পাঠশালা

পাঠশালা

শম্ভুর মেজদাদু পঞ্চাশ বছর আমেরিকায় কাটিয়ে, ৭০ বছর বয়সে মেলা টাকাকড়ি নিয়ে দেশে ফিরলেন। যাদের উনি বিদেশ থেকে এটা-ওটা পাঠাতেন, তারা কত বারণ করেছিল— অমন কাজ-ও কর না, এটা খুব খারাপ জায়গা, নোংরা, গরম, বেকারে আর জোচ্চোরে ভরা, দেখতে দেখতে তোমার পয়সাকড়ি আর তোমাকে আলাদা করে দেবে। তাছাড়া অসুখবিসুখ লেগেই আছে, মুখ্যুর একশেষ, মাদুলীতে বিশ্বাস করে, ভূত মানে। দেশের পৈতৃক বাড়িতে শেষ পর্যন্ত নাকি কী সব— যাক্ গে, সেকথা দিয়ে আর কী হবে— মোট কথা, এসো না। ওখানেই আরও রোজগার করতে থাক।

এ সমস্ত শুনে, খুশি হয়ে, মেজদাদু তাঁর আসার দিন আরো এক মাস এগিয়ে দিলেন। পঞ্চাশ বছর ধরে উনি নাকি ওই জিনিসই খুঁজে বেড়িয়েছেন, কিন্তু পাননি। এখন দেখছ কাণ্ড! নিজের বাড়ির দোরগোড়ায় সমস্তই তাঁর জন্যে অপেক্ষা করে আছে। তাছাড়া বাপের ভিটে তো বটে!

শম্ভুর বাবার ছোটপিসি বললেন, “তা হলে বেহালার সে-বাড়িটা কিনলে না কেন? তখন কত কম দাম ছিল। বাপের ভিটেতে তো কেউ বাস করতে পারবে না— স্রেফ ভূতের বাড়ি!”

“কেন পারবে না? আমেরিকায় এ-রকম বাড়ি লাখ লাখ ডলারে বিক্রি হয়, তা জানিস? এই নিয়ে গবেষণা হয়। তাছাড়া পঞ্চাশ বছর বিদেশে থেকে, আমিও ঠিক মানুষ নেই। কিচ্ছু ভাবিসনে তোরা। আমার বন্ধু ছ্যাঁচড়কে মনে আছে? সেই-যে ছ্যাঁচড়, যে বাবার ল্যাজওয়ালা ঘড়ি সারাবে বলে নিয়ে গিয়ে স্রেফ হারিয়ে ফেলল?— আমি তাকে তার পুরোনো ঠিকানায় চিঠি দিতেই, সে ফোন করে জানিয়েছে যে তার মেরামতির ব্যবসা উঠে গেলেও, আমার ঘড়িটি সারিয়ে নতুনের মতো করে দেবে। আমার দয়ার দেনার একটুখানি তাহলে শোধ হবে।”

ছোটপিসির মুখ হাঁড়ি হল, “ও! তা সময় কাটাবে কী করে?” মেজদাদু বললেন, “কেন, আমার “নবেল পাঠশালা”টি এবার খুলব। আমার কত দিনের স্বপ্ন এবার সত্যি হবে।” মেজপিসি আঁতকে উঠলেন, “এ্যাঁ! নবেল পড়াবার পাঠশালা খুলবে? তাহলেই হয়েছে! তোমার পাঠশালায় কেউ ছেলেমেয়ে পাঠাবে না, দেখো।” মেজদাদু চটে গেলেন, “না, পাঠাবে না!! মুখে মুখে ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক, জীব-বিজ্ঞান শেখাব। লিখতে পড়তে শিখলেই প্রাইজ দোব। তাছাড়া এ সে নবেল নয়। নবেল মানে নয়া, নতুন নিয়মে পড়াব কিনা। তাতে পড়তে জানবার দরকার হবে না—” “কী যে বাজে কথা বল মেজদা! পড়াবেটা কে শুনি? একা তো পারবে না।” “কেন, তুই আর তোর বর। তুই ঘরকন্না দেখবি, সে পড়াবে। সকালে সব পোড়ারা মুড়ি, কলা, আখের গুড় খাবে। তারপর একঘণ্টা পড়া, একঘণ্টা গাছে চড়া, বাগান সাফ করার ক্লাস, “তারপর পুকুরে চান, মাছ ধরা— যারা লিখতে পড়তে পারবে তারা নিজেদের মাছ বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে, তারপর—”

ছোটপিসি উঠে পড়লেন, “তা, কবে থেকে পাঠশালা শুরু হবে? কবে যেতে হবে? বাড়িওলাকে তো নোটিশ দিতে হবে।” মেজদাদু মহা খুশি হয়ে বললেন, “ধরে নে ১ বৈশাখ প্রতিষ্ঠা দিবস। ছ্যাঁচড়টাকে পঞ্চাশ বছর দেখিনি, কিন্তু আগের ঠিকানায় চিঠি দিতেই, ফোনে কথাবার্তা হয়ে গেল। আগের মতোই গলা, তবে নস্যি নিয়ে একটু খারাপ হয়ে গেছে।”

তাই হল শেষ পর্যন্ত। মেজদাদু এর মধ্যে প্রতি হপ্তায় অমর্তপুরে ঘুরে এলেন। একটা চেনা লোক দেখলেন না, সব হয় চলে গেছে, নয় বোধ হয় মরেটরে গেছে। পুরোনো বন্ধু ছ্যাঁচড়ের সঙ্গেও দেখা হল না। তবে মিস্তিরিরা উদয়াস্ত খাটছে। ওদের দলের মালিক সাত দিনের কাজের হিসাব দেয়, মালমশলা এত, মজুরি এত, চা জলখাবার এত। সঙ্গে সঙ্গে মেজদাদু খরচা মিটিয়ে দেবার কথা বলেন। ওস্তাদ হাত জোড় করে বলে, “টাকাটা আমি ছোঁব না। মালিককে বলবেন।”

অচেনা হলেও গাঁয়ের লোকের মহা উৎসাহ। মিনি-মাগনার পাঠশালা, জলখাবার দেবে, নেকাপড়া শেখাবে, সারা সকাল এঁটকে রাখবে— এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! তবে সূয্যি ডোবার পর এ-পাকে কেউ আসবে না, এ-কথাটা তারা পষ্টাপষ্টী বলে গেল। মিস্তিরিরাও সূর্য ওঠার সঙ্গে আসে, সূর্য ডোবার সঙ্গে যায়। তখন মেজদাদু এক কিলোমিটার হেঁটে রেল-স্টেশনের ধাবায় রুটি কাবাব খেয়ে, সন্ধ্যের গাড়ি ধরে কলকাতায় ফিরতে লাগলেন।

এক মাসে বাগান সাফ; একতলা ফিটফাট; পেছনের উঠোনে ছোট ইঁদারা আর বাগানের বড় ইঁদারা ঝালাই শেষ; পুরোনো তক্তাপোষ, টেবিল, বেঞ্চি, টুল বাইরে এনে মেরামত শুরু। মেজদাদু এবার ঠিক করলেন এখানেই থেকে যাবেন। স্টেশনের পাশে পল্লীমঙ্গল ব্যাংকে টাকা রাখার ব্যবস্থা করলেন। গ্রামের মোড়ল কিছু টাকার বদলে খুশি হয়ে দুটো হ্যাজাক, কতকগুলো তেলের বাতি, মোমবাতি, বাসনপত্র কেনার ভার নিল। মেজদাদুর ভাগ্নে বগাকেও অতি সহজেই নিয়ে আসা গেল। কারণ বগা বেকার এবং প্রেত-তত্ত্ববিদ্‌। বগা যাচ্ছে শুনে ছোটপিসি আর পিসেমশাই চটে কাঁই৷ “ঐ দেখ মেজদাকে ভালোমানুষ পেয়ে মন ভাঙিয়ে নিচ্ছে।”

শেষটা ফাল্গুন মাসের গোড়ার দিকের একটা সকালে ট্রাক-বোঝাই স্যুটকেস, গেরস্থালির জিনিস, বিছানা, ছবির বই, সেলেট, রঙিন খড়ি ইত্যাদির সঙ্গে ছোটপিসি, ছোট পিসে, আর বগা সহ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের বাক্স কোলে মেজদাদু এসে পৈতৃক ভিটেয় উঠলেন। এটাতে আর কারো ভাগ ছিল না। তাঁর অনুপস্থিতিতে বাপের সম্পত্তি যখন ভাগ হয়েছিল, অমর্তকুটির বলে এই বাড়ি তাঁর ভাগে পড়েছিল। তখন ছিল কুড়ি বছরের অব্যবহারের স্রেফ একটি পোড়ো বাড়ি। চোররা পর্যন্ত রাতে ইদিকে পা দিত না।

ছোটপিসি ট্রাক থেকে নেমেই বললেন, “বগা, সেই প্রেত-তাড়ানি পুজোটা দে। প্রসাদ খেয়ে উপোস ভাঙব। খিদেয় পেট জ্বলে গেল।” সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সদর দরজা দিয়ে কালো, রোগা কোঁকড়া-চুলওয়ালা একটা লোক ছুটে বেরিয়ে এসে মেজদাদুকে বুকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠল। মেজদাদুও এক গাল হেসে তার পিঠ চাপড়ে বললেন, “ও কী রে ছ্যাঁচড় তোর ছিঁচকাঁদুনে স্বভাবটা এখনো গেল না। খুশি হলেই তুই ডুকরে কেঁদে উঠতিস। তোকে আজ দেখব একবারও ভাবিনি। চেহারাটা তো বিশেষ বদলায়নি। তা কী মনে করে?”

ছ্যাঁচড় ওদের আদর করে ভেতরে নিয়ে যেতে যেতে বলল, “আছি এখানেই, কাজকর্মের শেষটুকু নিজের চোখে দেখব ভাবলাম। তা দিদিমণি, ওই পুজোটুজোগুলো এখনি করলে খারাপ দেখাবে। আগে কর্মগুলো শেষ হোক। এখন চানটান করুন, বিশ্রাম নিন, জল খান।”

মেজদাদুও বললেন, “সেই ভালো রে বগা। অসম্পূর্ণ কাজের ওপর কখনো পুজো হওয়া উচিত বলে তো মনে হয় না। চল রে ছ্যাঁচড়, তুইও আমাদের সঙ্গে বসে যা।” ছ্যাঁচড় কিছুতেই রাজি নয়, তার অনেক কাজ বাকি। সে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে গেল। ছোটপিসি ভুরু কুঁচকে বললেন, “হুঃ। কাজ না আরো কিছু! বলিনি এরা বড্ড গোঁড়া। আমেরিকার যা-তা খেয়েছ তুমি, তা উনি তোমার সঙ্গে খাবেন কেন? তবে আমেরিকায় রোজগার করা টাকা নিতে কোনো আপত্তি হবে না।”

মেজদাদু দুঃখিত হয়ে চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন, “এক পয়সাও নেয়নি আজ পর্যন্ত। বাড়ি সারাবার মাল-মশলা, মজুরির জন্যেও নয়। বরং পারলে আমাকে কিছু দেয়।” বলার সঙ্গে সঙ্গে ছ্যাঁচড় একটা মরচে ধরা ক্যাশ-বাক্স আর এক গাল হাসি নিয়ে ঘরে ঢুকল।

“কই, খাওয়াদাওয়া চুকল? কাণ্ড দেখ ভাই, বড় ইঁদারা থেকে যেসব রাবিশ উঠেছে, তার মধ্যে এটাকে পেলাম। মনে হচ্ছে তোমার পিসির বিয়েতে যে ক্যাশবাক্স ভরতি যৌতুকের মোহর উধাও হওয়ার গল্প শুনেছিলাম, সেটা সত্যি! চোর সেটিকে কুয়োর মধ্যে ফেলে দিয়ে ভেবেছিল পরে উদ্ধার করবে। তারপর আর হয়ে ওঠেনি।”

মেজদাদুও আকাশ থেকে পড়লেন, “আরে তাই তো! এই তো ঠাকুরদার নাম খোদাই করা রয়েছে! ই—স্! এইজন্য বিয়েটা ভেঙে গেছিল। তাপ্পর তোর কাকা এসে পিঁড়িতে বসল, তবে পিসির বিয়ে হয়েছিল।” “আছেন দুজনে স্বর্গে।” এই বলে এমনি ভক্তি ভরে ছ্যাঁচড় তাঁদের উদ্দেশে নমো করল যে মেজদাদুর বেজায় হাসি পেল।

সেদিন থেকে পাঠশালায় ভরতি হবার জন্যে গাঁয়ের সব ছেলেমেয়ে লাইন দিল। মেজদাদু সকাল থেকে বাইরের ঘরে বসে সবার নাম লিখলেন। বগা কিছুদিন হোমিওপ্যাথি পড়েছিল, তাকে দিয়ে ৫১টা ছেলেমেয়ের নাকের ও কানের ভেতর পরীক্ষা করালেন। গাঁয়ের লোক মহা খুশি। তার ওপর জলখাবার! একদিনে প্রায় সব সিট ভরে গেল। তাই বলে সিট মানে সত্যি বেঞ্চিটেঞ্চি নয়, ওই খানিকটা বসার জায়গা।

পরদিন থেকে মহা হইচই করে পাঠশালা আরম্ভ হয়ে গেল। পোড়োরা হাঁ করে দত্যি-দানোর গল্প শুনল। তেঁতুল-বিচি দিয়ে বিশ-পঁচিশ বলে চমৎকার একটা খেলা শিখল। গাছে চড়ে পাখির বাসা দেখল। ডিমে হাত দেওয়া বারণ। বাগানের আগাছা তুলল। খেল-দেল। মাছধরার ছিপ তৈরি করল। তারপর দুপুরে সব বাড়ি গেল।

রাতে নতুন খাতায় মেজদাদু সব নাম তুলছেন, এমন সময় ফস করে ছ্যাঁচড় ঘরে ঢুকে বলল, “হাঁরে, দেখ তো এঁকে চিনতে পারিস কি না?” মেজদাদু অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন, “সে কী! পণ্ডিতমশাই! আমি ভেবেছিলাম ইয়ে—” পণ্ডিতমশাই বললেন, “না রে বাবা, সে সব নয়। আমি এসেছি তোর পাঠশালায় ভরতি হতে।”

“এ্যাঁ। বলেন কী, পণ্ডিতমশাই!” “হ্যাঁ, তাই, তোর ঐ তেঁতুল-বিচির খেলা দিয়ে গুণতে শেখাটা আমার না জানলেই নয়। মাঝে মাঝে ভারি অসুবিধায় পড়ি। সমস্কিতের মানুষ, আঁকটাঁক আমার মাথায় ঢোকে না। তোর ক্লাসের এক কোণে মাটিতে বসে থেকে সব দেখব-শুনব, তাতে তোর আপত্তিটে কী বল?”

মেজদাদু বললেন, “না, না, সে তো সৌভাগ্যের কথা। তবে কী জানেন, দুটো পোড়ো এনে গার্জেন হয়ে ঢুকলে ভালো হত।”

পণ্ডিতমশাই এক গাল হেসে উঠে পড়লেন। “বেশ তাই হবে। আনব দুটোকে ধরে।”

আনলেন-ও তাই। পরদিন সবে মাত্র তেঁতুল-বিচি ভাগ করা হচ্ছে, দুটি ছাত্র নিয়ে পণ্ডিতমশাই এসে ঢুকলেন। তারপর আর দেখতে হল না। পোড়ো দুটি মহা ছটফটে, মাঝে একবার উঠে নারকেল গাছে সড়সড় করে চড়ে বসল। পণ্ডিতও তেমনি। পেছন পেছন গাছে চড়ে, কান ধরে নামিয়ে আনলেন। ব্যাপার দেখে ক্লাসসুদ্ধ সব হাঁ! কিন্তু তেঁতুল-বিচি দিয়ে গুণতে শেখার সময় মেজদাদু আরো অবাক হলেন। দেখতে দেখতে ১, ২ থেকে একেবারে ভগ্নাংশ, দশমিক, তেঁতুল-বিচি দিয়ে কষে ফেলতে লাগল। তার মধ্যে বার দুই ঝপাং করে পুকুরে নামল, চ্যাঁচাল হাসল, এ-ওকে নাকানিচুবানি খাইয়ে নিল। আবার ভালো মানুষের মতো এক পাশে এসে বসল।

ক্রমে মেজদাদু হাঁপিয়ে উঠলেন। যখন ছুটি হল, একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। দুঃখের বিষয় পণ্ডিতমশাই কি তাঁর ছাত্রদের টিকিটি দেখতে পেলেন না যে, ক্লাসের রীতিনীতি সম্বন্ধে কিছু শেখান। অথচ শুধু যে তরকারির বাগান সাফ করে দিয়ে গেছে তা নয়, কচি কচি চারাও লাগিয়ে দিয়ে গেছে। সেদিন সন্ধ্যায় বগা ঘটা করে ভূত-তাড়ানি পুজো দিল।

সেই যে অমর্ত পাঠশালার প্রতিষ্ঠা হল, আজ পর্যন্ত তার কী নাম-যশ! অথচ পণ্ডিতমশাই আর তাঁর ছাত্ররা, এমনকী ছ্যাঁচড়ও আর কোনোদিনও এল না। ছ্যাঁচড় টাকাকড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেল না। তার মিস্তিরিরাও কাজ সেরে সেই যে বিদায় নিল, আর তাদের দেখা গেল না। মেজদাদু তাজ্জব বনে গেলেন।

শেষটা আর থাকতে না পেরে, একটা রবিবার কাউকে কিছু না বলে ছ্যাঁচড়ের পুরোনো ঠিকানায় গিয়ে দেখেন, সেখানে অচেনা লোকের বাস। তারা ছ্যাঁচড়ের দাদার বংশধর। মেজদাদুকে প্রণাম করে, তারা বার বার বলতে লাগল, কাকা শেষ বয়সে ভারি ধার্মিক হয়ে গেছিলেন। বুড়ো পণ্ডিতমশায়ের শিষ্য হয়ে তাঁর সঙ্গে হিমালয়ে চলে গেছিলেন। সে-ও বছর কুড়ি হয়ে গেল, আর তাঁদের কোনো পাত্তা নেই। সব সম্পত্তি ভাইপোদের দিয়ে গেছেন। তারা বলল, “খালি একটা দুঃখ ছিল যে আপনার কাছ থেকে নাকি অন্যায় ভাবে কী সব নিয়েছিলেন, যেমন করেই হোক সেটি শোধ না করে ছাড়বেন না। কী আর বলব আমরা, আপনাকে প্রণাম করে মনে হচ্ছে কাকাকে বুঝি আবার ফিরে পেলাম।”

মেজদাদু বিষণ্ণ মনে বাড়ি ফিরে এসেই বগাকে বললেন, “আচ্ছা বগা, সেদিন তোর অত ঘটা করে ভূত-তাড়ানি পুজো দেবার কী দরকারটা ছিল শুনি? ও-সব হল গিয়ে ইয়ে—কুসংস্কার, তাও জানিস না!”

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *