নেটিভ স্টেট

নেটিভ স্টেট

স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে নেটিভ শব্দটা ব্যবহার করিয়াছি, লেটিব বলিলে আরও ভালো হইত। কারণ নেটিভ বলিতে যাহা কিছু মন্দ, যাহা কিছু বীভৎস, যাহা কিছু পাশবিক ইঙ্গ-বঙ্গে বোঝায় ও বোঝানো উচিত তাহা বেশিরভাগ নেটিভ স্টেটে বর্তমান।

বাঙালির উপর বিধাতার বহু অভিসম্পাত বর্ষিয়াছে; একমাত্র নেটিভ স্টেটরূপী গোদের উপর বিষফোঁড়া হইতে আমরা রক্ষা পাইয়াছি। যে দুইটি স্টেট আমরা চিনি তাহাদের সঙ্গে আমাদের শ্রদ্ধার প্রীতির বন্ধন আছে। কবিগুরুকে যখন বাঙলা দেশও চিনিত না, তখন ত্রিপুরার মহারাজ বিশেষ দূত পাঠাইয়া কিশোর কবিকে জয়মাল্যে বিভূষিত করিয়াছিলেন ও পরবর্তী যুগে তিনি ও তাঁহার পুত্র-পৌত্রগণ শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম ও বিশ্বভারতাঁকে বহুপ্রকারে সাহায্য করিয়াছেন। শুধু তাহাই নহে, রাজপুত্র রাজপরিজন শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর পদপ্রান্তে শিক্ষালাভ করিয়াছেন ও দেশে-বিদেশে কবিকে সেবা করিয়া ধন্য হইয়াছেন।

 কুচবিহারও প্রাতঃস্মরণীয় কেশবচন্দ্রের আত্মীয়তা লাভ করিয়া কৌলীন্যপ্রাপ্ত হইয়াছেন। ইদানীং কুচবিহারে যে গুণ্ডামি হইয়া গেল তাহা লইয়া দেশে আন্দোলন হইয়াছে ও হওয়া উচিত কিন্তু পশ্চিম ভারতে নিত্য নিত্য যে কাণ্ড হয় তাহা শুনিলে বাঙালির চক্ষু স্থির হইয়া যাইবে।

প্রথমত কোনও নেটিভ স্টেটে কোনওপ্রকার স্বায়ত্তশাসন নাই। কোনও কোনও অত্যন্ত প্রগতিশীল রাজ্যে ধারা সভা থাকে। সে সভার প্রধান কর্ম রাজাকে সদুপদেশ দেওয়া। সে ধারাসভার সভাপতি স্টেটের দেওয়ান বা প্রধানমন্ত্রী। রাজা সাধারণত স্টেটের বাহিরে দেশের কোনও বড় শহরে বা ইউরোপের বিলাস-ব্যসনে মগ্ন–আমাদের জমিদাররা যেরূপ কলিকাতায় নানা সৎ কর্মে লিপ্ত থাকেন– প্রধানমন্ত্রী সর্বেসর্বা। তিনি সভাপতি। তাঁহার সম্মুখে দাঁড়াইয়া, তাঁহারই নিন্দা করিবার বুকের পাটা থাকে কয়জনের? রসিক-জনেরা তাই ধারাসভার নাম দিয়াছেন রাধা সভা। রাধা যেরকম শাশুড়ি-ননদির ভয়ে চোখের জল ফেলিতেও সাহস করিতেন না, হঁহাদের সেই অবস্থা।

আমাদের জমিদারেরা যেরকম নায়েব-ডাকিনীর হাতে প্রজাপুত্র সমর্পণ করিয়া আরামে দূরে থাকেন, নেটিভ স্টেটেও তাই। শুধু নায়েবের অত্যাচারের সীমা আছে, কারণ হাজার হউক পুলিশ আছে, ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তাহাদিগকে সবসময় রীতিমতো ওয়েলিং না করার ফলে মাঝে মাঝে কল বিগড়াইয়া যায়। নেটিভ স্টেটে সে ভয় নাই। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ানের অতিভক্ত বাহন।

দেওয়ান যত বেশি টাকা তুলিতে পারেন, মহারাজ তত খুশি। তিনি দেশে-বিদেশে যে ভূতের খপরে তেল ঢালিতেছেন সে ভূতের তৃষ্ণার শেষ নাই। দরিদ্র প্রজার রক্ত চুষিয়া, হাড় পিষিয়া, মেরুদণ্ড চূর্ণ করিয়া তৈল বাহির করিতেছেন দেওয়ান। আত্মীয়-স্বজন ইয়ার-বক্সি হুঙ্কার দিয়া বিদ্রোহীকে কাবু করিতেছেন; কন্ট্রাক্টে, একচেটিয়া কারবারে অন্যান্য শত উপায়ে উদরপূর্তি করিতেছেন। সিংহাসনে উপবিষ্ট মহারাজা সিংহের অংশ পাইতেছেন। যে দেওয়ান যত বেশি শোষণ করিতে পারে সেই তত কর্মদক্ষ।

প্রজার নৈতিক চরিত্র যে তাহাতে কী পরিমাণ অধঃপাতে যায় বুঝানো অসম্ভব। যেখানে প্রভু স্বৈরাচারী, স্বাধিকারপ্রমত্ত সেখানে মানুষের বাঁচিবার উপায় কী থাকিতে পারে? একমাত্র পদলেহন ছাড়া তাহার অন্য কোনও পন্থা তো জানা নাই। বোম্বাই শহরে যদি দেখেন কেহ অতিরিক্ত বিনয় ভদ্রতা ও সৌজন্য প্রকাশ করিতেছে তবে প্রশ্ন করিলে খুব সম্ভব জানিবেন যে, ভদ্রলোক নেটিভ স্টেটের লোক।

ধর্মসাক্ষী, আমরা কাহারও মনে আঘাত দিতে চাহি না কিন্তু সত্য নিরূপণে অপ্রিয় কথাও বলিতে হয় আমরা নাচার।

আর যদি মহারাজা দেশে থাকেন তবে ব্যাপার আরও পেল্লাই। দেশি-বিদেশি সায়েবসুবোতে সরকারি অতিথিশালা গমগম করিতেছে। নর্তকী আসিয়াছে, বাঈজী আসিয়াছে, গণিকা আসিয়াছে। হাজার মুরগি বাড়াইয়া বলিতেছি না– হাজার মুরগি কাটিয়া তাহারই নির্যাস দিয়া বিশেষ জুস তৈয়ারি হইতেছে– বহুতর ডাক্তার কবিরাজ হাকিম ডাকা হইয়াছে, তাহার বহুতর ইনজেকশন-টনিক, অরিষ্ট-আসব-প্রাণ-মোদক, হালুয়াতরওগণ লইয়া উপস্থিত। বর্দোবার্গেন্তি হইতে আরম্ভ করিয়া জাহাঙ্গির-বাদশাহি ডবল ডেস্টিলড আরক, আফিঙ সবকিছু প্রস্তুত। সে কী বীভৎস শিবহীন দক্ষয়ক্ষ! দেশের অন্যান্য সরকারি কাজকর্ম বন্ধ। উদয়াস্ত বলিব না, অস্তোদয় দেওয়ান সাহেব প্রাসাদে চৰ্কিবাজির মতো তুর্কিনাচ নাচিতেছেন।

কোনও কোনও মহারাজা স্বরাজ্যে ফিরিলেই অরাজকতা আরম্ভ হয়। কলির কী বিচিত্র গতি! যেসব কাণ্ড তখন হয় তাহার বিবরণ খবরের কাগজে ছাপানো অসম্ভব। শুধু ডাক্তারি পুস্তকে তাহার বর্ণনা দেওয়া চলে। লজ্জাহীন উচ্ছল তাণ্ডব নৃত্য তখন যে কী চরমে উঠিতে পারে তাহার বর্ণনা সত্যপীর যতই সত্যপ্রিয় হউন না কেন, দিতে অক্ষম। সদাশয় সরকার বাহাদুরের কাছে এসব কীর্তি অজানা নহে।

এইটুকু বলিলেই যথেষ্ট হইবে, কোনও কোনও স্টেটে সর্ব-সাকুল্য আয়ের অর্ধাপেক্ষা বেশি ব্যয় হয় মেহমানদারি খাতায় অর্থাৎ এইসব ভূতের যজ্ঞে।

আমার একটি রাজপুত শিষ্যের বিবাহ উৎসবে আমাকে যাইতে হইয়াছিল। যাহা দেখিয়াছিলাম ও শুনিয়াছিলাম তাহা অবর্ণনীয়।

দেশের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে অবশ্য এইসব অশ্লীলতার যোগ বিশেষ নাই। কিন্তু আরেকটি জিনিস লক্ষ করিয়া আমি সর্বদা মর্মাহত হইয়াছি। নেটিভ স্টেটের বালক-বালিকা ছাত্রছাত্রীদের দাস্যভাব।

এক অতি সম্ভ্রান্ত স্টেটে দেওয়ানের নাতি স্কুলের ছাত্র-মাস্টারের উপর ঠাকুরদাদার অপেক্ষাও কঠিন ডাণ্ডা চালাইত। মাস্টারদের ঘরের পাশে তাহার জন্য বিশেষ বসিবার জায়গা, সেইখানে সেই শাখামৃগ তাহার ইয়ার-বক্সীদের লইয়া অঙ্গদের রায়বার বসাইত। আর কী দাপট! হেডমাস্টারকে শাসায় ঠাকুরদাদাকে বলিয়া তাহাকে আন্দামান অর্থাৎ রাজধানী হইতে দূরে গগ্রামে বদলি করাইবে। মাস্টার বৃদ্ধ– পেনশন-পেয়ালায় চুম্বন দিব-দিব করিতেছেন, ফস্কাইলেই সর্বনাশ। সবকিছু নীরবে সহিয়া যাইতেন।

স্কুল হইতে ছেলেমেয়ে বাছাই করিয়া রাজবাড়িতে রাজপুত্র রাজকন্যাগণের সঙ্গে পড়িবার জন্য লইয়া যাওয়ার রীতি কোনও কোনও স্টেটে আছে।

রাজা বিদেশে, কাজেই সে স্কুলের বড়া শয়তান যুবরাজের সেখানে সপত্নহীন রাজত্ব। কারণ রাজা ছাড়া যুবরাজকে তম্বি কে করিতে পারে? আর সকলেই দিন শুনিতেছেন, যুবরাজ কবে রাজা হইয়া তাহাদিগকে বড় বড় তঙ্কার নোকরি দিবেন। কাজেই যুবরাজের শিক্ষা অগ্রসর হইতেছে না, অন্য ছেলেমেয়েদের কী সাহস যে-পাঠ যুবরাজ পড়িতে পারেন না তাহা তাহারা পড়িতে পারার দম্ভ করিবে! বাপ-মা ছেলেদের বিশেষ করিয়া বলিয়া দেন যেন তাহারা ওই সব লেখাপড়ার মতো অবান্তর বাহ্যবস্তুর প্রতি মনোযোগ না করে সারবস্তু, যেন যুবরাজকে খুশি রাখা হয়। তিনি বড় হইয়া তাহাদের প্রতি নেকনজর দিলে তাহাদের তখন ভূগোল-ইতিহাসের কী প্রয়োজন? আর লেখাপড়ার ফপরদালালি করিয়া যদি এখন তাহাকে চটায় তবে পরে তাহাদিগকে রক্ষা করিবে কোন জ্যামিতি, কোন ব্যাকরণ? স্মরণ তো রাখিতে হইবে এযুগে চাণক্য প্রবচনের প্রথমার্ধ স্বদেশে পূজ্যতে রাজা খাটে কিন্তু বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে আর খাটে না।

যুবরাজ বড় হইলে এইসব অকাল-কুষ্মন্ত্রে উজির নাজির কোটাল হয়। তাহাদের না আছে শিক্ষা, না আছে শীল। কুলীনের যে নবধা কুললক্ষণ, সেসব তাবৎ কয়টির সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি যদি কোনও ব্যক্তিতে পান তবে বুঝিবেন, তিনি নেটিভ স্টেটের রাজার বাঁদর নাচের পুচ্ছহীন মর্কট, অর্থাৎ সেখানকার হোমরা-চোমরা অথবা বড় কর্মচারী।

কোনও কোনও খবরের কাগজে দেখিলাম, নেটিভ স্টেটগুলিকে মধ্যযুগের সামন্ত রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করিয়াছে। তাহাতে মধ্যযুগের সামন্ত রাজ্যের প্রজাদের প্রতি অবিচার করা হইয়াছে। আমি পশ্চিম ভারতের যেটুকু ইতিহাস পড়িয়াছি তাহাতে দেখিয়াছি যে, মধ্যযুগে কোনও রাজা কাণ্ডজ্ঞানহীন উচ্ছলতায় মত্ত হইলে প্রজা বিদ্রোহী হইয়া রাজাকে তাড়াইয়াছে, অথবা অন্য সামন্ত রাজা প্রজাদের অসন্তোষের খবর পাইয়া সে রাজ্য আক্রমণ করিয়া নিজ রাজ্য বৃদ্ধি করিয়াছেন অথবা দিগ্বিজয়ী বলিয়া খ্যাত হইয়াছেন। এখন প্রজাবিদ্রোহেরও উপায় নাই। নানারকম ট্রিটির জোরে মহারাজ বহিঃশক্তি আহ্বান করিয়া দুই মিনিটেই সব বিদ্রোহ ঠাণ্ডা করিয়া দিতে পারেন। প্রজারা কর্মে মগ্ন বলদের মতো একদিকে খায় রাজার মার, অন্যদিকে খায় ট্রিটির মার।

তবু মাঝে মাঝে যখন অত্যাচার অসহ্য হয় তখন অনেক সুবিধাবাদী মকুবির জয়জয়কার আরম্ভ হয়। তাহারই একজনের সঙ্গে আমার বোম্বায়ে আলাপ হয়। তাঁহার পেশা নাকি জর্নালিজম। শুধাইলাম, মহাশয় কোন কাগজে লেখেন? বলিলেন, আজ্ঞে, কোনও কাগজেই লিখি না, না লিখিয়া পয়সা কামাই। আমি বলিলাম, সে কী মহাশয়, কালিদাসের নাই তাই খাচ্ছ ব্যাপার নাকি? বলিলেন, অনেকটা তাই; নেটিভ স্টেটে ফ্রেশ কেলেঙ্কারির খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে উপস্থিত হইয়া নানা তদ্বির-তদন্ত করিয়া রাজা বা দেওয়ানের বিপক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করি। তার পর দেওয়ানকে বলি, কত ওগরাবে কও। দেওয়ান বেশ টু পাইস দেয়– অবশ্য অবস্থা বুঝিয়া ব্যবস্থা। তাই আর কেচ্ছাটা লেখার প্রয়োজন হয় না। আর লিখিয়াই-বা হইবে কী? ফি কলম কুড়ি টাকা তো? তাহাতে আমার এক সন্ধ্যার ইয়ের খরচটাই উঠিবে না। জিজ্ঞাসা করিলাম, কিন্তু যাহাদের নানা ভরসা দিয়া প্রমাণ সংগ্রহ করিলেন, সে প্রমাণ দেওয়ানকে যে সমঝাইয়া দিলেন, তাহাদের কী? পাষণ্ড কী বলিল জানেন? আণ্ডা না ভাঙিয়া কি আর মামলেট হয়!

কোনও কোনও নেটিভ স্টেটে প্রজামণ্ডল আছে– শুনিলাম কুচবিহারে নাই। প্ৰজামণ্ডল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হইয়া স্টেটের প্রজাবর্গের উন্নতির চেষ্টা করেন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন, ধারা সভায় প্রবেশ করেন ও ব্রিটিশ ভারতে ব্যাপক রাজনৈতিক আন্দোলন আরম্ভ হইলে যোগদান করেন। লক্ষ করিয়াছি, যে স্টেটে অবিচার কম সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ দেওয়া আন্দোলনে জোর কম থাকে। ব্রিটিশ ভারতে আমরা বিদেশি রাজের বিরুদ্ধে যে জোর পাই, ভালো স্টেটে প্রজারা সে জোর পাইবে কোথা হইতে? মন্দ স্টেটে আন্দোলন ভালো চলে, কারণ রাজা বা দেওয়ান তখন বিদেশি শাসনের প্রতীক হইয়া দাঁড়ান।

পশ্চিম ভারতের কংগ্রেস কর্মীরা প্রজামণ্ডলগুলির সঙ্গে সর্বদা যোগসূত্র রক্ষা করেন। পূর্ব ভারতে আমাদের অন্তত খবর রাখা উচিত না হইলে অখণ্ড সম্পূর্ণ ভারতবর্ষের প্রতি রাজনৈতিক সিংহাবলোকন চক্রবালে পরিব্যাপ্ত হয় না।

কোনও কোনও স্টেটে মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠানও আছেন; কর্মীরা মুসলিম স্বার্থ রক্ষা করিবার প্রয়াস করেন। খুব দরকার হয় না, কারণ দেশি স্টেটে হিন্দু-মুসলমানের দলাদলি কম।

এই একটিমাত্র গুণ দেশি রাজ্যে আছে। হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সেখানে হয় না। কারণ হিন্দু-মুসলমানকে লড়াইয়া সেখানে রাজার কোনও ফায়দা নাই। কোনও কোনও স্টেটে হিন্দু-মুসলমানের হৃদ্যতা দেখিয়া ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ লইয়া মনে মনে সুখস্বর্গ গড়িয়াছি।

উত্তম রাজা যে দেশি রাজ্যে কুত্রাচ নাই, এমন নহে। বরোদার ভূতপূর্ব মহারাজ স্বর্গীয় সয়াজি রাওয়ের মতো প্রজাপালক দেশে-বিদেশে অতি অল্পই জন্মিয়াছেন। কিন্তু তিনিও তো বাল্যকাল কাটাইয়াছিলেন রাখাল ছেলেদের সঙ্গে। তিনি রাজা ছিলেন, কিন্তু কখনও যুবরাজ ছিলেন না–দত্তক পুত্ররূপে রাজা হন। দুই-একটি জনপ্রিয় রাজা যদি-বা স্টেটে জন্মান তবু তাঁহাদের জন্য নেটিভ স্টেট রূপ জঞ্জাল রাখিবার প্রয়োজন নাই।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাপ্রসূত দৃঢ় বিশ্বাস, স্বাধীন ভারতে দেশি রাজ্যের স্থান নাই।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *