্রহম্। সূত্রয়েৎকীলয়েৎ পশ্চান্মহামানে দ্বিজোত্তমাঃ।।২২।।

সরিষা, কলাই, স্বর্ণ, মুগ, মাষ, ব্রীহিত্রয়, শ্যামাক এই হল মহিষগণ। স্বৰ্গ মৃত্তিকা গ্রহণ করতে হবে যা বর্ণের আনুপূর্বিক। বেল গাছ দিয়ে একে যূপশূল ধ্বজ দিনে করতে হবে।।১৬-১৭।।

অরত্নি মাত্র যষ্টি হস্তক প্রশস্ত জানতে হব। সূত্রময়ী মূর্ত্তি চারটি করতে হবে।।১৮।।

ক্ষীর কাঠ গর্ত দিয়ে যুক্ত এবং বার আঙ্গুল প্রমাণিত চুল তিলতৈল দিয়ে বা কেশরজ দিয়ে জ্বালাতে হবে।।১৯।।

পূর্বদিক প্ৰণবে সিদ্ধি লাভ করে। যদি পশ্চিমদিকে গতি হয় তবে তাও শুভ মানা হয়। দক্ষিণ দিক গতি হলে মৃত্যু হয় এবং উত্তরদিকে গতি হলে হানি হয়।।২০।।

কল্পের বিপত্তিকারী আছে এবং দিগ্‌গমনেও ঐভাবে হয়, নরসিংহ মন্ত্র দ্বারা অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হবে।।২১।।

মাস ঘটে তথা মাসে ভূমি পরিগ্রহ করতে হবে। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! পশ্চাৎ মহামানে তাকে সূত্রার্পিত এবং কীলিত করতে হবে।।২২।।

ততো বাস্তবলিং দদ্যাৎখনিত্রং পরিপূজয়েত। আব্রহ্মন্নিতি মন্ত্রেণ খনয়েনমধ্যদেশতঃ।।২৩।। পত্রপুষ্পফলানাং চ রজোরে সমাগমাঃ। পোযয়ন্তি চ পিতরং প্রত্যহং প্রতিকর্মণি।।২৪।। যস্তু বৃক্ষং প্রকুরুতে ছায়াপুষ্পোফলোপগম্‌ পলি দেবালয়ে চাপি পাপত্তারয়তে পিতৃন্। কীর্তিশ্চ মানুষে লোকে প্রত্যভ্যে শুভং ফলম্।।২৫।। অতীতানাগতাশ্চতঃ পিতৃন স শ্বৰ্গতো দ্বিজাঃ। তারয়েদ বৃক্ষরোপি চ তস্মাদ বৃক্ষং প্ররোপয়েৎ।।২৬।। অপুত্রস্য হি পুত্ৰত্ত্বং পাদপা ইহ কুৰ্বতে। যত্নেনাপি চ বিপ্রেন্দ্রা অশ্বরোপণং করু।।২৭।। শনৈঃ পুত্রসহস্রাণামেক এর বিশিষ্যতে। কামেন রোপয়েদবিপ্রা একদ্বিত্ৰি প্ৰসংখ্যয়া।।২৮।।।

এরপর বাস্তুদেব এর জন্য বলি দিতে হবে এবং খনিত্রের পূজা করতে হবে। ‘আ ব্রহ্মণ্”- ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা মধ্যদেশে খনন করাতে হবে।।২৩।।

পত্র, পুষ্প ও ফলের রেণুর সমাগম প্রতিদিন প্রতিকর্মে পিতৃগণের পোষণ করতে হবে।।২৪।।

যে বৃক্ষ ছায়া দেয়, পুষ্প ও ফল দেয় এবং পথে বা দেবালয়ে থাকে তা পিতৃগণের পাপ থেকে নিস্তার দেয়। এই সব স্থান সমারোপিত ছায়া, ফুল ও ফল দাত্রীবৃক্ষ এই মনুষ্য লোকে কীর্তিদায়ক এবং শুভ ফলপ্রাপ্তি ঘটায়।।২৫।। বৃক্ষরোপণকারীর অতীত ও অনাগত পিতৃগণের উদ্ধার সাধিত হয়। এজন্য বৃক্ষরোপণ অবশ্য করাতে হবে।।২৬।।

এই লোকে যে মানুষ পুত্রহীন তার এই সমারোপিত হওয়া বৃক্ষ পুত্রলাভ করায়। এজন্য হে বিপ্রেন্দ্রবর্গ! যত্ন পূর্বকও অশ্বথ বৃক্ষের অবশ্য আরোপণ করা উচিত।।২৭।

শত সহস্র পুত্রের মধ্যে একই বিশেষতা লাভ করে। অতএব কামনা দিয়ে এক, দুই, তিনটি সংখ্যায় বৃক্ষের আরোপণ অবশ্য করতে হবে।।২৮।।

মুক্তিহেতু সহস্রাণাং লক্ষকোটীনি যানি চ। ধনী চাশ্বথুবৃক্ষে চাশোকঃ শোকনাশন্।।২৯।। প্লক্ষো ভার্মাপ্রদশ্চৈব বিল্ব আয়ুষ্যদ স্মৃতঃ। ধনপ্রদো জম্বুবৃক্ষো ব্রহ্মদঃ প্লক্ষবৃক্ষকঃ।।৩০ ।। তিন্দু কাকুলবৃদ্ধি স্যাদ্দাডিমী কামিনীপ্রদঃ। বকুলো বজুলশ্চৈব পাপহা বলবুদ্ধিদঃ।।৩১।। স্বর্গপ্রদা ধাতকী স্যাদ্বটো মোক্ষ প্রদায়কঃ। সহকার কামপ্রদো গুবাক সিদ্ধিমাদিশেৎ।।৩২।। স্বশস্যং বলবলে মধুকো চার্জুনে তথা। কদম্বে বিপুলা কীর্তিস্তিতিডী ধর্মদূষিকঃ।।৩৩।। জীবন্ত্যা রোগশান্তি স্যাৎকেশরঃ শক্রমদনঃ। ধনপ্ৰদশ্চৈব বটো বট শ্বেতটস্তথা।।৩৪।।

লক্ষ কোটি এই অশ্বত্থ বৃক্ষের সমারোপণ মুক্তি প্রদানের হেতু হয়। সে সম্পদে ধনী হয়। আর অশোক বৃক্ষ সমারোপিত হয়ে শোক দূর করে।।২৯।। প্লক্ষ বৃক্ষ আরোপিত হয়ে স্ত্রীর প্রদাতা হয় এবং বিল্ববৃক্ষ আয়ুষ্য প্রদান করে। জামগাছ ধন প্রদান করে তথা প্লক্ষ গাছ ব্ৰহ্মত্ব দান করে।।৩০।।

তিন্দুকের বৃক্ষ সমারোপণ করলে কুল বৃদ্ধি হয় এবং দাড়িম বৃক্ষ কামিনী দয়। বকুল ও বঞ্চল বৃক্ষ পাপ হনন করে এবং বল তথা বুদ্ধি দান করে।।৩১।। ধাতকী বৃক্ষ স্বর্গপ্রদান করে তথা বটবৃক্ষ মোক্ষ প্রদানকারী হয়। আমবৃক্ষ কামনা পূর্ণকারী হয় এবং গুবাক বৃক্ষ সিদ্ধি প্রদায়ক হয়।।৩২।।

বলবল, মধুক এবং অর্জুন বৃক্ষে সবপ্রকার শস্য দেবার সামর্থ্য হয়। কম্বে বৃক্ষ আরোপণে বিপুল কীর্তি প্রাপ্তি হয়। তিন্তড়ী বৃক্ষ ধর্মদূষক হয়।।৩৩।। জীবন্তীতে রোগশান্তি হয় এবং কেশর বৃক্ষ শত্রুমর্দনকারী হয়। বটবৃক্ষ ধন প্রদানকারী হয় এবং শ্বত বটও ধনপ্রদাতা হয়।।৩৪।।

পনসে মদবুদ্ধিঃ স্যাৎ কলিবৃক্ষঃ শ্রিয়ংহরেৎ। কলিবৃক্ষং চ শাখোট উদরাবতকং তথা।।৩৫।। তথা চ মর্কটীনীপরোপনাৎ সন্ততিক্ষয়ঃ। শিশপাং চার্জনং চৈব জয়ন্তী হরমারকর্তান। ৩৬।। শ্রীবৃক্ষং কিংশুকং চৈব রোপণাৎস্বর্গমাদিশেৎ। ন পূর্বাংরোপয়েজ্জাতু সমিধং কন্টকীমম্। কুশং পদ্মং জলজানাং রোপনাদ দুর্গতিং ব্রজেৎ।।৩৭। অথতন্ত্রবিধিং বক্ষ্যে পুরানেষ্যতি গীয়তে। তন্ত্রে চৈব প্রতিষ্ঠাং চ কুমাদ পুণ্যতমেহহনি।।৩৮।। শতবৃক্ষ ক্ষুদ্রবৃক্ষে দশদ্বাশ বৃক্ষকে। দৃষ্টিমাত্রাস্ত্ররে সেতৌ কৃপযাগে সমুৎসৃজেৎ।।৩৯।। ন কূপমুৎ সৃজ্জোতু বৃক্ষ যাগে কথঞ্চন্ তুলসীবনযাগে তুন চান্যং যাগমাচরেৎ।।৪০।।

পনস বৃক্ষে মন্দবুদ্ধি হয় এবং কলিবৃক্ষ শ্রীহরণকারী হয়। কলিবৃক্ষ, শাখোট, উদারাবর্তক, মর্কটী, নীপ এদের রোপণে সন্ততির ক্ষয় হয়। শিশু, অর্জুন, জয়ন্তী, হয়মারক, শ্রী, কিংশুক এই বৃক্ষগুলি রোপণ করলে স্বর্গপ্রাপ্তি হয়।।৩৫-৩৬।।

পূর্বা বৃক্ষ কখনও রোপণ করবে না, সমিধ এবং কন্টকী, দ্রুম, কুশ, পদ্ম এবং জলজ বৃক্ষ রোপণে দুর্গতি প্রাপ্তি হয়।।৩৭।।

এখানে এখন আমি তন্ত্র বিধি বলবো যার পুরাণেও গান করা হয়েছে। তন্ত্রে প্রতিষ্ঠা কর্ম কোন পরম পুণ্যতম দিনে করতে হবে।।৩৮।।

ছোট শত বৃক্ষে, দশ-দ্বাদশ বৃক্ষে ইষ্টমাত্র অন্তরযুক্ত থেকে তোমাকে কূপযাগে সমুৎসৃজন করতে হবে।।৩৯।।

বৃক্ষযাগে যে কোনও প্রকারের কূপ কখনও উৎসৃজন করা উচিত নয়। তুলসী বন যাগে অন্য কোনও যাগ করা যাবে না।।৪০।।

তড়াগযাগে সেত্বাদীন্ন চারামে কদাচন। ন সেতুং দেবযাগে তু তড়াগং ন সমুৎসৃজৎ।। ৪১।। তন্ত্রে শ্রাদ্ধং পযড়নাস্তি কতুভেদ পৃথগভবেৎ। শিবলিংগ স্থাপনাপং ন চান্যদ্দেব স্থাপনম্।।৪২।। স্বদেশে বর্জয়েত্তং তং স্বতনেএন বিধীয়তে। বিপরীতে কৃতে চাপি আয়ুঃক্ষয় ইতি স্মৃতঃ।।৪৩।। তড়াগে পুষকরিন্যাং বা আরামেহমি দ্বিজোত্তমা। মানহীনে মানপূনে দশহস্তে ন দূষনম্।।৪৪। দ্বিসহস্রাধিকং যত্র তৎপ্রতিষ্ঠাং সমাচরেৎ। দশ দ্বাদশবৃক্ষে চ আরামে পূর্ববাদিবজাঃ।।৪৫।। প্রতিষ্ঠাং বিল্ববৃক্ষে চঅন্যথা কর্নবেধনম। কুর্যাদ্দোহদদানং চ তত্ৰ নিমৰ্যনাদিকম।।৪৬।। অনন্তরং প্রদাতব্যা লাজামৃধ্ন্যক্ষতাদিকম্।।৪৭।।

তড়াগ যাগে এবং আরামে সেতু প্রভৃতির উৎসৃজন কখনও করবে না। দেবযাগে সেতু এবং তড়াগের উৎসৃজন করা যাবে না।।৪১।।

তন্ত্রে শ্রাদ্ধ পৃথক হয় না কেবল কর্তার ভেদ থেকেই তাদের পার্থক্য করা হয়। শিবলিঙ্গ স্থাপনে অন্য কোনও দেবতার স্থাপন করবে না।। ৪২।। তাকে নিজ দেশ থেকে বর্জিত করে দিতে হবে স্বতন্ত্র রূপ থেকে। এর বিপরীত করলে আয়ুক্ষয় হয়–এভাবে স্মৃতি বলেছে।।৪৩।।

হে দ্বিজত্তম! তড়াগে অথবা পুষ্করিণীতে বা আরামেও মানহীন, মানপূর্ণ এবং দশহাতে কোনও দূষণ হয় না।।৪৪।।

যেখানে দুসহস্রের বেশী হয় সেখানে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। হে দ্বিজগণ! দশ-দ্বাদশ বৃক্ষে আরামে পূর্ববৎ করতে হবে।।৪৫।।

বিল্ব বৃক্ষে প্রতিষ্ঠা কর অন্যথা কর্ণবেধন, দোহদ দান এবং সেখানে নির্মস্থাদিক করতে হবে।।৪৬।।

এরপর মূর্ধায় লাজ এবং অক্ষত প্রভৃতির প্রক্ষেপণ করতে হবে।।৪৭।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *