পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বাঁচাতে হলে

কেন জানি না আমি
        হাঙরপেটের গোলাপি-জীবনের পাগলাগারদে
আপদ-বিপদ পিষ মানিয়ে বিপথগামী বৃষ্টিতে ভেজা গলির সৎপথে
কাঁধে অন্ধকার বয়ে ২০৫নং রুটের বাসটা যখুন বাবুঘাট পৌঁছোল
ড্রাইভার বললে ওপারে সামলে যান নদী গেছে সমুদ্রে মাছ বিয়োবার ধান্দায়
জানেন তো বাসিমড়া ছাড়া আর-সবায়ের শবযাত্রায় নিষেধ লেগেচে

কেন জানি না আমি
        প্রবেশ নিষেধ লটকানো এলাকায় যেখানে বজ্জাতরা জেতে
কানের লতিতে আগাছাঅলা ক্রেটারমুখো সাংবাদিককে দেখলুম গুণছে
দুঃশাসনের ব্যথাবিহীন হাত দিয়ে বিদ্যুৎচুল্লিতে জমা শেষনিঃশ্বাসের ছাই
যাদের পেশা ছিল ছারপোকার মাতৃভূমিতে যুক্তি দিয়ে অন্যের মতখণ্ডন

কেন জানি না আমি
        গুজবে কান না-দিয়ে যারা জিভ দেয়াটাই ভালো মনে করে
তারা যখন অশান্তিকে শান্তি বলে মেনে নেবার জন্যে থাকাখাওয়া ফ্রি করে দিলে
স্বনামের কবর থেকে বেরিয়ে এল জয়যাত্রা নামের বিষকালি-মাখা খোঁয়াড়
সবাই চেল্লাচ্ছিল বিপ্লব চাই বিপ্লব চাই কিন্তু চাকরিতে বদলি চাই না

কেন জানি না আমি
        প্রেমিক-বর্জিতা গর্ভবতী যেদিন ব্যাঙডাক প্রতিধ্বনিত কুয়োয়
ভেসে উঠল---খুনির ব্যবহৃত স্মৃতিভারাক্রান্ত বাটখারাটি মুদির দোকানে
সত্যনারাণের সিন্নির জন্যে আটা ওজন করাতে সাহায্য করছিল
হাবভাব তো এমন যেন ডাঙায় তোলা মাছকে দখিনা বাতাস কাতুকুতু দিচ্ছে

কেন জানি না আমি
        আঘাত তার ব্যথার স্মৃতি যত দ্রুত ভোলে তারচে তাড়াতাড়ি
দেখলুম লাশের কপাল বেয়ে সন্দেশচুরো মুখে শ্মশানপিঁপড়ের মিছিল

মুম্বাই ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *