নাচ, ছবি আর ইন্দ্ৰজাল
নাচ, গান, ছবি— আজকের পৃথিবীতেও এ-সবের অভাব নেই। তবু আদিম মানুষদের সঙ্গে অনেক তফাত। কেননা আজকের দিনে এ-সব হলো নেহাতই শুধু আমোদ-প্রমোদের ব্যাপার। কাজকর্মের সঙ্গে, মেহনতের সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক নেই। বরং কাজকর্ম চুকে গেলেই এ-সব নিয়ে একটু আধটু, যাকে বলে, অবসর-বিনোদন। কিন্তু আদিম মানুষের বেলায় মোটেই তা নয়, শুধু বিনোদন করবার মতো অবসর ওদের কোথায়? ওদের হাতিয়ার যে নেহাতই বাজে ধরনের, সেই হাতিয়ার হাতে কোনোমতে পেট ভরাবার মতো খাবার জোগাড় করতেই যে ওদের সমস্ত দিন, সমস্ত সময়, কেটে যায়। তাই, শুধু আমোদপ্রমোদ করবার কথা ওদের বেলায় ওঠেই না।
তাহলে? ওরা নাচতো কেন, গাইতো কেন, কেন আঁকতো ছবি? শুনতে তোমার খুবই অবাক লাগবে, কিন্তু আসল কথা হলো ওদের কাছে এ-সব ছিলো মেহনত করবার, পৃথিবীর সঙ্গে লড়াই করবার, এক একটা কায়দা-কানুনই। কিন্তু নোচে, গেয়ে বা ছবি এঁকে পৃথিবীকে জয় করা যাবে কেমন করে? কথাটা ভালো করে বুঝতে হলে আগে দেখতে হবে ওদের নাচ, গান আর ছবি আঁকার মূলে যে ব্যাপারটা ছিলো সেটার দিকে। সে-ব্যাপারটার নাম হলো ইন্দ্ৰজাল। ইন্দ্ৰজাল মানে কী?
আদিম মানুষ সবেমাত্র পৃথিবীকে জয় করতে শুরু করেছে। আর, সবেমাত্র জয় করতে শুরু করেছে বলেই সবেমাত্র চিনতে শিখছে এই পৃথিবীর নিয়মকানুন। তাই দুনিয়া সম্বন্ধে তার ধারণাটায় অনেকখানি ছেলেমানুষ। তবু সে হাত-পা গুটিয়ে চুপটি করে বসে থাকে নি। তার ওই সামান্য হাতিয়ার দিয়ে পৃথিবীকে যতোটুকু জয় করা যায় শুধু ততোটুকু জয় করে তার মন খুশি হয় না। তাই, পৃথিবীকে আসলে জয় করবার যে-অভাব সেটা কল্পনায় জয় করা দিয়ে পূরণ করে নেওয়া। এরই নাম হলো ইন্দ্ৰজাল।
কিন্তু কল্পনায় জয় করা মানে কী? ধরা যাক, বিদ্যুৎ আর বীজ। আজকের মানুষ আমরা, আমরা জানি বিদ্যুৎ কেন চমকায় আর কানে আসে বজ্রপাতের দারুণ শব্দ। কিন্তু আদিম মানুষ এতো কথা মোটেই জানতে পারে নি। সে শুধু এইটুকু বুঝেছিল যে কাজ আর বজ্রপাতের শব্দ।—এ দুয়ের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে। তাই সে ভাবতো কোনোমতে যদি এই শব্দটাকে দখলে আনা যায় তাহলে জয় করা যাবে বজ্রকেও। যে পারবে বঞ্জের মতো শব্দ করতে তার মধ্যে আবির্ভূত হবে বজ্রের শক্তি, সে কাজ হয়ে যাবে। আদিম মানুষ তাই বজ্রের মতো শব্দ সৃষ্টি করবার নানান রকম কায়দাকানুন শুরু করলো, হয়তো পারলো একটা দারুণ শব্দ সৃষ্টি করতেও। আর তারপর ভাবলো, বজের মতো ওই শব্দকে নিজের কবলে এনে সত্যিই বুঝি জয় করা গিয়েছে বীজকেই। এই হলো ইন্দ্ৰজাল, সত্যিকারের জয় করবার অভাবকে কল্পনায় জয় করা দিয়ে পূরণ করবার চেষ্টা।
কিংবা ধরা যাক আকাশে বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি না পড়লে গাছ-গাছড়া শুকিয়ে মরে যাবে, দুস্কর হবে পেট ভরানো। তাই জয় করতে হবে আকাশের বৃষ্টিকে—তা। নইলে মানুষ বাঁচবে কেমন করে? তাই আদিম মানুষের দল হয়তো আকাশের দিকে জলের ছিটে ছুঁড়তে শুরু করলো আর ভাবলো এমনিভাবে যদি আকাশে একটা বৃষ্টির নকল তোলা যায় তাহলে সত্যিই বৃষ্টি পড়তে বাধ্য হবে, তার মানে জয় করা যাবে বৃষ্টিকে। এই হলো কল্পনায় জয় করা। যার নাম কি না ইন্দ্ৰজাল।
ওদের এই সব ছেলেমানুষির কথা শুনে আজকের মানুষ আমরা, আমরা হয়তো মনে মনে হাসবো। কিন্তু একটা কথা তুললে চলবে না। এইসব ইন্দ্ৰজাল— কল্পনায় এই ভাবে পৃথিবীকে জয় করবার চেষ্টা-এর থেকেই কিন্তু শেষ পর্যন্ত পৃথিবীকে সত্যিকারের জয় করবার ব্যাপারে অনেকখানি সুবিধে হয়ে যেতো। তাই ইন্দ্ৰজাল ওদের কাছে খামখেয়াল নয়, ইন্দ্ৰজাল না হলে ওদের পক্ষে তখন বাঁচাই দুস্কর। মনে রাখতে হবে, আদিম মানুষ থাকতো একসঙ্গে, দল বেঁধে, সমানে-সমান হয়ে। ওরা যা কিছু করতো তাও
একসঙ্গে, একজোটে। এমন কি, ওরা যা কিছু ভাবতো তাও একসঙ্গে, একজোটে। এবার ভেবে দেখো : বৃষ্টি হচ্ছে না, বৃষ্টি না হলে বাঁচবার উপায় নাই। আদিম মানুষের দল একজোট হয়ে তালে তালে নাচতে শুরু করলো,— নাচের সময় আকাশের দিকে জলের ছিটে ছোঁড়া, বৃষ্টির একটা নকল তোলা। অনেক সময় মানুষ একসঙ্গে তালে তালে নাচছে আর একসঙ্গে ভাবছেঃ এবার আর ভয় নেই, আকাশের বৃষ্টিকে এবার জয় করা গিয়েছে, বৃষ্টি এবার হতে বাধ্য, বৃষ্টি এবার হবেই হবে। তাই তাদের সবাইকার মনেই এক নতুন উৎসাহের সাড়া,–তারা সবাই মিলে একসঙ্গে সাহসে বুক বাঁধছে, মেতে উঠছে। ভাবছে, ভয় নেই। আর; ভাবছে, ভাবনা নেই। আর। আর এইভাবে একসঙ্গে সাহসে বুক বেঁধে তারা যখন চললো মাঠের দিকে খাবার জোগাড় করতে তখন তাদের পক্ষে সত্যিকারের খাবার জোগাড় করাটা,— পৃথিবীকে সত্যিকারের জয় করাটা,— অনেক বেশি সহজ হয়ে পড়বারই কথা নয় কি? আকাশে জল নেই দেখে মানুষ যদি মনের দুঃখে শুধুই চোখের জল ফেলতো তাহলে তার পক্ষে তখন বাঁচাই সম্ভব হতো না। তাই কল্পনায় বৃষ্টিকে জয় করে ওই যে নতুন আশায় বুক বাধা, মেতে ওঠা, ওর দাম খুব কম নয়।
আমাদের দেশে যাকে বলে ‘ব্রত’ তার মধ্যে আজও অনেকখানিই ওই ইন্দ্ৰজিল। অবশ্য আজকাল আসল আর খাটি আর পুরোনো ব্ৰতগুলোকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের লোক যতো সভ্য হয়েছে ততোই পুরোনো ব্ৰতর সঙ্গে মিশেছে। নানান রকম ভেজাল, ঠাকুর দেবতার কথা। কিন্তু যেগুলো আসলে পুরোনো ব্ৰত সেগুলোর চোদ্দ আনাই হলো ইন্দ্ৰজাল। এ-সব ব্ৰত একা একা করবার কথা নয়, একসঙ্গে দল বেঁধে করবার কথা। এ-সব ব্ৰতর সঙ্গে থাকে একটা করে কামনা : যার ব্রত করছে তারা ভাবছে ব্ৰতটা করতে পারলেই কামনাটা সফল হবে। তাই, পৃথিবীকে যেন মনে মনে জয় করা, কল্পনায় জয় করা। তবুও কথাটা হলো জয় করবার কথাই। যেগুলো আসলে পুরোনো ব্ৰত সেগুলোর মধ্যে ঠাকুরদেবতার কাছে মিনতি করবার কথা নেই, ফুল-নৈবেদ্য সাজিয়ে ঠাকুরদেবতাকে খুশি করবার কথা নেই, নেই তাদের পায়ে মাথা কোটবার কথা। এ-সব ব্যাপারের নাম হলো ধৰ্ম। এ-সব ব্যাপার মানুষ শিখেছে অনেক পরে। মনে রাখতে হবে, ইন্দ্ৰজালের সঙ্গে ধর্মের তফাতটা মস্ত বড়ো। ধর্ম হলো ঠাকুরদেবতাকে খুশি করে তাদের কৃপায় কিছু পাবার আশা, কিন্তু ইন্দ্ৰজাল হলো পৃথিবীকে জয় করা, জোর করে বশ করা। তাই আকাশে বৃষ্টির চিহ্ন না দেখে মানুষ যদি ভয়ের চোটে আকাশের দেবতার পায়ে মাথা কুটিতে চায় তাহলে সেটা হবে ধৰ্ম, কিন্তু তার বদলে মানুষ যদি আকাশে বৃষ্টির নকল তুলে বৃষ্টিকে বশ করতে চায় তাহলে সেটা হবে ইন্দ্ৰজাল। এটা নিশ্চয়ই আসল জয় করা নয়, কল্পনায় জয় করা, জয় করা গিয়েছে বলে মনে করা। ওটাই ছিলো আদিম মানুষের আসল ভুল। বেচারারা তো সবেমাত্র পৃথিবীকে জয় করতে শুরু করেছে। তাই পৃথিবীকে চিনতেও শুরু করেছে সবেমাত্র। তাই এই ভুল। তবু ওরা হাত গুটিয়ে চোখের জল ফেলবার লোক নয়, ভিক্ষে পাবার আশায় ওরা কারুর পায়ে মাথা কুটতে শেখে নি। এইটেই হলো ওদের বেলায় সবচেয়ে বড়ো কথা। ওরা ছিল কাজের মানুষ, ওরা মানতো, নিজেদের হাতকে হাতিয়ারকে। ওরা জানতো না আসহায়ের মতো করুণা ভিক্ষে করতে।
আদিম মানুষের নাচ, গান আর ছবি। এ-সবেরই পেছনে ওই এক কথা, ওই ইন্দ্ৰজাল। তার মানে, ওদের কাছে এগুলো মেহনত করবার অঙ্গ, শুধু ফুর্তি করা নয়। তাই আদিম মানুষের কাছে ‘কাজ করা’। আর ‘নাচা’ দুই-ই এক কথা।
আজো পৃথিবীর আনাচে-কানাচে যে-সব আদিম আর অসভ্য মানুষের দল টিকে আছে তাদের দিকে একটু ভালো করে চেয়ে দেখলে ব্যাপারটা বুঝতে পারা যাবে। যেমন ধরে মেক্সিকো দেশের কথা। ও-দেশে নানান দলের মানুষ এখনো সেই আদিম অবস্থায় পড়ে রয়েছে; তাদের মধ্যে এক দলের নাম হলো ‘তারাহুমারে’। তাদের ভাষায় একটা কথা আছে ‘নোলাভোয়া’— কথাটার মানে ‘মেহনত করা’ আর ‘নাচা’ দুই-ই। ওদের মধ্যে বুড়েরা ছেলে-ছোকরাদের ধমক দিয়ে বলে, ঘরের কোণায় কুঁড়ের মতো বসে থেকে না, দলের সঙ্গে নাচে যোগ দিতে যাও। ওদের মধ্যে ‘বয়সে বাড়বার’ আর একটা নাম হল ‘নাচের সংখ্যা বাড়া’। নীচের সংখ্যা যার যতো বেশি,–তার মানে দলের নাচে যে যতো। বেশি বার যোগ দিয়েছে— তার কদরও তত বেশি। কথাগুলো আমাদের কাছে কেমন যেন খাপছাড়া লাগে, মনে হয় মানে হয় না। কিন্তু ওদের কাছে তা নয়। কেননা, নাচা আর কাজ করা ওদের কাছে একই ব্যাপার।—দুই-ই হলো পৃথিবীর সঙ্গে লড়াই করবার কায়দাকানুন। তাই কাজের সঙ্গে নাচের যেন মেশামোশি। কেউ যদি দলের নাচে যোগ দিতে না যায়। তাহলে সে ধমক খায়; কেউ যদি অথর্ব হয়ে পড়ে, নাচতে না পারে, তাহলে সে কপাল চাপড়ে বলে : বেঁচে থেকে আর লাভ কী?
আরো একটা কথা ভেবে দেখো! আদিম মানুষের কাছে নাচ যদি নেহাতই আমোদ-প্রমোদের ব্যাপার হতো তাহলে তো যুদ্ধে জিত হবার পর কিংবা শিকার গেলে ফিরে আসবার পরই নাচবার কথা হতো। কিন্তু তা নয়। ওদের নাচের সময়টা ঠিক উলটো। যুদ্ধে বেরুবার আগে নাচ, শিকার করতে বেরুবার আগে নাচ। আর নাচটা যেন যুদ্ধে জিত হয়ে গিয়েছে, কিংবা শিকার জুটেছে খাসা–তারই কল্পনা। একসঙ্গে দল বেঁধে এই নাচ নাচতে নাচতে সবাইকার মনই উৎসাহে মেতে ওঠে। চোখের সামনে দোলে কামনা সফল হবার ছবি। এই উৎসাহে বুক বেঁধে বেরিয়ে পড়া। তখন সত্যিকারের যুদ্ধে জেতা বা সত্যিকারের শিকার জোগাড় করা অনেকখানি সহজ হবে না কি?
গানের বেলাতেও ওই কথাই। তার মানে, গানের সঙ্গেও মেহনতের যোগাযোগ। ওদের গান শৌখিনতা নয়, একসঙ্গে তালে তালে কাজ করবার একটা কায়দা। আজকের দিনেও যারা দল বেঁধে মেহনত করে তাদের দিকে চেয়ে দেখো। দেখবে একসঙ্গে মিলে মেহনত করবার জন্যে তাদের কাছেও গানের দরকার, সুরের দরকার কতোখনি। ছাত পেটাবার গান শোনো নি? ভারি জিনিস টানবার সময় শ্রমিকেরা দল বেঁধে য়ে-গান গায় সেগান শুনেছো তো? তা ছাড়া ধান কাটবার গান, ঘাস কাটবার গান।—এই রকম নানান রকম গান। এগুলো শৌখিন গান নয়, অবসর-বিনোদন-নয়। মেহনত করবার এক রকম কায়দাকানুনই। আদিম মানুষের দল যেটুকু গান শিখেছিলো সেটুকু গান এই রকমই।
ছবির বেলাতেও এই কথা। ওদের ছবি হলো চোদ্দ আনা ইন্দ্ৰজাল। পাঁচজনকে ছবি দেখিয়ে খুশি করবার জন্যে ছবি আঁকা নয়। তাই যে-সব জায়গায়। ওদের আঁকা ছবির আবিষ্কার হয়েছে সেগুলো বড়ো বেয়াড় ধরনের জায়গাঃ অন্ধকার গুহার একেবারে ভেতর দিককার দেয়ালে এইসব ছবি, কখনো বা এমন জায়গায় ছবি যে দেখলে বোঝা যায় শুয়ে শুয়ে আঁকতে হয়েছে। লোককে দেখিয়ে খুশি করবার ইচ্ছেই যদি হতো তাহলে অমন সব অদ্ভুত অদ্ভুত জায়গায় অতো সুন্দর সুন্দর ছবি মানুষ আঁকতে যাবে কেন?
ইন্দ্রজাল। তার পেছনে পৃথিবীকে জয় করবার চেষ্টাই। ভিক্ষে চাওয়া নয়, প্রার্থনা করা নয়।—জয় করাই। তবে কল্পনায় জয় করা।
তা হোক। সেই সঙ্গেই কিন্তু আরো একটি কথা মনে রাখতে হবে, তা নইলে মানুষের গল্পটা বুঝতে গিয়ে আবার ভুল হয়ে যেতে পারে।
কথাটা হলো : আমরা কি আজও ওই ইন্দ্ৰজাল নিয়েই মেতে থাকবো, বাঁচবার কায়দা খুঁজবো ব্ৰত পালন করে? নিশ্চয়ই নয়। কেননা এর মধ্যে পৃথিবীকে জয় করবার চেষ্টা থাকলেও সেটা যে নেহাতই কল্পনায় জয় করা। মানুষের হাতিয়ার যতোদিন নেহাতই স্কুল, নেহাতই বাজে ধরনের ততোদিন না হয় ওইভাবে জয় করবার কল্পনা ছাড়া তার পক্ষে বঁচবার উপায়ই ছিলো না। কিন্তু আজকের দিনে তার আবার দরকার পড়বে কেন? কতো আশ্চর্য আর উন্নত হয়ে উঠেছে আমাদের আজকের হাতিয়ার, পৃথিবীকে সত্যিকারের জয় করতে আমরা শিখেছি কতো বেশি করে। এই যে সত্যিকারের জয় করা, এরই নাম হলো বিজ্ঞান। আজ আমরা বিজ্ঞানকেই মেনে নেবো, ইন্দ্ৰজালের দিকে পিছু হটতে চাইবো না।
ছোট্ট বেলায় ঝিনুক-বাটিতে দুধ খেতে হয়; ঝিনুক-বাটি না হলে চলে না। কিন্তু তাই বলে বড়ো বয়সেও তো আর ঝিনুক-বাটি দরকার পড়ে না। তেমনি মানুষ যখন ছেলেমানুষ ছিলো তখন ইন্দ্ৰজাল না হলে তার চলতোই না। কিন্তু তারপর মানুষ অনেক বড়ো হয়েছে। এখন তাই ইন্দ্ৰজালের বদলে বিজ্ঞান।