১
এক অহোরাত্র আট প্রহরে বা যামে বিভক্ত। অর্থাৎ প্রতি তিন ঘণ্টায় এক প্রহর বা যাম। সংগীতের স্বর সপ্তকের মধ্যে কড়ি ‘মা’ বা তীব্র মধ্যম স্বর এই যাম বা প্রহর যোজনায় সেতু স্বরূপ। প্রতি প্রহরকে এই তীব্র মধ্যম যেন আহ্বান করে আনে আগত প্রহরের সাথে বিদায় প্রহরের পরিচয় করে দেয়! নিশির শেষ প্রহরে যে রাগ গীত হয়, তার মধ্যে ললিত রাগ অন্যতম। ললিত রাগের শুদ্ধ ও তীব্র দুই ‘মা’। ‘পা’ নেই বলেই বোধ হয় দুই ‘মা’র কোলে ললিত রাগ লালিত হয়েছে। এই রাগের খেয়াল শুনুন। ‘মা’ এ রাগের প্রাণ।
ললিত–তেতালা (চিত্তরায়)
পিউ পিউ বিরহী পাপিয়া বোলে। কৃষ্ণচূড়ার বনে ফাল্গুন-সমীরণে ঝুরে ফুল বন-পথ তলে নিশি পোহায় যায় কাহার লাগি নয়নে নাহি ঘুম বসিয়া জাগি আমারই মতো হায় চাহিয়া আশা-পথ নিশীথের চাঁদ পড়ে গগনে ঢলে॥