পথের কাঁটা – ৪

জগদানন্দের পরিকল্পনাটি খাসা। কিন্তু সেই-মোতাবেক কাজ করা মুশকিল

হয়ে পড়ল। বাসু-সাহেব আমমোক্তার-বলে জগদানন্দের তরফে গোপনে তাঁর বসতবাড়িটি দানপত্র করে দিলেন তাঁর পৌত্রীকে না, ভুল, বললাম! দলিলের কোথাও উল্লেখ নেই দানগ্রহীতা নীলিমা সেন জগদানন্দের পৌত্রী। বরং বলা হয়েছে, যে-হেতু সেন-পরিবারভুক্ত ‘কুমারী নীলিমা দেবী’ বৃদ্ধ বয়সে দাতা জগদানন্দের সেব-শুশ্রুষা যত্ন আদি করেছেন তাই প্রতিদানে খুশিমনে সুস্থ বহাল তবিয়তে দাতা নিবঢ়-স্বত্বে ইত্যাদি ইত্যাদি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জগদানন্দ জয়দীপ এবং নীলিমাকে তাঁর নিভৃত কক্ষে ডেকে পাঠালেন। দানপত্রের কথা গোপন রেখে উইলখানি ওদের দুজনকে পড়তে দিলেন। দুজনে আদ্যন্ত তাঁর অপরিবর্তনযোগ্য শেষ উইলখানি পাঠ করলে জগদানন্দ প্রশ্ন করেন, তোমাদের মতামত নেবার জন্য এই উইল পড়তে দিইনি, বস্তুত তোমাদের মতামতে এটা পরিবর্তনও করব না আমি; তবু আমি জানতে চাই এ বিষয়ে তোমাদের কিছু কী বলার আছে?

নীলিমা রুদ্ধ নিঃশ্বাসে বসেছিল এতক্ষণ। এ প্রশ্নে মাথা ঝাঁকিয়ে শুধু বললে, না!

জয়দীপ কিন্তু স্থির থাকতে পারল না। বললে, আমার একটা কথা বলার ছিল। আপনি এভাবে নীলিমাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছেন কেন?

—বঞ্চিত করছি! কে বলল? তাকে তো নগদ পঁচিশ হাজার টাকা দিয়ে যাচ্ছি।

—এবং আপনার ভাইপোকে দিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চাশ হাজার টাকা, আর নিঃসম্পৰ্কীয় ঐ মহেন্দ্রবাবুকে দিয়ে যাচ্ছেন এই বাস্তুভিটা!

—হ্যাঁ, তাতে কী হল?

জয়দীপ স্থির হয়ে বসে রইল। জবাব জোগালো না তার কণ্ঠে। শেষে উঠে গেল সে। পরদিন, শুক্রবার সকালে সে ফিরে এসে বললে, কাল আপনাকে একটা কথা বলা হয়নি। আপনি জানেন যে, আমি নীলিমাকে বিবাহ করতে চাই। আপনার আপত্তি ছিল। যে কারণে আপনি আপত্তি করেছিলেন আশা করি সেই কারণটা এখন আর নেই। যদি মনে করেন এখনও সেই কারণটি আছে তবে ঐ পঁচিশ হাজার টাকা থেকেও তাকে বঞ্চিত করে যান, আমি ওকে এ বাড়ি থেকে নিয়ে যাই।

জগদানন্দ রাগ করেননি। খুশি হয়েছিলেন। জবাবে বলেছিলেন, নীলুর বিবাহ আমার এই শেষ বয়সের শেষ উৎসব। এ ঝামেলা মিটে যাবার আগে সে বিষয়ে আমি চিন্তা করছি না। উইলটা হয়ে যাক, আপদ বিদায় হ’ক—তারপর তোমাদের সঙ্গে কথা বলব।

—আপদ বিদায় হ’ক মানে? মহেন্দ্রবাবুকে তো আপনি খুশি মনে—

বাধা দিয়ে জগদানন্দ বলেছিলেন, ও কথা থাক!

ঝামেলা কিন্তু মিটল না। মহেন্দ্র এবং বিশ্বম্ভর এ প্রস্তাবে প্রথমটা রাজি হয়নি। শেষে অনেক কষ্টে জগদানন্দ রাজি করান। উইলে আরও উল্লেখ করা হল যে, এইটিই তাঁর শেষ উইল। যে কোনও কারণেই হ’ক এ উইল পরিবর্তন করে উনি যদি ভবিষ্যতে নতুন উইল প্রণয়ন করেন তবে তা আইনত গ্রাহ্য হবে না।

এরপর মহেন্দ্র-বিশ্বম্ভর পার্টি রাজি হলেন। রাজি হলেন না বাসু-সাহেব। বাহ্যত। তিনি প্রকাশ্যে দেখালেন এ অবস্থায় তিনি মোটেই খুশি নন। উইলে সাক্ষী হিসাবে তিনি সই দিতেও অস্বীকার করলেন। হয়তো সেজন্যই মহেন্দ্র-বিশ্বম্ভর পার্টি আরও খুশি মনে এ ব্যবস্থা মেনে নিলেন। সাক্ষী হিসাবে সই দিলেন অ্যাডভোকেট বিশ্বম্ভরবাবু এবং জয়দীপ। শনি-রবি-সোম তিন দিনই ছুটি। স্থির হল, মঙ্গলবার ওটি রেজিস্ট্রি করানো হবে। আপাতত উইলের মূল কপিটি থাকল মহেন্দ্রের জিম্বায়।

ঐ শনিবারেই ঘটল একটি অদ্ভুত ঘটনা। জগদানন্দের সঙ্গে দেখা করতে এলেন একজন অদ্ভুতদর্শন স্যুট পরা ভদ্রলোক! তাকে নীলিমা ইতিপূর্বে কখনও দেখেনি, চেনে না। খর্বকায়, হৃষ্টপুষ্ট—বয়স সত্তরের কাছাকাছি। নাকটা থ্যাবড়া, চোখ দুটি ছোট—ত্যাড়চা। যাকে বলে মঙ্গোলীয় ছাপ। গায়ের রং তামাটে। রুদ্ধদ্বার কক্ষে তিনি জগদানন্দের সঙ্গে কী আলোচনা করলেন তা কেউ জানে না; কিন্তু নীলিমা লক্ষ্য করে দেখে তিনি চলে যাবার পর বিস্ফোরণের পূর্বমুহূর্তে আগ্নেয়গিরির মতো গুম্ মেরে বসে আছেন জগদানন্দ। সে প্রশ্ন করেছিল, ও ভদ্রলোক কে দাদু?

হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটল। চাপা গর্জন করে উঠলেন জগদানন্দ, খুন করব! সব কটাকে খুন করব আমি! এরা ভেবেছে কী?

ক্রমশ বোঝা গেল ঐ অজ্ঞাতনামা ভদ্রলোকটির নাম য়ু সিয়াঙ। পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগে তিনি ছিলেন জগদানন্দের বর্মা-অফিসের ম্যানেজার। নীলিমা আন্দাজে বুঝতে পারে—মহেন্দ্র হয়তো এঁর মাধ্যমেই গুপ্তরহস্য সম্প্রতি উদ্ধার করেছেন এবং ধূর্ত বর্মী ভদ্রলোক ব্যাপারটা আঁচ করে স্বয়ং উপস্থিত হয়েছেন। অর্থাৎ মহেন্দ্ৰবিদায় পর্ব চুকলেও মুক্তি পাচ্ছেন না জগদানন্দ। এবার তাঁকে য়ু সিয়াঙ-এর সম্মুখীন হতে হবে, জগদানন্দের নির্দেশে নীলিমা বাসু-সাহেবকে ফোন করল। ওর কাছ থেকে সব শুনে বাসু-সাহেব বললেন, এসব ব্যাপারে আমার চেয়ে কৌশিকই তোমাদের বেশি সাহায্য করতে পারবে। কাল সকালে সে যাবে তোমাদের বাড়িতে।

রবিবার কৌশিক সেই অনুসারে এসে উপস্থিত হল জগদানন্দের বাড়িতে। জগদানন্দ তাকে নিভৃতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললেন, আপনি আশাকরি বুঝতে পেরেছেন আমার সমস্যাটা কী। এই য়ু সিয়াঙ লোকটাই মহেন্দ্রকে সরবরাহ করেছে যাবতীয় তথ্য। ঠিক কী কী তথ্য তা আমি জানি না—আন্দাজ করতে পারি। হয় তো যে জাহাজে সদানন্দ গিয়েছিল এবং ফিরে এসেছিল সেই জাহাজের নাম, হয়তো চৌত্রিশ বছর আগেকার সেই প্যাসেঞ্জার লিস্ট-এর ফটো-স্ট্যাট কপি নিয়েছে ওরা। হয়তো যে হোটেলে সদানন্দ রেঙ্গুনে একমাস ছিল তার হোটেল রেজিস্টার থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে—অথবা নীলুর মাকে যারা চিনত তাদের নাম-ধাম-বর্তমান ঠিকানা সব সংগ্রহ করেছে।

কৌশিক জানতে চায়, লোকটা কী চাইছে?

—টাকা! কোনও সঙ্কোচ করেনি য়ু সিয়াঙ—সে স্পষ্ট বলেছে মহেন্দ্রের সঙ্গে তার শর্ত হয়েছিল যে, সে যা আদায় করবে তার অর্ধেক তাকে দেবে। তার আশঙ্কা মহেন্দ্র তাকে ফাঁকি দেবে। তাই তার প্রস্তাব মহেন্দ্রকে আমি যা খেসারত হিসাবে দেব বলেছি তার অর্ধেক তাকে দিতে হবে।

—ও কোথায় থাকে?

—ও সোজা এসেছে রেঙ্গুন থেকে। আছে পার্ক হোটেলে, রুম নম্বর 38। বলেছে, আমি কী স্থির করলাম তা ওকে ঐ রুম নাম্বারে ফোন করে জানিয়ে দিতে।

—ওর সঙ্গে মহেন্দ্রের যোগাযোগ হয়েছে?

—আমি জানি না। আমি ওকে বলেছিলাম মহেন্দ্র এ বাড়িতেই থাকে। যদি সে দেখা করতে চায় তবে আমি তাকে ডেকে আনতে পারি। তাতে সে রাজি হয়নি। বলেছিল, মহেন্দ্রের সঙ্গে তার ফয়সালা যা করার কথা তা সে জনান্তিকেই করবে।

কৌশিক সব শুনে বলল, ঠিক আছে। যা ব্যবস্থা করার আমি করছি। বাসু সাহেবকেও সব জানাব।

সেদিনই নীলিমা আর জয়দীপ এসে দেখা করল কৌশিকের সঙ্গে। জানতে চাইল—ব্যাপারটা কী?

কৌশিক বলে, নীলিমা দেবী যা আশঙ্কা করেছিলেন ঠিক তাই। অর্থাৎ মহেন্দ্ৰ গোপন খবরটা সংগ্রহ করেছে ঐ বর্মী ভদ্রলোকের মাধ্যমে। উনি এখন বুঝতে পেরেছেন যে, তথ্যটা ব্ল্যাকমেলিঙ-এর পক্ষে প্রশস্ত। ফলে, নিজেই চলে এসেছেন রেঙ্গুন থেকে ভারতবর্ষে।

—কিন্তু গোপন তথ্যটা কী?—জানতে চায় জয়দীপ।

কৌশিক সজ্ঞান মিথ্যা ভাষণ করে, সেটা এখনও জানা যায়নি।

—এখন কী করতে চান?

—প্রথম ব্যবস্থা হচ্ছে সর্বক্ষণ ঐ য়ু সিয়াঙ ভদ্রলোক নজরে নজরে রাখা। আমাদের জানতে হবে, ওর সঙ্গে মহেন্দ্রবাবুর বর্তমান সম্পর্কটা কী? মহেন্দ্রবাবুকেও নজরে নজরে রাখতে হবে।

—আপনি একা মানুষ—দুটো মানুষকে দু’জায়গায় নজরে রাখবেন কেমন করে?

—আমাকে লোক লাগাতে হবে। এ জাতীয় কাজ করার লোক আমার জানা আছে। দৈনিক চুক্তিতে তাদের এনগেজ করতে হবে

জয়দীপ বলে, তার চেয়ে এক কাজ করা যাক। আমি নিজেই ঐ পার্ক হোটেলে গিয়ে একটা ঘর নিই। য়ু সিয়াঙ আমাকে চেনে না। তাকে নজরবন্দি করি। সে কলকাতা শহরও চেনে না, ফলে তার সঙ্গে ভাব করে শহরটা দেখাই–হয়তো কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারব।

কৌশিক রাজি হল। এ ব্যবস্থাটা ভাল। জয়দীপ বেশ চালাক-চতুর, ওকে দিয়ে কাজ হবে। রবিবার বিকালেই জয়দীপ পার্ক হোটেলে একটা ঘর নিল। ঐ আটত্রিশ নম্বর ঘরের পরের পরের ঘরটা—চল্লিশ নম্বর কামরা।

বাসু-সাহেব বাড়ি ফিরে সব কথাও শুনলেন। বললেন, আমার কেমন যেন ভালো লাগছে না কৌশিক। চল, একবার বুড়োর সঙ্গে দেখা করে আসি।

কৌশিক বললে, সেটাই ভাল। বৃদ্ধ সকালবেলা আমাকে পেয়ে খুশি হননি। আপনার কথা বারে বারে জিজ্ঞাসা করছিলেন।

সত্যই বাসু-সাহেবের সাক্ষাৎ পেয়ে খুশি হয়ে উঠলেন জগদানন্দ। বললেন, এমনই একটা কিছু আশঙ্কা করেছিলাম আমি। আজ থেকে শনির দশা শুরু হল যে আমার।

বাসু বললেন, সেন-মশাই, আমি ওসব শনির দশা, বৃহস্পতির দশা বুঝি না। যা বুঝি তা হচ্ছে এই যে, আপনি বর্তমানে একটি প্রচণ্ড বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। তাই আমি ছুটে এসেছি। মহেন্দ্র আর বিশ্বম্ভর কি য়ু সিয়াঙের আগমন সংবাদটা জানে?

—বোধহয় না। যে সময় য়ু সিয়াঙ আসে তখন ওরা দুজনেই বাড়ি ছিল না।

—বুঝলাম। ওরা এখন বাড়ি আছে?

—আছে।

—তবে ওদের ডেকে পাঠান। নীলিমা আর জয়দীপকেও ডাকুন।

সবাই সমবেত হলে বাসু বললেন, আপনারা সকলেই জানেন, গত পরশু জগদানন্দবাবু একটি উইল করেছেন। তাতে কী আছে, আমি জানি না। কারণ আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি ঐ উইল করেন—কিন্তু আপনারা তা জানেন। উইলটি রেজিস্ট্রি করা হয়নি; কিন্তু তাতে জগদানন্দের স্বাক্ষর আছে সেটি আইনমোতাবেক সিদ্ধ। আমার মতে, যতদিন না উইলটি রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে ততদিন সেটা উইলের কোন বেনিফিশিয়ারির কাছে থাকা উচিত নয়।

—কেন বলুন তো?—জানতে চান বিশ্বম্ভর উকিল।

—সেটাই প্রথা। তা ছাড়াও কারণ আছে।

—সেই কারণটাই তো আমি জানতে চাইছি।

বাসু-সাহেব হঠাৎ ঘুরে বসেন মহেন্দ্রের দিকে। তাকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, মহেন্দ্রবাবু, আপনি য়ু সিয়াঙ বলে কাউকে চেনেন?

মহেন্দ্র এ প্রশ্নে হঠাৎ থতমত খেয়ে যায়। কিন্তু সে জবাব দেবার আগেই বিশ্বম্ভর প্রতিপ্রশ্ন করে, সে প্রশ্নের সঙ্গে এ বিষয়ের পারম্পর্য কী?

বাসু ওর কথা কানে তোলেন না, মহেন্দ্রকেই প্রশ্ন করেন—আপনি সম্প্রতি রেঙ্গুনে গিয়ে ঐ য় সিয়াঙের সঙ্গে দেখা করেননি?

মহেন্দ্র আমতা আমতা করে। তাকে থামিয়ে দিয়ে বিশ্বন্তর বলে, মিস্টার বাসু, আপনার যা কিছু প্রশ্ন আছে তা আমাকে করবেন। মক্কেলের তরফে আমিই তো হাজির আছি।

মহেন্দ্র ঢোক গিলে চুপ করে যায়। বাসু এবার বিশ্বম্ভরের দিকে ফিরে বলেন, বেশ আপনাকেই বলছি। আপনার মক্কেল যেমন পঁচিশ বছর পরে এসে খেসারত দাবি করছে, ঠিক সেইভাবে ঐ য়ু সিয়াঙও এসে দাবি করছে টাকা। আরও ঐ একই বক্তব্য! সেটা যে কী, তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন?

—না, পারছি না। সেটা কী?

—তার প্রতিও নাকি জগদানন্দবাবু অন্যায় করেছেন। সেও ঐ একই রকম প্রমাণ দাখিল করে খেসারত দাবি করেছে।

—হতে পারে। তার সঙ্গে আমার মক্কেলের সম্পর্কটা কী? সে তো অন্য একটা কেস?

–না, কেস একটাই। তা যাক। আপনি যেমন আপনার মক্কেলের স্বার্থ দেখছেন, আমিও তেমনি আমার মক্কেলের স্বার্থ দেখছি। তাই বলতে চাই, উইলটা আপনার মক্কেলের হেপাজতে থাকার সময়—এবং আমার মক্কেল য়ু সিয়াঙের সঙ্গে ঐ ব্যাপারটার ফয়সালা করার আগে যদি আমার মক্কেলের কিছু ভালমন্দ হয়ে যায় তবে তার জন্য আপনার মক্কেল পুরোপুরি দায়ী থাকবেন! বুঝেছেন?

বিশ্বম্ভর চোখ থেকে চশমাটা খুলে তার কাচটা মুছতে মুছতে বলেন, আজ্ঞে না, বুঝিনি। ‘ভালমন্দ’ বলতে কী মীন করেছেন?

—আই মীন অ্যান অ্যাটেম্পট্ টু মার্ডার! খুন! এবার বুঝলেন? এসো কৌশিক।

উঠে পড়লেন বাসুসাহেব। ঘরের কেউই তখনও স্বাভাবিকতা ফিরে পায়নি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *