বিখ্যাত মুনি ও মহাভারত রচয়িতা ব্যাসদেবের (কৃষ্ণদ্বৈপায়ন) পিতা। পরাশর মহর্ষি শক্তৃর ও তাঁর পত্নী অদৃশ্যন্তীর পুত্র এবং বশিষ্ঠ মুনির পৌত্র। রাজা কল্মাষপাদ শক্তৃর অভিশাপে রাক্ষস হয়ে বিশ্বামিত্রের প্ররোচনায় শক্তৃ সহ বশিষ্ঠের একশত সন্তানকে ভক্ষণ করেন। শক্তৃর মৃত্যুর পর পরাশরের জন্ম হয়। মাতার কাছে পিতার মৃত্যুর কারণ শুনে পরাশর রাক্ষসসত্র যজ্ঞ শুরু করলেন। ফলে রক্ষস সকল সেখানে দগ্ধ হতে শুরু করল। তখন অত্রি, ক্রতু ও মহাক্রতুকে সঙ্গে নিয়ে পুলস্ত্য এসে পরাশরকে বোঝালেন যে, এই ভাবে নির্দোষ রাক্ষসদের হত্যা করা অনুচিত। পুলস্ত্যের কথায় পরাশর তাঁর যজ্ঞ শেষ করলেন। এর বহুদিন পরে তীর্থপর্যটনের পথে যমুনার তীরে এক অতীব সুন্দরী খেয়ানী সত্যবতীকে দেখে পরাশর মোহিত হন। লোকে ধীবর কন্যা হিসেবে জানলেও,সত্যবতীর আসল পিতা ছিলেন চেদি রাজ উপরিচর বসু এবং মাতা ছিলেন এক অপ্সরা অদ্রিকা। পরাশর নৌকায় উঠে সত্যবতীর কাছে এক বংশধর পুত্র চাইলেন। সত্যবতীর লজ্জা পাচ্ছেন দেখে পরাশর ওঁদের চারিদিকে কুজ্ঝটিকা সৃষ্টি করলেন এবং সত্যবতীকে অভয় দিলেন যে, এই মিলনের ফলে ওঁর কুমারিত্ব নষ্ট হবে না। মিলনের অল্প ক্ষণের মধ্যেই সত্যবতী যমুনার দ্বীপে পরাশর-পুত্র কৃষ্ণ দ্বৈপায়নকে প্রসব করেন। পরে ইনি বেদ বিভক্ত করে ব্যাস নামে বিখ্যাত হন। ইনিই মহাভারতের রচয়িতা হিসেবে পরিচিত।