1 of 2

নো ম্যানস ল্যান্ড

নো ম্যানস ল্যান্ড

নিজের দেশই যদি তোমাকে দেশ না দেয়,
তবে পৃথিবীতে কোন দেশ আছে তোমাকে দেশ দেবে, বলো!
ঘুরে ফিরে দেশগুলো তো অনেকটা একইরকম,
শাসকের চেহারা চরিত্র একইরকম।
কষ্ট দিতে চাইলে একইরকম করে তোমাকে কষ্ট দেবে,
একইরকম আহ্লাদে সুঁই ফোঁটাবে,
তোমার কান্নার সামনে পাথর-মুখে বসে মনে মনে নৃত্য করবে।
নাম ধাম ভিন্ন হতে পারে, অন্ধকারেও ঠিকই চিনবে ওদের–
চিৎকার, ফিসফিস, হাঁটাচলার শব্দ শুনে বুঝবে কারা ওরা,
যেদিকে হাওয়া, সেদিকে ওদের দৌড়ে যাওয়ার সময়
হাওয়াই তোমাকে বলবে কারা ওরা।
শাসকেরা শেষ অবধি শাসকই।

যতই তুমি নিজেকে বোঝাও কোনও শাসকের সম্পত্তি নয় দেশ,
দেশ মানুষের, যারা ভালোবাসে দেশ, দেশ তাদের।
যতই তুমি যাকে বোঝাও এ তোমার দেশ,
তুমি একে নির্মাণ করেছে তোমার হৃদয়ে,
তোমার শ্রম আর স্বপ্নের তুলিতে একেছো এর মানচিত্র।
শাসকেরা তোমাকে দূর দূর করে তাড়ালে কোথায় যাবে!
কোন দেশ আর দরজা খুলে দাঁড়ায় তাড়া খাওয়া কাউকে আশ্রয় দিতে!
কোন দেশ তোমাকে আর কোন মুখে দেশ দেবে বলো?

তুমি কেউ নও এখন আর,
মানুষও বোধহয় নও।
হারাবার তোমার বাকিই বা কী আছে!
এখনই সময় জগতকে টেনে বাইরে এনে বলে দাও,
তোমাকে ওখানেই দাঁড়াবার জায়গা দিক, ওখানেই ঠাঁই দিক,
দেশের সীমানা ফুরোলে কারও মাটি নয় বলে যেটুকু মাটি থাকে,
সেই অবাঞ্ছিত মাটিই, সেটুকুই না হয় আজ থেকে তোমার দেশ হোক।

০৪.০২.০৮

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *