পালোয়ান প্যালারাম
হাঁপ ছেড়ে হুসহুস ভাঁজি কষে ডম্বল,
খাসা আছি! হয়নাকো জ্বর, কাশি, অম্বল৷
মহাবীর হব আমি, লেখা আছে কুষ্টিতে,
খ্যাপা হাতি কুপোকাত, এত জোর মুষ্টিতে!
আমাদের গুষ্টিতে একা আমি পালোয়ান-
শীতকালে ঘেমে মরি, চাইনাকো আলোয়ান!
টপাটপ ডন দিই, খপাখপ বৈঠক,
দৌড়েতে হারে রানা প্রতাপের ‘চৈতক’!
চড়িনাকো এনে দিলে ‘ফিটন’ কি ‘ল্যান্ডো’ই,
হাঁটি দশ-বিশ-ক্রোশ-কোথা লাগে স্যান্ডোই!
চোর-টোর আসে নাকো আমাদের রাস্তায়,
ভ্যারেন্ডা ভেজে শুধু গুন্ডারা ঘাস খায়!
মাস্টার মারে বটে বিষ্টু ও কেষ্টকে,
মোর কাছে হেসে বলে-‘ভালোবাসি বেশ তোকে!’
সাঁতারেতে গাং পার-লাফে পার পর্বত,
তেষ্টাতে গিলি খালি বাদামের শরবত৷
ভোরবেলা উঠে রোজ পাঁঠা গিলি আস্ত হে,
একমন মাছ খেলে হয়নাকো দাস্ত হে!
পাঁচ হাড়ি দইয়ে গুলে গুটি ত্রিশ মণ্ডা গো,
তার সাথে দাও যদি রুটি বিশ গণ্ডা গো,
ফাউ চাই সের-বারো বোঁদে, গজা, রসকরা,
তাইতেই ভরে পেট, ভেব না এ মশকরা!
পেটুক তো নই আমি ক্ষুধা মোর অল্পই,-
হাসছ যে? ভাবছ কি এটা গাল-গল্পই?
ফের হাসি বেয়াদব! আমি তবে রাগবই,
আখড়ায় ছুটে গিয়ে ‘বীর-মাটি’ মাখবই,
তাল ঠুকে দেব হুঁ-হুঁ, হা-রে-রে-রে হুংকার,
তাই শুনে, হাসবে যে মুখ হবে চুন তার!
হতে পারে আমি জাদু, রোগা, বেঁটে-খর্বুটে,
দিতে পারি তবু তোর ভিরকুটি ছরকুটে!
ক্রোধানল জ্বলে যদি, কিছুতেই ক্ষমা নয়,
অতিশয় তাড়াতাড়ি যাবে বাছা যমালয়!