নয়া কথা (নূতন কথা)
ফেব্রুয়ারী মাসের ১৬ই তারিখে সাঁওতাল পরগণার যত পরগণা, দেশমাঁঝি, সরদার এবং অন্যান্য যত লোক নিজেদের পুত্রকন্যাদির ও বিধবাদের ওয়ারিসস্বত্ত ঠিক করবার জন্য ডুমকাতে এক বৈঠক করে; সে বৈঠকে সকলে একমত হ’য়ে নিম্নলিখিত আইন করা হয়।
পুত্র-কন্যা
(১) যদি কাহারও কেবল মেয়েসন্তান থাকে, তবে তারা বিবাহের পরে পিতার ওয়ারিশ হয়; তাহাদের স্বামীরা জমি জায়গা পায়।
পিতার ভাইআদি জ্ঞাতিবর্গ ছাগল-ভেড়াদির অর্দ্ধেক পায়। যে মুখাগ্নি করে সে একটা ছাগল পায়। ঘরজামাই থাকৃতে মেয়ে নিঃসন্তান মারা গেলে ঘরজামাই কিছু পায় না; কেবল নিজের ছাগলটি নিয়ে চলে যায়।
(২) কারও ছেলে ও মেয়ে উভয় বৰ্ত্তম!ন থাকলে, যদি ছেলেরা নিঃসন্তান মারা যায় তবে মেয়েরা ওয়ারিশ হয়; খুড়া-জ্যেঠা কিংবা জ্ঞাতিবর্গ মেয়ের জন্য ঘরজামাই আনতে পারে, অথবা মেয়ে ও জামাইকে বাপের বাড়ী এনে রাখতে পারে।
(৩) ঘরজামাই না রেখে মেয়ের বিবাহ হ’লে সে মেয়ে কখনও ওয়ারিশ হয় না।
(৪) ঘরজামাই না থাকলে, কিছু প্রাপ্য থাকে না
(৫) ঘরজামাই রেখে মেয়েব সন্তান হ’লে এবং সে মেয়ে মারা গেলে মেয়ের সন্তানেরা মার ওয়ারিশ হ’য়ে সব পায়; ঘরজামাই অন্য বিবাহ না করা পর্যন্ত সেখানে থাকে এবং তার সন্তানেরা তার ভরণপোষণ করে। বিবাহ করলে বাড়ী থেকে চলে যায়।
বিধবা স্ত্রীলোক
মেয়েলোক বিধবা হ’লে স্বামীর ঘর থেকে মৃত্যুপর্য্যন্ত খোরাকপোষাক পেয়ে থাকে; কিন্তু আবার সাঙ্গা বসলে তার কোন পাওনা থাকে না।
বিধবা স্ত্রীলোক সাঙ্গা না করলে স্বামীর ঘরে বাস করতে পারে; কিন্তু সে মারা গেলে কিংবা আবার বিয়ে করলে তার পূর্ব্বস্বামীর ভাইএরা অথবা তাদের ওয়ারিশেরা সব জমিজমা পেয়ে থাকে।
-: সমাপ্ত :-