পাখীর গায়ের উকুন
তোমাদের মধ্যে যদি কেহ পাখী পুযিয়া থাক, তাহা হইলে নিশ্চয়ই দেখিয়াছ, পাখীরা এক রকম উকুনের উৎপাতে অস্থির হয়। কেবল পোষা পাখী নয়,—সকল পাখীর গায়েই এই উকুন দেখা যায়। উকুন তাড়াইবার জন্য পাখীরা ধূলা গায়ে মাখে; কখনো কখনো আবার জলে স্নান করে। পোষা পাখীর গায়ের উকুন মারিবার জন্য আমরা পাখীকে রসুন খাওয়াই এবং হলুদ দিয়া স্নান করাই।
পাখীর গায়ের উকুন এবং আমাদের মাথার উকুন এক রকমের পতঙ্গ নয়। সাধারণ উকুন আমাদের মাথার রক্ত শুষিয়া খায়। পাখীদের উকুন দাঁত দিয়া গা কাটিয়া আহার করে, ইহাতে গায়ে ঘা হয়। গায়ের পালকের মধ্যে আশ্রয় না লইলে ইহারা বাঁচে না। এইজন্য পাখী মরিয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে উকুনগুলাও মারা যায়।
এই উকুনেরা উইদের মত প্রাণী, কিন্তু ইহাদের ডানা থাকে না; এক জায়গা হইতে অন্য জায়গা যাইবার ক্ষমতা নাই। গায়ের পালকের উপরে তাহারা ছোট ছোট ডিম পাড়ে। পাখীর গায়ের গরমে সেই ডিম ফুটিয়া বাচ্চা বাহির হয়।
তোমাদের পোষা পাখীর গায়ে যদি এই রকম উকুন হয়, তবে অল্প পরিমাণে নারিকেল তেল তাহার পালক ও গায়ে মাখাইয়া দিয়ো। উকুন পতঙ্গজাতীয় প্রাণী। ইহাদের গায়ে নিশ্বাস টানিবার ছিদ্র আছে। তেলে সেই সকল ছিদ্র বন্ধ হইয়া গেলে উকুনরা নিশ্বাস ফেলিতে না পারিয়া মারা যায়।