জমদগ্নি (ঋচিক-পুত্র) মুনি ও তাঁর পত্নী রেণুকার (রাজা প্রসেনজিতের কন্যা) কনিষ্ঠ পুত্র। ব্রাহ্মণ পুত্র হিসেবে জন্ম গ্রহণ করলেও মহর্ষি ভৃগুর (পরশুরামের প্রপিতামহ) বাক্যানুসারে পরশুরাম বৃত্তিতে হয়েছিলেন ক্ষত্রিয়। অপরিসীম পিতৃভক্ত পরশুরাম পিতার আদেশে পাওয়া মাত্র আপন মাতার শিরচ্ছেদ করেন। পরে পিতার কাছে প্রার্থনা করে মাতাকে পুনর্জীবিত করেন এবং এই হত্যার কোনও স্মৃতি যেন মাতার না থাকে তাও প্রার্থনা করেন। হৈহয়রাজ কার্তবীর্য ওঁর পিতার হোমধেনুর বৎস হরণ করেছিলেন বলে পরশুরাম তাঁকে বধ করেন। কার্তবীর্যের পুত্ররা তার প্রতিশোধ নিতে আশ্রমে এসে তপস্যারত জমদগ্নিকে হত্যা করেন। তখন পরশুরাম একা কার্তবীর্যের সব পুত্রকে বধ করলেন। এরপর তিনি একুশবার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন। পরে পিতামহ ঋচিকের অনুরোধে তিনি ক্ষত্রিয়হত্যা থেকে নিবৃত হন। ভীষ্ম, দ্রোণ – এঁরা ছিলেন পরশুরামের শিষ্য। কর্ণও নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিয়ে পরশুরামের কাছে অস্ত্রশিক্ষা করেন।